নিজস্ব প্রতিনিধি:
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় দুই সন্তানের জননী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ধর্ষণের ঘটনায় সোমবার সকাল ৬টার দিকে উপজেলার সীমান্ত ইউপিতে অভিযান চালিয়ে লাল্টু মল্লিক ও ইকরা হোসেন নামে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জীবননগর থানার ওসি জাবিদ হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারকৃত লাল্টু মল্লিক উপজেলার সীমান্ত ইউপির কয়া গ্রামের কালাম মল্লিকের ছেলে ও ইকরা হোসেন একই এলাকার গোপালের ছেলে।
রোববার ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে জীবননগর থানায় চারজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
জীবননগর থানার ওসি জাবিদ হাসান জানান, গত শনিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে বাড়ির পাশের টিউবওয়েলে পানি আনতে যায় ঐ গৃহবধূ। এ সময় একই গ্রামের চারজন আবুল কালামের ছেলে লাল্টু মল্লিক, নওশের আলীর ছেলে মো. খালিদ হোসেন, মুসা আলীর ছেলে জব্বার হোসেন ও গোপাল মন্ডলের ছেলে ইকরা হোসেন মিলে দুই সন্তানের জননীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে পেয়ারা বাগানে নিয়ে যায় এবং পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় রোববার দুপুরে ৪ যুবকের নামে নিজে বাদী হয়ে থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করেন ঐ গৃহবধূ।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নাজিম উদ্দীন আল আজাদ জানান, বাদীর মামলা দায়ের করার পর মামলার তদন্ত কাজ চলছে। একই সঙ্গে ঐ নারীকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্ত পলাতক আসামিদেরকে গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে। বাদীর ডাক্তারী পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামতের প্রমাণ মিললে দোষীদের বিরুদ্ধে আদালতে আইনের সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন করা হবে।
এদিকে সংবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদ ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন পরিবার এবং স্থানীয় বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন।