স্টাফ রিপোর্টার।।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেছেন, বিএনপির আমলে দেশ হয়েছিল জঙ্গিবাদের বাংলাদেশ, দুর্নীতিবাজদের বাংলাদেশ, খুনিদের বাংলাদেশ। মানুষ বলত, মসজিদের নগরী ঢাকা আর খুনের নগরী খুলনা।
খুলনায় জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশ ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা অনুষ্ঠানে বিএনপির সমালোচনা করে এসব কথা বলেন তিনি। বুধবার বিকেলে লোয়ার যশোর রোডে অবস্থিত দলীয় কার্যালয়ের সামনে ওই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। ওই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন এস এম কামাল হোসেন।
কামাল হোসেন বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ খালেদা জিয়া নামমাত্র প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ছায়া প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তারেক জিয়া। ওই সময় বিদ্যুৎ দেওয়ার কথা বলে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছেন। ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার আসামি তারেক জিয়ার পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ হয়েছিল জঙ্গিবাদের বাংলাদেশ। ৫০০ বোমার আঘাতে দেশ রক্তাক্ত হয়েছিল।
কামাল হোসেন আরও বলেন, সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য ও বঙ্গবন্ধু সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য যারা পাটের গুদামে আগুন দিয়েছিল, আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যদের হত্যা করেছিল, সেই শক্তি আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। সেই যুদ্ধাপরাধী ও হত্যাকারীদের নিয়ে গঠিত বিএনপি–জামায়াত আজকে বিশ্বনেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, মিথ্যাচার করছে। কারণ, বঙ্গবন্ধুর মেয়ে তাঁর সততা, সাহসিকতা, দেশপ্রেম, দূরদর্শী নেতৃত্ব, সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণে দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। এটা ওই ষড়যন্ত্রকারীরা সহ্য করতে পারছে না।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ওই নেতা আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর জিয়াউর রহমান থেকে খালেদা জিয়া—যাঁরা বাংলাদেশটাকে অন্ধকারে নিয়ে গিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ ও মর্যাদাশালী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করছে, তারা দেশের বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র করছে। তিনি ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানান।
শান্তি সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুজিত অধিকারী। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন সহসভাপতি সোহরাব আলী ও বি এম এ সালাম, যুগ্ম সম্পাদক শরফুদ্দিন বিশ্বাস, মো. কামরুজ্জামান প্রমুখ।