খবর বিজ্ঞপ্তি।।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল বলেন, পৃথিবীর কোনো সভ্য জাতি বা দেশ কারো মৌলিক বিশ্বাসের ওপর এভাবে আঘাত হানতে পারে না। এর আগেও ২০২০ সালে সুইডেনে একই কাজ করেছিল উগ্রপন্থীরা। এ নীতিহীন ন্যক্কারজনক অপকর্মের ফলে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার সৃষ্টি হয়েছিল, যাতে বহু মানুষ নিহত হয়েছিল। ফলে শুধু মুসলমান নয়; বরং বিশ্বের শান্তিকামী দেশ ও মানুষ থেকে ধিক্কার ও ঘৃণা কুড়িয়েছিল সুইডেন। এগুলো কোনোভাবেই বাক-স্বাধীনতা নয়; বরং বাক-স্বাধীনতার নামে চরম ধৃষ্টতা। তিনি বলেন, এগুলো কী শুধু অবমাননা, নাকি এর পেছনে মুসলমানদের বিরুদ্ধে কোনো গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে তা বিবেচনায় নেয়ার জন্য আমরা মুসলিম নেতৃবৃন্দসহ বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানান। একই সাথে এমন নিকৃষ্ট কর্মকান্ড বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে জাতিসংঘ, ওআইসি, আরবলীগসহ সকল মুসলিম দেশ, নেতৃবৃন্দ ও শান্তিকামী মানুষের প্রতি আহ্বান জানান। সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় উগ্রবাদীদের দ্বারা পবিত্র কুরআন পোড়ানোর ধৃষ্টতা দেখানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
শুক্রবার সকালে খুলনা মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের মহানগরী সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারাজী, জামায়াত নেতা আবু রাইসা, মাওলানা শাহারুল ইসলাম, অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, আব্দুল গফুর, ছাত্রশিবিরের মহানগরী সভাপতি তৌহিদুর রহমান, শ্রমিক নেতা মাহফুজুর রহমান, মো. মশিউর রহমান, সাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ।
সমাবেশে নেতাকর্মীদের নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ। দুনিয়ার মুসলিম, এক হও এক হও। আল কুরআনের অপমান, সইবে না রে মুসলমান। পালুদানের ওই হাত, ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও। আল কুরআনের আলো, বিশ্বব্যাপী জ্বালো। আল হাদীসের আলো, বিশ্বব্যাপী জ্বালো ইত্যাদি শ্লোগান মুখরিত হয় গোটা এলাকা।
এডভোকেট জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল বলেন, সুইডেনে একের পর এক মানবতার মুক্তিসনদ মহাগ্রন্থ আল কুরআন অবমাননার বিরুদ্ধে বাংলাদেশসহ বিশ্বমুসলিমকে সোচ্চার হতে হবে। কুরআন অবমাননা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। মুসলমানদের আবেগ অনুভুতির প্রাণকেন্দ্র পবিত্র কুরআন অবমাননা কোনো সভ্য মানুষ মেনে নিতে পারে না। সুইডেনে কুরআন পোড়ানোর ন্যাক্কারজনক ঘটনা গোটা বিশ্বের মুসলমানদের হৃদয়ে আঘাত করেছে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সুইডেন সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
এডভোকেট হেলাল বলেন, গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, সুইডেনে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় উগ্র ডানপন্থী রাজনৈতিক দল হার্ড লাইনের বিতর্কিত নেতা রাসমুস পালুদান পবিত্র কুরআনে অগ্নিসংযোগ করেছেন। যা শুধু কুরআন নয়; বরং বিশ্বের সকল মুসলমানসহ শান্তিকামী প্রতিটি মানুষের কলিজাকে দগ্ধ করার শামিল।