মেয়ে বিয়ে দেওয়ার আগে শচীনকে নিয়ে যে উদ্বেগ ছিল শাশুড়ির

15
Spread the love


স্পোর্টস ডেস্ক।।

কিংবদন্তি ভারতীয় ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার এবং তার স্ত্রী অঞ্জলির বিয়ে হয়েছে প্রায় ৩০ বছর। শচীনের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে অঞ্জলির প্রভাব কত বেশি সেটি বেশিরভাগ ভক্তেই জানেন। তবে তাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খুব কমই জানা যায়।

শচীনের শাশুড়ি আনাবেল মেহতা সম্প্রতি লেখা তার বইয়ে শচীন ও তার স্ত্রী অঞ্জলির বিয়ের সময়ের গল্প তুলে এনেছেন। ১৯৫০ সালে ইংল্যান্ড থেকে ভারতে আবাস পরিবর্তন করে অঞ্জলির পরিবার। সেসব দিনের গল্পও উঠে এসেছে আনাবেলের খেলা আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘মাই প্যাসেজ টু ইন্ডিয়া’ বইয়ে। যা প্রকাশ করেছেন ভারতের জনপ্রিয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।

অঞ্জলিকে শচীনের বিয়ের পরিকল্পনা ও সেই সময়ের ঘটনাক্রম উল্লেখ করতে গিয়ে আনাবেল লিখেছেন, ‘আমি তখন দেখেছিলাম, শচীন ছিল ভারতীয় ক্রিকেটের আকাশে সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্র। কিন্তু ওর অনেক সতীর্থ ক্রিকেটারের মতো তারও প্লেবয় হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আমি চিন্তিত ছিলাম। নব্বই দশকের শচীন ছিল ইংল্যান্ডের ডেভিড বেকহ্যামের মতো। আমি তাকে সামনাসামনি দেখতে চেয়েছিলাম এবং জিজ্ঞাসা করার আগ্রহ বোধ করেছিলাম যে ও আমার মেয়ে সম্পর্কে কী চিন্তাভাবনা করছে।’

সামনাসামনি দেখায় শচীনের উত্তর অবাক করে দিয়েছিল আনাবেলকে, ‘‘আমরা বিয়ে করতে চাই’ এটা ছিল শচীনের স্পষ্ট জবাব। আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আমি সবসময় ভাবতাম, অঞ্জলি একজন লম্বা, গাঢ় রংয়ের সুদর্শন একজন পুরুষকে বিয়ে করবে। শচীন গাঢ় রংয়ের এবং সুদর্শন। কিন্তু ১৯ বছর বয়সে তখনও ও ছিল একটা বাচ্চা ছেলে। অঞ্জলির চেয়ে সামান্য একটু লম্বা ছিল ও। অঞ্জলি ৫ ফুট সাড়ে ৫ ইঞ্চি লম্বা। শচীনের ঝাঁকড়া চুল হয়তো তার উচ্চতা এক ইঞ্চি বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু তাও অঞ্জলি যদি তার পছন্দের উঁচু জুতাগুলো পরত তাহলে সেই (শচীনের) উচ্চতা যথেষ্ট ছিল না।’

প্রসঙ্গত, মাত্র ১৯ বছর বয়সে অঞ্জলিকে বিয়ে করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন শচীন। যদিও ২২ বছর বয়সে, ১৯৯৫ সালে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন এই দুজন।