শৈলকুপা (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি।।
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ৮ দিন পর কানের দুলের সূত্র ধরে শিশু জান্নাতির হত্যার জট খুলেছে। কিস্তির টাকা জোগাড় করতে জান্নাতির কানের দুল খুলে নেন প্রতিবেশী সেলিনা বেগম। বিষয়টি বুঝতে পেরে কাঁদতে থাকে শিশুটি। কান্না থামাতে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে সেলিনা। সোমবার শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
জান্নাতি বাগুটিয়া গ্রামের খোকন ভূঁইয়ার মেয়ে ও বকশীপুর ভান্ডারিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী।
জানা যায়, ১১ সেপ্টেম্বর প্রতিবেশী সেলিনা বেগম জান্নাতি খাতুনকে (৬) হত্যা করেন। হত্যার পর বাড়ির পাশের ডোবায় ফেলে মরদেহ দেন তিনি। ঘটনার দিন রাত ১০টার দিকে ডোবা থেকে জান্নাতির মরদেহ উদ্ধার করেন স্বজনরা।
হত্যার ৭ দিন পর রোববার দুপুরে শৈলকুপা থানা-পুলিশ ও ঝিনাইদহ র্যাবের বিশেষ টিম যৌথ অভিযানে রবিউল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা বেগমকে আটক করে। পরে র্যাব ও পুলিশ উপজেলার হাটফাজিলপুর বাজারের একটি স্বর্ণের দোকান থেকে জান্নাতির কানের দুল উদ্ধার করে।
ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, হত্যার পর জান্নাতির মরদেহ কাঠের গাদার মধ্যে লুকিয়ে রাখেন সেলিনা। পরে সুযোগ বুঝে ডোবায় ফেলে দেন। দুল ৪ হাজার টাকা বিক্রি করেন সেলিনা।