ভোটের প্রচারণা শুরু সুনাক-স্টারমারের

18
Spread the love

অনলাইন ডেস্ক।।

প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক এবং তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী লেবার পার্টির কেয়ার স্টারমার। বৃহস্পতিবার তারা নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন বলে জানা গেছে। সুনাক ও স্টারমার দাবি করেছেন, শুধু তারাই দেশটিকে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্বস্তি থেকে বের করে আনতে পারবেন। এদিকে এক জনমত সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ১৪ বছর শাসন করার পর সুনাকের দল কনজারভেটিভ পার্টি এবার অনেকটা পিছিয়ে আছে।

২০২২ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী হন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা সুনাক। বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার অন্তত ছয় মাস আগে আগাম জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দেন তিনি। এর পর থেকে জনমত জরিপে প্রতিদ্বন্দ্বী লেবার পার্টি থেকে তাঁর দল ২০ শতাংশ পিছিয়ে গেছে। এই মুহূর্তে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে তিনি দলের অনেককে হতবাক ও ক্ষুব্ধ করেছেন।

নানা জল্পনাকল্পনার পর বুধবার বিকেলে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট থেকে আগামী ৪ জুলাই জাতীয় নির্বাচনের এই ঘোষণা দেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে আগাম নির্বাচনে দুটি ঘটনা ঘটতে পারে। প্রথমত, জনমত জরিপের ফল সত্য প্রমাণ করে সরকার বদলে যেতে পারে। দ্বিতীয়ত, তারা ভুল প্রমাণিত হতে পারেন। আর সেটা সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় বিপর্যয়ের একটি হতে পারে।

বৃহস্পতিবার সুনাক জানিয়েছেন, ব্রিটেনের অর্থনীতি একটি কোণে ঘুরছে এবং অবৈধ অভিবাসন মোকাবিলায় তাঁর একটি পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু গত তিন বছরে দ্রব্যমূল্যের দাম ২১ শতাংশ বেড়েছে এবং জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা দীর্ঘ সময় ধরে আটকে থাকায় ভোটারদের বোঝানো কঠিন হতে পারে যে, ব্রিটেন সঠিক পথে রয়েছে। যদিও আরও কাজ করার আছে এবং আমি জানি, আপনাদের সুবিধাগুলো পেতে সময় লাগবে। তবে পরিকল্পনাটি কাজ করছে ভোটারদের উদ্দেশে বলেন তিনি।

লেবার নেতা স্টারমার দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডের গিলিংহামে বৃহস্পতিবার ভোটারদের জানিয়েছেন, তিনি ব্রিটেনকে পুনরেকত্রীকরণ, পুনর্নির্মাণ এবং পুনরুজ্জীবিত করতে চান। নির্বাচন মানে পরিবর্তনের সুযোগ এসেছে। লেবার পার্টিকে ভোট দেওয়ার অর্থ, স্থায়িত্বের পক্ষে ভোট দেওয়া, জীবনমুখী নীতির পক্ষে ভোট দেওয়া এবং বিশৃঙ্খলা বন্ধ করতে ভোট দেওয়া। খবর রয়টার্সের।