খুলনায় বিএনপির তারুন্যের সমাবেশকে ঘিরে বন্ধ ছিল বাগেরহাট থেকে খুলনামুখী সব যান

18
Spread the love

এজাজ কায়েস।।
খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ কেন্দ্র করে বাগেরহাট থেকে খুলনামুখী বাসসহ সব ধরণের যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল থেকে সড়কগুলোতে ব্যক্তিগত গাড়ি, প্রাইভেটকার, মাইক্রো, হাইএস, ইজিবাইক, মাহিন্দ্রাসহ অন্যান্য যানকেও খুলনার দিকে যেতে বাঁধা দেওয়ায় অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে বাগেরহাট বাস মালিক সমিতি বলছে, মহাসড়কে ইজিবাইক, মাহেন্দ্র (থ্রি-হুইলার), নসিমনসহ অযান্ত্রিক অবৈধ যান চলাচল বন্ধের দাবিতে ধর্মঘট করছেন তারা । এদিকে হঠাৎ করেই বাগেরহাট থেকে খুলনাগামী বাসসহ সব ধরণের যান চলাচল বন্ধ হওয়াতে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
বাসের চালক ও হেলপাররা বলেছেন, বাগেরহাট আন্তঃজেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে সোমবার সকাল থেকে সব ধরণের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। খুলনা যেতে কচুয়ার গোপালপুর থেকে বাগেরহাট বাসস্ট্যান্ডে আসা শফিকুল ইসলাম বলেন, আমার এক আত্মীয় অসুস্থ। খুলনার হাসপাতালে ভর্তি। তাকে দেখতে যাব বলে সকালে বাড়ি থেকে বাসস্ট্যান্ডে আসি। দেড় ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকেও কোন বাসে যেতে পারেনি। বাস তো চলছেই না অন্য কোন যান বাহনও যাচ্ছেনা। ইজিবাইক, মাহিন্দ্রও চলতে দিচ্ছে না। বলেন কী করি?
বেলা ১১টার দিকে বাগেরহাট বাসস্ট্যান্ডের সামনে দেখা যায় কয়েকটি মাইক্রোর পথ আটকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন কয়েক ব্যক্তি। তাদের হাতে ছিল লাঠি ও কাঠের বাতা। মাইক্রো দুটিকে পরে আটকে দেওয়া হয়। দুপুর পর্যন্ত বাস স্ট্যান্ড থেকে খুলনামুখী কোন গাড়িই ছেড়ে যায়নি। পিরোজপুর ও বরিশাল থেকেও এই পথে চলাচল করা কোন বাস বাগেরহাটের উপর দিয়ে এদিন খুলনায় যায়নি। বেলা সোয়া এগারোটার দিকে শহরের ভিআইপি মোড় এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় একটি মাইক্রো আটকে চালক ও যাত্রীদের মারধরের ঘটনা ঘটে।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, চোর সন্দেহে সাহাপাড়া (ভিআইপি মোড়) এলাকায় কয়েকজনকে আটকে রাখার কথা শুনেছি। তাদের সাথে মাইক্রোও ছিল। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যান চলাচল বন্ধ বা কোথাও বিএনপির লোকদের বাধা দেওয়ার কোন খবর জানা নেই বা বিএনপির পক্ষ থেকেও কোন অভিযোগ করা হয়নি বলে জানান তিনি।
বাগেরহাট জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুজা উদ্দিন মোল্লা সুজন বলেন, তারুণ্যের সমাবেশে যাতে নেতাকর্মীরা আসতে না পারে এজন্য সকাল থেকেই বাস বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে গতরাতেই অধিকাংশ নেতাকর্মী কর্মসূচিতে অংশ নিতে খুলনাতে চলে এসেছেন। বিএনপি, যুবদলসহ সকল অংগসংগঠন মিলে প্রায় ৫ হাজার নেতাকর্মী খুলনার সমাবেশে অংশ নিয়েছে। এর আগেই খুলনায় অনুষ্ঠিত বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে প্রকাশ্যে বাঁধা ও মারধরের ঘটনা ঘটলেও, এই সমাবেশে তুলনা মূলক রাস্তাঘাটে বাঁধা ও হামলার ঘটনা অনেক কম ছিল বলে জানান তিনি।
যানবাহন বন্ধের বিষয়ে বাগেরহাট বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তালুকদার আব্দুল বাকী বলেন, ইজিবাইক, মাহেন্দ্র (থ্রি-হুইলার), নসিমনসহ মহাসড়কে অযান্ত্রিক ও অবৈধ যান চলাচল বন্ধের দাবিতে তারা ধর্মঘট করছেন। কোন দলের কোন কর্মসূচির সাথে তাদের এই ধর্মঘটের কোন সম্পর্ক নেই।###