
১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা টেক্সটাইল মিলস কলোনী মাঠে দ্বিতীয়বারের মতো ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাপ ঘরোয়া ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৪.৩০ মিনিটে প্রধান অতিথি হিসেবে এ টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন সোনাডাঙ্গা আইফুল স্মৃতি সংঘের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. নূর ইসলাম ফরাজী।
যুবলীগ নেতা জালাল মৃধার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আইফুল স্মৃতি সংঘের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলম শরীফ, সোনাডাঙ্গা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি জনি বসু, ১৭নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন ও আলাউদ্দিন মৃধা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আয়োজক কমিটির সদস্য শাকিল হোসেন, কাশেম ফরাজী ও রাহাত জোমাদ্দার।
এদিকে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে হোচট খেয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দুরন্ত পার্টনার্স। এমআর বয়েজ ক্লাবের কাছে তারা টাইব্রেকারে ৬-৫ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়। এর আগে নির্ধারিত ৬০ মিনিটে দু’দলই ১টি করে গোল করে। ফলে টাইব্রেকারে ফলাফল নির্ধারিত হয়।
খুলনার দাকোপে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস ২০২৩ উপলক্ষে আলোচনা সভা
বাজুয়া (দাকোপ) প্রতিনিধি
সেবা ও উন্নতির দক্ষ রুপকার উন্নয়নে উদ্ভাবনে স্থানীয় সরকার এ প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে খুলনার দাকোপ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস উন্নয়ন মেলা -২৩ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯ ই সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১১টায় দাকোপ উপজেলা পরিষদ চত্বরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ৩ দিন ব্যাপী এ মেলার শেষ দিনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দাকোপ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়দেব চক্রবর্তী। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন খুলনা -১ আসনের সাংসদ ও হুইপ পঞ্চানন বিশ্বাস, মান্যবর অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মহিলা আসন ৩০ সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এ্যাডঃ গ্লোরিয়া ঝর্না সরকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দাকোপ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুনসুর আলী খান, দাকোপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ আবুল হোসেন, চালনা পৌরসভার মেয়র সনত কুমার বিশ্বাস, সভায় বক্তব্য দেন দাকোপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিনয় কৃষ্ণ রায়, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গৌরপদ বাছাড়, দাকোপ থানা অফিসার ইনচার্জ উজ্জ্বল কুমার দক্ত, বাজুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মানস কুমার রায়,। দাকোপ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুরাইয়া সিদ্দিকার সঞ্চালয় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী সহকারী কর্মকর্তা মোঃ শামিমুর রহমান, বক্তব্য দেন উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ শফিকুল ইসলাম, দাকোপ উপজেলা সমাজসেবা অফিসার প্রজিৎ রায় , দাকোপ প্রেসক্লাব সভাপতি গোবিন্দ বিশ্বাস, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ যুবরাজ, পঞ্চানন মন্ডল, শেখ সাব্বির আহম্মেদ, সুদেব রায়। সভায় উপস্থিত ছিলেন দাকোপ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ ইউপি সদস্য, উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা গন সহ স্কুল, কলেজর ছাত্র ছাত্রীবৃন্দ সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিক গন এবং সুধীজন।
শ্যামনগরে এনগেজ প্রকল্পে নারীদের নেতৃত্ব উন্নয়ন ও সংগঠন ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ
শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
সিসিডিবি একটি উন্নয়নমুলক বেসরকারী সংস্থা। সংস্থাটি মানুষের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। সিসিডিবি-এনগেজ প্রকল্প নারীদের নেতৃত্ব উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে।
সেই লক্ষ্যে ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখ সকাল ১০:০০ টায় শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জে সিসিডিবি-এনগেজ প্রকল্প অফিসে প্রকল্পের নারী সদস্যদের ২ দিন ব্যাপী নেতৃত্ব উন্নয়ন ও সংগঠন ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।
উক্ত প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের পরিষদের ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ড এর মহিলা ইউপি সদস্য নিপা চক্রবর্তী, উপস্থিত ছিলেন এনগেজ প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার নিলীমা রাণী, প্রকল্পের অন্যান্য কর্মীবৃন্দ ও এনগেজ প্রকল্পের নারী সদস্যরা ।
প্রধান অতিথি বলেন, নারীদের আর পিছিয়ে থাকার সময় নেই। নারীদেরকে নেতৃত্ব দিতে হবে। নারী নেতৃত্বের মাধ্যমে নারীদেরকে এগিয়ে নিতে হবে। সমাজে যারা পিছিয়ে আছে তাদেরকে সহযোগিতা করতে হবে। নারীদের নিয়ে এমন ব্যতিক্রমী প্রশিক্ষণের আয়োজন করার জন্য সিসিডিবিকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
উন্নয়ন মানে শেখ হাসিনা, আর শেখ হাসিনা মানে বাংলাদেশ: ডা: আ.ফ. ম রুহুল হক এমপি
জ্বলেমিন হোসেন,আশাশুনি
জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে দেশে উন্নয়ন হয়, আর ক্ষমতায় না থাকলে দেশে খুন, দুর্নীতি আর মাদকের আসরের স্থান তৈরি হয়। উন্নয়ন মানে শেখ হাসিনা, আর শেখ হাসিনা মানে বাংলাদেশ। সরকার সকল বয়স্কদের বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, শিক্ষা সহায়তা, গৃহহীনের গৃহপ্রদান সহ দেশের মানুষের ব্যক্তিগতভাবে অসংখ্য উপকার করেছেন। যার ফলে আমি তিন তিনবার আপনাদের ভোটে নির্বচিত হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে আপনাদের উপকার ও উন্নয়নে কাজ করতে পেরেছি। মঙ্গলবার বিকালে আশাশুনি উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস উন্নয়ন মেলা’২৩ সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অধ্যাপক ডা. আ.প.ম রুহুল হক এমপি উপরোক্ত কথা বলেন। তিনি সারা দেশের ন্যয় সাতক্ষীরা ও সাতক্ষীরা জেলার সংসদীয় আসন-৩ এ অভাবনীয় উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরে বলেন, সাতক্ষীরাতে অতিসত্ত্বর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করার কার্যক্রম চলছে। তিনি আরো বলেন আবারো নৌকা প্রতীক নিয়ে আপনাদের পাশে আসব, তখন আপনারা আমাকে ফিরিয়ে দিতে পারবেন না ইনশাল্লাহ্।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নুরের সভাপতিত্বে ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আলহাজ্ব এসএম আজিজুল হকের উপস্থাপনায় উন্নয়ন মেলায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অসীম বরণ চক্রবর্তী, থানা অফিসার ইনচার্জ বিশ্বজিৎ কুমার অধিকারি, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক শম্ভু চরণ মন্ডল, আশাশুনি সদর ইউপি চেয়ারম্যান এস, এম হোসেনুজ্জামান হোসেন ও সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল হান্নান। এ সময় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের অফিস প্রধানগণ ও বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যাগণ, স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ ও বর্তমান সরকারের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার উপকারভোগীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর তিন দিন ব্যপী উন্নয়ন মেলায় সমাপনীতে ২০ স্টলের প্রদর্শনীতে প্রথম স্থান অধিকারী বুধহাটা ইউনিয়ন পরিষদ, দ্বিতীয় স্থান অধিকারী উপজেলা প্রকৌশলী অফিস ও তৃতীয় স্থান অধিকারী প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদকে ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়।
আশাশুনিতে নৌকায় ভোট চেয়ে মোস্তাকিম এর পক্ষে জনসংযোগ
আশাশুনি প্রতিনিধি
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সাতক্ষীরা ৩ আসনের এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী আশাশুনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এবিএম মোস্তাকিম এর দিকনির্দেশনায় ও সার্বিক ব্যবস্থাপনায় নৌকায় ভোট চেয়ে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরন করা হয়েছে। মঙ্গলবার উপজেলার বড়দল ইউনিয়নে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকারের উন্নয়নের তথ্য তুলে ধরে বড়দল ইউনিয়নের গোয়ালডাঙ্গা বাজারে লিফলেট বিতরণ ও জনসংযোগ করা হয়। জনতার উদ্দেশ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও বড়দল ইউপি চেয়ারম্যান জগদীশ চন্দ্র সানা, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন, টানা তৃতীয়বারের মত ক্ষমতায় থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনা সুবিধা বঞ্চিত মানুষের বিভিন্ন ধরনের ভাতার ব্যবস্থা, বিনামূল্যে নতুন বই বিতরণ, উপবৃত্তি প্রদান, প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ নির্মাণ, সার্বজনীন পেনশন স্কিম বাস্তবায়ন সহ অসংখ্য ব্রিজ রেললাইন স্থাপন ও নতুন নতুন রাস্তা তৈরি করে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত সহ দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়েছে। যে কারণে আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল ও ডিজিটাল দেশে পরিণত হয়েছে। আগামী ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিয়ে মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য আবারো জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করার আহ্বান জানান। উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সামাদ বাচ্চু বলেন, জননেতা আলহাজ্ব এবিএম মোস্তাকিম ভাই সাতক্ষীরা ৩ আসনে আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠন এবং সাধারণ মানুষের আশা ভরসা ভালোবাসার মানুষ। তাকে যদি আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা ৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন দেওয়া হয় তাহলে এই আসনে নৌকা বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে। এ সময় মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী ও ইউপি সদস্য হাফিজা খাতুন তমা, আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুল ইসলাম, বদিয়ার রহমান, তৈয়বুর রহমান তৈবার, উপজেলা কৃষকলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এম এম সাহেব আলী, ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান ডালিম, বড়দল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আবু রায়হান সুমন, ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের সাধারণ সম্পাদক মুর্শিদ আলম, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আশাশুনি কৃষি অফিসে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত
আশাশুনি প্রতিনিধি
আশাশুনি উপজেলা কৃষি অফিসে উপ-সহকারী কৃষি অফিসার অরবিন্দু কুমার মণ্ডলকে অবসর জনিত বিদায় সংবর্ধনা প্রদান তরা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা কৃষি অফিসের কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র মিলনায়তনে এ সংবর্ধনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ এস এম এনামুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বিদায়ী উপ সহকারী কৃষি অফিসার অরবিন্দু কুমার মন্ডল, এসএপিেিপা বিল্লাল হোসেনসহ উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্দাবৃন্দ আলোচসা রাখেন। অবসরপ্রাপ্ত বিদায়ী উপ মহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুদীর্ঘ কর্মজীবনে সফলতা ও দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করে এসেছেন। সবশেষে বিদায়ী অতিথিকে বিভিন্ন উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়।
রামপালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়েছে
রামপাল (বাগেরহাট) সংবাদদাতা
রামপালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন-ই ৩-৪ জন রোগী ভর্তি হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এভাবে ডেঙ্গু রোগী বাড়তে থাকলে পরিস্হিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে বলা আশংকা করছেন চিকিৎসকগণ।
রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা সুকান্ত কুমার পাল জানান, উপজেলা পর্যয়ে ডেঙ্গুর প্রাদূর্ভব ছড়িয়ে পড়েছে। গত জুন মাসের ৯ তারিখ থেকে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি করা শুরু করা হয়। জুন থেকে আগষ্টের মাঝামাঝি পর্যন্ত রোগীর সংখ্যা স্বাভাবিক থাকলেও এরপর থেকে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। গত সাড়ে ৩ মাসে ৩৩০ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ২০ জন রোগী ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে ৭ জন পুরুষ ও ১৩ জন মহিলা রোগী। সেপ্টেম্বর মাসে রোগীর সংখ্যা কমার আশা করা হলেও বরং আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সার্বিকভাবে এ উপজেলা ডেঙ্গুর ভয়াবহতা ধারণ করেছে। ডেঙ্গুর রোগ বাহিত এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে উপজেলার কয়েকটি স্থানে সচেতনতামূলক সভা করা হলেও এর তেমন কোন প্রভাব পড়েনি বলে হতাশা ব্যাক্ত করেন ওই কর্মকর্তা।#
রামপালে জামায়াতের সাবেক আমীর বারী খানের জানাযা সম্পন্ন
রামপাল (বাগেরহাট) সংবাদদাতা
বাগেরহাটের রামপালে শ্রীফলতলা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমীর এবং সাংবাদিক বজলুর রহমানের পিতা মাষ্টার আ. বারী খান (৭৮) এর জানাযা সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) আসরবাদ শ্রীফলতলা স্বর্ণার মাঠে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে নানান অসুখে ভুগছিলেন। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯ টায় খুলনাস্থ তার পুত্রের বাসায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তিনি ৭ পুত্র ও ১ কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান।
তার জানাযা নামাজে শরীক হন রামপাল উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শেখ হাফিজুর রহমান তুহিন, জেলা জামায়াতের আমীর এ্যাডভোকেট মাওলানা শেখ আ. ওয়াদুদ, জেলা নায়েব আমীর মাওলানা মো. রেজাউল করিমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ।
অর্ঘ্যের পাশে দাঁড়ালো কেশবপুর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা ও হোটেল জাবির ইন্টারন্যাশনাল
আলমগীর হোসেন কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি
যশোর জেলা অনুর্ধ্ব-১৪ ক্রিকেট দলে সুযোগ পেল কেশবপুরের অর্ঘ্য ঘোষ। সে দলে উইকেট কিপার ও ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলছে। অর্ঘ্য ঘোষ উপজেলার মজিদপুর গ্রামের মৃত সমীর ঘোষের ছেলে ও কেশবপুর মধুশিক্ষা নিকেতনের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
কেশবপুর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে অর্ঘ্য ঘোষকে ক্রীড়া সামগ্রী ও হোটেল জাবির ইন্টারন্যাশনালের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জয় সাহার পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে ওই খেলোয়াড়ের হাতে ক্রীড়া সামগ্রী ও আর্থিক সহায়তা তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেনসহ অতিথিবৃন্দ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পলাশ কুমার মল্লিক, কেশবপুর সরকারি পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ আছাদুজ্জামান, সহকারী অধ্যাপক মশিউর রহমান, উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইনস্ট্রাক্টর রবিউল ইসলাম, সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন আলা, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম খান প্রমুখ।
খেলাধুলার মাধ্যমে এলাকার সুনাম বয়ে আনাসহ সে ভবিষ্যতে জাতীয় ক্রিকেট দলে খেলতে চায় বলে অর্ঘ্য ঘোষ জানায়। সে সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।
মাগুরার মহম্মদপুরে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস-২০২৩ উদযাপন
নওয়াব আলী মাগুরাঃ
মাগুরার মহম্মদপুরে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী উন্নয়ন মেলার মঙ্গলবার শেষ হয়েছে। রোববার সকাল ১০টায় মাগুরা-২ আসনের সাংসদ ও সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. শ্রী বীরেন শিকদার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলার উদ্বোধন করেন ।
উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের প্রধান গেট থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি মহম্মদপুর বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মেলা প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। র্যালি শেষে এ মেলার উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন শেষে মেলার স্টলগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন সংসদ সদস্য । পরে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামানন্দ পালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য ড. বীরেন শিকদার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন অফিসার ইনচার্জ ওসি বোরহান উল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত আলী, উপজেলা প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার মোঃ সাদ্দাম হোসাইন, সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুর রব, চেয়ারম্যান শিকদার মিজানুর রহমান, ইকবাল আক্তার কাফুর উজ্জল, তৈয়েবুর রহমান তৈয়ব প্রমুখ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, সকল ইউপি সদস্য, সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণ। মেলায় বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ১০টি স্টল অংশ নেয়।
রূপসায় বাজার মনিটরিং ও নিয়ন্ত্রণ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
রূপসা প্রতিনিধি
রূপসা উপজেলা বাজার মূল্য পর্যবেক্ষণ, মনিটরিং ও নিয়ন্ত্রণ কমিটির এক সভা উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত ১৯সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় রূপসা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এর কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনুর জাহান।
এ সময় তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের প্রয়োজনীয় কিছু পণ্যের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য বেঁধে দিয়েছে সরকার।
এখন থেকে খুচরা পর্যায়ে প্রতিটি ডিমের দাম হবে সর্বোচ্চ ১২ টাকা, প্রতি কেজি আলু ৩৬ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ৬৫ টাকা।
কোনো কারণ ছাড়াই বাজারে অনেক পণ্যের দাম বেড়েছে। এর মধ্যে আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের মতো গুরুত্বপূর্ণ পণ্যও রয়েছে। এখন ন্যায্য দাম কার্যকর হবে।
সেই তালিকা অনুযায়ী প্রতিটা ব্যবসায়ীকে বিক্রয় করতে হবে। সরকারের তালিকার বাইরে কোনো পন্য বিক্রয় হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা আফরোজ মনা, কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ফরিদুজ্জামান, এস আই ইব্রাহিম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য আব্দুল মজিদ ফকির,
উপজেলা হাটবাজার সমিতির আহবায়ক মো: জুলফিকার আলী, সদস্য সচিব আরিফুর ইব্রাহিম, ইসলাম সরদার, এহতে শামুল হক অপু, তৌহিদ উদ্দিন শেখ, আরাফাত হোসাইন, নাজমুল হোসাইন, গিয়াস কামাল, ইউসুফ শেখ, হাফিজুর রহমান, কামরুল ইসলাম, নাহিদ জামান, স্বপন স্বর্ণকার, রকিব হোসেন, আরব আলী সরদার, হাজী বাবুল, ভক্ত কুমার দাস সহ বিভিন্ন বাজারের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ।
রূপসায় ৪ দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত
রূপসা প্রতিনিধি
রূপসায় ঘাটভোগ ইউনিয়নের শিয়ালী গ্রামবাসী আয়োজিত ৪ দলীয় বঙ্গবন্ধু কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিকালে শিয়ালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে অনুষ্ঠিত হয় । ফাইনাল খেলা শিয়ালী সিএস মিলন একাদশ ও হাড়িখালি ফুটবল একাদশের মধ্য অনুষ্ঠিত হয়। ফাইনাল খেলায় হাড়িখালি একাদশকে ২-০ গোলে হারিয়ে শিয়ালী সিএস মিলন একাদশ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন খুলনা মহানগর যুবলীগের সভাপতি সফিকুর রহমান পলাশ। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শিয়ালী ক্যাম্পের ক্যাম্প ইনচার্জ এফ এম মোস্তফিজুর রহমান, আওয়ামীলীগ নেতা আলমগীর মল্লিক,রূপসা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শক্তিপদ বসু।
সমাজসেবক কানাই লাল ধরের সভাপতিত্বে ও যুবলীগ নেতা গিরি তরফদারের পরিচালনায় বক্তৃতা করেন এস আই রামপ্রসাদ সরকার,আওয়ামীলীগ নেতা মৃন্ময় ধর শিপন,নাসির হোসেন সজল, ইউপি সদস্য সমর কুমার মন্ডল,দিবাংশু মালাকার মনি,শিক্ষক শোভন মালাকার, নেয়ার রঞ্জন তরফদার,রঞ্জু হালদার,শুভঙ্কর রায়,মুসা মোল্যা সবুজ,পিন্টু মল্লিক,ছাত্রলীগ নেতা জহির আব্বাস, মুক্তাজুল ইসলাম সোহাগ,তুষার দাস,হাসান আলী,ইরান মোল্যা,হোসেন শেখ,মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস,শুভ্র বিশ্বাস প্রমূখ। খেলা পরিচালনা করেন তুষার শেখ,জাহিদুল শেখ,এমিল মোল্যা।
অভয়নগরে স্থানীয় সরকার দিবসের সমাপনী অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ
তামিম আহমেদ মনির।।
যশোরের অভয়নগরে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত উন্নয়ন মেলার সমাপনী অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম আবু নওশাদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি শাহ্ ফরিদ জাহাঙ্গীর।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুশফিকুর রহিমের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) থান্দার কামরুজ্জামান, ভাইস চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান তারু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিনারা পারভীন, নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি নজরুল ইসলাম মল্লিক, সাধারন সম্পাদক মোজাফ্ফার আহমেদ, কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন, সমাজ সেবা কর্মকর্তা এএফএম অহেদুজ্জামান, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রাজ কুমার পাল, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান, ইউপি চেয়ারম্যান, সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
তিন দিনের উন্নয়ন মেলার সমাপনী দিনে স্টলের মূল্যায়নে প্রথম স্থান অধিকার করে নওয়াপাড়া পৌরসভা। দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়। তৃতীয় স্থান অধিকার করে পল্লী উন্নয়ন কার্যালয়।
শ্যামনগরে দুর্যোগের প্রস্তুতি, উদ্ধার ও পুনরুদ্ধার বিষয়ক মাঠ মহড়া
শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
বর্তমান বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হলো জলবায়ু পরিবর্তন। জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে দুর্যোগ দিন দিন বাড়ছে। ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়ছে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ। সচেতনতার অভাবে মানুষের জীবন হানীও ঘটছে। প্রভাব পড়ছে কৃষি, স্বাস্থ্য সহ জীবন-জীবিকার উপর। জীবিকা হারিয়ে মানুষ নিজ বাসস্থল ছেড়ে অন্যত্র পাড়ি জমাচ্ছে। এজন্য উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষকে আরও সচেতন করে গড়ে তোলা প্রয়োজন।
সেই উদ্দেশ্যে ১৯ সেপ্টেম্বর বিকাল ৪ টায় সিসিডিবি স্টেপ অ্যান্ড বিল্ট ইন প্রকল্পের সিপিটি এর কারিগরি সহযোগিতায় বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের আড়পাঙ্গাসিয়া পি এন মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে প্রায় ১২০০ গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে দুর্যোগের প্রস্তুতি, উদ্ধার ও পুনরুদ্ধার বিষয়ক একটি মাঠ মহড়া প্রদর্শিত হয়।
উক্ত মাঠ মহড়ায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আক্তার হোসেন, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহিনুল ইসলাম, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) এর শ্যামনগর উপজেলার সহকারী পরিচালক মুন্সী নুর মোহাম্মদ, ৯ নং বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী নজরুল ইসলাম, বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি অসীম কুমার জোয়ারদার, আড়পাঙ্গাশিয়া পি. এন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৌমিত্র জোয়ারদার, ৯নং বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জি এম আব্দুর রউফ, আড়পাঙ্গাশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশুতোষ কুমার মন্ডল, সমাজসেবক বিধান কুমার জোয়ারদার, সার্বিক তত্বাবধানে ৯নং বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড এর ইউপি সদস্য মোকিন্দ পাইক, আরও উপস্থিত ছিলেন সিসিডিবির বাংলাদেশের দুর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য প্রস্তুতি শক্তিশালীকরণ এবং অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার এস এম মনোয়ার হোসেন সহ অন্যান্য কর্মীবৃন্দ, শ্যামনগর উপজেলার সিপিপি এর টিম লিডার শেখ মাকসুদুর রহমান মুকুল, বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের সিপিপি এর টিম লিডার মোঃ ফজলুল করিম প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন পূর্বেও হয়েছে, বর্তমানে হচ্ছে, আগামীতেও হবে। জলবায়ু পরিবর্তন আমরা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে পারব না। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দুর্যোগ পূর্বের চেয়ে বাড়ছে। আমরা এই দুর্যোগ এর ক্ষয়ক্ষতি কমাতে পারি। দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি যাতে কমিয়ে আনা সম্ভব হয় তার জন্য মানুষকে সচেতন করতে আজ এই মাঠ মহড়া।
বক্তারা আরও বলেন, দুর্যোগ উপকূলে সবচেয়ে বেশি আঘাত হানে। এজন্য উপকূলের মানুষকে আরও বেশি সচেতন করা প্রয়োজন। দুর্যোগের প্রস্তুতি, উদ্ধার ও পুনরুদ্ধার বিষয়ক মাঠ মহড়া আয়োজন করার জন্য সিসিডিবি কর্তৃপক্ষকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
খুবি উপাচার্যের সাথে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
খবর বিজ্ঞপ্তি
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি ১৯ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) বিকাল ৫.৩০ মিনিটে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন এর সাথে তাঁর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন। উপাচার্য রাষ্ট্রদূতকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এসময় ইইউ রাষ্ট্রদূত উপাচার্যকে স্মারক উপহার দেন। উপাচার্যও তাঁকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রাম খচিত ক্রেস্ট, সুন্দরবন ও উপকূলীয় এলাকার ওপর প্রকাশিত গবেষণা নিবন্ধ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় স্টাডিজ, প্রসপেক্টাস উপহার প্রদান করেন।
পরে উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন। তিনি বলেন, গত ৩৩ বছর ধরে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত ২০৪১ সালের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে দেশ ও জাতির চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় দক্ষ ও যোগ্য গ্র্যাজুয়েট তৈরি করে চলছে। বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটরা দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
তিনি আরও বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিবছর অসংখ্য শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় দেশসমূহ এবং ভারতসহ বিভিন্ন দেশে যান। এছাড়া ইউরোপের বিভিন্ন দেশের খ্যাতিমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এক্সচেঞ্জ, এমওইউ’র কথা উল্লেখ করেন উপাচার্য। বিভিন্ন দেশের সাথে যৌথ শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ভৌগলিক অবস্থানের কারণে সুন্দরবন আমাদের পার্শ্ববর্তী হওয়ায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও এই উপকূলীয় অঞ্চলের প্রাকৃতিক পরিবেশ, বনজ ও মৎস্যসহ বিভিন্ন সম্পদ নিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে নানামুখী গবেষণা পরিচালিত হচ্ছে। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া সরকারের অর্থায়নে অস্ট্রেলিয়ান সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশন্যাল এগ্রিকালচার রিসার্চ (এসিআইএআর) এর সাথে খুবির চলমান গবেষণার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন উপাচার্য। এর মধ্যে ‘এসিআইএআর প্রজেক্ট বাংলাদেশ সুন্দরবন ইকোসিস্টেম ম্যানেজমেন্ট’ শীর্ষক এ প্রকল্পটি ২০২৪ সাল থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।
উপাচার্য বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কিউএস র্যাংকিংয়ে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের এপিএ র্যাংকিংয়ে এ বছর ৪র্থ অবস্থানে উঠে এসেছে। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আনন্দের বিষয়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবনের ছাদে স্থাপিত সোলার প্যানেল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রথম ওবিই কারিকুলা প্রণয়ন, একই একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে ক্লাস ও পরীক্ষা গ্রহণ, প্রতিবছর ৪-৫টি আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের বিষয়গুলো বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সবসময় উৎসাহিত ও সহযোগিতা করা হচ্ছে। প্রতিবছর ইউরোপে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং চলমান বিভিন্ন গবেষণাকর্মের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
উপাচার্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার জন্য ইইউ রাষ্ট্রদূতকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন ভ্রমনের পরামর্শ দেন।
সৌজন্য সাক্ষাতকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. কামরুল হাসান তালুকদার, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর মো. শরীফ হাসান লিমন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রোগ্রাম ম্যানেজার জুই চাকমা, উপাচার্যের সচিব সঞ্জয় সাহাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষকরা জ্ঞানগৃহের দরজা খুলে দিতে পারে প্রবেশের দায়িত্ব শিক্ষার্থীদের : উপাচার্য
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ৫ দিনব্যাপী একাডেমিক কাউন্সেলিং এন্ড মোটিভেশন শীর্ষক কর্মশালা সমাপ্ত হয়েছে। ১৯ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) সকাল ৯.১৫ মিনিটে কর্মশালার পঞ্চম দিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) আয়োজিত এ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।
নবাগত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শিক্ষকরা শুধুমাত্র তোমাদের জ্ঞানগৃহের দরজা খুলে দিতে পারে, পথ দেখাতে পারে। এই পথে চলা ও জ্ঞানের গৃহে প্রবেশ করার দায়িত্ব তোমাদের। স্কুল-কলেজ জীবনে পিতা-মাতা লেখাপড়ার খেয়াল রাখলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের তোমার খেয়াল তোমাকে রাখতে হবে। আমি আশাবাদ ব্যক্ত করি- শিক্ষাজীবন শেষে পরবর্তী জীবনে তোমরা সকল ক্ষেত্রে সফলতার স্বাক্ষর রাখবে এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে সর্বদা কাজ করবে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষা ও গবেষণার জন্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অনন্য এক বিশ্ববিদ্যালয়। এখানকার সম্মানিত শিক্ষকরা যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্ষম দক্ষ ও দেশপ্রেমিক জনশক্তি তৈরিতে সর্বদা সচেষ্ট। এখানে স্নাতক ও মাস্টার্স প্রোগ্রামে একই একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে সব ডিসিপ্লিনে ক্লাস ও পরীক্ষা নেওয়া হয়। নিজেকে বিকশিত ও নেতৃত্বগুণে সমৃদ্ধ করার জন্য এখানে শিক্ষার্থীদের অনেক সংগঠন রয়েছে। যাতে সম্পৃক্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা দক্ষ দেশপ্রেমিক ও আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।
পরে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথাগতভাবে নবাগত শিক্ষার্থীদের শপথ বাক্য পাঠ করান। উক্ত শপথবাক্যে সন্ত্রাস, ছাত্ররাজনীতি, র্যাগিং ও মাদককে না বলার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আইকিউএসির পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হায়দারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন স্কুলের ডিন (চলতি দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মো. নূরুন্নবী ও বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. কামরুল হাসান তালুকদার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. মো. মতিউল ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আইকিউএসির উপ-রেজিস্ট্রার মোঃ নুরুল ইসলাম সিদ্দিকী। অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনসমূহের প্রধানবৃন্দ এবং নবাগত শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর উপাচার্য রিসোর্স পারসন হিসেবে ‘কী টু সাকসেস ইন হায়ার এডুকেশন’ শীর্ষক একটি সেশন উপস্থাপন করেন। এছাড়াও কর্মশালায় ফিশারিজ এন্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আব্দুর রউফ ‘টিচিং লার্নিং অ্যাপ্রোচেস ইন হায়ার এডুকেশন’, নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মো. আহসানুল কবির ‘এডুকেশন সিস্টেম, রুলস এন্ড রেগুলেশন্স ইন কেইউ’, ফরেস্ট্রি এন্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মো. আজহারুল ইসলাম ‘এক্সেস টু রিসোর্স, ইনফরমেশন এন্ড টেকনোলজি ইন কেইউ’ এবং নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. তানজিল সওগাত ‘স্টুডেন্ট সাপোর্ট সার্ভিসেস ইন কেইউ’ শীর্ষক সেশনসমূহ উপস্থাপন করেন।
কর্মশালাটির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবর্ষে ভর্তিকৃত নবাগত শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় সফলতা অর্জনের বিভিন্ন দিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন নিয়মকানুন, নীতি-নৈতিকতা, মূল্যবোধ, শিষ্টাচার, বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার প্রস্তুতিসহ বিভিন্ন দিকে আলোকপাত করা হয়।
অনুষ্ঠানে নবাগত শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন মুদ্রিত সমন্বিত প্রসপেক্টাস বিতরণ করা হয়। কর্মশালার পঞ্চম দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন স্কুল এবং বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের আওতাধীন ডিসিপ্লিনসমূহের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
চুয়াডাঙ্গার দু’পুলিশের জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কারে ভূষিত
দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গার দু’পুলিশের জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় খুলনা রেঞ্জ ডিআইজির সম্মেলন কক্ষে জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মঈনুল হক বিপিএম (বার), পিপিএম। জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার ২১-২২ প্রদান অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের দুই জন সদস্য কর্মক্ষেত্রে ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ পুলিশের অর্থবছরের জন্য জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কারে ভূষিত হয়। চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, বিপিএম (বার), পিপিএম, ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ’র
মঈনুল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম, ডিআইজি, খুলনা রেঞ্জ চুয়াডাঙ্গা জেলার এএসআই(নিঃ) মিতা রানী বিশ্বাস ও কনস্টবল মোঃ মেহেদী হাসানকে শুদ্ধাচার পুরস্কার তুলে দেন। উক্ত পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, মোঃ নিজামুল হক মোল্যা, অতিরিক্ত ডিআইজি (প্রশাসন ও অর্থ), খুলনা রেঞ্জ, নওরোজ হাসান তালুকদার, কমান্ড্যান্ট (অতিরিক্ত ডিআইজি) আরআরএফ, খুলনা, জয়দেব চৌধুরী বিপিএম-সেবা, অতিরিক্ত ডিআইজি (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট), খুলনা রেঞ্জ, মোঃ হাসানুজ্জামান পিপিএম, অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশনস্) খুলনা রেঞ্জসহ রেঞ্জ কার্যালয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং খুলনা রেঞ্জের ১০টি জেলার পুলিশ সুপারবৃন্দ এবং খুলনা রেঞ্জাধীন ইন-সার্ভিস টেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্টবৃন্দ।
রূপসায় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন তুলে ধরে এ্যাড. সুজিতের গণসংযোগ
স্টাফ রিপোর্টার
খুলনা-৪ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী ব্যাপক গণযোগাযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেছেন।
তিনি মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত রূপসা উপজেলার নৈহাটী ইউনিয়নের পূর্ব রূপসা ঘাট এলাকা, তালিমপুর অচিনতলা, কদমতলা, জহিরের বটতলা, খোড়ার বটতলা, গোডাউন, কর্ণপুর, নৈহাটী, দেবীপুর, দেবীপুর আব্দুল খালেকের মোড় সহ বিভিন্ন অলিগলিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করা হয়।
এ-সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম লাবু, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মো. মোজাফফর মোল্লা, রূপসা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সরদার আবুল কাশেম ডাবলু, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি খান শাহাজান কবির প্যারিস, সাংগঠনিক সম্পাদক এমডি রকির উদ্দিন, জেলা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আজিজুল হক কাজল, রূপসা উপজেলা আ’লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রশিদ, উপ-প্রচার বিষয়ক সম্পাদক মো. সোহেল জুনায়েদ, উপজেলা আ’লীগের সদস্য শেখ মো. হাবিবুর রহমান, মো. মাহবুব-উল-আলম, উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এস এম এ তাহের, সদস্য সচিব মো. আশরাফ আলী রাজ, উপজেলা যুবলীগ নেতা মো. আবু আহাদ হাফিজ বাবু, উপজেলা মটর শ্রমিক লীগের আহবায়ক মো. ইউসুফ আলী শেখ, আ’লীগ নেতা আব্দুল মান্নান শেখ, জয়দ্রথ বাছাড়, আব্দুস সালাম, যুবলীগ নেতা ইলিয়াস শেখ, মো. ইউনুছ খান, জাহিদ হাসান, সাইফুল ইসলাম পলু, আব্দুল্লাহ আল মামুন, আরিফ শেখ, মঈন উদ্দিন মোহন, মো. বাকি বিল্লাহ সরদার, মিহির শিকদার, রবিউল ইসলাম মোল্লা, মিল্লাত শেখ, শেখ শহিদুল ইসলাম, মো. সোহেল রানা, কাকন শেখ প্রমুখ।
সাতক্ষীরায় ভুল চিকিৎসায় গরু মৃত্যুর অভিযোগ
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরায় ভুল চিকিৎসায় গরু মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি মঙ্গলবার সকাল ১২ টার সময় সাতক্ষীরা পৌরসভার কামান নগরে ঘটেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরা পৌরসভার কামাননগর গ্রামের শাহিনুর রহমানের একটি বকনা গরু অসুস্থ হলে সাতক্ষীরা সদর পশু হাসপাতালের ভেটেনারি সার্জন ডাক্তার তাহমিদ হাসান ইমতিয়াজকে গরুর চিকিৎসা করার জন্য ডেকে বাড়িতে নিয়ে যান। গরু চিকিৎসা করার জন্য তাহমিদ হাসান গরুর চার পায়ে দড়ি দিয়ে বেঁধে মাটিতে ফেলে পেটে চাপাচাপি করার পর গরুর নাক ও মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। গরু কেন মারা গেল জিজ্ঞাসা করার পরপরই তড়িঘড়ি করে ডাক্তার ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
ভুক্তভোগী শাহিনুর রহমান জানান, ‘ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে সাতক্ষীরা সদর থানায় আমি একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভেটেনারি সার্জন তাহমিদ হাসান ইমতিয়াজের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলে তিনি ফোনটি কেটে দেন।সাতক্ষীরা সদর থানার অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জাহিদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ‘জরুরী কল আসছে’ বলে ফোনটি কেটে দেন।
মহানগর বিএনপির প্রস্তুতি সভা
২৬ সেপ্টেম্বর রোডমার্চ সফল করতে মহানগর বিএনপির ১৫টি উপকমিটি গঠন
খবর বিজ্ঞপ্তি।।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবস্থা গুরুতর উল্লেখ করে খুলনা মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেছেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সবচেয়ে বেশি যিনি সংগ্রাম-লড়াই করেছেন তিনি জনপ্রিয় নেত্রী, গণতন্ত্রের মা খালেদা জিয়া গৃহবন্দি অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। তার শারীরিক অবস্থা বেশি খারাপ। চিকিৎসকরা বলেছেন, তিনি এখনো ক্রাইসিসের বাহিরে নন। বার বার দলের পক্ষ থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর কথা বললেও বর্তমান অবৈধ সরকার সেদিকে কোন খেয়াল করছেন না। শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাকে তিলে তিলে শেষ করার নীল নকশা তৈরী করেছে সরকার।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টায় আগামী ২৬ সেপ্টেম্বরের রোডমার্চ কর্মসুচি সফল করতে মহানগর বিএনপির প্রস্তুতি সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। বক্তারা বলেন, একটি স্বৈরাচার, ফ্যাসিস্ট, লুটেরা সরকারকে বিদায় করতে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে আন্দোলন করছি। চলমান একদফা আন্দোলনে দেশের জনগণ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভা থেকে বেগম খালেদা জিয়ার জীবন রক্ষার্থে অবিলম্বে বিদেশে চিকিৎসার নেয়ার সুযোগ করে দেয়ার আহবান জানান।
সভা থেকে ২৬ সেপ্টেম্বরের রোডমার্চ সফল করতে মহানগরীর অর্ন্তগত সকল থানা, ওর্য়াড বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের প্রস্তুতি সভা করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। সভা থেকে সকল থানা ও ওয়ার্ডে প্রচার মিছিল করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। সভা থেকে রোডমার্চে সাধারণ মানুষদের সম্পৃক্ত করতে ৫ (পাচ) লাখ প্রচারপত্র বিলি করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। রোডমার্চ সফল করতে ১৫টি উপ কমিটি গঠন করা হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, সাবেক এমপি সৈয়দা নার্গিস আলী, স.ম আ রহমান, বেগম রেহেনা ঈসা, কাজী মাহমুদ আলী, শের আলম সান্টু, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, শেখ সাদি, কে এম হুমায়ন কবীর (ভিপি হুমায়ুন). হাফিজুর রহমান মনি, শেখ জাহিদুল ইসলাম, মোঃ মুরশিদ কামাল, কাজী মিজানুর রহমান, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ, শেখ ইমাম হোসেন, আবু সাইদ হাওলাদার আব্বাস, শাহিনুল ইসলাম পাখি, রুবায়েত হোসেন বাবু, আরিফ ইমতিয়াজ খান তুহিন, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, জহর মীর, নাজির উদ্দিন নান্নু, আহসান উল্লাহ বুলবুল, আফসার উদ্দিন, নাসির খান, আব্দুস সালাম, তারিকুল ইসলাম, মো. জাহিদুর রহমান, মিজানুর রহমান মিলটন, শফিকুল ইসলাম শফি, মুজিবর রহমান, আজিজা খানম এলিজা, মাহবুব উল্লাহ শামীম, কে. এম মাহাবুবুল আলম, সিরাজুল উসলাম লিটন, মোঃ মতলুবুর রহমান মিতুল, কাজী নেহিবুল হাসান নেহিম, আব্দুল আজিজ সুমন, আজাদ আমিন, মোঃ তাজিম বিশ্বাস, আবু সাঈদ শেখ, আনজিরা খাতুন, শাহানাজ সরোয়ার প্রমূখ।
রামপালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়েছে
রামপাল (বাগেরহাট) সংবাদদাতা
রামপালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন-ই ৩-৪ জন রোগী ভর্তি হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এভাবে ডেঙ্গু রোগী বাড়তে থাকলে পরিস্হিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে বলা আশংকা করছেন চিকিৎসকগণ।
রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা সুকান্ত কুমার পাল জানান, উপজেলা পর্যয়ে ডেঙ্গুর প্রাদূর্ভব ছড়িয়ে পড়েছে। গত জুন মাসের ৯ তারিখ থেকে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি করা শুরু করা হয়। জুন থেকে আগষ্টের মাঝামাঝি পর্যন্ত রোগীর সংখ্যা স্বাভাবিক থাকলেও এরপর থেকে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। গত সাড়ে ৩ মাসে ৩৩০ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ২০ জন রোগী ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে ৭ জন পুরুষ ও ১৩ জন মহিলা রোগী। সেপ্টেম্বর মাসে রোগীর সংখ্যা কমার আশা করা হলেও বরং আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সার্বিকভাবে এ উপজেলা ডেঙ্গুর ভয়াবহতা ধারণ করেছে। ডেঙ্গুর রোগ বাহিত এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে উপজেলার কয়েকটি স্থানে সচেতনতামূলক সভা করা হলেও এর তেমন কোন প্রভাব পড়েনি বলে হতাশা ব্যাক্ত করেন ওই কর্মকর্তা।#
তদন্ত ও অপরাধ দমন কর্মকান্ড পর্যালোচনায় খুলনা রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ থানা সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
আগস্ট ২০২৩ মাসে তদন্ত ও অপরাধ দমন কর্মকাণ্ড পর্যালোচনায় খুলনা রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ সাতক্ষীরা সদর থানা নির্বাচিত হয়েছে। খুলনার রেঞ্জ ডিআইজি মঈনুল হক বিপিএম(বার) সভাপতি তে এ পুরস্কার প্রদান করেন।
আগস্ট মাসের তদন্ত ও অপরাধ দমন কর্মকান্ড পর্যালোচনায় রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ জেলা হিসেবে ‘সাতক্ষীরা’ , শ্রেষ্ঠ সার্কেল হিসেবে সদর সার্কেল, সাতক্ষীরা ও শ্রেষ্ঠ থানা হিসেবে সাতক্ষীরা সদর থানা, সাতক্ষীরা কে পুরস্কৃত করা হয়। এসআই (নি.) মোঃ হাফিজুর রহমান, সাতক্ষীরা সদর থানা, সাতক্ষীরা ও এএসআই (নি.)মোঃ শাহানুর আলম, সাতক্ষীরা সদর থানা, সাতক্ষীরাকে যথাক্রমে রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ এসআই ও এএসআই হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়। সভায় উপস্থিত খুলনা রেঞ্জাধীন পুলিশ সুপারগণকে জেলার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ দমনে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, অপরাধ নিয়ন্ত্রনে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন, আওতাধীন জেলা ও ইউনিটের নিয়মিত মাস্টার প্যারেড ও কীট প্যারেড, থানা এলাকায় ওপেন হাউজ ডে, কমিউনিটি ও বিট পুলিশিং সভা, উঠান বৈঠক সহ অন্যান্য সভা করার নির্দেশ প্রদান করেন রেঞ্জ ডিআইজি মইনুল হক। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত ডিআইজি (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ নিজামুল হক মোল্যা, নওরোজ হাসান তালুকদার, কমান্ড্যান্ট (অতিরিক্ত ডিআইজি) আরআরএফ, খুলনা, জয়দেব চৌধুরী বিপিএম-সেবা, অতিরিক্ত ডিআইজি (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট), খুলনা রেঞ্জ, মোঃ হাসানুজ্জামান পিপিএম, অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশনস্), সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান, সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মইদুল ইসলাম খুলনাসহ রেঞ্জ কার্যালয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ।
সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকারের অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতার ভাইসহ ৬জন কারাগারে
মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
সুন্দরবনের মরা পশুর খালে বিষ দিয়ে মাছ শিকারের অভিযোগে আটক স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার ভাইসহ ৬দুর্বৃত্তকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯সেপ্টেম্বর) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে খুলনা জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এর আগে সোমবার (১৮সেপ্টেম্বর) দিবাগত গভীর রাতে বনের মরা পশুর খাল থেকে বন প্রহরীরা তাদের আটক করেন।
সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের (মোংলা) সহকারী বন সংরক্ষক রানা দেব জানান, প্রতিনিয়ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে সুন্দরবনের বিভিন্ন খালে বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকার করে আসছেন জেলে নামধারী দুর্বৃত্তরা। তাদেরকে যেন কোনভাবেই থামানো যাচ্ছে না। এভাবেই সোমবার দিবাগত রাতে বিষ দিয়ে মরা পশুর খালে মাছ শিকার করছিলো একদল দুর্বৃত্ত। খবর পেয়ে টহলরত বন প্রহরীরা অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ৬দুর্বৃত্তকে আটক করেন।
আটককৃতদের মধ্যে মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল হাওলাদারের ছোট ভাই ফরিদ হাওলাদার (৪৫) রয়েছেন। বাকী ৫হন হলেন- সজিব বয়াতি (২০), চঞ্চল হাওলাদার (২৫), মোঃ লিটন হাওলাদার (২৬), মোঃ বশিরুল খাঁন (২৮) ও আউয়াল খাঁন (২৭)। তাদের সকলের বাড়ী চিলা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে বলে জানা গেছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুই বোতল বিষ (কীটনাশক), ৪০কেজি বিষযুক্ত বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, ২টি নৌকা ও ২সেট অবৈধ টোন জাল জব্দ করেন বন প্রহরীরা। আটক এ দুর্বৃত্তসের নামে সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই ষ্টেশনের আওতাধীন মরা পশুর টহল ফাঁড়ীর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মোখলেছুর রহমান বাদী হয়ে মঙ্গলবার দুপুরে খুলনার দাকোপ থানায় বন অপরাধ আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ মামলার আসামীদেরকে খুলনা জেলা কারাগারে পাঠিয়েছেন।
এদিকে বিষ দিয়ে মাছ শিকারের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আটক ফরিদ হাওলাদারের ভাই চিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল হাওলাদার বলেন, যে যেমন কর্ম করবে, তার তেমন ফল ভোগ করতে হবে। আমি কোন অন্যায়কে সমর্থন করিনা।
তবে ভাইকে ছাড়াতে এই আওয়ামী লীগ নেতা বনবিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে মঙ্গলবার সকাল থেকে নানা রকম তদবির করে ব্যর্থ হয়েছেন বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক বন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। #
সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় ডুমুরিয়ার নিলকন্ঠ সরদার নিহত
ডুমুরিয়া প্রতিনিধি
সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কে কাভার্ড ভ্যান ও মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় নিলকন্ঠ সরদার (৪৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। নিহত নিলকন্ঠ ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরখালী ইউনিয়নে আমুড়বুনিয়া এলাকার বিশ্বনাথ সরদারের ছেলে। সোমবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে সাতক্ষীরার ত্রিশমাইল নামক ¯’ানে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন রাতে সাতক্ষীরা থেকে ছেড়ে আসা একটি কাভার্ডভ্যান ঘটনা¯’লে পৌঁছালে পিছন থেকে খুলনা হ- ১২- ৭৪২২ নাম্বারের একটি চলন্ত মোটর সাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেল চালক সাতক্ষীরা সদরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিলকন্ঠ ছিটকে রাস্তায় পড়ে মাথায় প্রচন্ড আঘাত পায়। এ সময় ¯’ানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাশেদুজ্জামান তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পাটকেলঘাটা থানা পুলিশ ঘটনা¯’ল পরিদর্শন করেন এবং গাড়িতে থাকা ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে পাওয়া ঠিকানা অনুযায়ী তার বাড়ি খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরখালি ইউনিয়নের আমুড়বুনিয়া গ্রামের বিশ্বনাথ সরদারের ছেলে বলে নিশ্চিত করেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে
মাগুরখালী মহাশ্মশানে তার অন্তেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।
ডুমুরিয়ায় প্রয়াত দুই সাংবাদিক পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান
ডুমুরিয়া প্রতিনিধি
উপজেলা পর্যায়ের সাংবাদিকরা অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকেও প্রতিনিয়ত আমাদের এলাকার মানুষের দুঃক্ষ-কষ্ট-বঞ্চনা ও অনিয়মের ছবি তুলে ধরছে। কিš‘ তাদের অধিকাংশের জীবনে আর্থিক নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। আজ ডুমুরিয়ার সাংবাদিকরাই প্রয়াত সাংবাদিকের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে একটি মহতী উদ্যোগ নিয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় উপজেলা অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে ডুমুরিয়া সাংবাদিক কল্যাণ সমিতিথর আয়োজনে অকাল প্রয়াত ২ সাংবাদিক পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী খুলনা-৫ আসনের সাংসদ নারায়ণ চন্দ্র চন্দ প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।
ডুমুরিয়া সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি কাজি আবদুল্লাহথর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্যদেন উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফ আসিফ রহমান। এ সময় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গাজী আব্দুল হালিম ও শারমিনা পারভিন রুমা-সহ বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ছাড়াও সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির আবদুল লতিফ মোড়ল, আনোয়ার হোসেন আকুঞ্জি, অরুণ দেবনাথ, মাহাবুর রহমান, এস, রফিকুল ইসলাম, সুব্রত কুমার ফৌজদার, শেখ আব্দুস সালাম, সেলিম আবেদ, জিএম ফিরোজ, মাসুম গাজী ও নাসিম গাজী উপ¯ি’ত ছিলেন।
উল্লেখ্য ২০২৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি দৈনিক সংবাদথর ডুমুরিয়া প্রতিনিধি উদয় চক্রবর্তী ও ২০২০ সালের ৫ ডিসেম্বর দৈনিক পূর্বাঞ্চলথর শাহপুর প্রতিনিধি ফিরোজ খান আকষ্মিক ভাবে প্রাণ হারান। সম্প্রতি ডুমুরিয়ায় কর্মরত কতিপয় সাংবাদিকের উদ্যোগে গঠিত সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে প্রয়াত ওই দুই সাংবাদিকের স্ত্রী প্রতিমা চক্রবর্তী ও জুলিয়া নাসরিনথর হাতে নগদ অনুদান তুলে দেওয়া হয়েছে।
খুলনা বিভাগের প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা মানসম্মত করার বিষয়ে মতবিনিময় সভা
খবর বিজ্ঞপ্তি
প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা মানসম্মত করার বিষয়ে মতবিনিময় সভা এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন অবকাঠামো উন্নয়ন বিষয়ক খুলনা বিভাগীয় কর্মশালা মঙ্গলবার সকালে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সচিব বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষার সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টদের ভূমিকা রাখতে হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাবান্ধব শ্রেণিকক্ষসহ মাল্টিমিডিয়া ক্লাশ রুম চালু করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জন্য উপযোগী খেলার মাঠ গড়ে তোলা হচ্ছে। তিনি বলেন, উন্নত বিশে^র সাথে তালমিলিয়ে প্রাথমিক শিক্ষাকে এগিয়ে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়েছে বর্তমান সরকার। এই সরকারের আমলে দেশের প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের হার বেড়েছে। প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার কমেছে। সকল উপজেলার একটি করে ডিজিটাল শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারিকরণ করে প্রাথমিক শিক্ষার ভিত্তি মজবুত করেন।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজাওয়ান হায়াতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফ, জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন, খুলনা এলজিইডির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোল্লা মোঃ শাহ নেওয়াজ ও ডিপিএইচই’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বাহার উদ্দিন মৃধা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন খুলনা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের বিভাগীয় উপপরিচালক মোঃ মোসলেম উদ্দিন। কর্মশালায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (অর্থ) এএইচ এম আবুল বাশার।
মতবিনিময় এবং কর্মশালায় বিভাগের ১০ জেলার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী, ডিপিএইচই’র নির্বাহী প্রকৌশলী, পিটিআই এর সুপারিনটেনডেন্ট, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারগণ অংশ গ্রহণ করেন।
নগর ভবনের জিআইজেড মিলনায়তনে এডিবি মিশন ভিজিট আলোচনা সভা
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, জলবায়ু প্রতিকূলতার প্রভাবে দেশে প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। ফলে উপকূলীয় এলাকার হাজার হাজার মানুষ মহানগরী এলাকার সরকারি জায়গা বা ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গায় উদ্বাস্তু হিসেবে বসবাস করছে। এই সব ছিন্নমূল মানুষের বসবাসের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত বাসস্থান নির্মাণ করা দরকার।
সিটি মেয়র মঙ্গলবার দুপুরে নগর ভবনের জিআইজেড মিলনায়তনে এডিবি মিশন ভিজিট আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। কেসিসি’র তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন’ প্রকল্পের চলমান কাজ পরিদর্শনের লক্ষ্যে এবিডি’র একটি প্রতিনিধি দল বর্তমানে খুলনা সফর করছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে যৌথ পার্টনারশিপের মাধ্যমে প্রকল্পটির মাধ্যমে নগরে বসবাসরত দরিদ্র মানুষের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তারা সংগঠিতভাবে তাদের সমস্যা সমাধানের সুযোগ পেয়েছে বলে সিটি মেয়র আগত প্রতিনিধি দলকে অবহিত করেন।
সিটি মেয়র আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে দেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা জলবায়ু সংকটের বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন। উন্নত দেশসমূহ সহযোগিতার পরিমাণ বৃদ্ধি করলে জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জীবনমান উন্নয়নে নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা সম্ভব হবে। ইতোমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের গৃহহীন প্রায় ৮ ল মানুষকে বিনামূল্যে ঘর বরাদ্দ দিয়েছেন বলে সিটি মেয়র উল্লেখ করেন।
খুলনা’কে দেশের অন্যমত জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ ও দুর্যোগ প্রবণ অঞ্চল হিসেবে উল্লেখ করে সভায় জানানো হয় প্রায় প্রতিবছর প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের জীবন ও সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। ফলে নগরের বাইরের মানুষ জীবন ও জীবিকার তাগিদে নগরীতে আশ্রয় নিচ্ছে এবং জলবায়ু উদ্বাস্তুর চাপ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে । খুলনা সিটি কর্পোরেশন নগরে বসবাসরত দরিদ্র মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। তবে কর্পোরেশনের একার পক্ষে ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। সে কারণে জলবায়ু সহনশীল অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিভিন্ন অনুদান প্রদানে আরো বাজেট বরাদ্দ প্রয়োজন। সিটি মেয়র টেকসই নগর উন্নয়নে প্রকল্পটির মেয়াদ আগামী ২০৩০ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি করা প্রয়োজন বলে মতামত ব্যক্ত করেন।
কেসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (যুগ্মসচিব) লস্কার তাজুল ইসলাম-এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান, চীফ প্লানিং অফিসার আবির উল জব্বার, সিনিয়র ডিজাস্টার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্ট এবং টীম লিডার স্টিভেন গোল্ডফিঞ্চ, ডিজাস্টার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্ট সিফায়েত উল্লাহ, টি এ কোঅর্ডিনেটর আলী ফয়সাল আব্দুল, ইন্টারনাল ডিসপ্লেসমেন্ট মনিটরিং সেন্টারের কনসালট্যান্ট ক্রিস্টেল কাজাবাত, প্রোজেক্ট ম্যানেজার যোগেশ প্রধানাং, প্রকল্পের টাউন ম্যানেজার মোহাম্মদ মোস্তফা প্রমুখ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
চুয়াডাঙ্গায় জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস-২৩” উদযাপন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা
দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গায় সেবা ও উন্নতির দক্ষ রূপকার, উন্নয়নে-উদ্ভাবনে স্থানীয় সরকার” প্রতিপাদ্য নিয়ে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও জেলা পরিষদের সহযোগিতায় “জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস-২৩” উদযাপন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি এবং র্যালি পরবর্তী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাহফুজুর রহমান মনজু, চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদ, মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ), চুয়াডাঙ্গা; মোঃ মিজানুর রহমান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা পরিষদ, রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখা; মুন্সি আলমগীর হান্নান, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শারমিন আক্তার, উপপরিচালক, স্থানীয় সরকার, চুয়াডাঙ্গা। এসময় বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, জেলা পরিষদের সদস্যবৃন্দ, ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মোংলায় জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবসের র্যালী ও আলোচনা সভা
মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস’২০২৩ইং উপলক্ষে মোংলায় র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯সেপ্টেম্বর) দুপুরে মোংলা পোর্ট পৌরসভার আয়োজনে এ কর্মসূচী পালিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে পৌরসভা থেকে বের হওয়া র্যালী শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে। পরে পৌর ভবনে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আঃ রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন পৌর কর্তৃপক্ষের নির্বাহী কর্মকর্তা অমল কৃষ্ণ সাহা, পৌর কাউন্সিলর জি,এম আলআমিন, শরিফুল ইসলাম, মজনু গাজী, জাহানারা চানু ও হিসাবরক্ষক নিজাম উদ্দিন বাহাদুর।
এ সময় মোংলা পোর্ট পৌরসভার উন্নয়নমূলক কার্যক্রম ও সেবা তুলে ধরে পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আঃ রহমান বলেন, নাগরিকদের সুবিধার জন্য রাস্তাঘাট-ফুটপাত, ড্রেন নির্মাণ, মেরিন ড্রাইভ, সিসি ক্যামেরা, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ময়লা অপসারণ, পৌর করের ছাড় প্রদাণসহ দূর্যোগে জরুরি সেবা প্রদাণ করা হচ্ছে। এছাড়া পৌরবাসীর জন্য আরও স্মার্ট সুবিধার জন্য নানা রকম প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। সেগুলো বাস্তবায়ন হলে শতভাগ সেবা পাবেন পৌরসভার ভাসমানসহ প্রায় দুই লাখ বাসিন্দা। #
সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানব বন্ধন
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা নগরীর খালিশপুরে মাওলানা ভাসানী বিদ্যাপীঠ গার্লস স্কুল এ্যান্ড কলেজের মূলফটক-এ শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র সরকারের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানব বন্ধনের আয়োজন করা হয়। ১৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় প্রতিষ্ঠানের প্রধান ফটকের সামনে প্রতিবাদ সভাটি অনুষ্ঠিত হয় প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষিকা আফরোজা শারমীন-এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অত্র প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ আশরাফুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা নগরীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মোঃ দেলোয়ার হোসেন, মনিরুল ইসলাম, মোঃ নজরুল ইসলাম, শহীদুল ইসলাম, আবদুল্লাহ আল হাসান, মোঃ জুবায়ের হোসেন, এস এ রহিম, মোঃ খন্দকার আব্দুল হালিম, মোঃ দাউদ আর রশিদ শাওন, মোঃ আসাদুজ্জামান, শেখ রবিউল ইসলাম, আরিফ শেখ, জাহিদ বেল্লাল, শেখ কুতুবউদ্দিন আহমেদ, তপন কুমার মন্ডল, মোঃ মনিরুল ইসলাম মল্লিক, মোঃ নাসিরুদ্দিন, এস এ রহিম, এ বি এম আল আযাদ, মোঃ শামীম হোসেন, মোল্লা হুমায়ুন কবির, গভর্ণিং বডির সম্মানিত সকল সদস্যবৃন্দ, অত্র প্রতিষ্ঠানের সম্মানিত সকল শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীবৃন্দ প্রমূখ।
প্রশ্নপত্র জানিয়ে দেবার প্রলোভনে ছাত্রীকে যৌন হয়রানি
মাহমুদ হাসান রনি,দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা)
চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীকে পরীক্ষায় প্রশ্ন দেওয়ার প্রলোভনে যৌন হয়রানির অভিযোগে ইংরেজি বিভাগের সহকারী শিক্ষক সাকিল আরাফাত (৩৮)কে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শিক্ষকের বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়ানোর নাম করে যৌন হয়রানীর চেষ্টাকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলের ছাত্রী ও অভিভাবকদের এ মিছিল করে।উল্লেখ
চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরাজি বিভাগের সহকারী শিক্ষক ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের ফরাসপুর গ্রামের সাকিল আরাফাত ছাত্রীদের চুয়াডাঙ্গায় নিজের বাসায় প্রাইভেট পড়ায়। সম্প্রতি এক ছাত্রীকে পড়ানোর নাম করে সকাল ৬টায় নিজের বাড়ী ডেকে নেয়। ওই ছাত্রী সকালে শিক্ষকের বাসায় গিয়ে দেখতে পান আর কোনো ছাত্রী নেই। এ সময় সাকিল আরাফাত পরীক্ষার আগে প্রশ্ন দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ছাত্রীকে আপত্তিকর প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হওয়ায় ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ ঘটনার পর থেকে ওই ছাত্রী প্রাইভেট ও স্কুলে আসা বন্ধ করে দেয়।
রোববার বিদ্যালয়ে গেলে ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে আবারো যৌন হয়রানি করার চেষ্টা চালায় ওই শিক্ষক। তাকে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ারও হুমকি দেন। সোমবার ওই ছাত্রী চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। সন্ধ্যায় পুলিশ শিক্ষক সাকিল আরাফাত কে গ্রেফতার করে। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাহব্বুর রহমান কাজল জানান,অভিযোগের পর অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল
দলের সকল ক্রান্তিকালে দুলু দায়িত্ব পালন করতেন নিষ্ঠার সঙ্গে: বক্তারা
।। খবর বিজ্ঞপ্তি।।
আদর্শের রাজনীতিতে আপসহীন, অত্যন্ত সাহসী এবং বলিষ্ঠ নেতৃত্বদানের অধিকারী নেতা আজিজুল হাসান দুলুর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে খুলনা বিএনপির রাজনীতিতে যে শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে তা পূরণ হওয়ার নয়। দুলু ছিলেন সেরা সংগঠকদের অন্যতম। ছাত্ররাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে সাংগঠনিক নেতৃত্বের বিচক্ষণতা, দৃঢ়তা ও আপসহীনতা তাকে রাজনৈতিক প্যারামিটারের এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছিল। সব স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে তার ছিল বলিষ্ঠ প্রতিবাদী ভূমিকা। বিশেষ করে এক-এগারোর সময়ে ফখরুদ্দীন, মইনউদ্দীনের অবৈধ মাইনাস রাজনীতির বিরুদ্ধে তার সাহসি ভূমিকা খুলনার রাজনীতির ইতিহাসে একটি আলাদা অধ্যায় সৃষ্টি করেছিল। সর্বদায় দুই ঠোঁটের মাঝখানে হাসির রেখা ফুটিয়ে মৃদুভাষী আজিজুল হাসান দুলু নেতাকর্মীদের কথাই শুনতেন। সিদ্ধান্তের বেলায় বোঝা যেত, তিনি কত বড় মাপের সংগঠক ছিলেন। তার মেধা ও বিচক্ষণতা এবং বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতাই তাকে একজন সত্যিকারের রাজনৈতিক সংগঠকে পরিণত করেছিল। দুলু কতটা গ্রহনযোগ্য প্রিয় মানুষ ছিলেন যা তার জানাজায় বিভিন্ন রাজনৈতিক, শ্রেনী পেশার মানুষের উপস্থিতি প্রমান করেছে। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় দলীয় কার্যালয়ে প্রয়াত বিএনপি নেতা আজিজুল হাসান দুলুর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে খুলনা মহানগর বিএনপি আয়োজিত স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। বক্তারা আরো বলেন, বিএনপির রাজনীতির এক নির্ভীক সৈনিক ছিলেন আজিজুল হাসান দুলু। দলের সব ক্রান্তিকালে দুলু দায়িত্ব পালন করতেন অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে। মামলা হামলা, নিপীড়ন-নির্যাতন সহ্য করেও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সংগ্রামে দুলু থাকতেন সামনের কাতারে। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি আইনের শাসন, মানবিক মর্যাদা, মৌলিক-মানবাধিকারসহ গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে গেছেন দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে। বক্তারা আরো বলেন, দুলুর মতো একজন সাহসী ও তরুণ নেতার মৃত্যুতে জাতীয়তাবাদী শক্তি একজন উদীয়মান নেতৃত্ব হারালো। চলমান ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে তার সাহসী ভূমিকা এ প্রজন্মের জন্য অনুস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন এর পরিচালনায় স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন, খুলনা জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান, মো. শফিকুল আলম তুহিন, এস এম মনিরুল হাসান বাপ্পী, আবু হোসেন বাবু, কাজী মাহমুদ আলী, আবুল কালাম জিয়া, শের আলম সান্টু, বদরুল আনাম খান, শেখ তৈয়েবুর রহমান, একরামুল হক হেলাল, আশরাফুল আলম খান নান্নু, শেখ সাদি, এনামুল হক স্বজল, কে এম হুমায়ন কবীর (ভিপি হুমায়ুন), মো. মুরশিদ কামাল, কাজী মিজানুর রহমান, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ, আবু সাইদ হাওলাদার আব্বাস, নাসির খান, তারিকুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম, মিজানুর রহমান মিলটন, শফিকুল ইসলাম শফি, মুজিবর রহমান, সরদার আবদুল মালেক, জাফরি নেওয়াজ চন্দন, শামসুল বারিক পান্না, সাঈদ হাসান লাভলু, আহসান হাবীব বাবু, কামরুজ্জামান রনু, বিএনপির মাহবুবউল্লাহ শামীম, মো. আলতাফ হোসেন খান, আসাদুজ্জামান আসাদ, কে. এম মাহাবুবুল আলম, সিরাজুল উসলাম লিটন, মোঃ শহীদ খান, মোস্তফা কামাল, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, যুবদলের কাজী নেহিবুল হাসান নেহিম, আব্দুল আজিজ সুমন, জাসাসের আজাদ আমিন, ছাত্রদলের আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, মেহেদী হাসান মিন্টু, মাহমুদ আলম লোটাস, মহিলা দলের আনজীরা খাতুন, স্বেচ্ছাসেবক দলের আতাউর রহমান রনু, শরিফুল ইসলাম টিপু প্রমূখ। সভা শেষে আজিজুল হাসান দুলুর আত্মার মাগফিরাত কামনায় এবং দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মাও. জাহিদুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, খুলনা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহবায়ক, সাবেক ছাত্রনেতা আজিজুল হাসান দুলু দীর্ঘ একমাস চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় ২০২২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর (সোমবার) বেলা ১১ টা ২৫ মিনিটে ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ^াস ত্যাগ করেন।
খুলনায় স্থানীয় সরকার দিবসের সমাপনী
তথ্য বিবরণী
জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও তিন দিনব্যাপী মেলার সমাপনী মঙ্গলবার রাতে খুলনা শহিদ হাদিস পার্কে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, সিটি কর্পোরেশন নাগরিকের সার্বিকসেবা প্রদান করে থাকে। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রায় সকল ক্ষেত্রে মানুষ স্থানীয় সরকারের সেবার ওপর নির্ভরশীল। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের চিত্র ও সেবার মান বৃদ্ধির তথ্য সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াই এই দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্য। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। স্থানীয় সরকারের অবকাঠামোগত উন্নয়ন অব্যাহত থাকলে অচিরেই জনগণ শহরের সুযোগ-সুবিধা গ্রামেই ভোগ করতে পারবে। বর্তমান সরকার সেবা সহজীকরণ এবং জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছানোর জন্য বদ্ধপরিকর।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আব্দুল্লাহ, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার দপ্তরের উপপরিচালক মোঃ ইউসুপ আলী ও কেসিসির প্যানেল মেয়র মোঃ আলী আকবর টিপু। এতে স্বাগত বক্তৃতা করেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলাম। খুলনা সিটি কর্পোরেশন এই অনুষ্ঠানের আয়োজনে করে।
পরে শ্রম প্রতিমন্ত্রী ও সিটি মেয়র তিন দিনব্যাপী মেলায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী স্টল প্রতিনিধিদের মাঝে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন।
ডুমুরিয়ায় এ্যাড. সাইফুল ইসলামের গণসংযোগ ও সরকারের উন্নয়নের লিফলেট বিতরণ
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর বাজারে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনয়ন প্রত্যাশী, খুলনা সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম গণসংযোগ এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের লিফলেট বিতরণ করেন।
গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ গণসংযোগে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা শাহনেওয়াজ হোসেন জোদ্দার, এ্যাড. এস এম তারিক মাহমুদ তারা, এ্যাড. এনামুল হক, এ্যাড. কে এম ইকবাল হোসেন, এ্যাড. এম এম সাজ্জাদ আলী, কাজী আলমগীর হোসেন, সরদার আব্দুল গনি, অধ্যা. সিরাজুল ইসলাম, আব্দুস সামাদ, আব্দুস ছাত্তার গাজী, মিজানুর রহমান সরকার, আব্দুল আজিজ সরকার, হিমাংশু বিশ্বাস, অধ্যা. অরুন সরকার, অধ্যা. সুকৃতি, রামপ্রসাদ মন্ডল, আদিত্য মন্ডল, আশরাফ আলী গাজী, নরেন্দ্রনাথ সরকার, আছাদুজ্জামান গাজী, মো. আবুল শেখ, মিকাউল রহমান, আফরোজা খানম মিতা, এ্যাড. আশরাফুল আলম রাজু, ব্যাংকার আব্দুল মান্নান, এ্যাড. কে এম মিজানুর রহমান, এ্যাড. আব্দুল জলিল, এ্যাড. মতিয়ার রহমান, বিশ্বজিৎ সরদার, মো. হানিফ, অধ্যা. কে এম হযরত আলী, বিপুল মন্ডল, দেবব্রত সরদার, প্রণব সাহা, দীনবন্ধু ঢালি, আব্দুল হান্নান, মো. আলমগীর, এ্যাড. আশরাফ আলী পাপ্পু, এ্যাড. মেহেদী হাসান, মো. শরিফুল ইসলাম মুন্না, ওয়াহিদুজ্জামান গোলাপ, এ্যাড. রবীন্দ্র নাথ সরদার, এ্যাড. নিউটন মন্ডল, এ্যাড. শেখর ঢালী, এ্যাড. অশোক গোলদার, তমাল বাওয়ালী, মোস্তাফিজুর রহমান, জয় সরকার, এ্যাড. উল্লাস কর বৈরাগী, সাইফুল ইসলাম, আব্দুল মালেক গাজী, এ্যাড. আব্দুল কুদ্দুস, এ্যাড. খোরশেদ আলম, মিজানুর রহমান, শরিফুল ইসলাম লিটু, রবিউল ইসলমা মিঠু, মো. আবুল হোসেন, মেহেদী হাসান, মো. কামাল হোসেন, ইয়াসিন মেম্বার, মো. এনামুল শেখ, মো. মিরাজ মেম্বার, মো. শাহীন মেম্বার, বাবু সুভাষ মল্লিক, রাজু মল্লিক, অভিজিৎ মল্লিক, প্রদুত মল্লিক, উৎপল মন্ডল, এ্যাড. আশরাফুর রহমান দিপু, এ্যাড. সজিব বৈরাগী, এ্যাড. সমির, মো. রিয়াজ হোসেন, সাংবাদিক সোহেল, মো. ফেরদাউস, মো. সুইট, রফিকুল ইসলাম রাসেল, আনিসুর রহমান, রবিউল ইসলমা, সোলায়মান, মো. কামরুল ইসলাম, আব্দুল মান্নান, মো. সাগর, মো. হায়দার আলী, মো. জাকির, মো. হানিফ প্রমূখ। ##
ঝিকরগাছায় স্মার্ট কার্ড সংগ্রহে ভোগান্তি, ক্ষোভ: সীমিত কেন্দ্র বাড়িয়েছে ভোগান্তি
যশোর অফিস
যশোরের ঝিকরগাছায় স্মার্ট এনআইডি কার্ড বিতরণে সীমিত কেন্দ্রের কারণে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। উপজেলার দুই লক্ষাধিক ভোটারের স্মার্ট কার্ড বিতরণের জন্য ১০টি কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। একটি কেন্দ্রের মাধ্যমে পুরো ইউনিয়নের কার্ড বিতরণ করায় প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক লোকসমাগম হচ্ছে। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে কার্ড সংগ্রহ করতে গিয়ে তাদের ভোগান্তি বাড়ছে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রে যেতে তাদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।
অন্যদিকে পুরোনো কার্ড হারিয়ে যাওয়ায় অনেকেই বিপাকে পড়ছেন। নির্বাচন অফিসে টাকা জমা দিয়ে কার্ড সংগ্রহ করলেও সেটি গ্রহণযোগ্য হচ্ছে না। দ্বিতীয় দফায় জরিমানা গুনতে গিয়ে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
জানা যায়, ঝিকরগাছার ২ লাখ ৮ হাজার ভোটারের স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে ৯ সেপ্টেম্বর। এ কার্যক্রম চলবে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত। ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় স্মার্ট কার্ড বিতরণের জন্য ১০টি কেন্দ্র খোলা হয়েছে। শিডিউল অনুযায়ী প্রতিটি কেন্দ্রে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হচ্ছে। ভোটারের তুলনায় কেন্দ্রসংখ্যা কম হওয়ায় ভোগান্তি বেড়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। ভোটারদের গ্রাম থেকে কেন্দ্রের দূরত্ব বেশি হওয়ায় তাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। কেন্দ্রে যাওয়ার পর ভোটাদের রোদে দীর্ঘ সময় লাইনে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এছাড়াও পুরোনো কার্ড হারিয়ে ফেলা ভোটাররা বিড়ম্বনায় পড়ছেন। অনেকে জরিমানা দিয়ে কার্ড সংগ্রহ করলেও কেন্দ্রে এসে দ্বিতীয় দফায় আবার জরিমানা দিতে হচ্ছে বলেও কেউ কেউ অভিযোগ করছেন।
শ্রীরামপুরের বাসিন্দা আবুল কাশেম বলেন, পুরোনো আইডি কার্ড হারিয়ে গিয়েছিল। নির্বাচন অফিসে ৩৭০ টাকা জমা দিয়ে কার্ড তুলেছি। সেই কার্ড নিয়ে এসেছি নতুন স্মার্ট কার্ড নিতে। এখন বলছে আবার ৩৭০ টাকা জরিমানা দিতে হবে। এভাবে দুইবার টাকা দিয়ে আমি স্মার্ট কার্ড নেব না।
একই গ্রামের নাজিম উদ্দিন বলেন, ফিঙ্গার ও অন্যান্য কাজ সম্পন্ন করার পর বলছে আমাকে জরিমানা দিতে হবে। তারা বলছে আমার কার্ড নাকি দুই নম্বর। আমি বলেছি সরকারকে টাকা দিয়ে নির্বাচন অফিস থেকে কার্ড নিয়েছি। দুই নম্বর হলো কীভাবে?
ইকবাল হোসেন নামে একজন বলেন, আমার মায়ের আইডি কার্ড হারিয়ে গিয়েছিল। উপজেলা ইসেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে টাকা জমা দিয়েছি। এরপর নির্বাচন অফিস থেকে আইডি কার্ড সংগ্রহ করেছি। সেই কার্ড নিয়ে এসেছি। এখন তারা বলছে, ওই কার্ডে হবে না, আবার টাকা জমা দিতে হবে। এ তো হয়রানি ও দুর্নীতি ছাড়া কিছুই না।
লাইনে দাঁড়ানো শিলা বেগম বলেন, বাচ্চা কোলে নিয়ে লাইনে এভাবে দাঁড়ানো যায় না। তবুও ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছি। গ্রামে কার্ড বিতরণ করলে এত কষ্ট হতো না। যাতায়াত ভাড়াও লাগত না।
আবদুল মালেক নামে আরেক ভোটার বলেন, ৬শ টাকার কাজ (মজুরি) কামাই (বন্ধ) করে স্মার্ট কার্ড নিতে এসেছি। এখানে আসতে-যেতে ভাড়া লাগছে ৬০ টাকা। তারপর আবার কড়া রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছি। ভোগান্তির শেষ নেই।
ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাচন অফিসার সৌমেন বিশ্বাস ছন্দ বলেন, জরিমানার বিষয়ে যারা অভিযোগ করছেন, তারা বাইরের কম্পিউটারের দোকান থেকে কার্ড তৈরি করেছেন। তারা কম্পিউটারের দোকানে টাকা দিয়েছেন। তাদের টাকা নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে জমা হয়নি। কম্পিউটারের দোকান থেকে দেওয়া এনআইডি কার্ডটি নির্বাচন অফিসের সার্ভারে পাওয়া যাচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী স্মার্ট এনআইডি কার্ড বিতরণ কেন্দ্র করা হয়েছে। জনপ্রতিনিধিরা অতিরিক্ত কেন্দ্র চালুর দাবি করেননি। তারা দাবি করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যুবককে বিবস্ত্র করে মারধর, ভিডিও ছড়াল ফেসবুক-টিকটকে
কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় এক যুবককে (২৫) পদ্মার চরে নিয়ে বিবস্ত্র করে মারধরের পর সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভিডিওটি মঙ্গলবার ফেসবুক ও টিকটকে ছড়িয়ে পড়লে আলোচনা সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় জড়িত দুই কিশোর গা-ঢাকা দিয়েছে। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
গত বুধবার রাতে উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নে মারধরের ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী যুবক দিনমজুর। তিনি কুমারখালী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্ত কিশোররা একই এলাকার বাসিন্দা। তারা ইটভাটার শ্রমিক।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, ঘুটঘুটে অন্ধকারে মোবাইল ফোনের ফ্ল্যাশলাইট জ্বালিয়ে একজন ভিডিও ধারণ করছে। অপরজন টাকা ফেরত চেয়ে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ ও ধাতব লাঠি দিয়ে ওই যুবককে মারধর করছে। মারধরের ভিডিও দিয়ে টিকটক বানানো হবে বলে ভিডিওর কথোপকথনে শোনা যায়।
ভুক্তভোগী যুবক জানান, বুধবার রাত ৯টার দিকে বাজারে চা পান করতে যাচ্ছিলেন তিনি। পথে এক কিশোর আরেক কিশোরকে তাঁর গায়ের ওপর ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। এরপর দু’জন তাদের পকেট থেকে ৫০০ টাকা চুরির অপবাদ দেয় তাঁকে। এ নিয়ে তাদের বাগ্বিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। কিছুক্ষণ পর বিষয়টি মীমাংসা হয়ে যায়। রাত ১০টার দিকে বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন ওই যুবক। সে সময় দুই কিশোর তাকে জোরপূর্বক সিগারেট টানায় এবং সড়ক থেকে তুলে নৌকায় করে পদ্মা নদীর চরে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁকে বিবস্ত্র করে মারধর করে এবং ভিডিও করতে থাকে। সে সময় তিন জেলে চলে এলে তারা পালিয়ে যায়। পরে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করেন জেলেরা।
অভিযুক্ত এক কিশোরের মা বলেন, টাকা চুরি নিয়ে তাঁর ছেলের সঙ্গে ওই যুবকের মারামারির ঘটনা শুনেছেন। তবে ছেলে আর বাড়ি না ফেরায় আসল ঘটনা তিনি জানতে পারেননি। আরেক কিশোরের ভাই বলেন, তাঁর ভাই অন্যায় করেছে। তিনি বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত প্রত্যাশা করেন।
জগন্নাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল বাকী বাদশা বলেন, ওই যুবককে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয়েছে। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চান।
কুমারখালী থানার এসআই প্রদীপ বিশ্বাস জানান, মারধর ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা পলাতক।
যুবকের কাছে মিললো সাড়ে ৩ কোটি টাকার এলএসডি
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কেড়াগাছি সীমান্ত এলাকা থেকে তিন কোটি ৬০ লাখ টাকা মূল্যের তিন বোতল ভারতীয় এলএসডি (লাইসার্জিক এসিড ডাইথ্যালামাইড) মাদকসহ আতাউর রহমান ওরফে রানা নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার রাতে উপজেলার কেড়াগাছি সীমান্তের বালিয়াডাঙ্গা বাজারের তিন রাস্তার মোড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত চোরাকারবারী আতারউর রহমান ওরফে রানা (২২) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সাতানী ঘোষ পাড়া গ্রামের মৃত আশরাফুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশ জানায়, ভারত থেকে অবৈধ পথে কলারোয়া উপজেলার কেড়াগাছি সীমান্ত দিয়ে ভয়ঙ্কর মাদক এলএসডির একটি বড় চালান আনা হয়েছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কলারোয়ার থানা পুলিশের এসআই নুর ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টহল দল সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় সীমান্তের বালিয়াডাঙ্গা বাজারের তিন রাস্তার মোড় থেকে ১০০ মিলিগ্রামের তিন বোতল ভয়ঙ্কর এলএসডি মাদকসহ চোরকারবারী আতাউর রহামানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে, এ সময় পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় যশোর জেলার শার্শা থানার পারকায়বা গ্রামের আমজেদ হোসেনের ছেলে মাদক চোরাকারবারী সুজন হোসেন (২৪)। পুলিশ আরও জানায়, জব্দকৃত এলএসডি মাদকের বাজার মূল্য তিন কোটি ৬০ লাখ টাকা।
গ্রেপ্তারকৃত চোরাকারবারী আতাউর রহমান জানান, উক্ত এলএসডি মাদকগুলো সে পলাতক চোরাকারবারী সুজন হোসেনের কাছ থেকে কিনেছে।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গ্রেপ্তারকৃত আতাউর রহমান ও পলাতক আসামি সুজন হোসেনের বিরুদ্ধে কলারোয়া থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
৩৮ কোটিতে বিক্রি হয়ে গেলো পি কে হালদারের কুমিরের খামার
খুলনাঞ্চল রিপোর্ট
ময়মনসিংহের ভালুকায় প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারের মালিকানায় থাকা কুমিরের খামার রেপটাইলস ফার্মস ৩৮ কোটি টাকায় বিক্রি হয়েছে। সম্প্রতি নিলামে খামারটি কিনেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা উদ্দীপন।
রেপটাইলস ফার্মস লিমিটেডের ম্যানেজার মোহাম্মদ আরিফ এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ২০০৪ সালে উপজেলার উথুয়া ইউনিয়নের হাতিবেড় গ্রামে প্রায় ১৫ একর জমিতে মাত্র ৭৪টি কুমির নিয়ে ‘রেপটাইলস ফার্ম লিমিটেড’ নামে দেশের প্রথম এ কুমির খামারটি চালু করেন উদ্যোক্তা মুশতাক আহমেদ। পরে ২০১৩ সালে মুশতাক আহমেদের কাছ থেকে খামারটি কিনে নেন পি কে হালদার ও তার সহযোগীরা। খামার সম্প্রসারণ করতে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড থেকে ৫৭ কোটি টাকার বেশি ঋণ নেন পি কে হালদার। জামানত হিসেবে ফার্মের জমি ব্যবহার করা হয়।
মোহাম্মদ আরিফ আরও জানান, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে ফার্মের নামে ঋণ বাড়ানো হয়। চার কোটি ২৮ লাখ মূল্যের বন্ধকি জমির বিপরীতে এখন বকেয়া খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় ১০৮ কোটি টাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৯ সাল থেকে খামারের ব্যবস্থাপনায় থাকা ব্যক্তিদের অনুপস্থিতির কারণে বকেয়া ঋণ পুনরুদ্ধার করতে পারছিল না ইন্টারন্যাশনাল লিজিং। এছাড়া অব্যবস্থাপনা, খাদ্য ঘাটতি এবং আর্থিক সংকটের কারণে সময়ের ব্যবধানে খামারে কমতে থাকে কুমিরের সংখ্যা। পরে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট গতবছরের মার্চে ছয় সদস্যের একটি পরিচালনা পর্ষদ গঠন করেন। এতে ড. নাঈম আহমেদ পরিচালক এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কুমির বিশেষজ্ঞ এনাম হক ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পান।
খামারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এনাম হক জানান, খামারটি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল কুমিরের চামড়া রপ্তানি করা। ২০২০ সালে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলায় খামারের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। হুমকিতে পড়ে খামারে কুমিরের পরিচর্যা।
তিনি বলেন, ব্যয় মেটাতে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয় খামারটি। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য টিকিটের মূল্য ১৫০ টাকা এবং শিক্ষার্থীদের জন্য ১০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে। বর্তমানে খামারটিতে দুই হাজার পাঁচ শতাধিক কুমির রয়েছে।
খামারটি বিক্রি হওয়া প্রসঙ্গে এনাম হক বলেন, ঋণ পরিশোধ না করায় খামারটি বিক্রি করেছে নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড। সর্বোচ্চ দাম উঠেছে ৩৮ কোটি টাকা। খামারটি কিনতে আগ্রহী উদ্দীপন নামের একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা। উদ্দীপন বর্তমানে নিলামের অর্থ পরিশোধের প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। খামার বিক্রির টাকায় পরিশোধ করা হবে পি কে হালদারের ঋণ।
এ বিষয়ে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মশিউর রহমান বলেন, ঋণ পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে রেপটাইলস ফার্মটি নিলামে তোলা হয়েছিল। খামার অধিগ্রহণের জন্য নিলামের সময় উদ্দীপন সর্বোচ্চ দরের প্রস্তাব দেয়। বকেয়া ঋণের পরিমাণ অনেক বেশি হলেও খামারটি প্রায় ৩৮ কোটি টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা বেশ আশানুরূপ একটি দাম।
এদিকে খামারটি থেকে ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত এক হাজার ৫০৭টি কুমিরের চামড়া জাপানে রপ্তানি করা হয়েছে বলে জানান রেপটাইলস ফার্মস লিমিটেডের ম্যানেজার মোহাম্মদ আরিফ। প্রতিটি চামড়ার আন্তর্জাতিক বিক্রয়মূল্য ৫০০-৬০০ ডলার।
২০০৪ সালে মালয়েশিয়া থেকে আমদানি করা ৭৫টি কুমির নিয়ে যাত্রা শুরু হয় খামারটির। খামারটিতে বর্তমানে কুমিরের সংখ্যা ৩ হাজার ৭০০টি।
মেহেরপুরের কোনো হাসপাতালে নেই অ্যান্টিভেনম
জেলা প্রতিনিধি
যেকোনো বিষধর সাপ কামড়ানোর পর অ্যান্টিভেনম প্রয়োগ জরুরি হয়ে যায়। অন্যথায় রোগীর মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে। রোগীর শরীরে এই অ্যান্টিভেনম প্রয়োগ সবচেয়ে জরুরি হলেও মেহেরপুরের হাসপাতালগুলোতে নেই অত্যাবশ্যকীয় এই ওষুধটি।
সাপে কাটার পর অনেকে কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে ওঝার কাছে গিয়ে ঝুঁকিতে ফেলেন জীবন। এমনকি প্রাণও হারান অনেকে। ফলে হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ অ্যান্টিভেনম থাকলে সাপে কাটা রোগীরা সঠিক চিকিৎসাসেবা পাবেন। কিন্তু এন্টিভেনমের অভাবে সেই চিকিৎসাসেবা নিতে পারছেন না রোগীরা।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে গত এক সপ্তাহ ধরে এবং গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও দীর্ঘ ছয় মাস ধরে অ্যান্টিভেনম নেই। ফলে অ্যান্টিভেনম না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন সাপে কাটা রোগীরা।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জামির মো. হাসিবুস সাত্তার বলেন, কিছুদিন আগে হাসপাতালে অ্যান্টিভেনম শেষ হয়েছে। চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে, আশা করছি অল্প কিছুদিনের মধ্যে সঙ্কট দূর হবে।
মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তৌফিক আহমেদ জানান, গত জুন মাসে অ্যান্টিভেনম শেষ হয়েছে। জুলাই মাসে চাহিদা পত্র পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখনো পাওয়া যায়নি।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টোর কিপার দবির উদ্দিন জানান, দীর্ঘ ছয় মাস আগে অ্যান্টিভেনম শেষ হয়েছে। কয়েকবার লিখিত চাহিদাপত্র দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রতিমাসে সিভিল সার্জন অফিসের মিটিংয়ে চাহিদার কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয়। এখনো পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. জওয়াহেরুল আনাম সিদ্দিকী জানান, মাস খানেক হবে জেলায় সাপে কাটা রোগীদের অ্যান্টিভেনম শেষ হয়েছে। জেলার চাহিদা পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্তই শিশু ধর্ষণকারীর গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছিল
যশোর প্রতিনিধি
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার কলামনখালী গ্রামে প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া (৭) শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় সামিরুল (২২) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে যশোরের র্যাব-৬।
রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কালিয়া উপজেলার বারইহাটি এলাকা থেকে সামিরুলকে গ্রেফতার করা হয়। সে কালিয়া উপজেলার কলামনখালি গ্রামের আহমদ আলীর ছেলে।
সন্ধ্যায় পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-৬ যশোরের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন।
তিনি জানান, গত ১৫ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার দিকে ভুক্তভোগী ওই শিশু তার মাকে খুঁজতে বাড়ি থেকে বের হয়। পথে শিশুটিকে একা পেয়ে তার মুখ চেপে ধরে পাশের একটি বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে সামিরুল। শিশুর কান্না ও চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটিকে ফেলে ধর্ষণকারী পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা শিশুর স্বজনদের খবর দেয় এবং তাকে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পরে র্যাব-৬ ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং শিশুর তথ্য অনুযায়ী রবিবার একটি টিম বারইহাটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে সামিরুলকে গ্রেফতার করে।
কোম্পানি কমান্ডার জানান, জিজ্ঞাসাবাদে সামিরুল অপরাধ স্বীকার করে জানায় যে সে একাই ঘটিয়েছে। সে ভেবেছিল শিশুটি তাকে শনাক্ত করতে পারবে না। তাই স্থানীয়দের সঙ্গে মিশে সে-ও ধর্ষণকারীর গ্রেফতার ও শাস্তি দাবি করে আসছিল।
আইনি ব্যবস্থা নিতে গ্রেফতার সামিরুলকে কালিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয় বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
ধর্ষণ ও হত্যার পর আঁখিকে ট্রেন থেকে ফেলে দেয় সৎবাবা
যশোর অফিস
যশোরে রেললাইনের পাশ থেকে কিশোরীর মরদেহ উদ্ধারের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। সৎবাবা ধর্ষণের পর চলন্ত ট্রেনে শ্বাসরোধে হত্যা করে কিশোরীকে ফেলে দেন। ধর্ষণের কথা গোপন রাখতেই পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন তিনি।
ওই কিশোরীর হত্যার মূল আসামি মিন্টু সরদারকে (৩৯) গ্রেপ্তারের পর মঙ্গলবার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) বেলাল হোসাইন পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। নিহত কিশোরীর নাম আঁখি খাতুন (১৪)। তার বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার নাটিমা ইউনিয়নের দড়িয়াপুর গ্রামে।
পুলিশ জানায়, সোমবার সকালে যশোর সদরের সাতমাইল ও মথুরাপুরের মাঝামাঝি স্থানে রেললাইনের পাশে অজ্ঞাতপরিচয় কিশোরীর লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। তার মুখমণ্ডল রক্তাক্ত ছিল। খবর পেয়ে ডিবি পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। পরে পুলিশ সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করে যশোর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ওই কিশোরীর ছবি দিয়ে পরিচয় শনাক্তের জন্য সবার সহযোগিতা চাওয়া হয়। ফেসবুকে ছবি দেখে মহেশপুর থেকে এক ব্যক্তি নিহতকে শনাক্ত করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) বেলাল হোসাইন বলেন, কিশোরীর পরিচয় পাওয়ার পরে সন্দেহভাজন হিসেবে তার সৎবাবা মিন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। মিন্টু পুলিশকে জানান, গত ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার আঁখিকে চৌগাছার বলুহ দেওয়ানের মেলায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে নিয়ে আসেন মিন্টু। মেলায় ঘোরাঘুরি শেষে রোববার যশোর শহরের রেলস্টেশন এলাকার বৈকালি হোটেলে একটি কক্ষে উঠেন। সেখানে আঁখিকে ধর্ষণ করেন মিন্টু।
তিনি আরও বলেন, পরের দিন রাতে ট্রেনযোগে বাড়ি ফেরার সময় রাতে যশোর রেল স্টেশনের ঝোপঝাড়ের মধ্যে আঁখিকে আবারও ধর্ষণ করেন মিন্টু। এদিন রাত ১১ টার দিকে সীমান্ত এক্সপেসযোগে বাড়ি ফেরার পথে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য চলন্ত ট্রেনে গলা টিপে হত্যা করে ট্রেন থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন সৎবাবা। এরপর তিনি বাড়িতে এসে কিশোরীর দুই পায়ের একজোড়া নুপুর একটি সিগারেটের প্যাকেট ঢুকিয়ে তার বসতঘরের পাশে আবর্জনার মধ্যে পুতে রাখেন।
বেলাল হোসাইন বলেন, মিন্টুর স্ত্রী নুরজাহান বেগমের আগের ঘরের সন্তান আঁখি। পরবর্তী সময়ে সেই স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হলে মিন্টুকে বিয়ে করেন নুরজাহান। এর আগেও মিন্টুর দুই বিয়ে হয়েছিল। এর মধ্যে এক স্ত্রী মিন্টুকে ছেড়ে চলে যায়। অন্যজন মারা যান। মিন্টু ও নুরজাহানের সংসার একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে।
আঁখি খুনের ঘটনায় তার মা নুরজাহান বেগম বাদী হয়ে খুলনা রেলওয়ে থানায় মামলা করেছেন। মিন্টু দিনমজুরের কাজ করেন।
এদিকে অভিযুক্ত আসামি মিন্টুকে সংবাদ সম্মেলনে আনলে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। অনুতপ্ত হয়ে বলেন, আমি জীবনে বড় ভুল করেছি। আমার মেয়েকে মেলাতে ঘোরানোর কথা বলে খারাপ কাজ করেছি। তাকে দুইবার ধর্ষণ করেছি। এমন ভুল জীবনে আর করব না। আমার মতো এই ভুল যেন কেউ না করে। এই কথা ভাবতে গেলে আমি কিছু খেতেও পারছি না। কীভাবে কী করে ফেললাম ভাবতে পারছি না। মারার সময় মেয়েটা কত কষ্ট পেয়েছিল।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- পুলিশ পরিদর্শক মামুন খান, জেলা ডিবি (ওসি) রুপন কুমার সরকার, ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম প্রমুখ।
ফের উৎপাদনে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র
বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ত্রুটি কাটিয়ে তিনদিন পর ফের উৎপাদন শুরু করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ কোম্পানি (ডিজিএম) মোহাম্মাদ আনারুল আজিম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঐ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন শুরু হয়।
বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. আনোয়ার উল আজীম বলেন, সোমবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে ফের উৎপাদন শুরু হয়েছে রামপাল কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে। সন্ধ্যা থেকে উৎপাদিত ২৬০ মেগাওয়াট যুক্ত হয়েছে জাতীয় গ্রিডে।
এর আগে, গত ১৪ সেপ্টেম্বর যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় কেন্দ্রটির। এ কেন্দ্র থেকে ২৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ হচ্ছে।