স্টাফ রিপোর্টার।।
খুলনায় হাই-টেক পার্ক নির্মাণকাজ চলছে খুবই ধীরগতিতে। প্রকল্প অনুমোদনের ছয় বছর পর কাজের অগ্রগতি হয়েছে মাত্র ২০ শতাংশ। বাকি কাজ নির্ধারিত সময় আগামী বছরের জুনে শেষ হচ্ছে না। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য প্রস্তাবনা দেওয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় প্রকল্পের সুফল পেতে অপেক্ষা করতে হবে প্রথম মেয়াদের পর আরও তিন বছর। বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ খুলনা মহানগরীর লবণচরা এলাকায় দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরির ৩ দশমিক ৫৯ একর জমিতে হাই-টেক পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ২০১৭ সালের ২৫ এপ্রিল প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন পায়। প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল ধরা হয় ২০১৭ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। কিন্তু বিভিন্ন জটিলতার কারণে প্রকল্পের কাজ শুরু হয় অনেক দেরিতে। ২০২২ সালের ১৪ জুন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক খুলনায় হাই-টেক পার্ক নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রকল্পের আওতায় রয়েছে– স্টিলের কাঠামোর সাততলা ভবন ও একটি সিনেপ্লেক্স ভবন নির্মাণ, সীমানাপ্রাচীর, গেস্ট হাউস ও অভ্যন্তরীণ রাস্তা নির্মাণ, অভ্যন্তরীণ ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও ওয়াকওয়ে, নলকূপ স্থাপন ও অভ্যন্তরীণ পানি সরবরাহ এবং ইলেক্ট্রোমেকানিক্যাল কাজ। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ১৭০ কোটি টাকা। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের প্রায় ছয় মাস পর ২০২২ সালের নভেম্বরে সাততলা ভবন নির্মাণকাজ শুরু হয়। ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লার্সেন অ্যান্ড টুব্রো এ কাজ করছে। এ ভবনের পাইলিং কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। সরেজমিন দেখা যায়, এখন পিলার নির্মাণের জন্য রড বাধা হচ্ছে। প্রকল্প এলাকায় বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও নির্মাণসামগ্রী রাখা রয়েছে। এ ব্যাপারে খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মো. বাবুল হাওলাদার বলেন, প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল শেষ হতে যাচ্ছে, অথচ কাজের অগ্রগতি হয়েছে মাত্র ২০ শতাংশ। সরকারি অধিকাংশ কাজে এমন ধীরগতির কারণে প্রকল্প ব্যয় বেড়ে যায়। এই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লে তখন ব্যয়ও বাড়তে পারে।
এ ব্যাপারে প্রকল্প পরিচালক এ কে এ এম ফজলুল হক বলেন, জমি অধিগ্রহণ এবং করোনা পরিস্থিতির কারণে নির্মাণকাজ শুরু করতে দেরি হয়েছে। এখন দ্রুতগতিতে সাততলা ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এটির পর সিনেপ্লেক্স ভবন নির্মাণ করা হবে। তিনি জানান, প্রকল্পের মেয়াদ আগামী জুন মাসে শেষ হচ্ছে। তবে নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে কাজ শেষ করা সম্ভব হবে না। সে কারণে ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য প্রস্তাবনা দেওয়া হচ্ছে। চেষ্টা করা হবে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে যেন কাজ শেষ হয়। প্রকল্প পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, খুলনা হাই-টেক পার্কে প্রতিবছর এক হাজার তরুণ-তরুণীকে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে মোট তিন হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।