স্পোর্টস ডেস্ক
নিউইয়র্কের পিচে যে রান তোলা চাট্টিখানি কথা নয়, সেটি এই ম্যাচের আগেও দেখেছে ক্রিকেটবিশ্ব। ফর্মে থাকা বাংলাদেশের বোলারদের বিপক্ষেও সেই কথা ভুল প্রমাণ করতে পারল না দক্ষিণ আফ্রিকা। তানজিম হাসান সাকিব ও তাসকিন আহমেদদের বোলিং তোপে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রানেই থেমেছে প্রোটিয়ারা। জয়ের জন্য বাংলাদেশকে করতে হবে ১১৪ রান।
নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন তানজিমের করা প্রথম ওভারেই চার-ছক্কা মেরে ঝোড়ো সূচনার ইঙ্গিত দেন প্রোটিয়া ওপেনার কুইন্টন ডি কক। তবে ১১ রান হজম করলেও ওই ওভারেই তিনি ফেরান আরেক ওপেনার রেজা হেন্ড্রিক্সকে। দ্বিতীয় ওভারে এসে উইকেট পাননি তাসকিন আহমেদ। দলের তৃতীয় ও নিজের দ্বিতীয় ওভারে আবারও তানজিমের তোপ। এবার তার বলে সরাসরি বোল্ড হন ডি কক। ১১ বলে ১৮ রান করেন তিনি।
চতুর্থ ওভারে দলীয় ২৩ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। এবার অধিনায়ক মার্করামকে শিকার করেন তাসকিন আহমেদ। ড্রাইভ খেলতে গিয়ে সরাসরি বোল্ড হন তিনি। রসদ তখনো শেষ হয়নি তানজিমের। নিজের তৃতীয় ওভারে এসে আরও একটি উইকেট শিকার করেন তিনি। ফিরিয়ে দেন আগের ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলা ট্রিস্টান স্টাবসকে।
২৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া প্রোটিয়াদের উদ্ধার করেন হেনরিখ ক্লাসেন ও ডেভিড মিলার। পঞ্চম উইকেটে দুজনে মিলে যোগ করেন ৭৯ রান। যদিও এই রান তুলতে তারা ব্যয় করেন সমান ৭৯ বল। ১৮তম ওভারের ১০২ রানের মাথায় ক্লাসেনকে (৪৪ বলে ৪৬) বোল্ড করে জুটি ভাঙেন তাসকিন। দলের সঙ্গে আর ৪ রান যোগ হতে ফেরেন মিলারও। লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের বলে বোল্ড হন প্রোটিয়াদের আগের ম্যাচের নায়ক। এরপর আর উইকেট না হারালেও ১১৩ রানের বেশি করতে পারেনি এইডেন মার্করামের দল।
বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে সবচেয়ে সফল তানজিম। ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন এই পেসার। সমান ওভারে এক রান বেশি দিয়ে ২ উইকেট নেন আরেক ডানহাতি পেসার তাসকিন। বাকি উইকেটটি রিশাদের। মোস্তাফিজুর রহমান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ কোনো উইকেট না পেলেও দারুণ কিপটে বোলিং করেছেন। এদিন সাকিব আল হাসান মাত্র এক ওভার হাত ঘোরান।