‘ভারতের মুসলিমরা পাকিস্তানকেই সমর্থন করবে’

4

স্পোর্টস ডেস্ক।।

ভারতে অনুষ্ঠেয় ওয়ানডে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত সূচি ঘোষণা হয়েছে। যেখানে আগামী ৫ অক্টোবর থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত টুর্নামেন্টটি চলবে। আসরের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ম্যাচে ভারত বনাম পাকিস্তান ১৫ অক্টোবর মুখোমুখি হবে। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে এই ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। আর এই ম্যাচকে ঘিরেই বিতর্কিত এক মন্তব্য করে বসলেন পাকিস্তানের সাবেক পেসার রানা নাভেদ। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

ইতোমধ্যেই হাইভোল্টেজ এই ম্যাচকে কেন্দ্র করে বেশ গুঞ্জন শুরু হয়েছে। ভক্ত, ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ ও সাবেক ক্রিকেটাররা তাদের মতামত দিয়েছেন। তবে রানার মন্তব্যে যেন সব ছাড়িয়ে গেছে।

তিনি জানান, বিশ্বকাপে ভারতের মুসলিমরা পাকিস্তান দলকে সমর্থন করবে। নাদির আলির পডকাস্টে ৪৫ বছর বয়সী নাভেদ একথা বলেছেন।

 

নাভেদ পাকিস্তানের হয়ে ৯টি টেস্ট, ৭৪টি ওয়ানডে এবং চারটি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন।

সাবেক পাকিস্তানি বোলারকে প্রশ্ন করা হয় যে, আহমেদাবাদে বিশ্বকাপে ভারত ও পাকিস্তান একে অপরের মুখোমুখি হবে। একজন বোলার হিসেবে এ বিষয়ে আপনার কী ধারণা? আপনি উপরে কোন দল দেখছেন? জবাবে নাভেদ বলেন, ‘ভারতীয় দল যখন ভারতে খেলবে, তখন অবশ্যই ফেভারিট হবে। পাকিস্তান দলও খুব ভালো। ভালো ম্যাচ হবে। আমি মনে করি সেখানে অনেক মুসলিম রয়েছেন। তাদের পক্ষ থেকেও আমাদের সমর্থন থাকবে। ভারতীয় মুসলিম আমাদের অনেক সমর্থন করে। আমি আহমেদাবাদ এবং হায়দ্রাবাদে দুটি সিরিজ খেলেছি।’

নাভেদ আরও বলেন, ‘আমরা ভারতে ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লিগ (আইসিএল) খেলেছি। আইসিএলে অধিনায়ক ছিলেন ইনজামাম-উল-হক। তাতে আমরা দারুণ সমর্থন পেয়েছি। আমরা বিশ্বের সব দলের সঙ্গে খেলেছি। সেখানে উপস্থিত জনতা সমর্থন করে। আমরা আশা করি ভালো লড়াই হবে।’

আসন্ন বিশ্বকাপটি রাউন্ড রবিন ফরম্যাটে খেলা হবে, যেখানে প্রতিটি দলকে ৯টি লিগ ম্যাচ খেলতে হবে। পাকিস্তান দল তাদের লিগ পর্বের ম্যাচগুলো খেলবে ৫টি শহরে। আহমেদাবাদ ছাড়াও পাকিস্তান দলকে হায়দ্রাবাদ, ব্যাঙ্গালুরু, চেন্নাই এবং কলকাতায় ম্যাচ খেলতে হবে।

রানা নাভেদ উল হাসান বলেন, ‘আমি ২০০৪-০৫ সিরিজের কথা বলছি, যেখানে শেবাগ ৮৫ রানের ইনিংস খেলছিলেন। আমি ছিলাম টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়। সিরিজটা এমন ছিল যে আমরা ২-০ তে পিছিয়ে ছিলাম। সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে দারুণ খেলেছিলেন শেবাগ। আমি ইনজি ভাইকে (ইনজামাম-উল-হক) বলেছিলাম আমাকে বল দিন, এবং তারপর আমি একটি ধীরগতির বাউন্সার করি। আমি শেবাগের কাছে গিয়ে বলেছিলাম আপনি কীভাবে খেলতে হয় সেটা জানেন না। আপনি যদি পাকিস্তানে থাকতেন, আমি মনে করি না আপনি কখনও আন্তর্জাতিক দলে জায়গা পেতেন। সে আমাকে কিছু কথা বললেন। ফিরে এসে ইনজি ভাইকে বললাম। পরের বলে তিনি আউট হন। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ উইকেট ছিল। সেই উইকেট না পেলে আমরা ম্যাচ জিততে পারতাম না।’