স্টাফ রিপোর্টার।।
‘রণে বনে জলে জঙ্গলে যখনই বিপদে পড়িবে আমাকে স্মরণ করিও আমিই রক্ষা করিব’। এই অমর বাণী যিনি রেখে গেছেন তিনি হলেন শ্রী শ্রী বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারী। আজ শনিবার তাঁর ১৩৩তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে খুলনা আয্য ধর্ম সভার শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী সেবাশ্রম এবং রূপসার আনন্দময়ী সেবা সংঘ নানা অনুষ্ঠান মালার আয়োজন করেছে। আয্য ধর্ম সভাস্থ মন্দির প্রাঙ্গণে দিনের প্রথম ভাগে সকাল ৭টায় মঙ্গলঘট স্থাপন, ৮টা ১০ মিনিটে বাল্যভোগ, ১০টায় আরতী কির্ত্তন, ১১টা ৪৫ মিনিটে শ্রীশ্রী লোকনাথ বাবার উদ্দেশ্যে নিরবতা পালন, বিকাল ৪টায় রাজভোগ, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আরতী ও বাবার এক নাম কীর্ত্তন। ভগবত পাঠ করবেন সাতক্ষীরার বিল্ব মঙ্গঁল কৃষ্ণ দাস।
অপরদিকে দিবসটি উপলক্ষে খুলনা রূপসার আনন্দময়ী সেবা সংঘ রূপসাস্থ মহাশ্মশান ও শ্মশান কালী মন্দির প্রাঙ্গণে ভোর সাড়ে ৫টায় ঊষা কীর্ত্তণ ও জাগরণ, সকাল ৭টায় মঙ্গলঘট স্থাপন, ৮টায় বাল্যভোগ ও তুলশী প্রদান, সাড়ে ১২টায় মধ্যাহ্নকালীন ভোগ ও সমবেত প্রার্থনা, সন্ধ্যা ৭টায় সন্ধ্যা আরতি ও মঙ্গলদ্বীপ প্রজ্জ্বলনের আয়োজন করেছে। এছাড়া সাউথ সেন্ট্রাল রোড কেশবচন্দ্র লোকনাথ মন্দিরে, দোলখোলা শীতলাবাড়ি ও পৈপাড়ায় লোকনাথ বাবার তিরোধান দিবসে নানা আয়োজনে রয়েছে।
উল্লেখ্য লোকনাথ ব্রহ্মচারী তৎকালীন যশোহর জেলা বর্তমান ২৪ পরগনা জেলার পশ্চিমবঙ্গের বারাসাত মহাকুমার কচুয়া নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। জন্ম তারিখ ১৮ ভাদ্র ১১৩৭ বঙ্গাব্দ বা ইংরেজী ১৭৩০ খ্রীষ্টাব্দ। বাবার নাম রাম নারায়ন ঘোষাল এবং মা শ্রী কমলা দেবী। ১১ বছর বয়সে তিনি উপনয়ন নিয়ে বের হন যোগ সাধনা করতে। বিভিন্ন ধরনের যোগ সাধনা আর কঠিন তপস্যা করে তিনি ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন। এরপর তিনি পায়ে হেঁটে বহু দেশ দেশান্তর ঘুুরে অবশেষে ঢাকা জেলার নারায়নগঞ্জের বারদী নামক স্থানে এসে আশ্রম স্থাপন করেন এবং সেখানেই জীবনের বাকী ২৬/২৭ বছর সাধন ভজন করেন। অবশেষে তিনি ১৯শে জৈষ্ঠ ১২৯৭ বঙ্গাব্দ বা ইংরেজী ১৮৯০ খ্রীষ্টাব্দে রবিবার বেলা ১১.৪৫ মিনিটে দেহত্যাগ করেন। অলৌকিক শক্তির অধিকারী এই মহামানব ১৬০ বছর বেঁচে ছিলেন।