স্পোর্টস ডেস্ক||
ট্রান্সজেন্ডার বা রূপান্তরকামীদের সারা বিশ্বেই বাহবা দেওয়া হচ্ছে। তবে কঠোর এক সিদ্ধান্ত নিল আন্তর্জাতিক সাইক্লিং ফেডারেশন। ফেডারেশনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় এখন থেকে আর নারীদের কোনো ধরনের কোনো সাইক্লিং প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে না এই রূপান্তরকামীরা। ইউসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
এ নিয়ে সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট ডেভিড লাপারতিয়েন্ট যুক্তি দেখিয়েছেন সকলকে সমানভাবে লড়াই করার সুযোগ করে দিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার মতে, ‘ফেডারেশনের একটা দায়িত্ব রয়েছে এটা সুনিশ্চিত করা যাতে করে সব কিছুর ওপরে সকলকে সমান সুযোগ দেওয়া যায়। সাইক্লিং প্রতিযোগিতায় আমরা সকলকে সমান সুযোগ দিতে চাই আর সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত।’
রূপান্তরকামী যেসব প্রতিযোগি রয়েছেন যারা ‘মেল পিউবার্টি’ অর্থাৎ পুরুষ হওয়ার সন্ধিক্ষণের পরে নিজেদের লিঙ্গ রুপান্তর করেছেন তারা নারীদের কোনো রকম সাইক্লিং প্রতিযোগিতায় আর অংশ নিতে পারবেন না। এই উদ্দেশ্যে ১৭ জুলাই নয়া নিয়ম সামনে আনা হয়েছে। যার ফলে আর রূপান্তরকামী লিঙ্গের প্রতিযোগিরা অংশ নিতে পারবেন না নারীদের টুর্নামেন্টে।
ডেভিড লাপারতিয়েন্ট এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘ইউসিআইয়ের সবসময় এই প্রচেষ্টা রয়েছে খেলাটিকে স্বচ্ছ রেখে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। যাতে করে এই খেলাটি একটি প্রতিযোগীতামূলক খেলার পাশাপাশি বিনোদনের একটি মাধ্যম এবং যাতায়াতের একটি মাধ্যম ও হয়ে উঠতে পারে গোটা বিশ্বে। ফলে আমাদের এই খেলাটি সর্বসাধারণের জন্য একেবারে উন্মুক্ত। ফলে কোনো কোনো সময় খেলাটির ক্ষেত্রে কিছু কিছু সতর্কতামূলক পদক্ষেপ, সিদ্ধান্ত নিতে হয়। বর্তমান সময়ে যে বৈজ্ঞানিক জ্ঞান আমাদের কাছে রয়েছে তা থেকে এটা স্পষ্টভাবে বলা যায় না যে রূপান্তরকামী প্রতিযোগিদের এবং সিসজেন্ডার (স্বাভাবিক মহিলা) প্রতিযোগিদের একসঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে দিলে তা উভয়পক্ষকে সমান সুযোগ দেওয়া হবে।আর সেকথা মাথাতে রেখেই আমরা রূপান্তরকামী প্রতিযোগীদের মহিলা বিভাগের টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া থেকে বিরত করছি।’
এদিকে আন্তর্জাতিক সাইক্লিং ফেডারেশনের সভাপতি জানিয়েছেন বিজ্ঞানের যদি কোনও পরিবর্তন হয়, তবে তারা ও তখন প্রস্তুত থাকবে সেই মত নিয়ম কানুনের বদল করতে। গতবছর ব্রিটেনের সেরা মহিলা সাইক্লিস্টরা নিজেদের নাম প্রত্যাহার করার হুমকি দিয়েছিলেন। কারণ ২২ বছর বয়সী এমিলি ব্রিজের মধ্যে পুরুষের মতো লক্ষণ থাকায় তাঁকে দল থেকে বাদ দিয়েছিল ব্রিটিশ অ্যাকাডেমি। পরে তিনিই মহিলাদের ওমিয়াম দলে যোগদানের চেষ্টা করেছিলেন।