ভাঙা-গড়ার মধ্য দিয়েই দোয়েলের শিক্ষা

38
Spread the love


বিনোদন ডেস্ক।।

‘পটু’র গল্প এত অল্প সময়ে দর্শক আলোচনায় আসবে, সত্যি ভাবিনি। প্রথম কারণ, ‘পটু’র গল্প সমকালীন অন্যান্য সিনেমা থেকে একটু ভিন্ন ধাঁচের। এ ধরনের গল্পের দর্শক খুব বেশি চোখে পড়ে না। তাই ভেবেছিলাম অল্প সংখ্যক দর্শক সিনেমাটি দেখবেন; গল্প নির্মাণ, শিল্পীদের অভিনয় নিয়ে আলোচনা করবেন–তা থেকেই তাদের মতামত উঠে আসবে।

সিনেমাটি নিয়ে দর্শক কৌতূহল আর তাদের কাছ থেকে পাওয়া ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া আমার ধারণ ভুল প্রমাণ করেছে। সামাজিক মাধ্যমে দর্শকদের কাছ থেকে প্রশংসা পাচ্ছি।

সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া পটু সিনেমাটি নিয়ে এভাবেই বললেন অভিনেত্রী ও মডেল দিলরুবা হোসেন দোয়েল। তাঁর কথা থেকে এটা স্পষ্ট সংগীত পরিচালক আহমেদ হুমায়ূন পরিচালিত পটু সিনেমাটি দর্শকের কাছে নতুন এক দোয়েলকে তুলে ধরেছে। অবশ্য এর আগেও তিনি প্রশংসা কুড়িয়েছেন নাসির উদ্দীন ইউসুফ পরিচালিত ‘আলফা’, এন রাশেদ চৌধুরীর ‘চন্দ্রাবতী কথা’, নুরুল আলম আতিকের ‘লাল মোরগের ঝুটি’, বন্ধন বিশ্বাসের ‘লাল শাড়ি’ দিয়ে। টিভি নাটক ও টেলিছবিতে দেখা এ তারকার সঙ্গে সিনেমার দোয়েলের মিল পাওয়া কঠিন।

বেশ বিরতির পর নিজের কোনো সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। সিনেমার প্রচারে তাঁকে সেভাবে পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, শারীরিক অসুস্থতার কারণে সিনেমার প্রচারে সময় দিতে পারেননি তিনি। এ কারণে দর্শকের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগিও করার সুযোগ হয়নি এ অভিনেত্রীর।

এ সিনেমায় কাজের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে দোয়েল বলেন, ‘রাজশাহীর দুর্গম একটি এলাকায় ছয় মাস সিনেমার দৃশ্য ধারণ হয়েছে। শামিয়ানা টনিয়ে কাজ করেছি। সিনেমায় অন্যরকম একটি চরিত্রে অভিনয় করেছি, যেখানে আমার নাম ছিল জমেলা। সে একজন যৌনকর্মী। চরিত্রটি আমার জন্য একেবারে নতুন। সিনেমায় সবাই ভাবে সে খুব আক্রমণাত্মক। আসলে মেয়েটি এমন নয়। সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি মেয়ে কীভাবে সার্ভাইভ করে তা দেখানো হয়েছে সিনেমায়। এ নিয়ে এগোতে থাকে কাহিনি। অন্যরকম অভিজ্ঞতা ছিল এখানে কাজের। চ্যালেঞ্জিং একটি চরিত্র। নিজের শতভাগ দিয়ে কাজটি করেছি।’

এদিকে অভিনেত্রী জানান, সম্প্রতি নাম না ঠিক হওয়া একটি সিনেমার শুটিং নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন তিনি। সিনেমাটির কাজ প্রায় শেষের দিকে। বিষয়টি নিয়ে এখনই কিছু বলতে চাচ্ছেন না। নতুন আরও একাধিক সিনেমায় কাজের কথা চলছে বলে জানান দোয়েল। বড় পর্দার বাইরে বর্তমানে দীপ্ত টিভিতে প্রচার চলছে তাঁর অভিনীত ধারাবাহিক ‘মাশরাফি জুনিয়র’। নাটকে নারী ক্রিকেটের একজন কোচের চরিত্রে অভিনয় করছেন দোয়েল। পাশাপাশি দুরন্ত টিভি জন্য ‘অদ্ভুত লোক’ একটি ধারাবাহিকে তাঁকে দেখা যাবে। এছাড়া ওয়েব মাধ্যমেও কাজ করছেন তিনি। বলা যায়, ক্যারিয়ারের সুসময় পার করছেন এই অভিনেত্রী।

দেখতে দেখতে শোবিজে ৮ বছর পার করেছেন দোয়েল। অভিনয় ক্যারিয়ার নিয়ে কতটা সন্তুষ্ট? এমন প্রশ্নে অভিনেত্রীর ভাষ্য– ‘খুবই সন্তুষ্ট। আমি মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে এসেছি। অভিনয়ে একাডেমিক কোনো শিক্ষাও নেই। কোনো রিয়েলিটি শো থেকে আসিনি। কাজ করতে করতে শিল্পের প্রতি ভালোবাসা জন্মেছে। এটি এখন নেশা ও পেশা। মিডিয়ায় কাজ করেই জীবিকা নির্বাহ করছি–এটাই বড় পাওয়া। আমি এখনও শিক্ষানবিশ। নিজেকে ভাঙা-গড়ার মধ্য দিয়ে একটু একটু করে শিখছি।’