হারমানপ্রীতের আচরণ মানা যেত, যদি…

6

স্পোর্টস ডেস্ক।।

বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডেতে আউট হয়ে ব্যাট দিয়ে স্টাম্প ভাঙেন ভারত নারী দলের অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর। সে সময় আম্পায়ার তানভীর আহমেদকে উদ্দেশ্য করে ক্ষোভ তিনি। ম্যাচ শেষেও থামেননি হারমানপ্রীত। আম্পায়ারিংকে ‘প্যাথেটিক’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন করার সময়ও করেন ‘উদ্ভট’ আচরণ। তাচ্ছিল্যের সুরে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যোগ দিতে বলেন আম্পায়ারদের।

ভারত অধিনায়কের এমন ‘অক্রিকেটীয়’ আচরণের সমালোচনা চলছে চারদিকে। ম্যাচশেষে বাংলাদেশের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি হারমানপ্রীতকে ‘শিষ্টাচার’ শেখার পরামর্শ দেন। তার দেশ ভারতেরই অনেকে দাবি করেছেন তার কঠোর শাস্তি। সমালোচনা করতে ছাড়েননি ভারতের নারী দলের প্রথম অধিনায়ক শান্ত রাঙ্গাস্বামী।

হারমানপ্রীতের আচরণকে ‘বেপরোয়া’ এবং ভারতীয় অধিনায়কের সঙ্গে মানানসেই নয় বলে উল্লেখ করেছেন রাঙ্গাস্বামী। গতকাল মঙ্গলবার পিটিআইকে তিনি বলেছেন, ‘তার আচরণ মানা যেত, যদি সে আউট হওয়ার পর যা করেছে সেখানে থেমে যেত। কিন্তু, প্রেজেন্টেশনে সে যা করেছে সেটা ক্রিকেটের জন্য ভালো কিছু নয়। এটি বেপরোয়া আচরণ ছিল এবং অতিরিক্ত করেছে।’

রাঙ্গাস্বামী মনে করেন, ভারত ও বাংলাদেশ বোর্ডের করা সব ভালো কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন হারমানপ্রীত। বলেন, ‘নিঃসন্দেহে সে (হারমানপ্রীত) আমাদের সেরা ব্যাটসম্যান। কিন্তু এই ধরনের আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। এ সমস্ত কাজ দেশের বোর্ডের করা ভালো কাজের সুনাম ক্ষুন্ন করে।’

ভারতের সাবেক এই অধিনায়ক আরও বলেন, ‘হারমানপ্রীত সেখানে গিয়েছিল আমাদের দেশের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে এবং তার সেভাবেই আচরণ করা উচিত ছিল।

প্রসঙ্গত, গতকাল মঙ্গলবার আইসিসির ২ ধারা ভঙ্গের দায়ে হারমানপ্রীতকে ২ ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করে। মাঠে স্টাম্প ভাঙার জন্য তিন ডি মেরিট পয়েন্ট এবং ম্যাচ শেষে প্রকাশ্যে আম্পায়ারদের সমালোচনা করার জন্য ১ ডি মেরিট পয়েন্ট পান তিনি। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, ২৪ মাসের মধ্যে যদি কোনো খেলোয়াড় চার ডি মেরিট পয়েন্ট পায়, তাহলে তাকে ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। এক্ষেত্রে দোষী ওই খেলোয়াড়কে ১টি টেস্ট অথবা সাদা বলের ২ ম্যাচে নিষিদ্ধ করা হয়। হারমানপ্রীত নিষিদ্ধ হয়েছেন সাদা বলের ক্রিকেট থেকেই। কারণ আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে ভারত।