বর্ণবাদী গান ইস্যুতে ক্ষমা চাইলেন আর্জেন্টিনার ফার্নান্দেজ

12
Spread the love


স্পোর্টস ডেস্ক।।

আর্জেন্টিনা কোপা আমেরিকার শিরোপা জেতার পর দলটির চেলসি মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্দেজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা লাইভ ভিডিওতে ফ্রান্সকে ঘিরে করা বর্ণবাদী মন্তব্য শোনা যায়। এর জেরে ফিফার কাছে এবার অভিযোগ জানানোর কথা জানায় ফ্রেঞ্চ ফুটবল ফেডারেশন (এফএফএফ)। অবশেষে এই ইস্যুতে ক্ষমা চাইলেন ফার্নান্দেজ।

২০২২ বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সকে হারানোর পর ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পেকে লক্ষ্য করে বর্ণবাদী গান বানিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন সমর্থকেরা। ফার্নান্দেজের ভিডিওতে তিনিসহ অন্যদের সেটিই গাইতে শোনা গেছে। তবে এরপর ইনস্টাগ্রামের এক স্টোরিতে এ নিয়ে ক্ষমা চেয়ে ফার্নান্দেজ লিখেছেন, ‘জাতীয় দলের উদ্‌যাপনে আমার ইনস্টাগ্রাম চ্যানেলে একটি ভিডিও পোস্ট করার জন্য আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাই।’

তিনি বলেন, ‘এ গানে অত্যন্ত অপমানজনক ভাষা আছে এবং এসব শব্দ ব্যবহারের কোনো অজুহাতই নেই। সব ধরনের বৈষম্যের বিপক্ষে আমি। আমাদের কোপা আমেরিকা উদ্‌যাপনের উন্মাদনায় পড়ে গিয়েছিলাম বলে ক্ষমা চাই।’

এফএফএফের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, এ ব্যাপারে তারা আর্জেন্টাইন ফুটবল ফেডারেশনকে চিঠি দেবে। ফিফাকেও ব্যাপারটি জানানো হবে। দুই বছর আগেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বর্ণবাদী মন্তব্য নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিল ফ্রান্সের ফুটবল ফেডারেশন।

কলম্বিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর পর টিম বাসে উদ্‌যাপন ইনস্টাগ্রামে লাইভ করছিলেন ফার্নান্দেজ। অবশ্য ওই বর্ণবাদী গানটি শুরু করার পরপরই লাইভ বন্ধ করে দেন ফার্নান্দেজ। লাইভে আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়দের বর্ণবাদী গানটির প্রথম দুই লাইন গাইতে শোনা যায়। যেটি এমন, ‘পাসপোর্টে তাদের ফ্রেঞ্চ জাতীয়তা, শোনা, কথাটি ছড়িয়ে দাও, তারা ফ্রান্সে খেলে, কিন্তু তারা সবাই…।’ এটুকুর পর কাউকে বলতে শোনা যায়, ‘ভিডিও বন্ধ করো।’

এদিকে সদ্য রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়া ফ্রান্স অধিনায়ক এমবাপ্পের সঙ্গে দেশটির ট্রান্সজেন্ডার মডেল আইনস রাউয়ের কথিত সম্পর্কের ইঙ্গিতও আছে ওই গানে। সেই বর্ণবাদী গানটির পরের লাইনগুলো ছিল এমন, ‘…তারা ফ্রান্সে খেলে, কিন্তু তারা সবাই অ্যাঙ্গোলা থেকে আসা, তারা দৌড়ায় ভালো, লিঙ্গান্তরিত মানুষের সঙ্গে শোয়, তাদের মা নাইজেরিয়ান, তাদের বাবা ক্যামেরুনিয়ান, কিন্তু পাসপোর্টে বলা—ফ্রেঞ্চ।’

ফার্নান্দেজ তার স্টোরিতে বলেন, এসব কথা তিনি বিশ্বাস করেন না, ‘ওই ভিডিও, ওই মুহূর্ত, ওই শব্দগুলো আমার বিশ্বাস বা চরিত্রকে ফুটিয়ে তোলে না। আমি সত্যিই দুঃখিত।’