কেএমপির অভিযানে মাদকসহ গ্রেপ্তার ৬
স্টাফ রিপোর্টার
মহানগর পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে নগরীর বিভিন্ন থানা এলাকা হতে ৬০০ গ্রাম গাঁজা ও ৬৮ পিস ইয়াবাসহ ৬ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন নগরীর হামিদ নগর ওয়াপদা রোডের শেখ জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে শেখ বিল্লাল হোসেন (২০), খালিশপুর কাশিপুরের মো. মিজানের ছেলে চাঁন (২৫), দৌলতপুর পাবলা সবুজ সংঘ এলাকার মহাদেব চন্দ্র দাসের ছেলে তাপস দাস (৩৬) ও আলী হোসেন বিশ্বাসের ছেলে মো. রুবল বিশ্বাস (৩২), খালিশপুর ১নং বিহারী ক্যাম্পের মৃত. বশির আহম্মেদ এর ছেলে মো. নাদিম হোসেন (৩৫) ও ফুলতলা থানাধিন জামিরা সাতিয়ানী বাজারের আলাউদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে আরাফাত বিশ্বাস (২০)।
কেএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোহা. আহসান হাবীব জানান, গত ২৪ ঘন্টায় নগরীর বিভিন্ন এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। এসময় ৬০০ গ্রাম গাঁজা ও ৬৮ পিস ইয়াবাসহ ৬ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মনি আহবায়ক, পরাগ সদস্য সচিব
সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির ৫১ সদস্যের পুর্নাঙ্গ আহবায়ক কমিটি অনুমোদন
।। খবর বিজ্ঞপ্তি।।
সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির ৫১ সদস্য বিশিষ্ট পুর্নাঙ্গ আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (০৯ জুলাই) বিএনপির মিডিয়া সেল প্রদত্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কমিটি অনুমোদনের কথা জানানো হয়। মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা ও সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন রবিবার রাতে এ কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন। কমিটিতে মোঃ হাফিজুর রহমান মনিকে আহ্বায়ক ও সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগকে সদস্য সচিব করে এ কমিটির অনুমোদন দিয়েছে।
কমিটির অন্যান্যরা হলেন যুগ্ম আহ্বায়ক যথাক্রমে মিজা মাহমুদ, মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ, শেখ মোস্তফা কামাল, কাজী নজরুল ইসলাম, শেখ আব্দুল আলিম, মাহমুদ আলম বাবু মোড়ল, কাজী মিজানুর রহমান, শেখ আজিজুর রহমান, সদস্য যথাক্রমে সাঈদ হাসান লাভলু, শাহ মোঃ জালাল, মোঃ হাবিবুর রহমান, আহসান হাবিব বাবু, অহিদুজ্জামান হাওলাদার, আরিফুল ইসলাম বিপ্লব, আবুল ওয়ারা, মিজানুর রশীদ মিজান, জাহিদুল ইসলাম খোকন, মোঃ কামরুজ্জামান রুনু, শেখ মনিরুজ্জামান মনির, সৈয়দ শামিম আহসান, মোঃ শফিকল আলম তুহিন, আসাদুজ্জামান হারুন, আলমগীর হোসেন, শেখ হাফিজুর রহমান, আব্দুল আলিম খান, এনামুল কবির, মঈদুল হক টুকু, আব্দুল কাদের মল্লিক, মোল্লা রাজু আহমেদ, নূর আলম নূরু, মোল্লা মিজানুর রহমান, মফিজুর রহমান মফিজ, মাসুদ আলম শামীম, ইসলাম বিশ্বাস, খায়রুল ইসলাম হিরু, মোল্লা সোহরাব হোসেন, কাজী সাইফুল ইসলাম সোহেল, আবুল কালাম, আব্দুল কুদ্দুস, ফরহাদ হোসেন বকসি, আলী আহমেদ, সৈয়দ নাদিম আশফাক, সুলতান আহমেদ, কাজী শাহীন, কাজী ওয়াইজউদ্দিন শান্টু, মনিরুজ্জামান তালুকদার জুয়েল, ইয়াসিন মোল্লা, জিয়ারুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান রিপন, মোঃ সাগর হোসেন প্রমূখ।
উল্লেখ্য গত বছর ১৯ মে সকাল ১০টায় খুলনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির কর্মীসভা ও কাউন্সিলর অধিবেশনে ভোটের মাধ্যমে হাফিজুর রহমান মনি আহবায়ক ও সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ সদস্য সচিব নির্বাচিত হন।
সাতক্ষীরায় রোগীদের মাঝে চেক বিতরণ করলেন এমপি
সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ক্যান্সার, কিডনী, লিভার সিরোসিস, স্টোকে প্যারালাইসড, জন্মগত হৃদরোগ ও থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত অসহায় মানুষের মাঝে আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার ৯ জুলাই বেলা ১২.৩০ মিনিটের সময় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ডিজিটাল কনফারেন্স রুমে সমাজসেবা অফিসের আয়োজনে চেক বিতরণ করা হয়।এতে জেলা সমাজসেবা অফিসের উপপরিচালক সন্তোষ কুমার নাথের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অসহায় মানুষের মধ্যে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ করেন, সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. আশরাফুজ্জামান আশু।এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মশিউর রহমান বাবু, ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার শামস ইশতিয়াক শোভন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার শেখ সহিদুর রহমান প্রমুখ। এ সময় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়াধীন সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগ ও থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত ৪৭ জন রোগীর মাঝে ২৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়।
কালিগঞ্জে ১২৫ নারী কর্মীকে চেক ও সনদপত্র প্রদান করা হয়েছে
কালিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের অধীনে বাস্তবায়িত পল্লী কর্মসংস্থান ও সড়ক রক্ষনাবেক্ষণ আরই আর এমপি-৩ প্রকল্পের আওতায় নারী কর্মীদের সঞ্চিত অর্থের চেক ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের আয়োজনে (৯ জুলাই) মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে নারী কর্মীদের সঞ্চিত অর্থের চেক ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিপংকর দাশের সভাপতিত্বে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি‘র বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা এলজিইডি কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুজ্জামান। উপজেলা প্রকৌশলী কাজী ফয়সাল বারী পূর্ণ এর সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি‘র বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী শেখ মেহেদী হাসান সুমন, সোনালী ব্যাংক কালিগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক ভবেশ চন্দ্র মৃধা প্রমুখ। চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রত্যেকে নারী কর্মীকে ১ লাখ ২১ হাজার ৩‘শ ৭৩ টাকার চেক প্রদান করা হয়। ৪ বছরে উপজেলার ১২ ইউনিয়নের ১২৫ জন নারী কর্মীদের মধ্যে মোট ১ কোটি ৪২ লাখ ১২ হাজার ৮‘শ ৬১ টাকার সঞ্চিত অর্থের চেক প্রদান করা হয়।
কালিগঞ্জে কৃষকলীগের উদ্যোগে বৃক্ষ রোপনের উদ্বোধন করলেন অধ্যাঃ ডাঃ আফম রুহুল হক এমপি
কালিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলায় কালিগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী কৃষকলীগের উদ্যোগে বৃক্ষ রোপণের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার (৮ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৩ টায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কৃষকরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে উদ্বোধন করা হয়। কালিগঞ্জের নলতা ইউনিয়নে ডাঃ রহুল হক টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ ময়দানে উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোখলেসুর রহমান মুকুলের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা ৩ আসনের সংসদ সদস্য, সাবেক সফল স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক। এসময়ে তিনি বলেন দেশের জলবায়ু পরিবর্তন ও পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষায় গাছের বিকল্প নেই। এজন্যে জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশব্যাপী বৃক্ষ রোপন অভিযান চলমান আছে। এরই ধারাবাহিকতায় কালিগঞ্জ উপজেলা কৃষকলীগের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কালিগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হোসেন ছোট, নলতা ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি আনিছুজ্জামান খোকন, সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেনসহ উপজেলা কৃষকলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
পাইকগাছায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে কারেন্ট জাল জব্দ করে ৮ হাজার টাকা জরিমানা
পাইকগাছা(খুলনা) প্রতিনিধি:
পাইকগাছা পৌর সদরের জাল বাজারে অভিযান চালিয়ে অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করে দুই দোকানদারকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রম্যমান আদালত।
মঙ্গলবার ১ টায় পৌর সদরের বাজারে ১৯৫০ সালের মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইনের আওতায় এই জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহেরা নাজনীন। এ সময় তিনি বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অবৈধ ১২ কেজি কারেন্ট জাল জব্দ করে দুই ব্যবসায়ীকে ৮ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। একইসঙ্গে জব্দকৃত জালগুলো আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সৈকত মল্লিক, ক্ষেত্র সহকারী রণধীর সরকার,
কেশবপুরে মিথ্যা মামলায় হয়রানি বন্ধে শিক্ষকের সংবাদ সম্মেলন
কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি :
যশোরের কেশবপুরে বসতভিটার জমি নিয়ে বিরোধে এক শিক্ষক পরিবারকে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে শিক্ষকের বসতবাড়ির নির্মাণ কাজ। মিথ্যা মামলায় হয়রানি বন্ধে ভরতভায়না গ্রামের শিক্ষক শেখ কামরুজ্জামান মঙ্গলবার বিকেলে কেশবপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি ২০১৭ সালের ১০ আগস্ট ভরতভায়না গ্রামের গ্রামের মৃত আব্বাজ শেখের দুই ছেলে আবুল বাশার ও আবু জাফরের কাছ থেকে নামপত্তন ও দখল শর্তে ৩ শতক জমি ক্রয় করে বসতবাড়ি নির্মাণোত্তর বসবাস করছি। চলতি বছরের মে মাসে বসতবাড়ির আরও একটি ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করি। এসময় একই গ্রামের আমীর আলী খানের ছেলে সেলিম আক্তার খান ওই জমি আদর্শ দিশারী সংস্থার দাবি করে আমার কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। আমি টাকা দিতে অস্বীকার করায় গত ২৯ এপ্রিল সেলিম আক্তার খান আমার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ করে। তিনি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে নির্দেশ দেন। গত ১২ ও ২৩ মে শুনানী অন্তে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই মর্মে অভিযোগটি খারিজ করে দেয়। এতে সুবিধা না পেয়ে সেলিম আক্তার খান আমাকে হয়রানি করতে যশোর বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৪ ও ১৪৫ ধারায় একটি মামলা করেন। যার নং- জি-৬১৫/২৪। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কেশবপুর থানার ওসিকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখাসহ প্রকৃত দখলদার নিশ্চিৎ করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়। ওসির নির্দেশে থানার দারোগা শামিম হোসেন আমার বস্তবাড়ির ওপর ১৪৪ ধারা জারি করেন। ফলে বন্ধ হয়ে যায় ঘরের নির্মাণ কাজ। আগামী ২০ আগস্ট দিন ধার্য করেছে।
শিক্ষক কামরুজ্জামান অভিযোগ করেন, বর্তমান আদর্শ দিশারী সংস্থার কোনো কার্যক্রম নেই। আমার বসতবাড়ির জমিও ওই সংস্থার নয়। এরপরও যখনই ঘর নির্মাণ করতে যাই সেলিম আক্তার খান ক্ষতিসাধনসহ বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানি করে। এতে আমি অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। তিনি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সেলিম আক্তারের একের পর এক মিথ্যা মামলা ও হয়রানির হাত থেকে পরিত্রাণ পেতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন হাফিজুর রহমান ও সিদ্দিকুর রহমান।
যশোরে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মচারীদের কর্মবিরতি অব্যাহত
যশোর অফিস।।
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে একীভূত করে অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন, চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের দাবিতে কর্মবিরতি অব্যাহত রেখেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ যশোরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় যশোরের পুলেরহাটে পল্লী বিদ্যুৎ সদর দপ্তরের গেইটে অবস্থন নিয়ে কর্মবিরতি পালন করেন তারা।
আন্দোলনকারীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে তারা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে একীভূত করার দাবি জানিয়ে আসছেন। একইসাথে অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন, চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিতকরণ এবং ঝুঁকি ভাতা চান তারা। কিন্তু মন্ত্রণালয় তাদের দাবি মানছে না। যে কারণে দাবি আদায়ে তারা নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন শুরু করেছেন। বিদ্যুৎ সেবা চালু রেখেই কর্মবিরতি পালন করছেন। তবে অনির্দিষ্টকালের এ কর্মবিরতির ফলে বিদ্যুৎ সেবা যেকোন সময় বিঘ্নিত হতে পারে। আমাদের দবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে বলে জানান তারা।
সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাতিলের দাবি খুবিতে শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সর্বাত্মক কর্মবিরতি অব্যাহত
খবর বিজ্ঞপ্তি
সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে অন্তর্ভুক্তিকরণ ও স্বতন্ত্র বেতন স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে ০৯ জুলাই (মঙ্গলবার) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের সর্বাত্মক কর্মবিরতির নবম দিন অতিবাহিত হয়েছে। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন ও দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির আহ্বানে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সমিতির আয়োজনে এ কর্মবিরতি অব্যাহত রয়েছে।
সর্বাত্মক কর্মবিরতির কারণে সকল ডিসিপ্লিনের ক্লাস, অনলাইন, সান্ধ্যকালীন ক্লাস, প্রফেশনাল কোর্সের ক্লাস, মিডটার্ম, ফাইনাল ও ভর্তি পরীক্ষাসহ সকল ধরনের পরীক্ষা ও দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বৈষম্যমূলক ও মর্যাদাহানিকর প্রত্যয় স্কিম থেকে শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি প্রত্যাহার, স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন, সুপার গ্রেড এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তির দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ সর্বাত্মক কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।
এদিকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলাকালে দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত শিক্ষকরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. এস এম ফিরোজের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রকিবুল হাসান সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের শিক্ষকরা বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে সর্বজনীন পেনশন বিধিমালা-২০২৩ এর প্রত্যয় স্কিম থেকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রত্যাহার এবং নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদোন্নয়নের ক্ষেত্রে ইউজিসি কর্তৃক সুপারিশকৃত অভিন্ন নীতিমালায় বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশনের ১২ দফা অন্তর্ভুক্তির দাবিতে টানা তৃতীয় দিন পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কর্মবিরতি চলাকালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে সকাল ১০টায় পরিষদের সভাপতি উপ-রেজিস্ট্রার দীপক চন্দ্র মন্ডলের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সহকারী রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়।
অবস্থান কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন উপ-রেজিস্ট্রার গুলশান আরা, উপ-রেজিস্ট্রার আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহকারী রেজিস্ট্রার মো. আতিয়ার রহমান, সহকারী রেজিস্ট্রার মিয়া মো. সালাউদ্দিন সুকর্ণ, সহকারী রেজিস্ট্রার শিবশংকর রায়, সহকারী রেজিস্ট্রার মুজাহিদুল ইসলাম, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলের সহকারী শিক্ষক শারমিন আফতাব, মলয় কুমার দাস প্রমুখ। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মোংলায় বিধবা নারীর ২কোটি টাকার জমি দুই প্রতারক দালালের কব্জায় !
মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
প্রতারণা করে বিধবা এক নারীর ১একর ২০শতক কৃষি জমি নিজেদের কব্জায় দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মোংলার চিহ্নিত দালাল ফরাজি আলম ও গাউছ ফকিরের বিরুদ্ধে। ওই জমি বিক্রি করে দেওয়ার নামে এই দুই দালাল কৌশলে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে নিজেদের নামে রেজিস্ট্রি করে নেয়। মোংলা উপজেলার বুড়িরডাঙ্গা ও কাপালিরমাঠ এলাকার জমি ফিরে পেতে আদালতের শরনাপন্ন হন বিধবা নারী রেনুয়ারা বেগম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নানাভাবে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে ওই দালাল চক্রটি।
মঙ্গলবার (৯জুলাই) দুপুর ১২টায় মোংলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ভূক্তভোগী রেনুয়ারা বেগমের মেয়ে নাসরুম আলম এই অভিযোগ করেন। সাংবাদিকদের এ সময় তিনি বলেন, তার মায়ের নামে প্রয়াত বাবা পেয়ার আহম্মেদের দেয়া ১একর ২০শতক কৃষি জমি দীর্ঘদিন দিগরাজ এলাকায় পড়ে থাকে। পরে টাকার প্রয়োজন হলে দিগরাজ এলাকার বুড়িরডাঙ্গা ও কাপালিরমাঠ মৌজার এই জমিটি বিক্রির উদ্যোগ নেয় তার মা। এজন্য এলাকার চিহ্নিত জমি বিক্রির দালাল ফরাজি আলম ওরফে হাজী আলম ও গাউছ ফকিরের সাথে তার মা কথা বলেন। পরে তার মা রেনুয়ারা বেগম তাদের কথা মতো গত ২০২৩সালের ১১ ও ২৮ ডিসেম্বর ৩১২০ এবং ৩২৫৭ দাগের জমিটি সেল পাওয়ার রেজিস্ট্রি করে দেয়।
কিন্তু এই দুই দালাল তার মায়ের সরলতার সুযোগ নিয়ে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ভূয়া কাগজপত্র করে নিজেদের নামে ওই জমিটি দলিল করে নেয়। প্রতারণার এই খবর জানতে পেরে পরে তার মা বাগেরহাটের যুগ্ন জেলা জজ আদালতে সেল পাওয়ার বাতিলের দেওয়ানি ৯/২৪ মামলা করেন। এরপরই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন দুই প্রতারক দালাল ফরাজি আলম ও গাউছ ফকির। বিভিন্নভাবে তার মাকে প্রাণনাশের হুমকিও দিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের উল্লেখ করেন ভুক্তভোগী রেনুয়ারা বেগমের মেয়ে নাসরুম আলম।
এ বিষয়েনজমির দালাল গাউছ ফকিরের বক্তব্য জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে অপর দালাল ফরাজি আলম এ বিষয় অস্বীকার করে বলেন, তার মাধ্যমে রেনুয়ারা বেগম জনৈক মাহমুদ হাসান ও সারাফাত হাসান শাকিল নামে দুই ব্যক্তিকে এই জমি সেল পাওয়ার দেয়। এই দুই ব্যক্তির কাছ থেকে তিনি সাড়ে ৫শতক, গাউছ ফকির ৫১শতক এবং সেলিম মোল্লার নামে এক ব্যক্তি সাড়ে ৫শতক জমি কিনে নেয়। তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলেও দাবি করেন ফরাজি আলম।
বুধহাটা কলেজিয়েটের অবঃ দপ্তরীর দাফন সম্পন্ন
জ্বলেমিন হোসেন,আশাশুনি
বুধহাটা বাহাদুরপুর ভূবন মোহন (বি বি এম) কলেজিয়েট স্কুলের নৈশপ্রহরী কাম দপ্তরী বাবর আলী (বাবু) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বাদ জোহর তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
অত্যন্ত সদালাপি মিষ্টভাষী হাস্যোজ্জ্বল ব্যক্তি বুধহাটা গ্রামের মৃত ছিয়ামুদ্দিন সরদারের (সাবেক দফতরী) ছেলে বাবর আলী সরদার (বাববু) সোমবার রাত আনুমানিক ৮.৩০ টার দিকে নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন।(ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি প্রতিষ্ঠানে সুনামের সাথে সকলের কাছে গ্রহনযোগ্য ব্যক্তি হিসাবে চাকুরি জীবন শেষ করেন। মঙ্গলবার বাদ জোহর মরহুমের বাড়িতে নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। ইমামতি করেন মাওঃ মহব্বত আলী। জানাযা নামাজে বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুল হক ডাবলু, কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষকমন্ডলী, জন প্রতিনিধি, সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন। জানাযা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মরহুমকে দাফন করা হয়। পুরাতন কর্মচারীর মৃত্যুতে এদিন স্কুলের ক্লাস বন্ধ করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মরহুমকে শেষ দেখা দেখতে তার বাস ভবনে ছুটে যান।
আশাশুনিতে বৃষ্টির পানি সংগ্রহ পরিচালন ও রক্ষাবেক্ষণ বিষয়ক প্রশিক্ষণ
নিজস্ব প্রতিনিধি
আশাশুনিতে বৃষ্টির পানি সংগ্রহ পরিচালন ও রক্ষনাবেক্ষণ বিষয়ক একদিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকাল ১০ টায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্স সভা কক্ষে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।
ইউএইড এর আর্থিক সহায়তায় এবং এবিটি এসোসুয়েট এর সার্বিক সহযোগিতায় ফিট দ্যা ফিউচার বাংলাদেশ নিউট্রিশান এ্যাকটিবিটিস প্রকল্পের অধীন আয়োজিত অনুষ্ঠানে বৃষ্টির পানি ব্যবহারকারী পরিবারের সদস্যবৃন্দ অংশ গ্রহন করেন। অনুষ্ঠানে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তানভির হাসান ও মাহমুদ সুজনের অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। প্রশিক্ষণ প্রদান করেন, আইডিই এর মার্কেট ডেভলপমেন্ট অফিসার শাহিনুর রহমান, এনায়েত কবির, মিকাইল আরশাদ ও রোকসানা পারভিন। অনুষ্ঠানে দরগাহপুর ও কাদাকাটি ইউনিয়নের ৫০ জন প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন। প্রশিক্ষনার্থীদের মধ্যে আহম্মদ আলী বাচা, সাজেদুল ইসলাম, মোজাফফর হোসেন, সাবেক মেম্বার আঃ খালেক, রিক্তা খাতুন, লিটন সরদার, মোবারক গাজী, শফিয়ার রহমান, রুহুল কুদ্দুছ মতামত ব্যক্ত করেন।
আনুলিয়া ও প্রতাপনগরে জেলেদের যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিনিধি
আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়ন ও প্রতাপনগর ইউনিয়নে জেলেদের যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে যাচাই-বাছাই করা হয়। মৎস্য অধিদপ্তর বাংলাদেশ এর উদ্যোগে উপজেলার ইউনিয়ন ওয়ারী বিদ্যমান জেলেদের তালিকা হালনাগাদ ও নতুন জেলে নিবন্ধনের কার্যক্রম চলছে। এরই অংশ হিসাবে আনুলিয়া ও প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে পৃথক পৃথক ভাবর তালিকা হালনাগাদ ও নতুন জেলে নিবন্ধনের জন্য জেলেদের যাচাই-বাছাই করা হয়। যাচাই-বাছাই পরিচালনা করেন, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সত্যজিত মজুমদার, আনুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রুহুল কুদ্দুছ, প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান হাজী আবু দাউদ ঢালী, সংশ্লিষ্ট ইউপি সচিবদ্বয় ও ইউপি সদস্যবৃন্দ।
দাকোপের বিএনপি নেতা গাজী জাহাঙ্গীর আলমের সুস্থ্যতা কামনা খুলনা নেতৃবৃন্দের
খবর বিজ্ঞপ্তি
জেলা বিএনপি’র সাবেক সদস্য, দাকোপ উপজেলা শাখার যুগ্ম-সম্পাদক, কৈলাশগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপি’র সদস্য সচিব গাজী জাহাঙ্গীর আলম হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউ‘তে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নিবীড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসাধীন। গতকাল মঙ্গলবার (০৯ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রবীণ বিএনপি নেতা গাজী জাহাঙ্গীর আলমের আশু সুস্থ্যতা কামনা করে বিবৃতি দিয়েছেন খুলনা বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ।
বিবৃতিদাতারা হলেন বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুল, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক এ্যাড. শফিকুল আলম মনা, জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আমীর এজাজ খান, নগর বিএনপি’র সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন ও জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পী।।
ভেড়ামারা পৌরসভায় বাজার স্থিতিশীল রাখতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৪ জন দোকানদারকে ২৭ হাজার টাকা জরিমানা
মোঃ রেজাউর রহমান তনু, ভেড়ামারা
ভেড়ামারা উপজেলার পৌরসভার রেল বাজারে নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় পণ্যের যথাযথ মূল্য তালিকা সংরক্ষণ না করা, অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রি করায় ৪ দোকানদারকে ২৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন এই আদালত।
মঙ্গলবার (৯ জুলা’২০২৪) সকাল ১০ ঘটিকায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আনোয়ার হোসাইন এবং কুষ্টিয়া ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের সহকারী পরিচালক সুচন্দন মন্ডল যৌথ ভেড়ামারা পৌরসভার রেল বাজারে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় ভোক্তা অধিকারের স্যানেটারী ইন্সপেক্টর আব্দুর রাজ্জাক ও ভেড়ামারা থানার পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আনোয়ার হোসাইন তিনি জানান, অনিক বেকারী প্যাকেটজাত খাদ্যপন্যের এ্যাডভান্স তারিখ ও ফ্রিজিং করা খাবার পন্য খোলা রাখা নোংড়া পরিবেশ থাকায় ১০ হাজার টাকা অর্থ দন্ড প্রদান করা হয় এবং ভেড়ামারা পাবনা সুইট দই’র মাটির হাড়ীর ওজন ঠিকঠাক পরিমান না থাকায়, ওজনে কমা দেওয়া এবং মিষ্টির খালি প্যাকেটের ওজন বিভিন্ন গড়মিল থাকায় ১৫ হাজার টাকা করে অর্থ দন্ড প্রদান করা হয়। এসময় উভয় দোকানিই তারা তাদের ভুল স্বীকার করেন এবং দন্ডপ্রাপ্ত অর্থ ভ্রাম্যমান আদালকে প্রদান করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আনোয়ার হোসাইন জানান নিত্যপণ্যের বাজারদর ঠিক রাখতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। দোকানে পণ্যের মূল্য তালিকা, বাড়তি দাম রাখা ও ভেজাল পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে কি না এসব দেখা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, ভোক্তাদের চাহিদাকে পুঁজি করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বেশি মূল্যে পণ্য বিক্রি করতে চান। এ বিষয়টিকে সামনে রেখে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
বাজার স্থিতিশীল রাখতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এমন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।
প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখে কলেজছাত্রের আত্মহত্যা
কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি
খুলনার কয়রায় প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন আসাদুল ইসলাম (১৭) নামের এক কলেজছাত্র। প্রেমিকার সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে এ আত্মহত্যা বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার ভোররাতে খুলনার কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের খোড়লকাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আসাদুল ইসলাম গ্রামের নজরুল ইসলামের পুত্র। আছাদুল ইসলাম কয়রার খান সাহেব কোমর উদ্দীন ডিগ্রি কলেজের একাদশ বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই দিন ভোররাতে তার ভাবি মোবাইলের সমস্যা সমাধানের জন্য আসাদুলকে খুঁজতে থাকেন। ঘরে না পেয়ে পাশে একটি পরিত্যক্ত ঘরের দরজা বন্ধ দেখে জানালা দিয়ে তাকে ঝুলতে দেখেন। পরে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় দরজা ভেঙে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় আসাদুলকে দেখতে পান। আগেই তিনি মারা গেছেন। পাশে তার দিকে মোবাইল ফোনটি ছিল।
পরে জানা গেছে, প্রেমিকার সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে ভিডিও কলে আত্মহত্যা করেছেন আসাদুল ইসলাম।
আসাদুলের বন্ধুরা জানিয়েছে, বেশ কয়েক মাস আগে রংপুরের একটি মেয়ের সঙ্গে আসাদুলের ফেসবুকে পরিচয় হয়। সেখান থেকেই ঘনিষ্ঠতা। রোজই দীর্ঘসময় তারা ফোনে কথা বলত, ভিডিও কল, চ্যাটও করত। মাঝে মাঝে তাদের ভেতর মনোমালিন্য হতো। আসাদুল একটু বেশি আবেগী ছিল। প্রেমিকার সঙ্গে অভিমান করে সে আত্মহত্যা করতে পারে।
কয়রা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) টিপু সুলতান বলেন, ভিডিও কলে কথা বলার সময় যুবক ফাঁস দিয়েছেন বলে জেনেছি। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পরিত্যক্ত অবস্থায় ৫ ককটেলসদৃশ বস্তু উদ্ধার
কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৫টি ককটেলসদৃশ বস্তু উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে কয়া বালুর ঘাট এলাকা থেকে এগুলো উদ্ধার করা হয়। কুমারখালী থানার এসআই কামরুজ্জামান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্সসহ কয়া ইউনিয়নের বালুর ঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে বালুর মধ্যে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৫টি ককটেলসদৃশ বস্তু উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে থানায় নিয়ে এসে পানিভর্তি বালতিতে ককটেল নিষ্ক্রিয় করার জন্য রেখে দেওয়া হয়েছে।
কুমারখালী থানার ওসি আকিবুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৫টি ককটেলসদৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
নড়াইলে মধুমতি নদীতে বিলীন হচ্ছে গ্রাম
নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কোটাকোল ইউনিয়নের তেলকাড়া গ্রামে মধুমতি নদীর তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এখন পর্যন্ত নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে কয়েক হেক্টর আবাদি জমি ও বসতবাড়ি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, ইতোমধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই নদী ভাঙন রোধে কাজ শুরু করা হবে।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকালে তেলকাড়া গ্রামের বাসিন্দা আমিরন বেগম জানান, তাদের পূর্বপুরুষের ৩০ বিঘা জমি বিভিন্ন সময়ে মধুমতি নদীতে বিলীন হয়েছে। এখন অন্যের জমি বর্গাচাষ করে পরিবারের সবাই জীবিকা নির্বাহ করছেন।
কোটাকোল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য ও একই গ্রামের বাসিন্দা মাহাবুর রহমান জানান, যেভাবে নদী ভাঙন শুরু হয়েছে, তাতে বসত বাড়ি কখন যে নদীগর্ভে বিলীন হয় এ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এবার বসতবাড়ি ভাঙলে আর মাথা গোঁজার ঠাঁই থাকবে না। একটাই দাবি, সরকারের পক্ষ থেকে যেন ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
তেলকাড়া গ্রামের ইউপি সদস্য নান্টু শিকদার বলেন, কয়েক বছর আগে এই ওয়ার্ডে ১ হাজার ৭০০ ভোটার ছিলেন। সেটি কমে এখন ১ হাজার ভোটার আছেন। নদী ভাঙনের কারণে বাড়ি হারিয়ে পরিবার নিয়ে ভোটাররা অন্যত্র চলে গেছেন। ভাঙন রোধে যদি সরকার এখনই পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে গ্রামটি।
নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. শফি উল্লাহ বলেন, ইতোমধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন পাঠানো হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন হলে ভাঙন কবলিত এলাকায় কাজ করা হবে।
আদালতে জবানবন্দি: মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোন নিতেই বন্ধুকে কুপিয়ে হত্যা
মাগুরা প্রতিনিধি
বন্ধুর মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোন কেড়ে নিতেই তীর্থ রুদ্রকে চেতনানাশক ইনজেকশন দেন ও কুপিয়ে হত্যা করেন তার বন্ধু তায়হান হোসেন আমান (২১)।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে তিনি মাগুরার আদালতে ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে বলে রোববার (৭ জুলাই) জানিয়েছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় তার এই জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়।
মাগুরা পৌরসভার আল আমীন ট্রাস্ট মাদ্রাসা সংলগ্ন একটি পুকুরের পাড় থেকে গত মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে তীর্থ রুদ্রের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সে পৌরসভার নান্দুয়ালী পশ্চিমপাড়া এলাকার নিমাই চন্দ্র রুদ্রর ছেলে। তারা শহরের পুরাতন বাজার এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তীর্থ এবার মাগুরা আদর্শ ডিগ্রি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছিলেন।
গ্রেপ্তার তায়হান হোসেন আমান একই কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। শুক্রবার (৫ জুলাই) দুপুরে সদর উপজেলার শত্রুজিৎপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তায়হান মাগুরা শহরের হাসপাতাল পাড়ার বাসিন্দা জিয়াউল ইসলামের (জিবলু) ছেলে। তায়হানের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তার বাড়ি থেকে নিহত তরুণের মোবাইলফোন ও মোটরসাইকেলের চাবি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ ছাড়া পৌরসভার কাশিনাথপুর এলাকায় তায়হানের খালার বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। পরে শহরের মোল্লাপাড়া এলাকা থেকে ওই মোটরসাইকেলের নম্বর প্লেট উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাগুরা সদর আমলি আদালতের বিচারক হুমায়ুন কবির আসামি তায়হান হোসেনের বক্তব্য রেকর্ড করেন। সেখানে তিনি হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। জবানবন্দি শেষে রাতে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
তিনি আদালতকে বলেছেন, তীর্থের মোবাইল ও মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিতে তাকে হত্যা করেছি। ইয়াবা সেবনের কথা বলে তীর্থকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাই। একই সঙ্গে উচ্চমাত্রার চেতনানাশক ইনজেকশন ও ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে মোটরসাইকেল নিয়ে চলে আসি।
এ ঘটনায় তায়হান একাই জড়িত ছিলেন বলে আদালতে স্বীকার করেছে।
এ বিষয়ে রোববার মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী রাসেল বলেন, তীর্থ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তায়হান হোসেন আমানকে শনিবার আদালতে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রীর মৃত্যু
নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইলের লোহাগড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পারুল বেগম (৩৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের সারুলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত পারুল লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান কচির স্ত্রী।
নিহতের পরিবার জানায়, পারুল বেগম গোসল শেষে ভেজা কাপড় পাল্টানোর জন্য বাড়ির ভেতর আসেন। এসময় বিদ্যুতের তারে হাত লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক কামরুল ইসলাম তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সুন্দরবনের সৌন্দর্য ফেরাতে চায় বন বিভাগ
স্টাফ রিপোর্টার
জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা এলাকায় আপার সুন্দরবন রেস্টোরেশন প্রকল্প গ্রহণ করেছে বন বিভাগ। এর আওতায় সুন্দরবনের বাগেরহাটের বলেশ্বর থেকে সাতক্ষীরার কালিন্দি নদী পর্যন্ত এলাকায় ম্যানগ্রোভ বনায়ন করা হবে।
ইতোমধ্যেই ফরাসি প্রতিনিধিদল সুন্দরবন পরিদর্শন করেছে। এ বছরেই শুরু হবে প্রকল্প। প্রথম ধাপে ব্যয় হবে ৩ দশমিক ৫ মিলিয়ন ইউরো। মিষ্টি আর লোনা পানির মিশ্রণে গড়ে ওঠা অনন্য বৈশিষ্ট্যের এক ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সুন্দরবন। এই বনে আগে যেসব নদী ও খাল দিয়ে মিষ্টি পানি প্রবাহিত হতো তা কালের আবর্তে ও মনুষ্য সৃষ্ট কারণে আজ প্রায় বিলীন।
বাগেরহাট থেকে সাতক্ষীরার মধ্যে অবস্থিত এমন ৫২টি নদী ও খালের পাশে বিলীন হয়ে যাওয়া ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল আবার সৃজন করতে চায় বন বিভাগ। এর মধ্যে দিয়ে সুন্দরবনের উপরিভাগে হারিয়ে যাওয়া অনন্য বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জীববৈচিত্র্য ফিরিয়ে আনতে চায় বন বিভাগ।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানগ্রোভ ইকোলজিস্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘ম্যানগ্রোভ বনায়ন সৃষ্টির জন্য গবেষণা করে সুন্দরবনে জল ও স্থলের অবস্থান অনুযায়ী নির্দিষ্ট প্রজাতির গাছ রোপণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’
সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু নাসের মোহসীন হোসেন বলেন, ‘বন বিভাগের নেওয়া দীর্ঘমেয়াদি এ প্রকল্পে অর্থায়ন আসবে জলবায়ু তহবিলের লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ডের ফ্রান্সের দেওয়া প্রতিশ্রুত অর্থ থেকে। বন বিভাগের সঙ্গে যা বাস্তবায়ন করবে ফরাসি উন্নয়ন সংস্থা ও আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন)।’
সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগ সূত্র জানায়, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলায় ‘আপার সুন্দরবন রেস্টোরেশন প্রোগ্রাম’ নামে একটি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার বলেশ্বর নদ থেকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কালিন্দি নদী পর্যন্ত ছোট-বড় ৫২টি নদ-নদী ও খাল শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, মোংলা, দাকোপ, কয়রা ও শ্যামনগর উপজেলার গ্রামাঞ্চলের মধ্যে প্রবাহিত হয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করেছে। এসব নদী ও খালের মিষ্টি পানির সঙ্গে পরিবাহিত পলিমাটি ও বঙ্গোপসাগরের জোয়ারের লোনা পানির মিশ্রণেই তৈরি হয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন।
মাত্র এক শতাব্দী আগেও সুন্দরবনের উপরিভাগে ম্যানগ্রোভ বনে বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা ছিল। কিন্তু গাছপালা কেটে মানববসতি তৈরি, নদীর পাড়ে বেড়িবাঁধ দেওয়া, ঘের করা ইত্যাদি মানবসৃষ্ট কারণে এই ৫২টি নদী ও খালে পানি প্রবাহ বর্তমানে কমে গেছে। কোথাও প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে একেবারে। কোথাও স্লুইসগেট বসিয়ে পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে। ফলে এই ৫২টি নদী ও খালের তীরবর্তী ম্যানগ্রোভ বন বিলীন হয়ে গেছে।
গত বছরের ১০ ও ১১ সেপ্টেম্বর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ বাংলাদেশ সফর করেন। ফরাসি সরকার জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোতে সহায়তা করতে চায় বলে তিনি জানিয়েছিলেন। এ প্রেক্ষাপটে ফরাসি উন্নয়ন সংস্থা সুন্দরবন ও এর উপরিভাগে গ্রামাঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলার জন্য আইইউসিএন বাংলাদেশের সহায়তায় ‘আপার সুন্দরবন রেস্টোরেশন প্রোগ্রাম’ এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
খুলনা জেলা পরিষদ কমকর্তা কর্তৃক সাংবাদিক লাঞ্ছিতের ঘটনায় নিন্দা ও ক্ষোভ
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা জেলা পরিষদের দুনীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে যমুনা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি রাশেদ নিজাম ও তার ক্যামেরাম্যান শারীরিকভাবে লাঞ্ছনার শিকার হয়েছে। গতকাল জেলা পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তার কক্ষে এস এম মাহবুবুর রহমান ও তার দুই সহকর্মী কর্তব্যরত সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়। এ ঘটনার তীব্র নিন্দ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে খুলনা রিপোর্টাস ইউনিটি (কেআরইউ)’র সদস্যরা। অনতি বিলম্বে দোষিদের বিরুদ্ধে ব্যব¯’া গ্রহণের দাবি জনিয়েছে (কেআরইউ)’র আহ্বায়ক গৌরাঙ্গ নন্দী, সচিব মোস্তফা জামাল পপলু সংগঠনের উপদেষ্টা সাংবাদিক শেখ দিদারুল আলম, আবু তৈয়ব, সাবেক সভাপতি এনামুল হক, সদস্য, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ নুরুজ্জামানসহ নির্বাহী পরিষদের নেতৃবৃন্দ। #
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ
পিরোজপুর প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় বহিরাগত লোকজন নিয়ে প্রতিপক্ষের ভোগদখলীয় জমি জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। রিয়াজ নামে ওই পুলিশ সদস্য উত্তর সোনাখালী গ্রামের মোজাম্মেল হক মৃধার পুত্র। বর্তমানে সে ময়মনসিংহ রেঞ্জ পুলিশে কর্মরত বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, রিয়াজ মৃধা ছুটিতে বাড়িতে এসে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে মঠবাড়িয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন।অভিযোগের পেয়ে গত ৫ জুলাই সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা সরেজমিনে গিয়ে পরেরদিন সকাল ১০ টায় উভয় পক্ষকে থানায় ডাকেন। বিবাদী পক্ষ ফজলুল হক মৃধা,সেলিম মৃধা ও শহিদ মৃধা যথাসময়ে থানায় হাজির হলেও রিয়াজ মৃধা গং হাজির হননি।তারা থানায় না গিয়ে ৩০/৩৫ জন ভাড়াটিয়া লোক এনে ফজলুল হক মৃধার ভোগ দখলীয় জমি দখল করে। পুকুরের মাঝখানে বেড়া দিয়ে পুকুরের পাড় কেটে দেয়।এতে পুকুরের চাষ করা মাছ বের হয়ে যায়।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, রিয়াজ মৃধা পুলিশে চাকরি করেও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়।গায়ের জোরে ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে জমি দখল করেছে।ঘটনার সময় করা ভিডিও সংরক্ষিত আছে।
পুলিশ সদস্য রিয়াজ মৃধা জানান,আমাদের প্রাপ্য জমিতে লেবার নিয়ে বেড়া দিয়েছি।আমরা কারো জমি দখল করিনি।
এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া থানার এসআই রফিকুল ইসলাম জানান, আবহাওয়া খারাপ থাকার কারনে ঘটনার সময় খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ঘটনাস্থলে যেতে পারেনি।সরেজমিনে পরিদর্শন করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে থানা পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে।
দর্শনায় শিশু বলাৎকার মামলার আসামী গ্রেফতার
মাহমুদ হাসান রনি
দর্শনায় থানা পুলিশের হাতে শিশু ধর্ষন মামলার আসামী গ্রেফতার হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহা এর নেতৃত্বে এসআই(নিঃ) মোঃ সুজন আলী সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পৌর এলাকার ইশ্চরচন্দ্রপুর গ্রামে এক অভিযান চালায়। এসময় খেদের আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর(৪০) কে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। উল্লেখ্য গত ৩০ জুন
দর্শনা থানাধীন ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের শফিক্ল্লুার স্ত্রী মোছাঃ বিউটি (৩৪) দর্শনা থানায় এসে এজাহার দাখিল করেন যে,তার স্বামী গত ৩০ জুন পারিবারিক প্রয়োজনে ঢাকাতে গেলে তার ছেলে মোঃ সাজিদ শাহারিয়ারকে বাদীর চাচাতো ভাই মোঃ আলম (৪০)কে তার বাড়ীতে রেখে যান। কিন্তু তার বাড়ীর রুমের স্বল্পতা থাকার কারণে বাদীর ছেলে পাশে থাকা আসামী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম পচার বসত ঘরে ঘুমায়। পরবর্তীতে রাত্র আড়াইটার দিকে ঘটিকার সময় দর্শনা থানাধীন ঈশ্বরচন্দ্রপুর আসামী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম তার শিশু পুত্রকে বলাৎকার করে।
ফকিরহাট হাসপাতলে রোগীদের সুবিধার্থে ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন স্থাপন
ফকিরহাট প্রতিনিধি।
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলা সরকারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যক্ষা রোগীদের বুকের পরীক্ষার জন্য ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন বসানো হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালে বিনামূল্যে করা হচ্ছে যক্ষা রোগীর এক্স-রে। এতদিন যক্ষা রোগীরা বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিক থেকে পরীক্ষা করাতেন। এতে অনেক ভোগান্তীর পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ হতেন রোগীরা। এছাড়া উক্ত হাসপাতালে জনবলও বৃদ্ধি পেয়েছে। এতদিন দাঁতের ডাক্তারের পদ ছিল শুণ্য। শুধুমাত্র একজন মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (ডেন্টাল) দিয়ে রোগীদের সেবা প্রদান করা হচ্ছিল। গত ২৪ এপ্রিল সহকারি ডেন্টাল সার্জন (বিসিএস) ডা. শেখ মো. নোমান রাসেল জয়েন্ট করেছেন। এছাড়াও রয়েছেন মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট মির্জা আবিদ করিম। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এএসএম মফিদুল ইসলাম জানান, জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় এই ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন বসানো হয়েছে। এখানে যক্ষা রোগীদের বুকের এক্স-রে বিনামূল্যে করা হচ্ছে। এখন আর এসব রোগীদের এক্স-রে করার জন্য বাইরে যেতে হবে না। তিনি আরো বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দাঁতের ডাক্তার ছিলেন না। সম্প্রতি দাঁতের ডাক্তার জয়েন্ট করেছে। দাঁতের চিকিৎসার জন্য রোগীদের বাইরে যেতে হবে না। এছাড়াও মাননীয় এমপি’র তৃতীয় পর্যায়ের টিআর বরাদ্ধ থেকে মহিলা ওয়ার্ডে মহিলাদের সুবিধার জন্য অজুখানাসহ দুটি টয়লেট, গোসলখানা তৈরী করা হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালের পরিবেশ আগের তুলনায় আরো অনেক ভাল বলেও তিনি জানান। #
কালীগঞ্জের দামোদরপুর কারামতিয়া দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কোলা ইউনিয়নের দামোদরপুর কারামতিয়া দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটির সহ-সুপারের পদে নিয়োগ লাভ করলেও দায়িত্বে ছিলেন ভারপ্রাপ্ত সুপারের। গত তিন বছর ধরে তিনি বিভিন্ন নিয়োগ বানিজ্যের চেষ্টা, প্রতিষ্ঠান ফান্ডের বিভিন্ন অর্থ আত্মসাৎ করে ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়ে তিন মাস পূর্বে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির কাছে একটি লিখিত আবেদন করেন। তখন প্রতিষ্ঠানটির সকল শিক্ষকসহ দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের অবগত করে ভারপ্রাপ্ত সুপারের আবেদন রিসিভ করেন সভাপতি। ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেওয়ার পর থেকে তিনি আর প্রতিষ্ঠানটিতে আসেননি। কিন্তু বেতন ঠিকই রীতিমত তুলছেন।
জানা যায়, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব থাকা অবস্থায় মাদ্রাসার সুপার পদ, এবতেদায়ি প্রধান পদ ও ল্যাব এ্যাসিস্টেন্ট পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া পত্রিকা বিজ্ঞপ্তি দেওয়া সহ সকল প্রকার কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। বাকি থাকে শুধু নিয়োগ বোর্ড বসানো। শিক্ষা প্রতিষ্টানে না এসে তিনি নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার চেষ্টা করলে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সমালোচনার মাঝে পড়েন। এমতাবস্থায় বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক বিরোধ দেখা দিলে বন্ধ হয় নিয়োগ পক্রিয়া। আর সকল বাঁধা ও সমালোচনার মুখে পড়েন মাদ্রাসার সভাপতি মতিয়ার রহমান।
তিনি জানান, আমি দুই বছর করে দুই বার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছি। মাদ্রাসায় সুপার পদে নিয়োগ দেওয়ার পর সুপার পদে আবেদন পড়ে না। ফলে সহ-সুপারের আমি সুপারিশ করে ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব পালন করার দাবি করি। তারই প্রেক্ষিতে তিনি গত তিন বছর মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব পালন করে। সভাপতি হিসেবে সুপারের কাছে প্রতিষ্ঠানের হিসাব চেয়েছি কিন্তু তিনি কোন হিসাব দেননি। এক কথায় প্রতিষ্ঠানের কোন কিছুই বুঝে দিয়ে যাননি।
বর্তমানে প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপালন করছেন কৃষি শিক্ষা বিভাগ এর শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত সুপার) দেলোয়ার হোসেন জানান, প্রতিষ্ঠানের সুপার ল্যাব এ্যাসিস্টেন্ট পদে চাকুরি দেবার কথা বলে মাগুরা জেলার শালিকা উপজেলার তালখড়ি ইউনিয়নের সাংড়া গ্রামের আব্দুল কাদের নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ভারপ্রাপ্ত সুপার ফয়জুল ইসলাম ৫০ হাজার টাকা নেয়। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে মর্মে জানতে পারি। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানের ল্যাবের কাজ করার জন্য সরকার ৫৫ হাজার টাকা দেন। যা সম্পূর্ণটায় তিনি আত্মসাৎ করেছেন। মাদ্রাসার দুই কর্মচারির বেতন করার কথা বলে ৪৬ হাজার টাকা নেয়। মাদ্রাসার এনটিআরসি’র এক শিক্ষিকা প্রতিষ্ঠানের অজুখানা করার জন্য ২৫ হাজার টাকা দেন। সে টাকা গুলোও তিনি আত্মসাৎ করে। প্রতিষ্ঠান রিলেটেড যে কোন কাজ করার স্বার্থে তাকে টাকা দিতে হয় বলে অভিযোগ রয়েছে এই ভারপ্রাপ্ত সুপার ফয়জুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
খোজ নিয়ে জানা যায়, ফয়জুল ইসলাম বর্তমানে অন্য প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করছেন কিন্তু দামোদরপুর কারামতিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহ-সুপার পদের বেতন তুলছেন। এছাড়াও তিনি প্রতিষ্ঠানে যোগদান করার পর থেকে অদ্যবদি সভাপতিসহ সংশ্লিষ্ট কারও কাছে কোন হিসাব দেন নাই। তাকে ফোন কল করা হলে তিনি জানান, তিনি অন্য প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করছেন একথা বলে তিনি ফোন কল কেটে দেন।
এলাকাবাসী ও অভিভাবকদের দাবি প্রতিষ্ঠানটির স্বার্থে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে জনবল বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা।
এ ব্যাপারে স্থানীয় কোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আল আজাদ জানান, ভারপ্রাপ্ত সুপার ফয়জুল ইসলামের সাথে কথা বলে বিস্তারিত জানাতে পারবো।
কালীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের দায়িত্বরত অফিসার আব্দুল আলিম জানান, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের মুক্তির দাবীতে মানববন্ধন
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-
ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর মুক্তির দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে এ কর্মসূচীর আয়োজন করে জেলার সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো। এতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে বাংলাদেশ গণশিল্পী সংস্থা, স্বাধীনতা সাংস্কৃতিক পরিষদ, ঝংকার শিল্পী গোষ্ঠী, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক ফোরাম, কেসি কলেজ থিয়েটার, সচেতন নারী সমাজ, ঝংকার শিল্পী গোষ্ঠী, নবগঙ্গা সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী, জাগরণ সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর সদস্যসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেয়।
ঘন্টাব্যাপী চলা এই কর্মসূচীতে স্বাধীনতা সাংস্কৃতিক পরিষদের আহ্বায়ক দীপ্তি রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক শান্ত জোয়ার্দ্দার, হাসিবুর রহমান শিপন, পৌর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহানাজ পারভীন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাংগঠনিক সম্পাদক অমিয় মজুমদার অপু, জাতীয় মহিলা সংস্থার নাজমা, সাজেদসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।
সেসময় বক্তারা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে দাবী করে অবিলম্বে তার মুক্তির দাবী জানান।
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা ঘটনার দায়েরকৃত অপহরণ মামলায় গত ১১ জুন সাইদুল করিম মিন্টুকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। পরে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
ভারতে পাচারের কথা বলে ৩ নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ
মহেশপুর(ঝিনাইদহ)প্রতিনিধি,
ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত থেকে তিন নারীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (৮ জুলাই) উপজেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী গ্রাম নেপা থেকে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়।
ভারতে পাচার করার সময় একটি বাড়িতে রেখে ওই তিন নারীকে ধর্ষণ করা হয় বলে তারা জানান।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মহেশপুর থানার ওসি মাহবুবুর রহমান জানান,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে সোমবার সন্ধায় নেপা গ্রামের লালন মিয়ার বাড়ি থেকে ৩ নারীকে উদ্বার করা হয়।
উদ্বার তিন নারী আমাদের জানান, তারা গাজীপুরের একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে কর্মরত ছিলেন। মহেশপুর উপজেলার সলেমানপুর গ্রামের আব্দুল গনির ছেলে সুজনও একই গার্মেন্টসে কাজ করতেন। সেই সুবাদে সুজন ভারতে তাদের ভালো বেতনের চাকরির লোভ দেখিয়ে সলেমানপুর গ্রামের ইব্রাহীম হোসেনের ছেলে কদম আলীর বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে তাদের বাঘাডাঙ্গা গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে হৃদয়, সলেমানপুর গ্রামের গোলাম নবীর ছেলে আব্দুস সোবাহান ও বাঘাডাঙ্গা গ্রামর মফিজের হাতে তুলে দেয়। এই তিনজন তাদের ভারতে পাচারের দায়িত্ব নেয়। ওই নারীদের অভিযোগ, গত ৪ জুলাই থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত তাদের বিভিন্ন বাড়িতে আটকে রেখে পাচারকারী চক্র তাদের একাধিকবার ধর্ষণ করে।
ওসি আরও বলেন, মহেশপুর ৫৮ বিজিবির পক্ষ থেকে সোমবার সন্ধায় থানায় একটি এজাহার দাখিল করা হয়েছে। ওই তিন নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।
অনিরাপদ শিক্ষার্থীরা,অনিয়ম দেখার যেন কেউ নেই
জ¦লেমিন হোসেন,আশাশুনি
আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা বাহাদুরপুর ভুবন মোহন কলেজিয়েট স্কুলের দুর্ণীতিবাজ অধ্যক্ষের দৌরাত্ন্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি স্কুলে যে আইন তৈরিকরেন সেটাই সঠিক। কারোর তোয়াক্কা করার সময় তার নেই। এ অনিয়ম দেখার যেন কেউ নেই। কয়েকদিন ধরে দৈনিক পত্রিকায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্ণীতির অভিযোগ সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় অধ্যক্ষ মোহিত কুমার দাশের কাছে যেন তুচ্ছ ব্যপার একেবারে ছেলের হাতের মোয়া। আমাকে কেউ কিছু করতে পারবেনা এমন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। কিছুদিন আগে কলেজিয়েট স্কুলের সহকারি অধ্যাপক জাকির হোসেনকে চাকরিচ্যুতের হুমকি, লাঞ্ছনা ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেন অধ্যক্ষ মোহিত কুমার দাশ। এ যন্ত্রনা সহ্য করতে না পেরে সহকারি অধ্যাপক স্কুলে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারই পরিপেক্ষিতে সাধারন শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের বিচারের দাবিতে ৬ জুলাই স্কুলের সামনে মানববন্ধন করেন। একারনে অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা জানাই যেখানে একজন শিক্ষকের নিরাপত্তা নেই, সেখানে আমরা কতটুকু নিরাপদ আছি। স্থায়ীভাবে থাকা ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ইসমাইল কলেজিয়েট স্কুলটি পৈত্রিক সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছে। প্রত্যহ সকালে ঘুম থেকে উঠে ছুটে যায় স্কুলে টাকা ইনকামের ধান্দায়। জানাযায়, বুধহাটা ভুবন মোহন কলেজিয়েট স্কুল এখন দুর্ণীতি আখড়া। যার মুল হোতা নতুন অধ্যক্ষ মোহিত কুমার দাশ। অভিভাবক ও শিক্ষার্থীর অভিযোগসূত্রে জানাযায়, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ইসমাইল ও সাজ্জাদের ইন্দনে কাউকে সে তোয়াক্কা করেনা। সব দুর্ণীতিতে অধ্যক্ষের সাথে জড়িত থাকে এই দুই সদস্য। শিক্ষক লাঞ্ছনা, শিক্ষার্থীদের সাথে খারাপ ব্যবহার তার নিত্য ব্যপার। কিন্তু গোপনে টাকা দিলে সব ঠিক। একাজে সাহায্য করে সহকারি প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ও শিক্ষক সালামত। অভিযোগসূত্রে জানাযায়, অধ্যক্ষ মোহিত কুমার দাশের প্রধান ব্যবসা স্কুলের কোচিং বাণিজ্য। যা কোনভাবেই বন্ধ হচ্ছেনা। এছাড়া গাছ কর্তন এবং শ্রেণীকক্ষের জানালা বন্ধ করে স্কুলের পেছন পাশ দিয়ে তৈরি করছে ৭/৮ টি দোকান তা থেকে সে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এমনকি শ্রেণীকক্ষের আলো বাতাশ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন সময় পরীক্ষা দিয়ে অতিরিক্ত ফি আদায় অধ্যক্ষের এহেন কর্মকান্ডে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়দের ভাবিয়ে তুলছে। তারা জানান এ দুর্ণীতিবাজ অধ্যক্ষের বিচার কি হবেনা। কোন অদৃশ্য শক্তির বলে সে রেহাই পেয়ে যাচ্ছে। এছাড়া স্থানীয়রা জানায় , এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। মানুষের মুখে মুখে রটে যাচ্ছে বুধহাটা ভুবন মোহন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। অধ্যক্ষের এহেন কর্মকান্ডে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবি জানান।
অভয়নগরে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে এক যুবকের মৃত্যু
অভয়নগর প্রতিনিধি-
অভয়নগরে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে উঠতিবয়সী এক যুবকের অকাল মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার পুড়াখালী ফকিরবাগান গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত ওই যুবকের নাম সোহেল হোসেন(৩০)। তিনি ওই গ্রামের মৃত ওমর আলী মোল্যার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, সোহেল হোসেন ওই সময় বিদ্যুত লাইনের পাশ থেকে তাদের বাগানে অবস্থিত একটি সুপারি গাছ কাটছিলেন। গাছটি কেটে দিলে বিদ্যুতের তারের ওপর পড়ে। তিনি হাত দিয়ে সুপারি গাছটি ধরা মাত্রই বিদ্যুতায়িত হয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় পাথালিয়া পুলিশ ক্যাম্পের আইসি মো: মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা ¯ী^কার করে জানান, সোহেল এক কৃষিজীবি যুবক। তার স্ত্রী ও দুইজন পুত্র সন্তান রয়েছে। মৃত্যুর পর তার লাশ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত মামলা হয়েছে। মামলার পর তার লাশ পরিবারের হাতে হস্তান্তর করা হয়।
দাকোপে কৃষি অফিসের উদ্যোগে বিনা মূল্যে বীজ ও সার বিতরণ
দাকোপ প্রতিনিধি
দাকোপ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রোপা আমন ধানের উপশী জাতের চষাবাদে প্রণোদনা কর্মসূচি ও সাম্প্রতিক ঘূনিঝড় রেমাল-প্রাকৃতিক দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে পুণর্বাসন কর্মসূচির আওতায় খরিপ২/২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য বিনা মূল্যে আমন ধানের(উপশীজাত) বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বেলা ১১টায় উপজেলা কৃষক প্রশিক্ষণ ডিএই কেন্দ্রে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়দেব চক্রবর্তী সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা ১ আসনের সংসদ(দাকোপ-বটিয়াঘাটা) সদস্য ননীগোপাল মন্ডল। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন দাকোপ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ¦ শেখ আবুল হোসেন, দাকোপ থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হক, চালনা পৌর মেয়র সনত কুমার বিশ্বাস, ইউপি চেয়াম্যান বিনয় কৃষ্ণ রায়, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান কিশোর কুমার রায়, ফাতেমা আক্তার, ইউপি চেয়ারম্যান শেখ সাব্বির আহম্মেদ, আওয়ামীলীগ নেতা অসিত বরন সাহা, সভায় স্বাগত বক্তৃতাদেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শফিকুল ইসলাম, তিনি জানান, উপজেলার চার হাজার দুইশত কৃষককে পাঁচ কেজি ধানবীজ, ২০ কেজি করে সার প্রদান করা হয়েছে। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রীনা আক্তার, সার বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষক-কৃষানী গনসহ কৃষি অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারি গন উপস্থিত ছিলেন।
দাকোপে সরকারী কর্মকর্তাদের সাথে নারী নেতৃবৃন্দের সংবেদনশীল কর্মশালা
দাকোপ প্রতিনিধি
দাকোপে নারীর ক্ষমতায়ন প্রকল্পের আওতায় সরকারী কর্মকর্তাদের সাথে নারী অ্যাসোসিয়েট নেতৃবৃন্দের সংবেদনশীল কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উলাসী সৃজনী সংঘ , বিকাশ বাংলাদেশ এবং ট্রেইডক্রাফট এক্সচেঞ্জ এর আয়োজনে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকাল ১০ টায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স মিলনায়তনে উলাসী সৃজনী সংঘের নির্বাহী পরিচালক খন্দকার আজিজুল হক মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়দেব চক্রবর্তী। নারীনেত্রী ইতিকা মন্ডলের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা রণজিৎ কুমার, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা প্রজিত রায়, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুরাইয়া সিদ্দিকা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পরিতোষ আউলিয়া, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন সরদার, ইউপি চেয়ারম্যান বিনয় কৃষ্ণ রায়, দাকোপ প্রেসক্লাব সভাপতি গোবিন্দ বিশ^াস, উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা সমীর বিশ^াস, উপজেলা সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা বাসন্ত লতা বিশ^াস, ইউপি চেয়ারম্যান পঞ্চানন মন্ডল। অন্যানের মধ্যে বক্তৃতা করেন সাংবাদিক মোঃ মামুনুর রশিদ, ইউ প্রকল্পের রিজিওনাল কোঅির্ডিনেটর কৃষিবিদ মোঃ হারুন আর রশিদ, উপজেলা প্রকল্প সমন্বয়কারী ব্রজেন্দ্র নাথ শীল, রূপান্তের উপজেলা ম্যানেজার বিপাশা রায়, জেলা নারী এ্যাসোসিয়েটের সভাপতি রেবতী ঘোরামী, সাধারণ সম্পাদক উমিলা সরদার, উপজেলা সভাপতি শামছুর নাহার বেগম, সাধারণ সম্পাদক রন্তা সানা,লতিকা বৈরাগী, রওশান আরা বেগম প্রমুখ। সভায় নারী নেতৃবন্দের উন্নয়নের লক্ষে জেলা ও উপজেলা কমিটিকে ২টি আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি।
শার্শায় ২৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ
বেনাপোল প্রতিনিধিৃ
২০১৯ থেকে ২০২৩ অর্থবছরে চাহিদা ভিত্তিক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় অবকাঠামো উন্নয়নের তিন প্রকল্প এর আওতায় ২৯ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করেছে শার্শা উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।
এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে বিদ্যালয়ে শিশুদের শতভাগ ভর্তি নিশ্চিত করা, ঝড়েপড়া শিক্ষার্থীর হার বৃদ্ধি, শিশুর মানসিক বিকাশ, শিক্ষায় প্রবেশাধিকার, উচ্চশিক্ষা ও পরিপূর্ণ উন্নতির ধারবাহিকতার মাধ্যমে সামাজিক বৈষম্য হ্রাস করা এবং শিশুবান্ধব শিক্ষা গ্রহণের পরিবেশ নিশ্চিতসহ শিক্ষার মান বৃদ্ধি হবে।
এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, ৩টি প্রকল্পের আওতায় ৫ বছর মেয়াদি ৩৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি ও নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়।
এর মধ্যে ২৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন দৃষ্টিনন্দন ভবন নির্মাণের কাজ ও বাউন্ডারি সহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ শেষ হয়েছে। দৃষ্টিনন্দন এসব ভবন ও উন্নয়ন মূলক কাজ শেষ হওয়ায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে এখানকার মানুষ এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে।
কাজ শেষ হওয়া এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, শিক্ষার মানউন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)’র মাধ্যমে বিদ্যালয়ের যে উন্নয়ন হাতে নিয়েছে তা সত্যিই অনেক প্রশংসনীয়। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধ সহ শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়মূখী হবে এবং শিক্ষার মান বৃদ্ধি পাবে।
নাভারন রেল বাজার প্রথামিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোছা: শাহনেওয়াজ পারভীন জানান, বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ কাজের মান অনেক ভালো,শিক্ষার্থীরাও এখন অনেক স্বাচ্ছন্দে ক্লাস করতে পারছে। আমরাও অনেক ও স্বাচ্ছন্দবোধ করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)’র প্রতি অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানাছি।
শার্শা উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)’ শীর্ষ কর্মকর্তা এম এম মামুন হাসান বলেন, ২০১৯ থেকে ২০২৩ অর্থবছরে ৫ বছর মেয়াদি চাহিদা ভিত্তিক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ ইতোমধ্যে ৮০% শতাংশ শেষ হয়েছে। কার্যক্রম চলমান রয়েছে। অতিদ্রুত বাকি কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার রাজবংশী বলেন, শিক্ষা খাতে বিস্তর উন্নয়নের জন্য সরকার নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় শার্শা উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে আশা করছি সরকারের এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে।
শার্শায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রবাসী যুবকের মৃত্যু
বেনাপোল প্রতিনিধি
যশোরের শার্শায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাবিবুর রহমান হাবিব (৩০) নামে প্রবাসী এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকাল ৭ টার দিকে উপজেলার শার্শা ইউনিয়নের চটকাপোতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হাবিবুর একই ইউনিয়নের চটকাপোতা গ্রামের জিহাদ আলীর ছোট ছেলে। গত চার মাস আগে মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন তিনি।
স্থানীয়রা জানান, হাবিবুর সকালে মাঠে মাছের ঘেরের সেচ দিত গিয়ে সেচ পাম্পের পাইপের মুখে তার বাঁধতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। এ সময় তার স্ত্রী দেখে চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মনিরুজ্জামান জানান, চটকাপোতা গ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বেনাপোল দৌলতপুর সীমান্তে ৯টি স্বর্ণেরবারসহ আটক ১
বেনাপোল প্রতিনিধি
বেনাপোলের দৌলতপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারকালে ৯ টি স্বর্ণেরবারসহ মনোয়ার হোসেন (৫০) নামে এক পাচারকারীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকাল ৯ টার দিকে দৌলতপুর সীমান্তের ধগলীর মাঠ থেকে স্বর্ণেরবারসহ তাকে আটক করা হয়।
আটক মনোয়ার হোসেন বেনাপোল পোর্ট থানার দৌলতপুর গ্রামের মৃত রবিউল হোসেনের ছেলে।
বিজিবি জানায়, সকালে গোপন সংবাদে তারা জানতে পারেন দৌলতপুর সীমান্ত দিয়ে স্বর্ণের একটি বড় চালান ভারতে পাচার হবে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ২১ বিজিবির একটি দল সীমান্তের ধগলীর মাঠ নামক স্থানে গোপনে অবস্থান করেন। এ সময় এক ব্যক্তি একটি ব্যাগ হাতে নিয়ে ওই সীমান্তের দিকে আসলে বিজিবির সন্দেহ হলে তাকে আটক করে। পরে তার ব্যাগ তল্লাশি করে ৯ টি স্বর্ণেরবার পাওয়া যায়।
জব্দকৃত স্বর্ণের ওজন এক কেজি ৬৮ গ্রাম। যার বাজার মূল্য প্রায় ১ কোটি ৯ লাখ টাকা বলে জানায় বিজিবি।
খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল খুরশিদ আনোয়ার (পিএসসি) জানান, আটক পাচারকারীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোর্পদ করা হয়েছে। এবং জব্দকৃত স্বর্ণেরবারগুলি যশোর সরকারি ট্রেজারি শাখায় জমা দেওয়া হয়েছে।
ভারতে দুই বছর সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ১৩ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
বেনাপোল প্রতিনিধি
ভারতে দুই বছর সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ১৩ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী। বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকাল ৫ টার দিকে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন তারা। ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করে। ভালো কাজের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের ভারতে পাচার করা হয়।
ফেরত আসারা হলেন, খালেদ মাহমুদ, আব্দুল্লাহ, সাগর মল্লিক, রনি মল্লিক, দিব্যাপারনী, তামিম ইসলাম, সাবা ইসলাম, দিয়া মন্ডল, রিয়া মন্ডল, জান্নাত আক্তার, বৃষ্টি বিশ্বাস, চাঁদনী আক্তার, অংকুশ মন্ডল। এরা সাতক্ষীরা,যশোর,পিরোজপুর,পটুয়াখালী, মুন্সিগঞ্জ, কুমিল্লা ও গোপালগঞ্জ জেলার বাসিন্দা।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম জানান, ভালো কাজের আশায় দালালের খপ্পরে পড়ে ১৩ কিশোর-কিশোরী দুই বছর আগে অবৈধভাবে বিভিন্ন সীমান্ত পথে ভারতে পাড়ি দিয়েছিলেন। এরপর সেখানে বাসাবাড়িতে কাজ করার সময় ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক হন তারা। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ভারতীয় পুলিশ তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। সেখানে সাজাভোগের পর ভারতের দুটি এনজিও সংস্থা ধ্রুবাশ্রম ও সুকন্যা তাদের ছাড়িয়ে নিজস্ব শেল্টার হোমে রাখে। পরে ভারত সরকারের বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আজ বিকালে তারা দেশে ফিরেছেন। তাদেরকে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার নামের একটি মানবাধিকার সংস্থা গ্রহণ করে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে বলে জানান তিনি।
যশোর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মুহিত হোসেন জানান, ফেরত আসাদের জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের নিজস্ব শেল্টার হোমে রাখা হবে। পরবর্তীতে তাদের নিজ নিজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।