অনলাইন ডেস্ক
ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রার একটি ওরাংওটাংকে নিজের তৈরি ওষুধ ব্যবহার করে সুস্থ হওয়ার প্রমাণ পেয়েছেন গবেষকরা। বুদ্ধির দিক থেকে ওরাংওটাং প্রাণিকুলের মধ্যে প্রথম দিকেই রয়েছে। তবে নতুন গবেষণা বলছে, ওরাংওটাং আমাদের ধারণার চেয়ে বেশি বুদ্ধিমান।
বিজ্ঞান গবেষণাপত্র ‘সায়েন্টিফিক রিপোর্ট’ ওরাংওটাংটির চিকিৎসা পদ্ধতির ওপর বিস্তারিত সংবাদ প্রকাশ করেছে। রাকুস নামে ওরাংওটাংটি ইন্দোনেশিয়ার গুনাং লেসার ন্যাশনাল পার্কের বাসিন্দা। ২০২২ সালের জুন মাসে গবেষকরা দেখতে পান, তার মুখে বেশ বড়সড় একটি ক্ষত তৈরি হয়েছে। এর পর থেকে তাকে নজরে রাখতে শুরু করেন গবেষকরা। অন্য কোনো পুরুষ ওরাংওটাংয়ের সঙ্গে মারামারি করতে গিয়ে রাকুসের মুখে ক্ষতটি তৈরি হয়েছে বলে ধারণা। পরবর্তী সময়ে গবেষকরা খেয়াল করেন, রাকুস একটি গাছের পাতা চিবিয়ে পেস্ট তৈরি করছে। ওই পেস্ট থেকে রস বের করে সে তার ক্ষতস্থানে লাগাতে শুরু করে। ক্ষত পুরোপুরি না সারা পর্যন্ত বেশ কয়েকবার নিজের বানানো এই ভেষজ ওষুধ ক্ষতস্থানে লাগিয়েছে ওরাংওটাংটি। পাঁচ দিন এভাবে চিকিৎসা চালানোর পরে গবেষকরা বুঝতে পারেন, ক্ষতস্থানে ইনফেকশনের কোনো সম্ভাবনা নেই এবং ক্ষতটি বন্ধ হতে শুরু করেছে। প্রায় এক মাস পরে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠে রাকুস।
এতে বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারেন, রাকুস ওই গাছের ভেষজ গুণ সম্পর্কে জানত। কারণ, সে গাছের পাতা খেত না। তাছাড়া রস লাগানো এবং দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা অব্যাহত রাখাই বলে দেয়, সে জেনেশুনেই ওষুধ তৈরি করে ব্যবহার করেছে। রয়টার্স