স্পোর্টস ডেস্ক।।
২০১৮ সালের ফুটবল বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড দলের অন্যতম সদস্য ডেলে আলি। তাছাড়া ২০১৫-১৬ মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে তৃতীয় হয় টটেনহ্যাম, সেই দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়ও ছিলেন আলি। সম্প্রতি সাবেক ইংলিশ ফুটবলার গ্যারি নেভিলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের কষ্টকর বেড়ে ওঠার কাহিনী এবং মাদকের প্রতি আসক্তির কথা জানান।
বর্তমানে এভারটনে খেলা এই মিডফিল্ডার জানিয়েছেন শৈশবে তার মায়ের বন্ধুর দ্বারা যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন। তাছাড়া তার এলাকার একজন তাকে ব্রিজে ঝুলিয়ে রেখেছিল।
নেভিলের ইউটিউব চ্যানেল ‘দ্য ওভারল্যাপে’র কাছে আলি বলেন, ‘সত্যি বলতে আমি এগুলো নিয়ে (শৈশব) খুব একটা কথা বলিনি। সেসময় এমন কিছু ঘটনা ঘটেছিল যেখান থেকে আপনি পুরোটা বুঝতে পারবেন। যখন আমার বয়স ৬ ছিল, তখন আমি আমার মায়ের বন্ধুর দ্বারা যৌন নিপীড়নের শিকার হই। সে আমাদের বাসায় বেশিরভাগ সময় থাকত। আমার মা মাদকাসক্ত ছিল এবং সেটা ৬ বছরে ঘটে।’
আলি জানিয়েছেন, ক্যারিয়ারজুড়েই শৈশবের সেই ট্রমা থেকে বের হতে পারেননি তিনি। আট বছর বয়স থেকেই তিনি মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন এবং একটি গ্যাংয়ের কাছে নির্যাতনের শিকার হন।
ইংলিশ এই মিডফিল্ডার বলেন, ‘৭ বছর বয়সে আমি ধূমপান শুরু করি, ৮ বছর বয়সে মাদক ব্যবসা। একজন বয়স্ক ব্যক্তি বলেছিল, তারা (আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী) বাইকে বসা একটি শিশুকে থামাবে না। আমি আমার ফুটবল নিয়ে ঘুরতাম এবং তার নিচে আমার কাছে মাদক থাকত।’
তার মদ্যপ মা পরে তাকে আফ্রিকায় বাবার কাছে পাঠিয়ে দেয়। তবে এক বছর পরই ইংল্যান্ডে চলে আসেন আলি। তার বয়স যখন ১২, তখন মা বুঝতে পারেন তার জন্য সবচেয়ে ভালো হবে কোনো পরিবারের কাছে পালতে দেওয়া। আলি জানিয়েছেন, তাকে পালতে নেওয়া পরিবারই তার জীবন বদলে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাকে অসাধারণ একটি পরিবার পালকপুত্র হিসেবে নিয়েছিল। তারা আমার জন্য যা করেছে তার চেয়ে বেশি আমি চাইতে পারি না। …তারা অসাধারণ ছিল, আমাকে অনেক সাহায্য করেছে।… আমি তাদের সবচেয়ে সেরা সন্তান হতে চেয়েছি।’