দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের নেতৃত্বে আছে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান: বক্তারা

8

খবর বিজ্ঞপ্তি।।

দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের নেতৃত্বে আছে বেগম খালেদা জিয়া ও বিশ্ব চোর তারেক রহমান। এদেরকে যুব ঐক্য গড়ে তুলে প্রতিহত করতে হবে। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা কওে জিয়াউর রহমানকে গণতন্ত্রকে ক্যান্টনমেন্টে ভর্তি করেছিলো। জাতির পিতার হত্যার বিচার বন্ধ করে মানবাধিকারকেও হত্যা করেছিলো তারা। এখন বিদেশী প্রভুরেদর ডেকে নিয়ে তারা আমাদের সার্বভৌমত্ব, আমাদের মূল্যবোধকে ধ্বংস করার পায়তারা করছে। যুবকদের এক্যবদ্ধ ভাবে স্বাধীনতা বিরোধী এই চক্রকে রুখে দাঁড়াতে হবে।
বিএনপি নেতারা বলেন, তারা তত্বাবধায়ক সরকার চান । তারা সংবিধান মানেন না। কারন তারা সংবিধানকে বার বার হত্যা লঙ্ঘন করেছে। তাই আমাদের ইস্পাত কঠিন ঐক্য গঠন করে তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের খুলনা বিভাগীয় তারুণ্যের জয়যাত্রা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সোহেল এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাঈনুল হোসেন খান নিখিল এর পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, খুলনা সিটি কর্পোরেশন এর মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল, খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ সুজিত অধিকারী, খুলনা-০৬ আসনের সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু, বাগেরহাট ০৪ আসনের সংসদ সদস্য আমিরুল ইসলাম মিলন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ নবী নেওয়াজ, ইঞ্জিঃ মৃণাল কান্তি জোয়ার্দ্দার, মোঃ তাজউদ্দীন আহমেদ, মোঃ আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক সুব্রত পার, বদিউল আলম বদী, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু মনির মোহাম্মদ শহিদুল হক রাসেল, এ্যাডঃ ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, আন্তর্জাতিক সম্পাদক কাজী ছারোয়ার হোসেন, সামসুল আলম অনিক। সমাবেশে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি সফিকুর রহমান পলাশ, খুলনা জেলা যুবলীগের সভাপতি চৌধুরী মোহাম্মদ রায়হান ফরীদ, খুলনা মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজন, খুলনা জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জি মাহাফজুর রহমান সোহাগ।
এছাড়াও সমাবেশে পাশ্ববর্তী বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, যশোর, নড়াইর, গোপালগঞ্জ, পিরোজপুর, জেলা যুবলীগের সভাপতি/আহবায়ক ও সাধারণ সম্পাদক/যুগ্ম আহবায়ক গন মিছিল সহকারে অংশগ্রহন করেন। মিছিল সহকারে অংশগ্রহন করে খুলনা মহানগরীর ৩১টি ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ ও খুলনা জেলা উপজেলা, পৌরসভা ও থানার নেতৃবৃন্দ। মিছিলে মিছিলে পুরো খুলনা মহানগরী মিছলের নগরীরেত পরিনত হয় ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা’ সমাবেশকে কেন্দ্র করে। প্রায় লক্ষাধিক নেতা কর্মী যুবলীগের এই তারুণ্যের জয়যাত্রা সমাবেশে অংশগ্রহন করে।

অসুস্থ্য কন্যাকে হাসপাতালে রেখে তারুণ্যের জয়যাত্রা সমাবেশে শেখ সোহেল
খুলনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের তারুণ্যের জয়যাত্রা সমাবেশ। বৃহষ্পতিবার নগরীর ডাক বাংলো ও সোনালী ব্যাংক চত্বরে দুপুর তিনটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত চলে এই সমাবেশ। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সোহেল। সন্ধ্যা সাতটায় তিনি সভাপতিত্বের বক্তব্য রাখেন। এ সময় তিনি আবেগঘন বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, আজ আমি এতিম। তিনি বলেন রাত তিন চারটার দিকে গভীর রাতে নগরীর শেরে এ বাংলা রোড থেকে পালিয়ে যেতে হয়েছিলো আমাদের। তিনি বলেন, আমার বাপের ভিটায় সেনাবাহিনী হামলা করেছিলো। আমার মা আমাদের নানা বাড়ি নিয়ে গেলে সেখানেও বন্ধ করে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, আমাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কি দোষ ছিলো আমাদের? কি অপরাধ করেছিলেন আমার পিতা? এমন প্রশ্ন তোলেন তিনি। তিনি বলেন আমার পিতা শহীদ শেখ আবু নাসের ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ভাই ছিলেন। তিনি বলেন, আমার বাবা চাইলে ঢাকায় গিয়ে অনেক টাকার মালিক হতে পারতেন কিন্তু তিনি তা করেননি। খুলনা ও খুলনাবাসিকে ভালোবেসে এখানে থেকে যান। তার পরবর্তীতে আমার বড় ভাই শেখ হেলাল উদ্দিন, সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল এখনও খুলনাবাসির আপদে বিপদে পাশে আছেন। তিনি বলেন, আমাদের রক্ত লুৎফর রহমানের রক্ত, শেখ মুজিবের রক্ত। আমাদের দেহে দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও খুনীর রক্ত নয়। তিনি তরুনদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। আগামী নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিজয় নিশ্চিতের আহ্বান জানান।
বক্তব্যেও শেষে তিনি বলেন, আমার ছোট কন্যা অসুস্থ্য। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আর আজ আপনারা খুলনায় সমাবেত হয়েছেন। আমার মনে হয়েছে আপনাদের কাছে আমার চলে আসা উচিত। আমি অসুস্থ্য মেয়েকে রেখে আজ আপনাদের মাঝে এটাই হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর রক্ত।

বৃষ্টি উপেক্ষা করে ২০ হাজার নেতা কর্মীর মিছিল শেখ সুজনের

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ এর খুলনা বিভাগীয় তারুণ্যের জয়যাত্রা সমাবেশ সফলে ২০ হাজার নেতা কর্মীর মিছিল নিয়ে বৃষ্টি উপেক্ষা করে যোগদান করেছেন খুলনা মহানগর যুবলীগ এর সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজন। বৃহস্পতিবার খুলনার ডাক বাংলো ও সোনালী ব্যাংক চত্বরে দুপুর তিনটায় অনুষ্ঠিত হয় যুবলীগের তারুণ্যের জয় যাত্রা সমাবেশ। দুপুর তিনটা থেকে বাগেরহাট, পিরোজপুর, যশোর সহ পাশ্ববর্তী জেলার নেতা কর্মীরা মিছিল সহকারে যোগদান করতে থাকে। খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে মিছিল সহকারে নেতৃবৃন্দ পৌঁছাতে থাকে। বিকাল চারটার দিকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে সমাবেশ স্থলে মিছিল সহকারে খুলনা মহানগর যুবলীগ এর সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজন। এ সময় তার মিছিলের শেষ অংশ দেখা যাচ্ছিলো না। তার সাথে ছিলেন, স্বেচ্ছাসেবক নেতা ও নব নির্বাচিত সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর শরীফুল ইসলাম প্রিন্স, খুলনা মহানগর যুবলীগ নেতা ও নব নির্বাচিত সংরক্ষিত কাউন্সিলর রোজী ইসলাম নদী, মোস্তফা শিকদার, কাজী ইব্রাহিম মার্শাল, মহিদুল ইসলাম মিলন, মসিউর রহমান সুমন, ইয়াসিন আরাফাত, রাশেদুল ইসলাম রাশেদসহ খালিশপুর, দৌলতপুর, খানজাহান আলী, সদর ও সোনাডাঙ্গা থানা যুবলীগের নেতা কর্মীরা। এছাড়াও অংশগ্রহণ করে ছাত্রলীগ নেতা সোহান হোসেন শাওন, জনি বসু সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।
শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজন বলেন, তার মিছিলে প্রায় ২০ হাজার নেতা কর্মীরা অংশগ্রহন করে। তারা তারুণ্যের জয়যাত্রা সমাবেশ সফলে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ এর প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সোহেল এর নেতৃত্বে তারা অংশগ্রহণ করেছেন।