সংবিধানের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই: আ.লীগ

8

ঢাকা অফিস।।
সরকারের পদত্যাগ ও সংসদের বিলুপ্তি চেয়ে বিএনপির এক দফা দাবিকে নাকচ করে দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা বলেছেন, সংবিধানের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।

বুধবার (১২ জুলাই) রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে বক্তব্যে দলটির নেতারা এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, অল্প সময়ের নোটিশে আপনারা এই সমাবেশকে সফল করে তুলেছেন। জনসমুদ্রের যে তরঙ্গ আপনারা তুলেছেন তাতে বিএনপির এক দফা ভেসে যাবে।

তিনি বলেন, যতবার বিএনপি ক্ষমতায় এসেছে ততবার দেশে সারের সংকট হয়েছে, খাদ্যের সংকট হয়েছে, মঙ্গা হয়েছে। মানুষ সংকটে পড়ে আত্মাহুতি দিয়েছে। আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে কোনও সংকট থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কথা রেখেছেন। সব প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছেন। উন্নয়নের বিপ্লব হয়েছে। সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছেন। কিন্তু বিএনপি আবারও দেশকে পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এখন বিদেশিদের হাতে পায়ে ধরে ক্ষমতা ভিক্ষা চাইছে।

সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, যে বাংলাদেশের সতের কোটি মানুষ শেখ হাসিনাকে ম্যান্ডেট দিয়েছে। ম্যান্ডেট দিয়েছে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য, সেই শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবি করেছে পলাতক আসামির দল। পাকিস্তান আজ নিলামে উঠেছে, কে কত দিয়ে পাকিস্তান কিনবে। যাদের মুরুব্বিদের এই অবস্থা তারা কী করে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে বলে?

তিনি বলেন, বিএনপি বলে নিরপেক্ষ নির্বাচন নির্দলীয় সরকারের অধীনে। এই কথা বলে ওরা বিদেশি ঘটক নিয়ে এসেছে। ঘটকরা এখনো বাংলাদেশে আছে। তারা নির্বাচন কমিশন থেকে বেরিয়ে বলেছে, এই কমিশনের সুষ্ঠু নির্বাচনের দক্ষতা ও সক্ষমতা আছে। তারা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আশা করেছে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, কীসের এক দফা? আসলে এই দেশের উন্নয়ন ওদের সহ্য হয় না। দেশের মানুষ খেয়েপরে উন্নত বাংলাদেশ দেখুক এটা ওদের সহ্য হয় না।

তিনি বলেন, ওরা বলে নির্বাচন বর্জন করবে, প্রতিহত করবে। আগেও এগুলো করেছে। সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েছে। আপনারা প্রস্তুত থাকবেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করবেন ওদের প্রতিহত করতে। বাঙালি জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।

দলের অন্যতম সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোস্তফা জামাল মহিউদ্দিন বলেন, এই সমাবেশ প্রমাণ করে আগামী নির্বাচনে যতই টালবাহানা, ষড়যন্ত্র করুক না কেন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবারও আমরা উন্নয়নের সরকার গঠন করবো।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপির এক দফার জবাবে বলতে চাই, সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোনও সুযোগ নেই। সংবিধান অনুযায়ী আগামী সংসদ নির্বাচন হবে। শেখ হাসিনা আবারও প্রধানমন্ত্রী হবেন। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসার কোনও সুযোগ এই দেশে নেই। নির্বাচন কমিশনকে সরকার কোনোভাবেই প্রভাবিত করবে না। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিন।

প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম বলেন, আজকের সমাবেশের লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করে শেখ হাসিনা সরকারের বিকল্প নেই। বিএনপি আইন মানে না, গণতন্ত্র মানে না। সন্ত্রাসী করে ক্ষমতায় যেতে চায়।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন- সংসদ উপনেতা ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. আবদুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন মায়া চৌধুরী বিক্রম, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব-উল-আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস, উত্তরের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, শিক্ষা সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, প্রচার সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, উপপ্রচার সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম, কেন্দ্রীয় সদস্য আনোয়ার হোসেন, সাহাবুদ্দিন ফরাজী, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের শেখ বজলুর রহমান, হুমায়ুন কবির, নুরুল আমিন রুহুল, আবদুল কাদের খান, হাবিব হাসান, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ, কৃষক লীগের সভাপতি সমির চন্দ, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শারমীন সুলতানা লিলি, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ।

এ ছাড়া, মঞ্চে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে ইসহাক আলী খান পান্না, লিয়াকত সিকদার, নজরুল ইসলাম বাবু, মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, সিদ্দিকী নাজমুল আলম, সাইফুর রহমান সোহাগ, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ, মহানগর আওয়ামী লীগের ডা. দিলীপ রায়, হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, মোর্শেদ হোসেন কামাল, গোলাম সরোয়ার কবির, রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ, আনিসুর রহমান, আজিজুল হক রানাসহ উত্তর ও দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।