তালাক দেওয়ায় সাবেক শ্বশুরের দোকানে আগুন, পুড়ল ৬ দোকান

28
Spread the love


চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর পৌরসভার কাঠ ব্যবসায়ী মো. খোরশেদের মেয়ের সঙ্গে জামাতা সোনা মিয়ার গত রোববার বিচ্ছেদ হয়। ক্ষুব্ধ হয়ে সোনা মিয়া সাবেক শ্বশুরের বাড়ি ও দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয়। বাড়ির লোকজন টের পেয়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হলেও পুড়ে যায় খোরশেদের কাঠের দোকান। তবে শুধু খোরশেদের দোকানই পোড়েনি, আশপাশের আরও পাঁচটি দোকান ভস্মীভূত হয়। মঙ্গলবার রাতে জীবননগর পৌরসভার কাঠপট্টিতে এ ঘটনা ঘটে।

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত অপর ব্যবসায়ীরা হলেন– আরিফ হোসেন, মহর আলী, মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, মো. শহিদ হোসেন ও ডালিম হোসেন। ভুক্তভোগীদের দাবি, আগুনে তাদের ফার্নিচার, কাঠ ও দোকানঘর মিলে এক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় বুধবার সকালে শহীদ হোসেন ব্যবসায়ী খোরশেদের সাবেক জামাতা সোনা মিয়ার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযুক্ত সোনা মিয়া (২৭) উপজেলার উথুলী ইউনিয়নের একতারপুর গ্রামের রমজান আলীর ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে খোরশেদের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত। পরে আগুন পাশের আরও পাঁচটি দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। ভোর ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

জীবননগর ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার শামসুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে রাত দেড়টার দিকে তারা আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। পরে দর্শনা ও মহেশপুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের আরও দুটি ইউনিট তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে উদ্ধারকাজ শেষ হয়। দোকানের শর্টসার্কিট হতে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন তিনি।

শহীদ হোসেনের লিখিত অভিযোগে বলা হয়, তাঁর পাশের দোকান ব্যবসায়ী খোরশেদের মেয়ের সঙ্গে তাঁর জামাতা সোনা মিয়ার সম্প্রতি তালাক হয়। এ ঘটনায় সোনা মিয়া ক্ষুব্ধ হয়ে মঙ্গলবার রাতে খোরশেদের বাড়ি ও দোকানে আগুন লাগিয়ে দেয়। দোকানে দেওয়া আগুনে তাঁর দোকানসহ ছয়টি দোকান ও আসবাব পুড়ে যায়। এতে তাদের কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

খোরশেদের স্ত্রী আকলিমা খাতুন বলেন, তাঁর মেয়ের সঙ্গে জামাইয়ের গত দু’দিন আগে তালাক হয়। মঙ্গলবার রাতে তাদের বাড়িতে আগুন লাগে। বাড়ির আগুন নেভানোর সময় তারা খবর পান, তাদের দোকানেও আগুন লেগেছে। তারা ধারণা করছেন, তাদের সাবেক জামাতা তালাকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ আগুন দিয়েছে।

অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে সোনা মিয়ার ব্যক্তিগত নম্বরে একাধিকবারে কল দেওয়া হলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবীদ হাসান বলেন, পুলিশের টিম একাধিকবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।