সেই ওকস-উডের হাত ধরেই অ্যাশেজে টিকে রইল ইংল্যান্ড

11
Spread the love

স্পোর্টস ডেস্ক।।

আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের দর্শন ‘বাজবল’ খেলে টানা সফলতা পেয়ে আসছিল ইংল্যান্ড। তবে জয়রথ থামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যাশেজ টেস্ট সিরিজে। ৫ ম্যাচের প্রথম দুইটি হারায় সমালোচনার মুখে পড়ে ‘বাজবল’ দর্শন। সিরিজে টিকে থাকতে তৃতীয় ম্যাচে খুব করে জয় চাইছিল ইংল্যান্ড। অবশেষে হেডিংলিতে অস্ট্রেলিয়াকে ৩ উইকেটে হারিয়ে ইংল্যান্ড পেল কাঙ্খিত সেই জয়। আর এই জয়ে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখলেন প্রথম ২ ম্যাচে সুযোগ না পাওয়া ক্রিস ওকস ও মার্ক উড।

মূলত, ইংল্যান্ডের প্রথম দুই ম্যাচে হারার সবচেয়ে বড় কারণ লোয়ার অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা। তৃতীয় ম্যাচে যা ঢেকে দিয়েছেন ওকস আর উড। প্রথম ইনিংসে ওকস ১০ রান করে আউট হলেও উড করেছিলেন ২৪ রান। আর দ্বিতীয় ইনিংসে মহাগুরুত্বপূর্ণ সময়ে ওকস ৩২ রানে আর উড ১৬ রানে অপরাজিত থেকে নিশ্চিত করলেন দলের জয়। বল হাতে তো এই দুজনই ছিলেন ইংল্যান্ডের সেরা। প্রথম ইনিংসে গতির ঝড় উঠিয়ে উড তুলে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসেও ২ উইকেট শিকার তার। অন্যদিকে প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ৩ উইকেট নিয়েছেন ওকস।

প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার ২৬৩ রানের জবাবে ইংল্যান্ড অলআউট হয় ২৩৭ রানে। ২৬ রানের লিড পাওয়া অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয় ২২৪ রানে। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা ইংল্যান্ড তৃতীয় দিন শেষ করে বিনা উইকেটে ২৭ রান তুলে।

চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ২২৪ রান আর অস্ট্রেলিয়ার ১০ উইকেট। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৩৭ রানে অলআউট হওয়া ইংল্যান্ডের জন্য এই রান তোলা বেশ কঠিনই ছিল। আগের দিনে ১৮ রানে অপরাজিত থাকা ডাকেট এদিন আউট হন দলীয় ৪২ রানে। ব্যাটিং অর্ডারে উন্নতি পেয়ে এদিন ওয়ান ডাউনে নামেন মঈন আলী। তবে ৬০ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৫ রান করে আউট হন মঈন। ৯৩ রানের মাথায় প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন জ্যাক ক্রলি (৪৪)।

মিচেল স্টার্ক আর প্যাট কামিন্সের বোলিং তোপে ১৭১ রান তুলতে একে একে ফেরেন জো রুট (২১), বেন স্টোকস (১৩) এবং জনি বেয়ারেস্টো (৫)। তবে একপ্রান্ত আগলে ছিলেন পাঁচে নামা হ্যারি ব্রুক। জয়ের জন্য তখন আরও ৮০ রান দরকার, হাতে ৪ উইকেট। এমন সময়ে ওকসকে সঙ্গে নিয়ে ৫৯ রানের ম্যাচ বাঁচানো জুটি গড়েন ব্রুক। ২৩০ রানের মাথায় ব্রুককে ফেরান স্টার্ক। তবে নয়ে নামা উড সহজ করে দেন ওকসের কাজ। ১ চার ও ১ ছক্কায় মাত্র ১৬ রান তুলে দলকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে। যদিও ম্যাচের উইনিং শটটি আসে ওকসের ব্যাটেই। ৪টি চারে ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।

আগুনে বোলিং করেও অস্ট্রেলিয়াকে রক্ষা করতে পারলেন না স্টার্ক। এদিন ৭৮ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট শিকার এই গতিময় পেসারের। একটি করে উইকেট নিয়েছেন কামিন্স ও মিচেল মার্শ। এই ম্যাচে হারলেও সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে আছে অজিরা।