স্টাফ রিপোর্টার।।
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউপির গয়েশপুর গ্রামের ফারিয়া সুলতানাকে বিয়ে করেছেন চীন থেকে বাংলাদেশে ছুটে আসা সাউই চুই।
দিনমজুর সানোয়ার হোসেনের মেয়ে ফারিয়া। গত ঈদুল আজহার পরদিন ঢাকায় তাদের বিয়ে হয়। এরপর গত সোমবার শ্বশুরবাড়িতে যান সাউই চুই। তিনি সেখানে তিন-চারদিন থেকে ঢাকায় ফিরবেন বলে জানা গেছে।
জানা যায়, ফারিয়া গার্মেন্টসে চাকরির সুবাদে কয়েক বছর ধরে ঢাকায় থাকেন। এরমধ্যে ফেসবুকের মাধ্যমে চীনা নাগরিক সাউই চুইয়ের সঙ্গে তার পরিচয় ও প্রেম হয়। এরই একপর্যায়ে চুই চীন থেকে ঢাকায় এসে ফারিয়ার সঙ্গে দেখা করেন। পরে গত ঈদের পরদিন তারা বিয়ে করেন।
চুইয়ের এক বোন ঢাকায় গার্মেন্টসের ব্যবসা করেন। সেই বোনের উপস্থিতিতেই তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় এই চীনা নাগরিক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তার নাম এখন মো. আব্দুল্লাহ।
ফারিয়ার মা আনজু খাতুন বলেন, জামাই অনেক ভালো ও শান্ত স্বভাবের। আমার মেয়েকে চীনে নিয়ে যাওয়ার কথা বলছে।
ফারিয়া বলেন, সাউই চুইয়ের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয়। আমার পরিবার রাজি থাকায় আট মাস উই চ্যাটের মাধ্যমে কথা বলি। সাউই চুই আমাকে কিছু ভাষা শিখিয়ে দিয়েছিলেন। সেগুলো দিয়ে তার সঙ্গে আমি কথা বলি। তারপর গত ২০ দিন আগে আমাদের বিয়ে হয়। তিনি অনেক ভালো মনের মানুষ। তিনি সবকিছু মানিয়ে নিতে চেষ্টা করেন।
তিনি আরো বলেন, চীনা ভাষা শিখতে আমার আরো সময় লাগবে। আমি চেষ্টা করছি। আমাকে বিয়ের আগে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। তার নাম এখন আব্দুল্লাহ। তিনি টুকটাক বাংলা বুঝতে পারেন। তাছাড়া আমরা গুগল ট্রান্সলেটর ব্যবহার করে কথা বলি। খুব দ্রুত চীনা ভাষা শিখে যাবো।
সীমান্ত ইউপি চেয়ারম্যান ইসাবুল ইসলাম মিল্টন বলেন, চীন থেকে এসে এক যুবক গয়েশপুর গ্রামের একটি মেয়েকে বিয়ে করেছেন। এটা শুনেছি এবং ছেলেটাকে দেখতে প্রতিদিন তার বাড়িতে মানুষ ভিড় করছেন। ভিসা সংক্রান্ত কাজ শেষ করে ছেলেটি মেয়েটিকে চীনে নিয়ে যাবেন বলে জানতে পেরেছি।
জীবননগর থানার ওসি নাসির উদ্দিন মৃধা বলেন, চীনের এক নাগরিক জীবননগর উপজেলার গয়েশপুর গ্রামে এসে একটি মেয়েকে বিয়ে করেছেন। তাদের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়েছে। তাদের সার্বিক নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে।