
খুলনা মহানগর জাতীয় যুব সংহতির মতবিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
খবর বিজ্ঞপ্তি
শনিবার খুলনা মহানগর জাতীয় যুব সংহতির ডাকবাংলাস্থ দলীয় কার্যালয়ে নতুন কমিটির প্রথম আলোচনা ও মতবিনিময় সভা খুলনা মহানগর জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি ও খুলনা মহানগর জাতীয় যুব সংহতির আহ্বায়ক শেখ মোঃ তোবারেক হোসেন তপুর সভাপতিত্বে ও খুলনা মহানগর জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক, খুলনা মহানগর জাতীয় যুব সংহতির সদস্য সচিব মোঃ রাসেল হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা মহানগর জাতীয় পার্টির সফল সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, বিশেষ অতিথি ছিলেন যথাক্রমে খুলনা মহানগর জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি তৈমুর হোসেন শাহীন, ডাঃ নুরুল ইসলাম, মোঃ আব্দুল গফ্ফার, মোঃ আব্দুস সালাম, গাজী খোকন, মনিরুজ্জামান, যুবনেতা এম এ রব, দেলোয়ার হোসেন লালু, আব্দুস সালাম, শাকিল আহমেদ লাল, হাাফজুর রহমান বাবলূ, কামরুজ্জামান রজব, জাপা নেতা বাবুল হাসান রাজু, শহিদ হাওলাদার, যুবনেতা আলী হায়দার, হানিফ শিকদার, মাসুদ আকঞ্জী, শেখ মাসুদ রানা, জি এম মিলন, রাসেল মামুন, কাজী খায়রুল, তমিজ উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন, নওশাদ হাওলাদার, জাহিদুল ইসলাম, খোকন হাওলাদার, মাসুদ রানা, আক্তার হোসেন, মোঃ কামাল হোসেন, মোঃ নজরুল ইসলাম, মাসুম ফারাজী, মনির হোসেন, মোঃ রবিউল, মোঃ শাহ আলম, মোঃ রুস্তম, মোঃ রুবেল, মোঃ মুন্না, শাহীন আহমেদ, আজিজুল ইসলাম, আরমান হোসেন, আজহার হোসেন, রফিকুল ইসলাম, মোঃ হানিফ, গাজী মোশারেফ, মোঃ আঃ মালেক, রুস্তম ফরাজী প্রমুখ। মতবিনিময় সভায় নেতৃবৃন্ত ৫ টি থানার আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবকে থানা এবং ওয়ার্ডের কমিটি গঠনসহ সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করার জন্য আহ্বান জানান।
দর্শনার স্বপন হত্যার প্রধান আসামী র্যাবের হাতে গ্রেফতার
মাহমুদ হাসান রনি, দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা)
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানার বোয়ালিয়ার স্বপনকে পিটিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামী কে র্যাব গ্রেফতার করেছে। কুষ্টিয়া র্যাব ১২ অধিনায়ক মোঃ মারুফ হোসেন পিপিএম জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে র্যাব-১২’র সিপিসি-১, কুষ্টিয়া এবং র্যাব-১, সিপিসি-১ উত্তরা ক্যাম্পের যৌথ একটি চৌকষ আভিযানিক দল র্যাব সদর দপ্তর গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় ‘‘ডিএমপি ঢাকার ভাটারা থানা এলাকায়’’ একটি অভিযান চালিয়ে দর্শনার স্বপন হত্যার এজাহার ভুক্ত প্রধান আসামী মোঃ আসাদুল ইসলাম আসাদ (৩৬) কে গ্রেফতার করে। উল্লেখ্য গত ১৭ অক্টোবর কুষ্টিয়া জেলার কুমার খালী থানার তেবাড়ীয়া গ্রামের মুত মজিবর রহমানে ছেলে মোঃ আসাদুল ইসলাম (৩৬)র স্ত্রীর সুমির সাথে চাচাত ভাই স্বপন বিম্বাস(২৬)র প্রেমের সম্পর্ক থাকায় তাকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে আসে ও পারিবারিক পূর্ব শক্রতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে এলোপাতাড়িভাবে পিটিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে হত্যা করে। উক্ত ঘটনায় নিহতের মাতা বাদী হয়ে কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানায় ৫ জনের নাম উল্লেখসহ ৫/৬ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যা কান্ডের পর হতে পলাতক হত্যাকারীদের গ্রেফতারে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে।গ্রেফতারের পর তাকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী পরিষদের সহ আন্তর্জাতিক সম্পাদক নির্বাচিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী পরিষদের রাজ্য নির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাংলা ও বাঙালির ইতিহাস,ঐতিহ্য, সম্প্রীতি বৃদ্ধি ও মৈত্রী সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী পরিষদের ২০২৩-২৫ সালের নতুন কার্যকরী পরিষদ গঠিত হয়। ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. এমদাদ হোসেন ১৬ অক্টোবরএক অনলাইন কনফারেন্সে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করেন। কার্যনির্বাহী পরিষদের বাংলাদেশের বৈশাখে নিউজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেজাউল করিম সভাপতি ও পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অশোক কুমার পাল সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন। নবগঠিত ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পরিষদের সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে দৈনিক খুলনান্ঞ্চল পত্রিকার প্রতিনিধি মো:মোস্তাফিজুর রহমান কে নির্বাচিত করা হয়। সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক মো:মোস্তাফিজুর রহমান খুলনা জেলার রূপসা উপজেলা নৈহাটি ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের বাসিন্দা ।ছাত্র জীবন থেকেই লেখালেখি করা অভ্যাস।তিনি ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক । দেশের অতীত ঐতিহ্য ও দর্শনীয় স্থান, ভ্রমণ ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত।
তিনি দুই বাংলার বাংলাভাষীদের মধ্যে শিল্পসাহিত্য, সংস্কৃতি, অতীত ঐতিহ্য মিল রাখতে ও এপার বাংলা ওপার বাংলার বাঙালিদের মধ্যে সুদৃঢ় সম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করে যাবেন।দুই বাংলার মিলন মেলায় হবে এর সফলতা।
অভয়নগরে ৩৫ জন গ্রাম পুলিশের মাঝে ইঞ্জি: আরশাদ পারভেজের আর্থিক অনুদান প্রদান
তামিম আহমেদ মনির।।
অভয়নগরে শারদীয় দুর্গাপুজায় উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের ৩৫ জন গ্রাম পুলিশের মাঝে আর্থিক অনুদান ও উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ৯ টায় ইঞ্জিনিয়ার আরশাদ পারভেজের নিজস্ব রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ অনুদান ও উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। অভয়নগর উপজেলা গ্রাম পুলিশের সভাপতি মোঃ আল আমিন হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, অভয়নগর বাঘারপাড়া ও বসুন্দিয়া নির্বাচনী এলাকার নৌকা প্রতিকের মনোনয়ন প্রত্যাশী যশোর জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য এবং সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আরশাদ পারভেজ। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রউফ মোল্যা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আকতারুজ্জামান তারু। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সমারেশ বৈরাগী, সুন্দলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সমিরণ সরকার, অভয়নগর থানা তাঁতী লীগে সভাপতি জিয়াউর রহমান জিয়া বাবুসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের ওয়ার্ড ইউপি সদস্যবৃন্দ।
রেলের জমি অধিগ্রহণের ব্যাপারে কোন বাধা নেই: ড. মসিউর রহমান
স্টাফ রিপোর্টার
প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বলেছেন, ভৈরব সেতু নির্মাণে জমি হস্তান্তরের প্রক্রিয়ায় সরকারের পক্ষ থেকে যে কাজগুলো করা দরকার, সে কাজগুলো হয়েছে। ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় একটু দেরি হয়েছে। সেতুর দিঘলিয়া অংশে জমি অধিগ্রণ এবং অধিগ্রহণকৃত জমির উপর থেকে স্থাপনা সরানো হয়েছে। সেতুর খুলনাংশের ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। জমি উপর যে স্থাপনা আছে সেগুলোর হিসাবে একটু সময় নেয়, কারণ এগুলোর কোন নির্দিষ্ট বাজার মূল্য বিদ্যমান নেই। তিনি বলেন, সরকার খুব যত্নের সাথে কাজটা করছে যাতে নাগরিকের উপর চাপ না পড়ে। জমি অধিগ্রহণ যদি না হয় তাহলে ব্রিজ সম্পন্ন হবে না।
তিনি আরও বলেন, এইটা কিন্তু আর ১০ টা ব্রিজের মতো নয়। ব্রিজের ডিজাইন টা অনেক সু পরিকল্পিত ভাবে করা হয়েছে। বেশি মানুষকে যেন জায়গা থেকে সরাতে না হয়, ডিজাইন সেইভাবে করা হয়েছে।
রেলিগেট থেকে দৌলতপুর মুহসিন মোড় পর্যন্ত বাংলাদেশ রেলওয়ের জমি অধিগ্রহণের ব্যাপারে তিনি বলেন, রেলওয়ে মিটিং করে একটা সিদ্ধান্ত দিয়েছে তাতে জমিটা পাওয়া যাবে।
গতকাল শনিবার (২০ অক্টোবর) খুলনা সড়ক ভবনে ভৈরব সেতুর বাস্তবায়নকারী সংস্থা খুলনা সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ), সেতুর নির্মানাধীন প্রতিষ্ঠান ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশন লি. এর কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলীয় জোনের পাকশী ডিভিশনের ডিভিশনাল স্টেট অফিসারের সাথে ভৈরব সেতুর অগ্রগতি নিয়ে আয়োজিত এক পর্যালোচনা সভায় এসব কথা বলেন।
বেলা সাড়ে ১১ টায় সড়ক ভবনের সম্মেলন কক্ষে ভৈরব সেতু নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক ও সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ)’র খুলনা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এ, কে শামছ উদ্দিন আহম্ম¥দ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার খান মাসুম বিল্লাহ, খুলনা সওজ ‘র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনিসুজ্জামান মাসুদ, খুলনা গণপূর্ত বিভাগ-১ ‘র নির্বাহী প্রকৌশলী অমিত কুমার বিশ্বাস, বাংলাদেশ রেলওয়ে, পাকশী ডিভিশন, পশ্চিম অঞ্চলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ডিভিশনাল স্টেট অফিসার মোঃ নুরুজ্জামান, সওজ ‘র খুলনা ফেরি সার্কেলের তত্ত্বাবধায় প্রকৌশলী মোঃ মমিনুল ইসলাম, ফেরি বিভাগ খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আজম শেখ, ভৈরব সেতু নির্মাণ প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার (ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশন লিমিটেড, (করিম গ্রুপ) ‘র প্রকৌশলী এম নাজমুল, মো. ওসমান গনি কোয়ালিটি সার্ভে ইঞ্জিনিয়ার প্রকৌশলী সামিউল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল আজিজ, সওজ ‘র উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমান, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এম এ রিয়াজ কচি, দিঘলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য শেখ মইনুল ইসলাম জুয়েল প্রমুখ। পর্যালোচনা সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড.মসিউর রহমান সড়ক ভবনে গাছের চারা রোপন করেন।
শেখ শহিদ ও শেখ স্বাধীন ছিলেন মুকুটবিহীন সংগঠক: সিটি মেয়র
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, সরকারী মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজ ছাত্র সংসদের প্রথম নির্বাচিত ভিপি, প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা শেখ শহিদুল ইসলাম স্বাধীনতা যুদ্ধে সম্যক সমরে যুদ্ধ করেছেন। ৭৫’র পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে তিনি একজন ত্যাগী মুকুটবিহীন সংগঠক ছিলেন। তার মৃত্যুর পূর্বমূহুর্ত পর্যন্ত তিনি দলের ও দলের নেতাকর্মীদের জন্য কাজ করেছেন। তিনি আরো বলেন, শেখ শহিদুল ইসলামের মৃত্যুর পরে তার জেষ্ঠ পূত্র শেখ শাহাদাৎ হোসেন স্বাধীন পিতার আদর্শে অনুপ্রণিত হয়ে আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে দলের জন্য কাজ করেছেন। খুলনায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ প্রতিষ্ঠা করার জন্য তিনি নিরালস কাজ করেছেন। সংগঠন শক্তিশালী করার জন্য তিনি নিজের পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করেছেন। অর্থ, সম্পদ ও দলীয় পদ-পদবীর লালসাহীন এই পিতা ও পুত্রের আদর্শ বর্তমান দলীয় নেতাকর্মীদের জন্য অনুপ্রেরনা ও শিক্ষা। পিতা পূত্রের জীবনাদর্শ, দেশপ্রেম ও দলের জন্য মমতাবোধে ব্রতী হয়ে দলকে সুসংগঠিত করে আগামী জাতীয় নির্বাচনে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পুনরায় বিজয়ী করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
গতকাল শেখ শাহাদাৎ হোসেন স্বাধীন এর ১৪তম মৃত্যু বার্ষিকিতে খুলনা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের স্বরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা । খুলনা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এম.এ. নাসিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস.এম আসাদুজ্জামান রাসেলের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সহ-সভাপতি মোঃ মাসুম বিল্লাহ, কাজী ইউসুফ আলী মন্টু, মোঃ মিজানুর রহমান জিয়া, ইসরাফুল জামান খান শাকিল, মীর রবিউল আলম, মোঃ রাজীব হোসাইন, শাহরিয়ার মাহমুদ রিয়াদ, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইমরান হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বায়জিদ হোসেন, মোঃ তাজমুল হক তাজু, এস.এম. আসিফ ইকবাল সবুজ, মোঃ ইখতিয়ার উদ্দিন মোল্লা, রফিকুর রহমান মারুফ, মোঃ হুমায়ুন শিকদার, লিটন মাহমুদ, রবীন্দ্রনাথ ধর, মোঃ জিলহাজ হাওলাদার, মোঃ রিপনুজ্জামান রিপন, মোঃ আসাদুজ্জামান লিপন, মোঃ ইমরান হাওলাদার, ইঞ্জি. মোঃ ইসমাইল সুমন, মোসাঃ সুরভী আক্তার লাইজু, মোঃ খান আজিম হিজল, সাব্বির আহমেদ, মশিউর রহমান, মোঃ ইমরান হোসেন সাগর, খান মোসাদ্দেক হোসেন ইমন, রফিকুল ইসলাম খান, মোঃ শাহরিয়ান নেওয়াজ রাব্বি, মোঃ রবিউল ইসলাম প্রিন্স, আরিফুল ইসলাম অনিক, কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম প্রিন্স, মোঃ আকরাম হোসেন, কাজী মোঃ জায়েনুর ইসলাম বাবু, গোলাম মাওলা টিংকু, শেখ রায়হান উদ্দিন, জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, মোঃ শফিকুল ইসলাম অভি, আহসান হাবিব রুবেল, মোহাম্মদ খালিদ হোসেন তুহিন, ফাহিদ হোসেন ঐশ্বর্য, মোঃ মাসুদ রানা, মোঃ হেলাল খান, মোঃ কবির হোসেন, মোঃ ইমরান গাজী, ফয়সাল হোসেন, এ.কে.এম জান্নাতুল ফেরদৌস রুপম, ইঞ্জি. মোঃ মারুফ শামীম হাওলাদার, নিয়াজ মোরশেদ সৈকত, আফরোজ আহসান, এস.এম দিদার, মোঃ শওকত হাওলাদার, মোঃ আরিফুল ইসলাম রাসেল, মোঃ আল-আমিন হাওলাদার, মোঃ সুমন হাওলাদার, তারিফুল ইসলাম তারিফ, মোঃ সুমনা আক্তার। রাশেদুজ্জামান রুবেল, নাসির মৃধা, নুরুন নাহার খাতুন মুন্নী সাজাহান শিকদার, শেখ সাহিদ, মোঃ শামিম মুন্সি, গফ্ফার মোড়ল, আকরাম হোসেন, রাজিব মোল্লা প্রমুখ।
পাইকগাছায় সিমানা পিলার প্রতারক চক্রের ৪ সদস্যকে আটক
পাইকগাছা প্রতিনিধি:
পাইকগাছায় সিমানা পিলার প্রতারক চক্রের ৪ সদস্যকে এলাকাবাসী আটক করে পুলিশে দিয়েছে। শুক্রবার রাতে উপজেলার হাসেমপুর এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করে। আটক ব্যক্তিদের নামে থানায় মামলা হয়েছে। শনিবার সকালে আদালতের পাঠানো হয়েছে।
এলাকাবাসি জানান, শুক্রবার রাত ২ টার দিকে উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের হাসিমপুর এলাকায় সিমানা পিলার (ম্যাগনেট) প্রতারণা চক্রের ৪ সদস্য ম্যাগনেট কিনতে যায়। এ সময় গ্রামবাসি পাইকগাছা পৌর সদরের তীর্থ মন্ডল(৪০), ডুমুরিয়া ঊপজেলার নোয়াকাটি গ্রামের ইউসুফ মোল্লা (৩০), বটিয়াঘাটা উপজেলার সঞ্জায়(৩৮), শুশান্ত মন্ডল(৪১), তাদেরকে আটক করে পুলিশে দেয়। কিন্তু পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, তারা বিভিন্ন উপজেলা থেকে একত্রিত হয়ে উপজেলার হাসিমপুর এলাকায় ডাকাতি প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। তাদের নিকট থেকে কচটেপ, ছুরি, হাতুড়ি উদ্ধার করে এলাকাবাসী আটক করে পুলিশি দেয়। এ ঘটনায থানায় মামলা হয়েছে। শনিবার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরে এম,ভি সাগরজিৎ
মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরে ভিড়েছে বিদেশী জাহাজ এম,ভি সাগরজিৎ। ইন্দোনেশিয়া থেকে ৩৩হাজার ১শ ১০মেট্টিক টন কয়লা নিয়ে আসা সিঙ্গাপুর পতাকাবাহী এ জাহাজটি শনিবার মোংলা বন্দরের হাড়বাড়ীয়ার-১২নম্বর এ্যাংকোরেজে ভিড়ে।
জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট মেসার্স টগি শিপিং এন্ড লজিস্টিক লিমিটেডের খুলনার সহকারী ব্যবস্থাপক খন্দকার রিয়াজুল হক জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মোংলা বন্দরে ভিড়ে কয়লাবাহী জাহাজ এম,ভি সাগরজিৎ। জাহাজটি আমদানীকৃত এ জ্বালানী কয়লা নিয়ে গত ৩০সেপ্টেম্বর ইন্দোনেশিয়া থেকে মোংলা বন্দরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। এরপর শনিবার সকালে মোংলায় ভিড়ার পর দুপুর থেকেই শুরু হয় জাহাজটি থেকে কয়লা খালাস ও পরিবহণের কাজ। খালাসের সাথে সাথে এ কয়লা লাইটারেজে করে নেয়া হচ্ছে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটিতে। এরপর জেটি থেকে তা সংরক্ষণ করা হচ্ছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের গোডাউনে।
এর আগে গত ৩অক্টোবর ইন্দোনেশিয়া থেকে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরে আসে এম,ভি লুনা রোজা।
দুর্গোৎসবের মহাসপ্তমীতে উপমন্ত্রীর বিভিন্ন মন্দির-মন্ডপ পরিদর্শন ও শুভেচ্ছা বিনিময়
মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
মহাধুমধামে মোংলায় উদযাপিত হয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজার মহাসপ্তমী। ৩৬টি মন্দির-মন্ডপে পূজা-অর্চনাসহ নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্যদিয়ে চলে মহা সপ্তমীর পূজা। পূজায় পূর্ণার্থীদের ঢল যেন বিশাল মিলন মেলা ও উৎসবে রুপ নিয়েছে। বিভিন্ন এলাকার পূজাস্থলগুলোতে বসেছে মেলাও।
এদিকে শনিবার সকাল থেকেই পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার পৌর কেন্দ্রীয় বটতলা মন্দিরসহ অন্যান্য মন্দির-মন্ডপ পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজনের সাথে শারদীয় শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় উপমন্ত্রীর সাথে ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপংকর দাশ ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দীন।
ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ বাস্তবে রূপ নিয়েছে-সিটি মেয়র
খবর বিজ্ঞপ্তি
‘সাইবার সচেতনতা’ শীর্ষক সেমিনার শনিবার সকালে কেসিসি’র শহিদ আলতাফ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, এক সময় ডিজিটাল শব্দটি নিয়ে অনেকে ব্যঙ্গ করতো। ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ বাস্তবে রূপ নিয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তিতে দেশ অনেক এগিয়ে গেছে। এ তথ্যপ্রযুক্তি অনেক সময় অপব্যবহার হয়। সাইবার নিরাপত্তায় সকলকে সচেতন হতে হবে। তিনি বলেন, ফেইসবুকের ব্যবহার মহামারী আকার ধারণ করেছে। ফেইসবুকের মাধ্যমে অনেকের সংসার ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। ফেইসবুক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিৎ। ফেইসবুক খারাপ কাজের জন্য সৃষ্টি হয়নি। গণমাধ্যমর্কীদের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, একজন রাজনীতিবিদ বা একজন সফল মানুষের সারাজীবনের অর্জন একটি সংবাদের জন্য ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। এজন্য সাইবার নিরাপত্তা আইন দরকার রয়েছে। দেশ ও জাতির স্বার্থে সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করা উচিৎ। সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধ করার জন্য যা যা করণীয় আইন দ্বারা করতে হবে।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি’র মহাপরিচালক আবু সাঈদ মো: কামরুজ্জামান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের আইসিটি বিভাগের প্রোগ্রামার মোঃ আবুজর রহমান। অনুষ্ঠানে সাইবার সচেতনতা বিষয়ে আলোচনা করেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. কাজী মোঃ রকিবুল আলম, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম ও ২০২০ সালে আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার বিজয়ী এবং সাইবার টিনস ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ সাদাত রহমান।
সেমিনারে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, কেসিসি’র বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর, কর্মকর্তা-কর্মচারী, গণমাধ্যমকর্মী ও জেলার আইসিটি দপ্তরের কর্মকর্তারা অংশ নেন। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি এই সেমিনারের আয়োজন করেন।
দামুড়হুদার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার
দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি
দামুড়হুদা উপজেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার পরিদর্শন করেছেন।এসময় মন্দিরের ব্যবস্থাপনা, সর্বশেষ আয়োজন ও পূজার নিরাপত্তা সম্পর্কে খোজ নেন।
শনিবার দুপুর ১ টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ সরেজমিনে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা, ও জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন পরিদর্শন করেন। পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সনাতন ধর্মাবলম্বী ভক্ত বৃন্দের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং পূজার নিরাপত্তাসহ সার্বিক খোঁজখবর নেন।
উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গা জেলায় এ বছর ১২১টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতিটি পূজা মণ্ডপে নিজস্ব সেচ্ছাসেবক ছাড়াও সার্বক্ষণিক পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন । এছাড়াও সাদা পোশাকে ডিবি, ডিএসবি এবং ট্রাফিক পুলিশ সার্বক্ষণিক মাঠে কাজ করবেন।পূজা মন্ডপ পরিদর্শন কালে আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবীর, পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) অফিসার ইনচার্জ , সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের ইনচার্জ মাহমুদুর রহমান সহ বিভিন্ন পদমর্যাদার অফিসার।
দাদুভাই ছিলেন খুলনা অঞ্চলের রাজনীতির বাতিঘর: বক্তারা
খবর বিজ্ঞপ্তি।।
মরহুম এম নুরুল ইসলাম দাদুভাই ছিলেন খুলনা অঞ্চলের রাজনীতির বাতিঘর উল্লেখ করে খুলনা বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে জাতীয় রাজনীতি পর্যন্ত তিনি সবসময় ছিলেন জনগণের পক্ষে। দেশ ও দশের প্রতি সহমর্মী এই মানুষটি সবসময় নিজ আদর্শে ছিলেন অবিচল। জাতীয়তাবাদী রাজনীতির কল্যাণে গণমানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়ে সামাজিক ন্যায়বিচার ভিত্তিক শোষণমুক্ত সমাজ এবং গণতান্ত্রিক, মানবিক ও কল্যাণমূখী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই ছিল দাদুভাইয়ের রাজনীতির মূল লক্ষ্য। এ লক্ষ্যে তিনি নিরলসভাবে কাজ করেছেন আজীবন। আজীবন সংগ্রামী এই নেতা নিষ্ঠুর নির্যাতন সহ্য করেও কঠিন সিদ্ধান্তে অটুট থাকতেন। তাঁর রাজনীতি দলীয় নেতাকর্মীদেরকে সবসময় অনুপ্রেরণা যোগাবে।
শনিবার (২১ অক্টোবর) বেলা ১১ টায় কেডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয় খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির উদ্যোগে খুলনার রাজনৈতিক অঙ্গনের এক মহানায়ক, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, সাবেক সংসদ সদস্য ও বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের সৈনিক এম নূরুল ইসলাম দাদু ভাই’র তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে মরহুমের রাজনৈতিক জীবনের ওপর আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা আরো বলেন, স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদ বিরোধী গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধারের আন্দোলনে এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অধিকার আদায়ের সংগ্রামে মরহুম নুরুল ইসলামের অবদান অবিস্মরণীয়। তাঁর কর্মময় জীবনের সাফল্যের মূলে ছিল আদর্শনিষ্ঠ উদ্যম ও উদ্যোগ। জনঘনিষ্ঠ ও কর্মীবান্ধব রাজনীতিবিদ হওয়ার কারণেই তিনি জনগণ ও দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কাছে ছিলেন অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের জাতীয়তাবাদী দর্শনকে প্রতিষ্ঠিত করা এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে স্বৈরাচারের কবল থেকে দেশকে গণতন্ত্রে উত্তরণের সাহসী সংগ্রামে মরহুম এম নুরুল ইসলামের অবদান দল ও দেশবাসী চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান, মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলা সদস্য সচিব এস এম মনিরুল হাসান বাপ্পী, আবু হোসেন বাবু, স. ম আ. রহমান, কাজী মাহমুদ আলী, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, আশরাফুল আলম খান নান্নু, মাসুদ পারভেজ বাবু, কে এম হুমায়ন কবির (ভিপি হুমায়ুন). হাফিজুর রহমান মনি, শেখ জাহিদুল ইসলাম, মোঃ মুরশিদ কামাল, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ, শেখ ইমাম হোসেন, আবু সাইদ হাওলাদার আব্বাস, শেখ আবদুর রশিদ, চৌধুরী কাওসার আলী, শাহিনুল ইসলাম পাখি, একরামুল কবীর মিল্টন, নাজির উদ্দিন নান্নু, আফসার উদ্দিন, আনসার আলী, আব্দুস সালাম, মুর্শিদুর রহমান লিটন, মিজানুর রহমান মিলটন, শফিকুল ইসলাম শফি, রফিকুল ইসলাম বাবু, শেখ ফারুক হোসেন, সরদার আবদুল মালেক, রাহাত আলী লাচ্চু, শামসুল বারিক পান্না, যুবদলের আব্দুল আজিজ সুমন, জাকির ইকবাল বাপ্পি, জাসাসের নুর ইসলাম বাচ্চু, আজাদ আমিন, ছাত্রদলের ইসতিয়াক আহমেদ ইস্তি, মোঃ তাজিম বিশ্বাস, সাইফুল ইসলাম খান, সৈয়দ ইমরান, সাজ্জাত হোসেন জিতু, তাঁতী দলের আবু সাঈদ শেখ, মেহেদী হাসান মিন্টু, মাহমুদ আলম লোটাস, মহিলা দলের এ্যাড. কানিজ ফাতেমা আমিন, এড. হালিমা আক্তার খানম, এড. জাহানারা পারভীন, মরিয়ম খাতুন মুন্নি, নিঘাত সীমা, পারভিন বেগম, এড. কামরুন্নাহান হেনা, লুবনা ইয়াসমিন, কাওসারী জাহান মঞ্জু, জাকিয়া খাতুন, স্বেচ্ছাসেবক দলের শফিকুল ইসলাম শাহিন, ওয়াহিদুজ্জামান, মোনতাসির আল মামুন, কৃষক দলের মোল্লা কবির হোসেন, শেখ আবু সাইদ, মোঃ আলতাফ হোসেন খান, আসাদুজ্জামান আসাদ, কে. এম মাহাবুবুল আলম, মোঃ শহীদ খান, শফিকুল আমিন লাভলু, আব্দুল ওহাব, জাহাঙ্গীর হোসেন, মেশকাত আলী, রফিকুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর হোসেন, আলী হোসেন সানা, দিপু প্রধান, আসলাম হোসেন, মনিরুজ্জামান মনি, মঞ্জুরুল আলম, সওগাতুল ইসলাম সগির, মো. আবুল ওয়ারা, কামুরুজ্জামান রুনু, হুমায়ুন কবীর চৌধুরী, একেএম সেলিম, হায়দার তরফদার প্রমূখ। সভা পরিচালনা করেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শেখ সাদী। আলোচনা শেষে দোয়া পরিচালনা করেন আবু হোসেন বাবু। পরে টুটপাড়া কবরস্থানে মরহুমের কবর জিয়ারত করেন নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২১ অক্টোবর বুধবার সকাল ৮টার দিকে খুলনার সিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বার্ধক্যজনিত কারণে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।
শেখ স্বাধীনের ১৪তম মৃত্যু বার্ষিকীর স্মরণ সভায় বক্তারা
বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার প্রশ্নে আপোষহীন ছিলেন শেখ শাহাদাৎ হোসেন স্বাধীন
খবর বিজ্ঞপ্তি
শেখ শাহাদাৎ হোসেন স্বাধীন মৃত্যুর আগ মুহুর্ত পর্যন্ত দলের জন্য নিরলস কাজ করে গেছেন। তরুনদের জাতির পিতার আদর্শে বলিয়ান হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সংগঠিত হতে নিরলস কাজ করেছেন তিনি। বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার প্রশ্নে আপোষহীন ছিলেন তিনি। শনিবার সন্ধ্যা ০৬টায় (বাদ মাগরিব) দলীয় কার্যালয়ে শেখ শাহাদাৎ হোসেন স্বাধীন এর ১৪ তম মৃত্যুবার্ষিকীর স্বরণ সভায় এ কথা বলেন নগর যুবলীগের নেতৃবৃন্দ। শেখ শাহাদাৎ হোসেন স্বাধীন সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজ ছাত্র সংসদের প্রথম নির্বচিত ভিপি, প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা শেখ শহীদুল হকের জ্যৈষ্ঠপুত্র, খুলনা মহনগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন এর বড় ভাই ও সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ছিলেন।
স্বরণ সভায় নগর যুবলীগের সভাপতি সফিকুর রহমান পলাশ এর সভাপতিত্ব করেন ও পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন, নগর যুবলীগ নেতা আব্দুল কাদের শেখ, মো: আবুল হোসেন, কবির পাঠান, জুয়েল হাসান দীপু, মোস্তফা শিকদার, কাজী ইব্রাহিম মার্শাল, ইয়াসিন আরাফাত, রাশেদুল ইসলাম রাশেদ। থানা যুবলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন মিলন। সাবেক ছাত্রনেতা বাচ্চু মোড়ল, বিপুল মজুমদার, সবুজ হাজরা,রিপন কবির, অভিজিৎ পাল, মনির হোসেন, নাজমুল ইসলাম শিমুল, নাছির উদ্দীন সজল।
ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা ইলিয়াস হোসেন লাবু, শওকাত হাসান, হাসান শেখ, এজাজ আহম্মেদ,কাঞ্চন শিকদার, ইমরুল ইসলাম রিপন, ইব্রাহিম হোসেন তপু, আনিসুর রহমান, লাবু আহমেদ, রহিম শেখ, জামিল আহমেদ সোহাগ, ইউসুফ মোল্লা, আশরাফুল ইসলাম মুন। নগর ছাত্রলীগ নেতা আসাদুজ্জামান বাবু, জহির আব্বাস, মাহমুদুর রহমান রাজেস, হিরণ হাওলাদার, বায়েজিদ সিনা, নিশাত ফেরদৌস অনি, আজগর বিশ্বাস, খান মোঃ অপু, মিজানুর রহমান রাজা,সুমন হোসেন প্রমুখ। দোয়া পরিচালনা করেন মোঃ রফিকুল ইসলাম।
খুলনার হিন্দু সম্প্রদায়ের মাঝে বিএনপি নেতা বকুলের উপহার সামগ্রী বিতরণ
খবর বিজ্ঞপ্তি
ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, দেশনায়ক তারেক রহমানের এই ভাবনাকে ধারণ করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গোৎসব উপলক্ষে খুলনার হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করেছেন সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৩ আসনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী, খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সম্মানিত সদস্য এবং বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুল।
শনিবার ২১অক্টোবর বিকাল ৩টায় খুলনা মহানগরীর দৌলতপুর থানার ঋষিপাড়া পূজা মন্ডপে কেন্দ্রীয় বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুল প্রেরিত বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী উপহার হিসেবে প্রদান করেন খুলনা জেলা হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ঐক্য ফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ।
খুলনা জেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য ফ্রন্টের আহবায়ক ডাঃ প্রদীপ দেবনাথের সভাপতিত্বে এবং খুলনা মহানগর শাখার সদস্য সচিব সত্যানন্দ দত্তের সঞ্চালনায় উক্ত উপহার সামগ্রী প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এ্যাড. শফিকুল আলম মনা, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, খুলনা জেলা বিএনপির আহবায়ক আমির এজাজ খান, খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পি, খুলনা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়কঃ বদরুল আনাম খান, শেখ সাদী, আশরাফুল আলম নান্নু, কেন্দ্রীয় হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক সুকেশ সাহা আনন্দ, দৌলতপুর থানা বিএনপির আহবায়ক মুরশিদ কামাল, সদস্য সচিব শেখ ইমাম হোসেন, সুজানা জলি, দীপক কুমার সরদার, ব্রজেন ঢালী, তপন কুমার ঘোষ, উজ্জল দাস, ইঞ্জিঃ মানষ মন্ডল, অমিত মল্লিক, প্রভাষ মন্ডল, দেবদাস বিশ্বাস, চন্দ্রজিৎ বৈরাগী বিশ্বজিৎ, গোলদার নিতাই দাস প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসময় এ্যাড. শফিকুল আলম মনা বলেন, খুলনা-৩ তথা খালিশপুর, দৌলতপুর, খানজাহান আলী থানার মা, মাটি ও মানুষের নেতা আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুল করোনা মহামারি থেকে শুরু করে সকল বিপদেআপদে ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে এই এলাকার মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন। এজন্যই তিনি মানবিক জননেতা উপাধি লাভ করেছেন। মুসলিমদের ঈদ, হিন্দু সম্প্রদায়ের দূর্গা পূজা উৎসব ও খ্রিস্টানদের বড়দিনে অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতেও তিনি এই এলাকার মানুষের পাশে থাকবেন বলে এসময় তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
যশোরের আব্দুলপুর: বছরে ২৫ কোটি টাকার সবজি চারা উৎপাদন
যশোর অফিস
দেশের চাহিদার সিংহভাগ সবজি সরবরাহ করা হয় যশোর থেকে। এ অঞ্চলকে সবজির জোনও বলা হয়ে থাকে। সেই সবজি উৎপাদনের অন্যতম নিয়ামক চারা। সবজির চারা উৎপাদন ও বিপণন করেই বছরে প্রায় ২৫ কোটি টাকা আয় করছেন যশোর সদর উপজেলার আব্দুলপুর গ্রামের চাষিরা। এ জেলার চাহিদা মিটিয়ে আশপাশের জেলায়ও সরবরাহ করা হচ্ছে সবজি চারা। মানসম্মত সবজি চারা পাওয়ায় বিভিন্ন প্রান্তের চাষিরা ছুটে আসেন এখানে। সবজি উৎপাদনে যেমন সহায়ক ভূমিকা রাখছে, তেমনি অর্থনৈতিকভাবেও সাবলম্বী হচ্ছেন কৃষকরা।
যশোর সদর উপজেলার আবদুলপুর গ্রামে সাত হেক্টর জমিতে সবজির চারা উৎপাদন করা হয়। দেড় শতাধিক কৃষক বীজতলায় চারা উৎপাদন করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। প্রতি বছর বৈশাখ থেকে কার্তিক মাস পর্যন্ত চলে বীজতলা চারা উৎপাদনের হিড়িক। বিশেষ ব্যবস্থায় বীজতলা প্রস্তুত করে বাঁধাকপি ও ফুলকপি, টমেটো, বেগুন, মরিচের বীজ বপন করেন কৃষকরা। এরপর ওই বীজ অঙ্কুরোদগমের মাধ্যমে চারা গজালে তা পরিচর্যা করে এক মাস বয়সে তুলে অন্য কৃষকদের কাছে বিক্রি করেন। বর্তমানে বাজারে ভালো মানের প্রতি হাজার চারা ৮শ’ থেকে ১৫শ’ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। যশোরের ঝিকরগাছা, চৌগাছা, মণিরামপুর, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর, আলমডাঙ্গা, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ, নড়াইল, লোহাগড়া, সাতক্ষীরা জেলার কৃষক ও পাইকারী ব্যবসায়ীরা আবদুলপুর গ্রামের সবজি চারা কিনতে আসেন। বীজতলা পরিচর্যা ও বিপণনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত আছেন আরও ৪ শতাধিক পরিবার। তাদেরও কর্মসংস্থান হয়েছে।
আবদুলপুর গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, দেড় বিঘা জমিতে বাঁধাকপি ও ফুলকপির চারা উৎপাদন করেছি। এই জমিতে ৬ মাসে প্রায় ১৫ লাখ চারা উৎপাদন করেছি। যার বাজারমূল্য ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা। দাম বেশি পাওয়ায় লাভবান হয়েছি। এখনো মৌসুম চলমান রয়েছে। আশা করছি আরও লাভ হবে।
আবদুলপুর গ্রামের কৃষক সাইদুল ইসলাম বলেন, ২৫ বছর ধরে সবজির চারা তৈরি করছি। উন্নতমানের বীজ থেকে চারা তৈরি করি। আশপাশের জেলার কৃষকরাও আমাদের কাছে চারা কিনতে আসেন।
বাঘারপাড়া উপজেলার রায়পুর গ্রামের কৃষক শংকর মণ্ডল বলেন, ১৮ বছর ধরে আবদুল গ্রামে উৎপাদিত সবজির চারা কিনি। এখানকার কৃষকদের উৎপাদিত চারা কখনো ভেজাল পাইনি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের অতিরিক্ত উপপরিচালক প্রতাপ মণ্ডল বলেন, যশোর জেলা সবজি উৎপাদনের ঊর্বর ক্ষেত্র। এখানে রবি মৌসুমে ২০ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়। এই সবজি উৎপাদনে ক্ষেত্রে চারা একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। আবদুলপুর গ্রামে সাড়ে সাত হেক্টর জমিতে সবজির চারা উৎপাদন হচ্ছে। এখানকার চাষিরা বছরে অন্তত ৬ বার চারা উৎপাদন করেন। এই চারা বিক্রিতে প্রায় ২৫ কোটি টাকা আয় করেন কৃষকরা। দেড় শতাধিক কৃষক সরাসরি সবজি চারা উৎপাদনে জড়িত। কৃষি বিভাগ সব ধরনের প্রযুক্তিগত সহযোগিতা করে আসছে। চারা বিপণনের বাজার তৈরিতেও সহায়তা করেছে কৃষি বিভাগ।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়: কেনায় অনিয়মের অভিযোগ, তবু বসানো হচ্ছে ১৪ লিফট
যশোর অফিস
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) অনিয়মের মাধ্যমে কেনার অভিযোগ ওঠা সেই ১৪টি লিফট স্থাপন শুরু হয়েছে। কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পাওয়ায় গত সপ্তাহের মাঝামাঝি থেকে এসব লিফট স্থাপন শুরু হয়; যে কাজ এখনও চলমান। যবিপ্রবিতে এসব লিফট কেনায় অনিয়ম নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় কর্মকর্তারা গত পাঁচ মাস ধরে নীরব ছিলেন। অভিযোগ আছে, ৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকায় এই লিফট কেনায় প্রায় ৪ কোটি টাকা লুটপাটের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, গত বছরের শুরুতে যবিপ্রবির চারটি ভবনের (টিএসসি, দ্বিতীয় একাডেমিক ভবন, মুন্সী মেহেরুল্লাহ ও তারামন বিবি হল) জন্য ১৪টি লিফট স্থাপনে দরপত্র আহ্বান করা হয়। প্রথম দরপত্রে সর্বনিম্ন দরদাতা ছিল হরিজন টেকনো লিমিটেড। কিন্তু তাদের কার্যাদেশ না দিয়ে আবার দরপত্র আহ্বান করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তর। ওই দরপত্রের মাধ্যমে গত বছর এপ্রিলে কার্যাদেশ পায় প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড। গত মে মাসে প্রায় ৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকার ১৪টি লিফটের মালপত্র সরবরাহ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। তখন অভিযোগ ওঠে, দরপত্রের স্পেসিফিকেশন পরিবর্তন করে ১৪টি লিফটের মালপত্র সরবরাহ করা হয়েছে। দরপত্র অনুযায়ী প্রতিটি লিফটের মূল্য হওয়ার কথা প্রায় ৬৭ লাখ টাকা। কিন্তু স্পেসিফিকেশন পরিবর্তন করে অর্ধেকেরও কম দামের লিফট সরবরাহ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রায় ৪ কোটি টাকা লুটপাটের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে ঠিকাদার সংশ্লিষ্টদের।
জানা গেছে, গত ১ জুন সংশ্লিষ্ট কাজ বুঝে নেওয়া কমিটির সভায়ও এই অনিয়মের কথা উল্লেখ করা হয়। এই তিনটি ক্যাটাগরিতেই ১৪টি লিফট ‘নন কমপ্লাই’ বলে সভার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। তার পরও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে লিফট পরিবর্তন করতে না বলে সংশ্লিষ্ট পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তর ই-জিপির স্পেসিফিকেশন পরিবর্তন করে। এর পর তারা কমিটিকে চিঠি দিয়ে মালপত্র বুঝে নিতে চাপ দেয়। এর পর কমিটি তাদের সর্বশেষ সভায় পরিবর্তিত স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী মালপত্র সরবরাহ হয়েছে বলে উল্লেখ করে প্রতিবেদন দেয়। সে প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করেই এখন লিফট স্থাপন শুরু হয়েছে।
লিফট বুঝে নেওয়া কমিটির সদস্য খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন সর্বশেষ ওই সভায় আসেননি। তিনি বলেন, দরপত্র অনুযায়ী লিফটের মালপত্র সরবরাহ এবং তা বুঝে নেওয়ার প্রক্রিয়াটি সঠিক হয়নি। এ কারণে আমি সর্বশেষ সভায় যাইনি।
প্রথম প্রতিবেদনে ‘নন কমপ্লাই’ উল্লেখ করা লিফট কীভাবে স্থাপন হচ্ছে– এমন প্রশ্নের জবাবে কাজ বুঝে নেওয়া কমিটির আহ্বায়ক যবিপ্রবির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ গালিব বলেন, এই প্রশ্নের উত্তর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দিতে পারবে। একই বিষয়ে জানতে লিফট স্থাপনের দায়িত্বে থাকা পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও পূর্ত বিভাগের পরিচালক পরিতোষ কুমার বিশ্বাসকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। আবার এই দপ্তরের উপপরিচালক আব্দুর রউফ বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘লিফট স্থাপন শুরু হয়েছে কিনা আমি জানি না। এ ব্যাপারে একাধিক কমিটি আছে, তারা বিষয়টি দেখাশোনা করে। সবকিছু ঠিক থাকলে ওই কমিটিগুলো এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবে। তারা সবকিছু ঠিকঠাক বুঝে নিলে ঠিকাদারকে বিল দেওয়া হবে।
আত্মরক্ষা: মেয়েদের মনোবল বাড়াচ্ছে কারাতে প্রশিক্ষণ
স্টাফ রিপোর্টার
রাস্তায় বখাটেদের উৎপাতে একা বাইরে যেতে ভয় পায় অনেক কিশোরী ও তরুণী। উত্ত্যক্ত ও যৌন হয়রানির আশঙ্কা সবসময় তাড়িয়ে বেড়ায় তাদের। এই চিত্র ধীরে ধীরে পাল্টে যাচ্ছে খুলনায়। বর্তমানে এখানকার অনেক মেয়েই অভিভাবকের সহযোগিতা ছাড়াই স্কুল-কলেজ ও কর্মক্ষেত্রে যাচ্ছে। ফিরছেও নিরাপদে। ঘরের বাইরে চলাচলে তাদের সঙ্গ দিচ্ছে দৃঢ় মনোবল, যা তৈরি হয়েছে কারাতে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে। আর বিনামূল্যে আত্মসুরক্ষার এই কলাকৌশল শিক্ষা দিচ্ছেন খুলনার সরকারি মহিলা কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সৈয়দা লুৎফুন্নাহার। রাস্তাঘাটে সম্ভাব্য যে কোনো নেতিবাচক পরিস্থিতি মোকাবিলায় মেয়েদের তৈরি করতে সাড়ে ছয় বছর আগে তিনি এই উদ্যোগ নেন। গড়ে তোলেন নারী কারাতে শিক্ষা কেন্দ্র (নাকাশিকে)।
বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে গত ১৪ অক্টোবর গিয়ে দেখা যায়, সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে হাত-পা নাড়াচ্ছে অর্ধশত কিশোরী ও তরুণী। তাদের কারাতে শেখাচ্ছিলেন প্রশিক্ষক মোহাম্মদ আলী। জাপানি ভাষায় তিনি বলছিলেন আত্মরক্ষার নানা কলাকৌশল। প্রশিক্ষণার্থীদের বয়স ৬ থেকে ১৮ বছর। তারা নিয়মিত সপ্তাহে তিন দিন এখানে প্রশিক্ষণ নেয়।
কারাতে প্রশিক্ষক মোহাম্মদ আলী জানান, নাকাশিকের হয়ে তিনি প্রতি শনি, সোম ও বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে একটি ব্যাচের মেয়েদের প্রশিক্ষণ দেন। শুক্র ও শনিবার সকালে পাইওনিয়ার কলেজের পাশে সরকারি শিশু পরিবারে এবং সোম ও বৃহস্পতিবার সকালে গল্লামারী এলাকার শেখ রাসেল পুনর্বাসন কেন্দ্রে আরও দুটি ব্যাচকে কারাতে শেখান। তিন শাখায় প্রায় আড়াইশ প্রশিক্ষণার্থী আছে। প্রশিক্ষণার্থী সাউথ হেরাল্ড ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ফারহানা তানজিম বলে, আত্মরক্ষার জন্য কারাতে শিখছি। আমি এখানে তিন বছর ধরে আসি। নেভি অ্যাংকরেজ স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী সুহাইবা তাজবিহ রূপন্তী বলে, দুই বছর ধরে কারাতে শেখার কারণে মনোবল অনেক বেড়ে গেছে।
নাকাশিকের প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দা লুৎফুন্নাহার জানান, রাস্তাঘাটে মেয়েদের একা চলতে সাহসী করে গড়ার জন্য এই উদ্যোগ। বিনামূল্যে তাদের মনোবল বাড়ানোর জন্য ২০১৭ সালের ৯ জানুয়ারি থেকে দিচ্ছি কারাতে প্রশিক্ষণ। এতে নারীরা মানসিকভাবে শক্তিশালী হচ্ছে। হয়রানি- নির্যাতনের শিকার হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে। একই সঙ্গে হচ্ছে কর্মসংস্থান। এখান থেকে কারাতে শেখার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও নিরাপত্তা বাহিনীতে বেশ কয়েকজনের চাকরি হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার মেয়েকে কারাতে শেখানো হয়েছে।
সেই কুমিরের মৃত্যুর কারণ জানা যাবে ৩ মাস পর
বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটের খানজাহান আলীর (রহ.) দীঘির পুরুষ কুমিরটির মৃত্যুর কারণ জানা যাবে তিন মাস পর। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর খুলনার পরিচালক ডা. লুৎফর রহমান এতথ্য জানিয়েছেন। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কুমিরটির ময়নাতদন্তের জন্য শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছিল প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। পরে দীঘির উত্তর পাড়ে কুমিরটিকে মাটিচাপা দেওয়া হয়।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর খুলনার পরিচালক ডা.লুৎফর রহমান বলেন, ২০২১ সালের ১২ জুন এই কুমিরটি একবার অসুস্থ হয়েছিল। তখন চোখ ও মাথায় কিছু সমস্যা পাওয়া গিয়েছিল। আমরা চিকিৎসা দিয়ে কিছুটা সুস্থ করেছিলাম। কুমিরটির মৃত্যুর পর এর দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। মৃত্যুর কারণ জানার জন্য প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রিপোর্ট পেতে আনুমানিক তিন মাস সময় লাগবে। তখন প্রাণীটির মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা সম্ভব হবে।
খানজাহান আলী (রহ.) এর মাজারের প্রধান খাদেম ফকির শের আলী বলেন, মৃত্যুর আগে পুরুষ কুমিরটিকে মোস্তফা ফকির নামে একজন তার পুকুরের ভেতর ৭ মাস আটকে রেখেছিলেন। সেখানে তিনি কুমির দেখিয়ে দর্শণার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতেন। পুরুষ কুমিরটি যাতে তার পুকুর থেকে বের হয়ে না যায় সেজন্য নিয়মিত ঘুমের ওষুধ দেওয়া হত। এজন্যই কুমিরটির মৃত্যু হয়েছে বলে আমার ধারণা। আমি কুমিরের মৃত্যুর সঠিক কারণ অনুসন্ধানের দাবি করছি।
তিনি আরো বলেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নমুনা সংগ্রহ শেষে আমরা দীঘির উত্তর পাড়ে কুমিরের মরদেহটি মাটিচাপা দিয়েছি। পুরুষ কুমিরটির অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর নারী কুমিরটি বর্তমানে দীঘিতে রয়েছে।
কুষ্টিয়া পৌরশহর: বিভিন্ন জটিলতায় থমকে আছে ফোরলেনের কাজ
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
আওয়ামী লীগ নেতার করা মামলায় কুষ্টিয়া পৌরশহরের ফোর লেন সড়ক নির্মাণ কাজে অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও জেলা জজের বাস ভবনের সীমানা প্রাচীরেও ওয়ালেও আটকা পড়েছে সড়কের নির্মাণ কাজ। এমন জটিলতায় ফোর লেন সড়কের পাশাপাশি উন্নত ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও সৌন্দর্য্য বন্ধনের কাজও শেষ করতে পারছে না সড়ক বিভাগ।
২০২১ সালে শুরু হওয়া কাজটির মেয়াদ কয়েক দফায় বাড়ানো হয়েছে। এতে দুর্ভোগ বেড়েছে সাধারণ মানুষের। মূল শহরের মধ্যে কাজ বন্ধ থাকায় আশপাশের বাসিন্দাদের নানা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শহরকে যানজটমুক্ত করার পাশাপাশি পথচারীদের হাঁটার জন্য শহরের সড়কটি দুলেন থেকে ফোরলেনে উন্নীতকরণের কাজ শুরু হয় ২০২১ সালে। সড়কের পাশাপাশি দুপাশে দৃষ্টিনন্দন ফুটপাত নির্মাণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ডিভাইডারের মধ্যে বৃক্ষ লাগিয়ে সৌন্দর্যবর্ধনের প্রকল্প আছে।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পৌর এলাকার বটতৈল থেকে শহরের মূল পয়েন্ট মজমপুর গেট এবং মজমপুর গেট থেকে ত্রিমনোহী পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়ক দুই লেন থেকে ফোরলেনে উন্নীতকরণ কাজের জন্য ২০২১ সালে দরপত্র আহ্বান করা হয়। দুটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। বটতৈল থেকে মজমপুর গেট পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার কাজের কার্যাদেশ পায় জহরুল লিমিটেড আর মজমপুর থেকে ত্রিমহোনী পর্যন্ত কাজ পায় স্পেকটা ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড।
কাজের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২৮৯ কোটি টাকা। গত বছরের জুন মাসে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সময় বাড়ানো হয় ডিসেম্বর পর্যন্ত। ডিসেম্বরে কাজ শেষ না হওয়ায় ফের চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত বেড়েছে প্রকল্পটির মেয়াদ।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের হিসাব মতে এখন পর্যন্ত ৬০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। দুটি স্থাপনার বাউন্ডারি ওয়াল ও একটি মামলায় আটকে গেছে শতকোটি টাকা প্রকল্পের এ কাজটি। মজমপুর গেট থেকে ত্রিমোহনী অংশে পড়েছে পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও জেলা জজের বাড়ি। এখানে সীমানা প্রচীর না ভাঙায় আটকে আছে কাজ। দুটি সীমানা প্রচীরের কারণে কাজ বন্ধ হয়ে পড়ে আছে কয়েক বছর ধরে। একই সঙ্গে মঙ্গলবাড়িয়া গড়ই নদীর পাশে কয়েকটি বহুতল ভবন সড়কের জায়গা দখল করে নির্মাণ হয়েছে। এসব কারণে নকশা অনুযায়ী কাজ করতে পারছে না সড়ক বিভাগ। প্রভাবশালীরা সড়ক ও জনপথ বিভাগকে ম্যানেজ করে তাদের স্থাপনা ঠিক রাখছে। এসব কারণে ড্রেন ও সড়কের কাজে জটিলতা বাড়ছে।
মজমপুর এলাকার বাসিন্দা মিজানুর রহমান ঝন্টু বলেন, ফোরলেন সড়ক নির্মাণ কাজ বন্ধ দীর্ঘদিন। প্রভাবশালীদের বাড়ি রক্ষার জন্য সড়ক বিভাগ তৎপর। যে কারণে জনগণকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এদিকে পুলিশ লাইনের বাউন্ডারি ওয়ালের জমি না পাওয়ায় কাজ করতে পারছেন না ঠিকাদার। জমিটির মালিকানা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আন্ত:মন্ত্রণালয়ের সভায় বিষয়টি সমাধানের পথ খোঁজ হচ্ছে বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে স্বারষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সভা হয়েছে। সেখানে ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও ছিলেন। সমাধানের দিকে যাচ্ছে।
এদিকে জেলা জজের বাড়ির সীমানা প্রচীর ভাঙার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানা গেছে। তবে কবে নাগাদ সেটা হবে কেউ বলতে পারছে না।
অপরদিকে বটতৈল থেকে মজমপুর গেট এলাকার কাজে বাগড়া দিয়েছে একটি মামলা। বিসিক শিল্পনগরীর সামনে ১ কিলোমিটার সড়কের জমির মালিকানা দাবি করেন আদালতে মামলা করেছেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক। জমিটির মালিকানা দাবি করে হাইকোর্টে রিট করায় সড়ক বিভাগ ৩০০ মিটার অংশের সড়ক নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে।
সড়ক বিভাগের দাবি, জায়গাটি জেলা পরিষদের। আর রেজাউল হকের দাবি তাদের ক্রয়করা সম্পত্তি। যার কারণে তিনি মামলা করেছেন। ফলে পাঁচ কিলোমিটার সড়কের প্রায় এক কিলোমিটার অংশের কাজ শেষ করা যায়নি। ড্রেনের কাজও এ অংশে নকশা অনুযায়ী করা যায়নি।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক বলেন, উচ্চ আদালতে একটি মামলা চলছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য বসা হয়েছিল। তবে এখনো সমাধান হয়নি।
এদিকে বারবার সময় বাড়ায় কাজের গতি কমে যাচ্ছে। মজমপুর গেটে সড়ক ঘেঁষে রেললাইন চলে গেছে। এখানেও দোকান থাকায় কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। যানবাহন চালকসহ সাধারণ মানুষকে কষ্ট করে যাতায়াত করতে হচ্ছে। পাশাপাশি ড্রেনেজ কাজ শেষ না হওয়ায় বৃষ্টি হলে অনেক বাড়িতে পানি ঢুকে যাচ্ছে। এতসব জটিলতা কাটিয়ে কবে কাজ শেষ হবে সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি রফিকুল আলম টুকু।
তিনি বলেন, কাজ শুরুর আগে এসব জটিলতা নিরসন না করায় এখন সমস্যা বাড়ছে। এতে সরকারের কাজ যথাসময়ে শেষ না হাওয়ায় জনভোগান্তি তৈরি হচ্ছে।
কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম আজাদ খাঁন বলেন, দুটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের সীমানা প্রচীর ও একটি মামলার কারণে ফোরলেন সড়কের কাজ নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। আমরা মামলার কারণে ৩০০ মিটার বাদ রেখে সড়কের কাজ করছি। জমি বুঝে না পাওয়ায় ড্রেনের পাশাপাশি সড়কের কাজ শেষ করা যাচ্ছে না। বিষয়গুলো সমাধানের জন্য কাজ চলছে। এ বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে একটি ফেজের কাজ শেষ হওয়ার কথা আছে।
ফকিরহাট উপজেলার ৭০টি দুর্গাপূজার একযোগে উদ্বোধন
ফকিরহাট প্রতিনিধি।
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ৭০টি পূজা মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজার মহাষষ্ঠীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মানসা কালীবাড়ি সর্বজনীন দুর্গাপূজা মন্দিরে মঙ্গল প্রদীপ জ্বেলে দেবীকে আমন্ত্রণ জানিয়ে মণ্ডপে দেবীর বোধনের মধ্যে দিয়ে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। সর্বজনীন দুর্গাপূজার মহাষষ্ঠীর এই শুভ উদ্বোধন করেন ফকিরহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বপন দাশ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মোহা: খালিদ হোসেন। সম্মানিত অতিথি ছিলেন খুলনা বিশ^বিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মোস্তাহিদ সুজা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারুফা বেগম নেলী, সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. রবিউল ইসলাম শামীম, সহকারী অধ্যাপক আহমেদ কবির চাইনিজ, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম ফকির, ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইউনুস আলী শেখ, এ্যাড. হিটলার গোলদার, ফারুকুল ইসলাম ওমর, সরদার আমিনুর রশিদ মুক্তি। বাগেরহাট পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি নিলয় কুমার ভদ্র। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মানসা কালী মন্দিরের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ হালদার (বাটুল)। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন সাধারণ সম্পাদক বাবলু কুমার আশ। অনুষ্ঠানে বক্তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার অনুরোধ জানান।
ফকিরহাট ইউনিয়ন মৎস্যজীবি লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন
ফকিরহাট প্রতিনিধি।
বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবি লীগ ফকিরহাট সদর ইউনিয়ন শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকাল ৫টায় আমতলা মোড় প্রাঙ্গনে এ সম্মেলনের শুভ উদ্বোধন করেন উপজেলা আওয়ামী মৎস্যজীবি লীগের আহবায়ক শেখ আ: গফফার। উপজেলা আওয়ামী মৎস্যজীবি লীগের সদস্য নিশিকান্ত রাজবংশী’র সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান স্বপন দাশ। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মল্লিক আবুল কালাম আজাদ সাহেব, সহ-সভাপতি শেখ আব্দুর রাজ্জাক, শেখ মোস্তাহিদ সুজা, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. হিটলার গোলদার, আইন বিষয়ক সম্পাদক ্এ্যাড. শেখ মো. কামরুল হাসান, বাগেরহাট জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবি লীগের সমবায় ও কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মহব্বত ঢালী, সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মনিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. সুমন মল্লিক, উপজেলা আওয়ামী মৎস্যজীবি লীগের সদস্য সচিব সহাদেব বিশ্বাস। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবি লীগের জেলা শাখার সভাপতি শেখ আ: সবুর। সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে ফকির মো. শরিফুল্লাহকে সভাপতি ও মাসুদ রানাকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। এসময় আওয়ামী মৎস্যজীবি লীগ, আওয়ামী লীগ ও অংগ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন নেতা-কর্মী সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।#
ফকিরহাট মৌভোগে দ্বিতীয় বার্ষিক তাফসিরুল কুরআন মাহফিল
ফকিরহাট প্রতিনিধি।
বাগেরহাটের ফকিরহাট মৌভোগ অগ্রগামী যুব সংঘের আয়োজনে দ্বিতীয় বার্ষিক তাফসিরুল কুরআন মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার আছরবাদ অনুষ্ঠিত তাফসিরুল কুরআন মাহফিলে প্রধান আলোচক ছিলেন রংপুর ত্ব-হা যিন নুরাইল ইসলামিক স্কুলেল পরিচালক ইসলামিক স্কলার আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান। প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সরদার আমিনুর রশিদ মুক্তি। বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. রবিউল ইসলাম শামী, অফিসার্স ইনচার্জ মো. আশরাফুল আলম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ি ও সমাজসেবক মোজাহিদুর রহমান মোজা, অত্র ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো. জাহাঙ্গির হোসেন। তাফসিরুল কুরআন মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন বাহিরদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক মাওলানা আব্দুস ছত্তার শেখ। #
ইন্দুরকানীতে শ্রমিকলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা
ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) সংবাদদাতাঃ
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে জাতীয় শ্রমিকলীগের ৫৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলা শ্রমিকলীগের উদ্যোগে চৌরাস্তার আনিস মার্কেটে এ সভা করা হয়। উপজেলা শ্রমিকলীগের আহবায়ক আঃ হাকিম হাওলাদার এর সভাপতিত্বে ও শ্রমিকলীগ নেতা মোঃ আনিছুর রহমান এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এ কে এম এ আউয়াল। বক্তাব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জিয়াউল আহসান গাজী, শেখ ফিরোজ আহমেদ, ইন্দুরকানী উপজেলা আওয়মীলীগের সভাপতি এ্যাড. এম. মতিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান সেলিম, সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ মাহমুদুল হক দুলাল, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ মনিরুজ্জামান শিকদার, সাঈদুর রহমান সাঈদ, জেলা শ্রমিকলীগ নেতা মোঃ মজনু তালুকদার, মোঃ হান্নান শেখ, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা বজলুর রহমান মিন্টু, যুবলীগ সভাপতি আঃ রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহিন গাজী, ছাত্রলীগ নেতা মোঃ শাহিন হাওলাদার প্রমুখ।
প্রধান অতিথি তার বক্তাব্যে বলেন, উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে হলে আগামী নির্বাচনেও সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে হবে।
বিশ্ব অস্টিওপোরোসিস দিবস উপলক্ষে খুলনা মেডিকেল: কলেজে র্যালি ও সায়েন্টিফিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়
খবর বিজ্ঞপ্তি
বিশ্ব অস্টিওপোরোসিস দিবস উপলক্ষে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বর্ণাঢ্য র্যালি এবং সায়েন্টিফিক সেমিনার ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ২১ অক্টোবর শনিবার সকাল ৯ টায় খুলনা মেডিকেল কলেজের অর্থোপেডিক বিভাগের আয়োজনে ও বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটি-এর সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে বিশ্ব অস্টিওপোরোসিস দিবস-২০২৩ পালিত হয়। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিলো ‘মজবুত হাড়ের প্রতিশ্র“তি’ হাড়ের জন্য উপযোগী ব্যায়াম এবং খাবারের মধ্যে নিহিত আছে অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধের উপায়। খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মোঃ মেহেদী নেওয়াজ-এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কলেজ ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য র্যালি এবং অডিটোরিয়ামে সায়েন্টিফিক সেমিনার ও আলোচনা সভার উদ্বোধন করেন খুলনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোঃ দীন-উল-ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন কলেজের অধ্যাপক ডা. বাপ্পা গৌতম, অধ্যাপক ডা. এ.বি.এম. সাইফুল আলম, অধ্যাপক ডা. মোঃ খসরুল আলম মল্লিক, অধ্যাপক ডা. গোলাম মাসুদ, অধ্যাপক ডা. মোঃ কুতুব উদ্দীন মল্লিক, অধ্যাপক ডা. শেখ ছাইদুল হক, অধ্যাপক ডা. মোঃ কামরুজ্জামান, সহকারী অধ্যাপক ডা. দেবাশীষ কুমার ঘোষ, ডা. প্রীতিশ তরফদার, সহযোগী অধ্যাপক ডা. সৈয়দা রুখশানা পারভীন, বেক্সিমকো ফার্মা-এর এ.এস.এ মোঃ নাসির উদ্দিন, সিনিয়র আর.এস.ই মোঃ আজিজুল হক, সিনিয়র এরিয়া ম্যানেজার খান মশিউর রহমান, মোঃ আনিচ খন্দকার, মোঃ ইমন ফকির প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সায়েন্টিফিক পার্টনার হিসেবে ছিলেন বেক্সিমকো ফার্মা।
কয়রায় আওয়ামী লীগ নেতার শয্যাপাশে আক্তারুজ্জামান বাবু এমপি
খবর বিজ্ঞপ্তি
শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জিএম শাহাবুদ্দীন আহমেদকে দেখতে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মদিনাবাদ গ্রামে তার নিজস্ব বাসভবনে যান খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু। এ সময় তিনি তার শয্যাপাশে কিছু সময় অবস্থান করেন এবং চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন এবং আশু-সুস্থতা কামনা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উপজেলা কৃষক লীগের সদস্য সচিব শাহানুর আলম, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জি এম আক্তারুল ইসলাম সৌরভ, জেডএম হুমায়ুন কবির নিউটন, ছাত্রলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন সুমন, আবু তালহা সবুজ, কামরুল হাসান সোহাগ, আবুল হাসান প্রমুখ।#
তালায় শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়ে বিশাল আনন্দ মিছিল
ইলিয়াস হোসেন, তালা(সাতক্ষীরা)
আগামী ৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুলনা আগমনকে স্বাগত জানিয়ে সাতক্ষীরার তালায় বিশাল আনন্দ মিছিল করেছে ছাত্রলীগ।
শনিবার বিকালে তালা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ সাদীর নেতৃত্বে আনন্দ মিছিলটি বের হয়। মিছিলটি তালা উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে বের হয়ে উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে তিন রাস্তার মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
এর আগে উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে উপজেলা পরিষদের সামনে জড়ো হতে থাকে। এসময় ছাত্রলীগের সহস্রাধিক নেতা-কর্মীর অংশগ্রহণে গোটা এলাকায় উৎসবমূখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
পরে তিন রাস্তার মোড়ে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন তালা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ সাদী, যুগ্ম সম্পাদক নূর হোসেন রাজন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ আকিব, ছাত্রলীগ নেতা মুস্তাফিজুর রহমান, নাজমুল হক জুয়েল, মনিরুল ইসলাম, ফয়সাল হোসেন, জামিরুল ইসলাম, রাজু ফকির, ইমরান হোসেন বাপ্পী, আসলাম সরদার, শৈশব আহমেদ, আশিক পাল, বিল্লাল হোসেন, ইব্রাহিম হোসেন, আফজাল হোসেন, জুয়েল হোসেন মোড়ল প্রমুখ।
এসময় তালা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ সাদী আগামী ৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুলনার জনসভা সফলে নেতা-কর্মীদের প্রতি আহবান জানান।
একই সাথে তিনি আগামী নির্বাচনে সাতক্ষীরা-১ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে প্রার্থী মনোনয়নের দাবি জানান।
দাকোপে সাবেক এমপি ননী গোপাল মন্ডলের বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন
বাজুয়া (দাকোপ) প্রতিনিধি
খুলনার দাকোপ – বটিয়াঘাটার উন্নয়নের রুপকার সাবেক সংসদ সদস্য ননী গোপাল মন্ডল তিলডাংগা,পানখালি, দাকোপ, বাজুয়া, লাউডোব,বানিশান্তা ও কৈলাশ গঞ্জ ইউনিয়ন এবং চালনা পৌরসভার সকল পুজা মন্দির পরিদর্শন করেন ও শারদীয় শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এসময় তিনি
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা বলেন এবং ৯ই নভেম্বর ২০২৩ খুলনার মহাসমাবেশ সফল করার জন্য সকলকে আহবান করেন। ২১শে অক্টোবর শনিবার সকালে তিনি গাড়ী বহর নিয়ে উপজেলার সকল ইউনিয়নের মন্দির পরিদর্শন করেন। মহাসপ্তমীতে আগত পূজারী এবং মন্দির কমিটির সাথে তিনি শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে প্রতিটি মন্দিরে অনুদান প্রদান করেন এবং মন্দিরের সার্বিক খোঁজ খবর নেন। এ সময় তার সাথে সফর সঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মুনসুর আলী খান। উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ যুবরাজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পূজা উৎযাপন কমিটির সভাপতি অসিত বরণ সাহা, পূজা উৎযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান সঞ্চয় মোড়ল, কৈলাশগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মিহির কুমার মন্ডল, আওয়ামীলীগ নেতা এ্যাডঃ জি এম কামরুজ্জামান, শিবেন্দ্রনাথ রায়, সাবেক বাজুয়া ইউপি চেয়ারম্যান দেবপ্রসাদ গাইন, অধ্যক্ষ দিবাকর মন্ডল, সদস্য সমরেশ রায়, গোবিন্দ লাল রায়, শচীন্দ্র নাথ মন্ডল, নিহার মন্ডল, বিধানঘোষ, গাজী সরোয়ার হোসেন, অমিত সাহা, শাহাবুদ্দিন মোল্লা, স্বপন রায়, নিমাই মন্ডল, মিহির রায়, দেবদাস রায়, পরিতোষ রায়, দিপংকর বৈদ্য, মুরারীমোহন থান্দার, কমলেশ বাছাড়, ভবেন্দ্রনাথ মন্ডল, উমাশংকর রায়, প্রসেনজিৎ রায়, মুরারীমোহন থান্দার, এ্যাডঃ দেবপ্রসাদ বৈদ্য, আধ্যাপক রঞ্জন রায়, অচিন্ত্য সাহা, অংগদ বাইন, বিশ্বজিৎ রায়, বিষ্ণু পদ মিস্তী, শিবেন্দ্র প্রসাদ রায়, দূর্গপদ রায়, প্রভাষ রায়, নিহার রায়, সুধাংশু বৈদ্য, সমরেশ রায়, তাপস হালদার, মলিনা জোয়াদার, জয়শ্রী রায়, অধ্যাপক অমুল্য বাছাড়, ষুগোল ঘরসমী, সুকৃতি রায়, সুরঞ্জন রায়, সমরবিশ্বাস, আশোক কুমার রায় কৃষ্ণ পদ গোলদার, দেবান্দ মন্ডল প্রমুখ।
দাকোপে আ.লীগ সভাপতি আবুল হোসেনের পূজা মন্ডপ পরিদর্শন
বাজুয়া (দাকোপ) প্রতিনিধি
খুলনার দাকোপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ আবুল হোসেন শারদীয় দূর্গা উৎসবে পূজারীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং মন্দির পরিদর্শন কালে তিনি অনুদান প্রদান করেন। শনিবার সকালে তিনি গাড়ী বহর নিয়ে উপজেলার কামারখোলা ও সুতারখালী ইউনিয়নের সকল মন্দির পরিদর্শন করেন। মহাসপ্তমীতে আগত পূজারী এবং মন্দির কমিটির সাথে তিনি শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে প্রতিটি মন্দিরে ১ হাজার টাকা করে অনুদান দেন। এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ আবদুল কাদের, চালনা পৌরসভার মেয়র সনত কুমার বিশ্বাস, কামারখোলা ইউপি চেয়ারম্যান পঞ্চানন মন্ডল, উপজেলা আ.লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবিএম রুহুল আমিন, চালনা পৌরসভা আ.লীগের সভাপতি শেখ শফিকুল ইসলাম আক্কেল, ইউনিয়ন আ.লীগ সভাপতি স্বপন কুমার সরকার, সরোজিত রায় কুঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক জুলফিক্কার গাজী জুলু, জ্যোতি শংকর রায়, অরবিন্দু সরদার, ক্ষিতিশ চন্দ্র রায়, মৃনাল কান্তি মল্লিক, উপজেলা আ’লীগনেতা সুশংকর বাছাড় চিকন, বিধান চন্দ্র বিশ্বাস, আজগর হোসেন ছাব্বির, পৌরসভার প্যানেল মেয়র শেখ মেহেদী হাসান বুলবুল, যুবনেতা দেবব্রত সরকার দেবু, রতন কুমার মন্ডল, কাউন্সিলর আঃ গফুর সানা, আঃ সাত্তার সরদার, নাসিমা বেগম, মনিরুল ইসলাম শিকদার, প্রশান্ত গোলদার, আঃ হান্নান সানা, সরদার হারুনুর রশিদ, স্বপ্না রানী সরদার, ইউপি সদস্য নুর ইসলাম শেখ, রাশেদুল ইসলাম বাবু, পরিমল বিশ্বাস, লুৎফর গাজী, হাতেম শেখ, বায়েজিদ শেখ, ভবতোষ মন্ডল, ডাঃ অমৃত্যু বৈদ্য, পাবক মিস্ত্রিী, অসিত মন্ডল, ননী গোপাল মাঝি, ইয়াসিন আরাফাত, হিমাংশু রায়, সুরঞ্জন মন্ডল, হাসান আল জাবেদ শিমুল, অনিক হাসান পারভেজ, মাহমুদুল হাসান আলমগীর, শহিদুল গাজী, রকিব হাসান, সুজিত রায়, কেসি সরদার, শফিজ উদ্দিন, সুজয় গোলদার, তপন মন্ডল, দিপাঞ্জন রায়, বিধান রায়, আমির আলী শেখ, পল্লব রায়, জাবের আলী গাজী, ডাঃ মদন মোহন মন্ডল, অনুপম আদিত্য সরকার, বিপ্রদাস মন্ডল, জাকির হোসেন, গাজী আজিজুল ইসলাম, বিপুল মন্ডল প্রমুখ।
‘ডিম আমদানী সমাধান নয়Ñঘোষিত মূল্য কার্যকর করতে খাদ্য-বাচ্চা-ওষুধের দাম নির্ধারণ জরুরী’
খবর বিজ্ঞপ্তি
বিপিআইএফ-এর খুলনা বিভাগীয় কমিটি : খুলনা পোল্ট্রি ফিশ ফিড শিল্প মালিক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের এক সভা গতকাল ২০ অক্টোবর শুক্রবার রাত ৮টায় নগরীর ডালমিল মোড়স্থ কার্যালয়ে সংগঠনের সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা ইব্রাহিম ফয়জল্লাহ’র সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও খুলনার মহাসচিব প্রাণিপ্রেমী এস এম সোহরাব হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, ডিম আমদানী ও মূল্য নিধারণ সমাধান নয়; তা কার্যকর করতে নানামুখী উদ্যোগ ও মাঠ পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারিভাবে কঠোর মনিটারিং জরুরী। ডিমের উৎপাদন খরচ কমাতে খামারীদের সহায়তাসহ ভোক্তা সাধারণকে ন্যায্যমূল্যে সরবরাহের জন্য পাইকারী মুরগী-ডিম-দুধের বাজার স্থাপন এখন সময়ের দাবী। ডিম আমদানীর সিদ্ধান্ত পোল্ট্রি শিল্পকে পরনির্ভরশীল করার দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করে সভায় সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করে মুরগীর বাচ্চা-খাদ্য-ওষুধের মূল্য পূর্বে ন্যায় করার দাবী করা হয়। নতুবা বহুসংখ্যক খামারী, ব্যবসায়ীদের পথে বসার উপক্রম বলে জানান নেতৃবৃন্দ। বহুজাতিক দেশী-বিদেশী কোম্পানির আগ্রাসন রুখতে ক্ষুদ্র-মাঝারী খামারী-ব্যবসায়ীদের বাঁচাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীসহ সয়শ্লিষ্ট সকলের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। এ সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি সৈয়দ মোঃ বেলাল হোসেন, সহ-সভাপতি শেখ রেজানুল ইসলাম, মোঃ জাফর, প্রফুল্ল কুমার রায়, যুগ্ম মহাসচিব আলহাজ্ব আরিফুল রহমান বাবু, এস এম হাফিজুর রহমান লিপু, কোষাধ্যক্ষ আলহাজ্ব মামুনুর রহমান, প্রচার সম্পাদক শেখ আব্দুল হালিম, সঞ্চয় ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক, নির্বাহী সদস্য শাহ জাফর মামুদ মেহেতা, অফিস সহকারী রফিকুল ইসলাম হাওলাদার প্রমুখ।
ইসরায়েল কর্তৃক বর্বর বোমা হামলার প্রতিবাদে “প্রতিবাদী মানববন্ধন” কর্মসূচী পালন
খবর বিজ্ঞপ্তি
২১শে অক্টোবর ২০২৩ইং, শনিবার, দুপুর ১২:০০ মিনিটে বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স এসোসিয়েশন (বিপিএইচসিডিওএ), খুলনা জেলা শাখার উদ্যোগে ফিলিস্তিনের গাজায় আল আহলি হাসপাতালে ইসরায়েল কর্তৃক বর্বর বোমা হামলার প্রতিবাদে “প্রতিবাদী মানববন্ধন” বিএমএ, ভবনের সমূখে সাত রাস্তার মোড়ে শহীদ ডা. মিলন চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত হয়।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে সারাদেশে গতকাল শোক পালন করা হয় এবং দেশের সকল মসজিদ, মন্দির, গীরজায় প্রার্থনা করা হয়। উক্ত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন যে, জাতীসংঘের জেনেভা কনভেন্স কে উপেক্ষিত করে ফিলিস্তিনের গাজায় আল আহলি হাসপাতালে চিকিৎসাকর্মী, নিরীহ মানুষ থাকে সেখানে ইসরায়েলের বর্বর বোমা হামলায় পাঁচ শতাধিক রোগী মৃত্যুবরণ করায় বিপিএইচসিডিওএ, খুলনা জেলা শাখা গভীরভাবে শোকাহত এবং এহেন কর্মকান্ডে তীব্র-নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং যুদ্ধ ও সন্ত্রাস মুক্ত ফিলিস্তিনির জোর দাবী জানান।
উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিপিএইচসিডিওএ-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি, বিভাগীয় কমিটির সভাপতি, খুলনা জেলা শাখার সংগ্রামী সভাপতি ও গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডা. গাজী মিজানুর রহমান। অত্র সংগঠনের সহ-সভাপতি ও খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো: মোস্তফা কামাল, সহ-সভাপতি ও বয়রা ক্লিনিকের পরিচালক ডা. মোল্লা হারুন-অর-রশীদ, সহ-সভাপতি ও গাজী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. বঙ্গ কমল বসু এবং সংগঠনের বলিষ্ঠ সাধারণ সম্পাদক ও আইডিয়াল নাসিং হোমের পরিচালক ডা. গৌতম রায়। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের যুগ্ম-সম্পাদক ও নিউ লাইফ নাসিং হোমের পরিচালক ডা. বিশ্বজিৎ সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনাইটেড হসপিটালের পরিচালক জনাব বিপ্লব বিশ্বাস, প্রচার ও জনসংযোগ সম্পাদক ডা. বিশ^জিৎ সরকার, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ও বসুন্ধরা ডায়াগনস্টিকের পরিচালক শামীম আরা নীলা, মিডিয়া-জনসংযোগ সম্পাদক ও খাদিজা নাসিং হোমের পরিচালক পাপিয়া সারোয়ার শিউলী, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও প্যাসিফিক ডায়াগনস্টিকের পরিচালক অসীত বরণ বিশ্বাস, কার্যকরী পরিষদের সিনিয়র সদস্য ও লাজ ক্লিনিক এন্ড হেলথ কেয়ারের পরিচালক ডা. সৈয়েদা জাহানারা মাহমুদ, মর্ডান ডায়াগনস্টিকের পরিচালক জনাব মো: হাবিবুর রহমান, খুলনা ক্লিনিকের পরিচালক ডা. মো: মেহেদী হাসান, ইউনাইটেড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক বাবু উত্তম গুপ্ত, পাল্প ডেন্টাল হাসপাতালের পরিচালকবৃন্দ ডা. মো: নাজমুস সাদাত ও ডা. পিয়াস দাস, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের নেতৃবৃন্দ, বেস্ট কেয়ার ক্লিনিকের পরিচালক অনুপ রায়, ডা. বিপ্লব কুমার রায়, ডা. মো: আবুল হাসনাত, ডা. মোস্তফা-আল-মামুন, গরীব নেওয়াজ ক্লিনিকের নেতৃবৃন্দ, সিটি ইমেজিং সেন্টারের নেতৃবৃন্দ সহ প্রতিবাদী মানববন্ধন কর্মসূচীতে খুলনা শহরের সকল বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সকল পর্যায়ের চিকিৎসকবৃন্দ, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে উপস্থিত ছিলেন।
সাবেক শিক্ষামন্ত্রী আমজাদ হোসেন স্মরণে দোয়া
খবর বিজ্ঞপ্তি
সাবেক শিক্ষামন্ত্রী এ্যাডভোকেট এস.এম. আমজাদ হোসেনের দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শনিবার জোহরবাদ রূপসার আইচগাতী দেয়াড়া নিজ গ্রামের বাইতুল মামুন হাফিজীয়া মাদ্রাসায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া নগরীর মতি মসজিদ, আলীয়া মাদ্রাসা ও দারুণ উলুম মাদ্রাসাসহ কয়েকটি মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অপরদিকে কয়েকটি এতিমখানায় খাদ্য বিতরণ করা হয়। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মরহুমের কনিষ্ঠ পুত্র আমেরিকা প্রবাসী এস এম সোহেল রানাসহ পারিবারের সকল সদস্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
আমজাদ হোসেন ১৯৫৭ সালে জাহানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের কমিশনার নির্বাচিত হন। ১৯৬২ সালে প্রদেশিক আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তানের শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সময় তিনি সারা দেশসহ এ অঞ্চলের শিক্ষা প্রসারে দুই শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। জাতীয়করণও করেন অনেক স্কুল-কলেজ। তিনি খুলনা আজম খান কমার্স কলেজ ও সিটি ল’ কলেজের শিক্ষক ছিলেন। ছিলেন খুলনা আইনজীবী সমিতির এক নম্বর সদস্য; পরবর্তীতে সভাপতিও। বিজ্ঞ আইনজীবী ছাড়াও তিনি একাধারে সমাজসেবক, শিক্ষানুরাগী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও ভাষা সৈনিক ছিলেন। তাই এমন গুণী মানুষটিকে মানুষ যুগ যুগ ধরে স্মরণ করবে।
রূপসায় অবসারপ্রাপ্ত শিক্ষককে মারপিট, থানায় জিডি
রূপসা প্রতিনিধি
রূপসায় জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে মারপিট করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২১ অক্টোবর সকালে উপজেলার খাজাডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহতের ছেলে কলেজ শিক্ষক ওয়াহিদুজ্জামান থানায় জিডি করেছে। যার জিডি নং ১০৮৯।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, উপজেলার টিএসবি ইউনিয়নের খাজাডাঙ্গা গ্রামের মৃত মুন্সি আফতাব উদ্দীনের ছেলে মুন্সি আবু তাহের ও মুন্সি নাইম উদ্দীনের সাথে অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক মোঃ আবু মূসার সাথে দীর্ঘ দিনের বিরোধ চলে আসছিলো। এদিকে ২১ অক্টোবর সকাল ১০ টার দিকে শিক্ষক আবু মুসা তার বাড়ির দক্ষিণ সীমানার ঘেরা-বেড়া দিতে গেলে উক্ত আবু তাহের ও নাইম তাকে অশ্লিলভাষায় গালিগালাজ ও মারপিট করে। এসম আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও জীবননাশের হুমকি দিয়ে তারা চলে যায়।
রূপসায় ভিষন এশিয়া জুটমিলে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড
রূপসা প্রতিনিধি
রূপসা উপজেলার ঘাটভোগ ইউনিয়নের পিঠাভোগ এলাকায় ভিসন এশিয়া জুটমিলের গোডাউনে ২১অক্টোবর (শনিবার) দুপুর সোয়া ১২টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রতাক্ষদর্শী ও এলাকাবাসি জানায় বেলা সোয়া ১২টার দিকে উপজেলার পিঠাভোগ ভিশন এশিয়া জুট মিলের পাটবোঝাই গোডাউনে আগুন লাগে। মুহুর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিক্ষার সাথে ধোয়ার কুন্ডলি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় লোকজন ও মিলের শ্রমিকরা আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টার করে ব্যার্থ হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে প্রায় পৌনে ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। আগুনে পুড়ে জুটমিলের গাড়ী ও গোডাউনের সেড ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ে কাজ চলছে।
খুলনা ফায়ার সার্ভিসের সহাকরী পরিচালক মো. ফারুক হোসেন শিকদার বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে খুলনা সদর, রূপসা ও তেরখাদার ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় ২ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে।
ভিসন জুট মিলের এমডি মোঃ আরিফুল ইসলাম বলেন, আমি খুলনা অফিসে ছিলাম, আগুন লাগার সংবাদ শুনে ফায়ার সার্ভিসকে অবগত করি এবং তাৎক্ষণিকভাবে মিলে ছুটে আসি। এসে দেখি মিলের শ্রমিক, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ও এলাকাবাসী মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে চাইলে তিনি বলেন আনুমানিক ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে হিসাবের পর বিস্তারিত জানাতে পারব।
রূপসায় বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
রূপসা প্রতিনিধি
রূপসা উপজেলার ঘাটভোগ ইউনিয়নের পুটিমারী গ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মোঃ জাবের আলী মোল্লা (৩৫) এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। সে ওই গ্রামের মোঃ আব্বাছ আলী মোল্লার ছেলে। ২০ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে রূপসা থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, জাবের মোল্লা নিজস্ব মৎস্য ঘেরের পাড়ে রোপনকৃত টমেটো গাছে সেচ দেওয়ার সময় অসাবধানতাবশত বিদ্যুৎ সংযোগ তারের লীক অংশে স্পর্স করে। সাথে সাথে সে পানিতে পড়ে যায়। এদিকে বাড়িতে অটোমেটিক বৈদ্যুতিক মিটার থাকার কারণে বাড়ীর লোকজন বুঝতে পারে বিদ্যুতের শর্টসার্কিট হয়েছে। তাৎক্ষণিক তারা জাবেরকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। এক পর্য়ায় জাবেরকে ঘেরের পানি থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে রূপসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। উল্লেখ্য মোঃ জাবের আলী মোল্লার ছোট ভাই জোবায়ের মোল্লা ১৮ সালে একইভাবে বিদ্যুতের সর্ট সার্কিট হয়ে মৃত্যু বরণ করেন। বর্তমানে জাবের আলী মোল্লার বাড়িতে শোকের মাতুম চলছে।
খুলনা খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা বিশ^বিদ্যালয়ে সপ্তাহব্যাপী শহিদ শেখ রাসেল আন্ত:বিভাগীয় বির্তক প্রতিযোগিতা
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা বিশ^বিদ্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহিদ শেখ রাসেলের জন্মদিন ও ‘শেখ রাসেল দিবস-২০২৩’ উপলক্ষ্যে শেখ রাসেল আন্ত:বিভাগীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। শেখ রাসেল দীপ্তিময়, নির্ভীক নির্মল দুর্জয়’ প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে বির্তকের শিরোনাম দেওয়া হয় “জীবনকে অর্থবহ করতে হলে সম্পদ নয়, মানবিক মূল্যবোধ অধিক প্রয়োজন।” কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ মাহমুদ আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শাহেদ আকন্দ। অনুষ্ঠিত বির্তক প্রতিযোগিতায় কম্পিউটার সায়েন্স এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ বিজয়ী হয় এবং ইংরেজি বিভাগ রানার্স আপ হয়। শ্রেষ্ঠ বিতার্কিক নির্বাচিত হয় সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী মুরাদ হোসেন। বক্তারা শিক্ষার্থীদের সুন্দর জীবন গঠনে লেখাপড়ার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ, চর্চা ও বাস্তব জীবনে প্রয়োগের আহ্বান জানান। বির্তক প্রতিযোগিতা সুশীল সমাজ গঠন ও জাতিকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা বিতর্কে অংশ গ্রহণ করে তাদের সৃজনশীল মেধা বিকাশের মাধ্যমে দেশ ও জাতির বহুল প্রত্যাশিত ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপান্তরে অংশীদার হিসেবে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানের জয়ী ও বিজেতা উভয় দলকে পুরুষ্কৃত করা হয়।
            
		








































