সারা খুলনা অঞ্চলের সব খবরা খবর

30
Spread the love

কালোবাজারী, মজুদদার, মুনাফাখোর,মাদক ব্যবসায়ী ও জুয়া বন্ধের আহবান
খবর বিজ্ঞপ্তি
মুসলিম উম্মাহর গুরুত্বপূর্ণ সিয়াম সাধনার মাস মাহে রমজানে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। রমজান আমাদের মাঝে নিয়ে আসবে ধৈর্য্য, সহনশীলতা, সহমর্মিতা, শান্তি ও সৌভাতৃত্বে বারতা। পবিত্র এই মাসে রোজাদারকে সম্মান জানানো প্রত্যেক মানুষের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য। রমজান মাসে প্রকাশ্যে ধূমপান থেকে বিরত থাকা, খাবার হোটেল বন্ধ রাখা, খাদ্যে ভেজাল বা ওজনে কম না দেয়া, খাদ্যদ্রব্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি না করা, পণ্যে দরবৃদ্ধি না করা এবং সমাজে মদ জুয়া যাতে না চলতে পারে সে জন্য বিশেষ অভিযান অব্যহত রাখতে আহবান জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ। নেতৃবৃন্দ সকল ব্যবসায়ী এবং প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলেন, রমজান মাসে কোন ব্যবসায়ী যাতে খাদ্যদ্রব্য অহেতুক মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে এবং অতিরিক্ত মূল্যে যাতে পণ্য বিক্রি করতে না পারে সেদিকে কঠোর অবস্থান নেয়ার আহবান জানান। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, রমজানে টিসিবি এবং ওএমএস-এর পণ্য যাতে সকল মানুষ স্বাভাবিক ভাবে পেতে পারে সেদিকেও দলের নেতাকর্মী, কাউন্সিলর সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানান। নেতৃবৃন্দ ভোক্তা অধিকার, জেলা প্রশাসন এবং আইন-শৃংখলা বাহিনী সহ সকলকে রমজান মাসে বাজার মনিটরিং করে কালোবাজারী, মুনাফাখোর, মজুদার, ভেজালকারী ও মাদক ব্যবসায়ীদের প্রতি কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে আহবান জানান। সাধারণ মানুষকে যারা কষ্ট দিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হতে চায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাদের বিরুদ্ধে সব সময়ই কঠোরতা অবলম্বন করে আসছে। সুতরাং যারাই সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে দেশে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করবে সে যদি দলেরও হয় তার কোন ক্ষমা হবে না। আওয়ামী লীগ সাধারণ মানুষের দল, সঙ্গত কারনেই আমরা তাদের কাতারে থেকে দেশ ও জাতির কল্যাণে কথা বলবো। মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা ও রোজাদারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে সমাজের সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহ উদ্দিন জুয়েল, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ হারুনুর রশীদ, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারী।

গণহত্যা ও স্বাধীনতা দিবসে নগর আ’লীগের কর্মসূচি
খবর বিজ্ঞপ্তি
২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস এবং মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ। কর্মসূচির মধ্যে ২৪ মার্চ দিবাগত রাত ১২.০১ মিনিটে অর্থাৎ ২৫ মার্চ প্রথম প্রহরে গল্লামারী বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। এই কর্মসূচিতে ১৭, ১৮, ১৯, ২৪, ২৫ ও ২৬ নং ওয়ার্ড মিছিল সহকারে গল্লামারী বেগ চত্বরে উপস্থিত হবে। ২৫ মার্চ সকাল ১০টায় দলীয় কার্যালয়ে গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
মহান স্বাধীনতা দিবসে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে গল্লামারী স্মৃতি সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। এই কর্মসূচিতে ১৭, ১৮, ১৯, ২৪, ২৫ ও ২৬ নং ওয়ার্ড মিছিল সহকারে গল্লামারী বেগ চত্বরে উপস্থিত হবে। সকাল সাড়ে ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, সকাল ৯টায় দলীয় কার্যালয় হতে স্বাধীনতা র্যালি এবং র্যালি শেষে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া দলীয় কার্যালয় আলোক সজ্জা করা হবে। এ অনুষ্ঠানে মহানগর, থানা, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও দলীয় কাউন্সিলরদের মিছিল সহকারে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য বিশেষ আহবান জানিয়েছেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক ও খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা।

মাদারীপুরে রাজীব হত্যা মামলায় ২৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
খুলনাঞ্চল রিপোর্ট
মাদারীপুরে রাজীব সরদার হত্যা মামলায় ২৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ছয় জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। খালাস দেয়া হয়েছে চারজনকে। মঙ্গলবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক লায়লাতুল ফেরদৌস এ রায় দেন। আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান সিংহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ মামলায় আসামি ছিলেন ৩৬ জন। এর মধ্যে ২৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ছয়জনকে যাবজ্জীবন ও চারজনকে খালাস দেয়া হয়েছে।
মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১লা সেপ্টেম্বর সকালে মামা আলী হাওলাদারের নার্সারিতে কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন রাজীব। পৌরসভার হরিকুমারিয়া এলাকায় পৌঁছালে পূর্ববিরোধের জেরে রাজীবকে কুপিয়ে ফেলে যান আসামিরা। গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ডুমুরিয়ায় চতুর্থ পর্যায়ে ঘর পাচ্ছেন ২’শ পরিবার
ডুমুরিয়া প্রতিনিধি
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে ৪র্থ পর্যায়ের গৃহ প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে এক প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডুমুরিয়া উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত প্রশাসনিক ভবনের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিং-এ মুল বিষয়বস্তু তুলে ধরেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফ আসিফ রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আফরোজ শাহীন খসরু, উপজেলা প্রকৌশলী মুহা. রবিউল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আশরাফ হোসেন, ডুমুরিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর আলম, সিনিয়র সাংবাদিক জিএম আব্দুস সালাম ও এম এ এরশাদ, সাধারণ সম্পাদক শেখ মাহতাব হোসেন, জাহিদুর রহমান বিপ্লব, এস রফিকুল ইসলাম, শেখ সিরাজুল ইসলাম, এনামুল বাশার টিটো, সুজিত মল্লিক, মাহাবুবুর রহমান, আব্দুর রশিদ এলিন, আব্দুল মজিদ, সুমন ব্রহ্ম প্রমুখ। উল্লেখ্য, বুধবার বেলা ১১টায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশ ব্যাপি গৃহ প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। যার অংশ হিসেবে ডুমুরিয়া উপজেলার খর্নিয়া ইউনিয়নের পাঁচপোতায় ৩৫ টি, রুদাঘরা ইউনিয়নের মিকশিমিল আবাসনে ৩৫ টি, শোলগাতিয়া আবাসনে ৭০ টি, আটলিয়া ইউনিয়নের বরাতিয়া আবাসনে ৩০ টি, শোভনা ইউনিয়নের চিংড়া আবাসনে ২৩ টি ও গুটুদিয়া ইউনিয়নের রায়েরমহল আবাসনে ৭ টি মোট ২’শ পরিবারকে এ গৃহ প্রদান করা হবে।

হাইব্রিড, সুবিধাবাদী, মাদক সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজদের দলে অর্ন্তভূক্ত করা যাবে না: এ্যাডঃ সুজিৎ অধিকারী
কয়রা(খুলনা) প্রতিনিধি
খুলনা জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ সুজিৎ অধিকারি দলীয় সদস্য পদের জন্য কোন হাইব্রিড, সুবিধাবাদী, মাদক সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ,দখলবাজদের দলীয় কুফন দেয়া যাবে না। তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দলকে আরও কঠোর ও জনবান্ধব করার যে উদ্বেগ নিয়েছেন আমরা খুলনা জেলা সকল নেতাকর্মীরা সে লক্ষ্যে কাজ করে যাব। এছাড়া চলমান উন্নয়নের ধারাকে অব্যহত রাখতে স্বাধীনতা বিরোধীদের সকল ধ্বংসাত্বক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে এক যোগে প্রতিহত করব। যারা আন্দোলনের নামে নাশকতার চেষ্টা করবে তাদের প্রতিহত করতে হবে। যারা দেশের অগ্রগতিকে থামিয়ে দিতে চায়, তাদের সব অপকর্ম রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করা হবে। তিনি তৃর্ণমূল কর্মীদের উদ্যেশ্যে আরও বলেন, শেখ হাসিনা বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে, বাংলাদেশের মানুষের মুখে হাসি থাকবে। সেজন্য অতন্দ্র প্রহরীর শেখ হাসিনাকে রক্ষায় ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে প্রত্যেকটি নেতাকর্মীদের পাহারায় থাকতে হয়। তৃর্ণমূলের নেতাকর্মীরাই আওয়ামীলীগের শক্তি ও আস্তার জায়গা। তাই তৃর্ণমূলের নেতৃত্ব কোন হাইব্রিড অনুপ্রবেশকারীদের জায়গা দেওয়া হবে না। দলে হাইব্রিড, সন্ত্রাসী ও অপরাধীদের কোন স্থান নেই। তিনি মঙ্গলবার কয়রা উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় এবং নতুন সদস্য সংগ্রহে কুফন বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জিএম মোহসিন রেজার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নিশিত রঞ্জন মিস্ত্রির সঞ্চালনায় মঙ্গলবার বিকাল ৩ টায় সুন্দরবন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হলরুমে বর্ধিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ্এ্যাডঃ সোহরাব আলী সানা, বীরমুক্তিযোদ্ধা এ্যাডঃ এমএম মুজিবর রহমান, অধ্যাপক নিমাই চন্দ্র রায়, অধ্যক্ষ দেলোয়ারা বেগম, বিএম এ সালাম, রফিকুর রহমান রিপন, খুলনা -৬ কয়রা পাইকগাছার সংসদ সদস্য আলহাজ¦ মোঃ আকতারুজ্জামান বাবু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সরফুদ্দিন বিশ^াস বাচ্চু, কামরুজ্জামান জামাল, এ্যাডঃ ফরিদ আহমেদ, সাংগঠরিক সম্পাদক সরদার আবু সালেহ, ইঞ্জিঃ প্রেম কুমার মন্ডল, খালেদীন রশিদী সুকর্ণ, কোষাধাক্য ইঞ্জিঃ ,মাহবুবুল আলম, জেলা আ’লীগ নেতা এ্যাডঃ কেরামত আলী, রাশেদুল ইসলাম, মোল্লা মোজাফ্ফার হোসেন, মোঃ খায়রুল আলম, শিউলি সরোয়ার, আজগর বিশ^াস তারা, আনিসুর রহমান, জলিল খান,পাইকগাছা আ’লীগ সভাপতি আনোয়ার ইকবল মন্টু, কয়রা উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম, কয়রা সদর চেয়ারম্যান এসএম বাহারুল সহ উপজেলার সকল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পারভেজ আলম হাওলাদার, সাধারণ ইমরান হোসেন, কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম টিংকু, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক বাদল।
এ সময় জেলা সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ সুজিৎ অধিকারী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জিএম মোহসিন রেজার ফরম নবায়নের মাধ্যমে সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কর্মসুচির উদ্বোধন করেন।

সুন্দরবনে বিনা পাশে প্রবেশ করায় ৩ জেলে আটক
কয়রা(খুলনা)প্রতিনিধি
সুন্দরবনের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে বিনা পাশে প্রবেশ করায় ৩ জেলেকে আটক করেছে বন বিভাগ। গত সোমবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে কোবাদক ষ্টেশন কর্মকর্তা ফারুকুল ইসলামের নেতৃত্বে সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের কোবাদক স্টেশনের মায়ের খাল এলকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের মাটিয়াভাঙ্গা গ্রামের আমজেদ গাজীর ছেলে আব্দুস সামাদ (৩৫),আজিজুল ইসলাম মোড়লের ছেলে তাইজুল ইসলাম (২০), ও সোহরাব শেখের ছেলে আলাউদ্দিন শেখ(৩২)। এ সময় তাদের নিকট থেকে কাঁকড়া ধরার সরঞ্জাম সহ একটি নৌকা জব্দ করা হয়। সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক(এসসিএফ) এম কে এম ইকবাল হোসেন চৌধুরী বলেন, এব্যাপারে বন আইনে মাললা করা হয়েছে। আসামীদেরকে গতকাল ২১ মার্চ সকালে কয়রা উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।

কয়রায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা
কয়রা(খুলনা)প্রতিনিধি
কয়রা উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির এক মাসিক সভা গতকাল ২১ মার্চ বেলা ১১ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মাদকদব্র্য নিয়ন্ত্রন, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ, পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্যমুল্যে নিয়ন্ত্রন রাখা, সুন্দরবনের হরিণ নিধন ও বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধে করনীয় বিষয় সহ উপজেলার সার্বিক আইনশৃঙলা উপর আলোচনা করা হয়। কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কয়রা-পাইকগাছার সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ এস.এম শফিকুল ইসলাম। এতে আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাড. কমলেশ কুমার সানা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাছিমা আলম, কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মোঃ ইব্রাহিম আলী, ইউপি চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল্যাহ আল মাহমুদ, আলহাজ¦ সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, আলহাজ¦ আঃ সামাদ গাজী, জিয়াউর রহমান জুয়েল, প্রভাষক শাহনেওয়াজ শিকারী, মোড়ল আছের আলী, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডাঃ সুজিত কুমার বৈদ্য, প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মোঃ রিয়াছাদ আলী প্রমুখ।

যুব সমাজকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে : খালেক
খবর বিজ্ঞপ্তি।।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক মঙ্গলবার সকাল ১০টায় নগরীর দৌলতপুর দিবা-নৈশ কলেজ মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক ও নবীনবরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিটি মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আগামী একচল্লিশ সালের আগেই স্মার্ট বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে চান। এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে যুব সমাজকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী তাঁর মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিচ্ছেন। দেশ গড়ার ও উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে যুব সমাজসহ ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দকে আরো দায়িত্বশীল হতে হবে। সিটি মেয়র শারীরিক ও মানসিক বিকাশে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চায় যত্নশীল হওয়ার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র বেলুন ও কবুতর উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন এবং প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
কলেজের অধ্যক্ষ এএসএম আনিসুর রহমান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা-খুলনাঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর শেখ হারুনর রশীদ, মহানগর আ’লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর ইসলাম বন্দ, কেসিসি’র কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মদ আলী, শেখ শামসুদ্দীন আহম্মেদ প্রিন্স, কলেজ পরিচালনা পর্যদের সভাপতি অধ্যাপক ছাকেয়া বানু ও কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো: সদরুজ্জামান। অন্যান্যের মধ্যে অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক মো: আবুল কালাম আজাদ, সদস্য সচিব অধ্যাপক মো: জাহাঙ্গীর আলম সবুজ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো: বাচ্চু মোড়ল, শেখ খালিদ আহমেদ, এস এম নূর হাসান জনি, ছাত্রনেতা মো: মামুনুর রহমান, ইব্রাহীম বন্দ, জোবায়ের আহমেদ প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, মহানগরী এলাকার মা ও শিশুর পুষ্টির চাহিদা পূরণসহ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য কেসিসি কর্তৃপক্ষ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নগরীর প্রায় একলক্ষ স্বল্প আয়ের মানুষের জীবনমান ও আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। প্রকল্পভুক্ত শিশুদের পুষ্টির চাহিদা পূরণের জন্য ডিম, দুধ প্রদানসহ দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা সহায়তা ও স্বল্প আয়ের পরিবারসমূহকে স্বাবলম্বী করার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত সুবিধার আওতায় মানুষ প্রতিবন্ধী ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ নানাবিধ সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে। ফলে মহানগরী এলাকার স্বল্প আয়ের মানুষেরা নিজের পায়ে দাঁড়ানোর সক্ষমতা অর্জন করছে।

সিটি মেয়র মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় নগর ভবনের জিআইজেড মিলনায়তনে নগর পর্যায়ে বহুখাত ভিত্তিক পুষ্টি সমন্বয় কমিটির ত্রৈমাসিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার বিভাগ, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি ও ফরেন, কমনওয়েলথ এন্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস এর কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ এ সভার আয়োজন করে।

নগরীতে বসবাসরত সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে দক্ষ ও কার্যকর পুষ্টি পরিসেবা নিশ্চিত করার জন্য স্বাস্থ্য ও পুষ্টি পরিসেবা প্রদানকারী এবং স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে সমন্বয় জোরদার করা এবং জাতীয় পুষ্টি নির্দেশিকা অনুসরণ করে পুষ্টি পরিসেবার অপরিহার্য প্যাকেজগুলিকে মূলধারায় আনতে সহায়তা করার লক্ষ্যে ২০২১ সালে এ কমিটি গঠন করা হয়। সভায় গৃহীত কর্ম-পরিকল্পনাসমূহ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়।

কেসিসি’র প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. স্বপন কুমার হালদার-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (যুগ্মসচিব) লস্কার তাজুল ইসলাম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা সানজিদা বেগম ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল আফরোজ স্বর্ণা। বাংলাদেশ ন্যাশনাল নিউট্রিশন কাউন্সিল (বিএনএনসি)’র কনসালট্যান্ট ডা. মো: মহসীন আলী ও ফয়জুল বারী হিমেল, লিড কনসালট্যান্ট ডা. ইকবাল কবির, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক মহাদেব চন্দ্র সানা, বিভাগীয় তথ্য অফিসের সহকারী তথ্য কর্মকর্তা তরুণ কুমার মন্ডল, জেলা মৎস্য অফিসের ফিশারিজ এক্সটেনশন অফিসার মিজানুর রহমান, প্রকল্পের টাউন ম্যানেজার মোহাম্মদ মোস্তফাসহ কমিটির সদস্যবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

বাগেরহাটে ঘূর্নিঝড় মৌসুমে করনীয় বিষয়ে প্রস্তুতি সভা
স্টাফ রিপোটার,বাগেরহাট
বাগেরহাটে আসন্ন ঘূর্নিঝড় মৌসুমে করনীয় বিষয়ে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) দুপুরে সাপোর্টিং কেয়ার বাংলাদেশের বাংলাদেশ র্যাপিড নিড এ্যাসেসমেন্ট প্রকল্পের সহযোগিতায় রুপান্তরের আয়োজনে বাগেরহাট শহরের রেডি অডিটোরিয়ামে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য দেন, বাগেরহাট জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোঃ মাসুদুর রহমান, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এসএম রফিকুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সালেহা পারভীন, বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি নিহার রঞ্জন সাহা, সাবেক সভাপতি বাবুল সরদার, রুপান্তরের এ্যাডভোকেসি কো-অর্ডিনেটর তছলিম আহমেদ টংকার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, উপকূলীয় জেলা বাগেরহাট দেশের অন্যতম দূর্যোগ প্রবন এলাকা। প্রতিবছরই এখানে ঝড় জলোচ্ছাসসহ নানা দূর্যোগ হানা দেয়। দূর্যোগের সাথে বসবাস এই জেলার মানুষের। বিভিন্ন দূর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে জেলায় আরও বেশি আশ্রয়ন কেন্দ্র ও নোয়াখালির হাতিয়ায় নির্মিত মুজিব কেল্লার আদলে গবাদিপশুর জন্য আশ্রয়ন কেন্দ্র নির্মানের দাবি জানান বক্তারা। এছাড়া ধানী জমিতে লবন পানি প্রবেশ করিয়ে চিংড়ি মাছ চাষ না করার জন্য সরকারে উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের আহবান জানান প্রস্তুতি সভায় অংশগ্রহনকারীরা।

সাড়ে ৬‘শ বছরের পুরোনো নিদর্শনে অভিভূত দর্শনার্থীরা
স্টাফ রিপোটার,বাগেরহাট।।
ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত স্থাপনা বিখ্যাত মুসলিম শাসক খানজাহান আলী (রহ) এর বসত ভিটা খননে প্রাপ্ত প্রত্নবস্তুর প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) দিনব্যাপি বাগেরহাট সদর উপজেলার ষাটগম্বুজ ইউনিয়নের সুন্দরঘোনা গ্রামে বসত ভিটার ডিবিতে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আয়োজনে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। সকালে প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান। এসময় বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া তাসনিম, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর খুলনার আঞ্চলিক পরিচালক লাভলী ইয়াসমিন, সহকারী পরিচালক মোঃ গোলাম ফেরদৌস, ষাটগম্বুজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আখতারুজ্জামান বাচ্চু, বাগেরহাট জাদুঘরের কাস্টডিয়ান মোহাম্মাদ যায়েদ, আল আমীন, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের ফিল্ড অফিসার মোসাঃ আইরীন পারভীন, মোঃ হাসানুজ্জামানসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে প্রত্নবস্তুর প্রদর্শনী খবরে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা খানজাহান আলী (রহ) এর বসত ভিটায় ভীড় জমান। খননে প্রাপ্ত প্রত্নতাত্তিক নিদর্শন দেখে বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
ষাটগম্বুজ খানজাহানিয়া-জব্বারিয়া আদর্শ আলিম মাদরাসার ৮ম শ্রেনির শিক্ষার্থী নুসরাত ফারিয়া বলেন, বাগেরহাট মানেই খানজাহান আলী (রহ)। খানজাহানের বসত ভিটায় এসে যেসব পুরোনো ব্যবহার্য্য পাত্র ও পাথর দেখলাম। তা দেখে আমি অভিভুত। সাড়ে ৬‘শ বছর আগেও যে মানুষ আধুনিক ছিল, তা এখানের নির্মান শৈলি দেখলে বোছা যায়।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক লাভভি ইয়াসমিন বলেন, ‘খান জাহানের বসতভিটা হিসেবে সংরক্ষিত এই প্রত্নস্থলটিতে বেশ কয়েকবার খনন করা হয়েছে। এবারের খননে প্রাচীন দেয়াল, মেঝে, পয়োানিষ্কাশন প্রণালির নালা, পোড়ামাটির তৈরি পাইপসহ বিভিন্ন স্থাপত্য নিদর্শন প্রদীপদানি, পোড়ামাটির পুঁতি, লাল, কালো ও ধূসর বর্ণের মৃৎমাত্র, প্লেট, গ্লাস, পিরিচ, নল, জালের গুটি, টাইলস, অলংকৃত ইটসহ বিভিন্ন প্রত্নবস্তু পাওয়া গেছে। এই প্রদর্শনী শেষে প্রত্নবস্তুগুলো বাগেরহাট যাদুঘরে সংরক্ষন করা হবে। পরবর্তীতে এই গবেষনাপত্র প্রকাশেরও ইচ্ছে পোষন করেন বিভাগীয় এই কর্মকর্তা।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, পৃথিবীর প্রাচীন শহরের মধ্যে খলিফাতাবাদ অন্যতম। যা কালের বিবর্তনে বাগেরহাট নাম ধারণ করেছে। বাগেরহাটের ইতিহাস, ঐহিত্য অনেক প্রাচীন ও সম্মৃদ্ধ। প্রত্মসম্পদে ভরপুর এই জেলা। এই জেলাকে পর্যটকদের জন্য আরও বেশি আকর্ষনীয় করতে প্রত্মসম্পদ বিষয়ে গবেষনা বৃদ্ধি করতে হবে। এ জন্য প্রত্মতত্ত্ব অধিদপ্তরকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের আহবান জানান জেলার এই শীর্ষ কর্মকর্তা।

সানফ্লাওয়ার লাইফ ইন্স্যুরেন্স এর মেয়াদ পূর্তি বীমার পাওয়ার দাবীতে সভা
খবর বিজ্ঞপ্তি
মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় সানফ্লাওয়ার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোঃ লিঃ এর মেয়াদ পূর্তি বীমার টাকা ফেরত পাইবার দাবীতে খুলনা সচেতন নাগরিক সমাজ এর উদ্যেগে খুলনা অঞ্চলে ভুক্তভোগী গ্রাহকদের পাওনা টাকা পাওয়ার দাবীতে খুলনা শহীদ হাদিস পার্ক এর পশ্চিম পাশে অবস্থিত কার্যালয় সম্মুখে সভা অনষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের মোঃ নুর ইসলাম ভুক্তভোগী গ্রাহকদের মধ্যে হইতে বক্তব্য রাখেন আসমা আক্তার, নাসরিন সুলতানা, শামীমা আক্তার, আলাউদ্দিন, ফতেমা বেগমসহ আরো অনেকে। সভায় ভুক্তভোগী গ্রাহকরা বলেন ২০১৪ সালে বীমার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও অদ্যবদি পর্যন্ত গ্রাহকদের টাকা পরিশোধ না করে গ্রাহকদের সাথে প্রতরণা করছেন। কোম্পানীর বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করলে পাওনা পরিশোদ না করিয়া বিভিন্ন প্রকার অবানঞ্চিত অজুহাত প্রদান করছেন এবং বলতেছেন গ্রাহকদের চেক প্রদান করিবো। ইতিপূর্বে অনেক গ্রাহকদের চেক প্রদান করিয়াছেন যাহা ব্যাংকে উত্তলনের জন্য জমা প্রদান করলে একাউন্টে টাকা না থাকায় গ্রাহকগণ প্রতারিত হচ্ছেন। এমতাবস্থায় খুলনা ও সাতক্ষীরা এলাকায় প্রায় দুই শতাধিক পরিবার পবিত্র মাহে রমজানে মানবেতর জীবনযাপন করবে। বিষয়টি সমাধানের জন্য চেয়ারম্যান আডিআরএ এর নিকট সুষ্ঠ সমাধানের জন্য স্মারক লিপি প্রদানের জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভা শেষে দ্রুত সমাধানের জন্য বাংলাদেশের সকল ইন্সুরেন্স কোম্পানীর কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

বটিয়াঘাটা উপজেলা প্রেসক্লাবের শোক

বটিয়াঘাটা প্রতিনিধি
দৈনিক পূর্বাঞ্চল পত্রিকার বার্তা সম্পাদক অমিয় কান্তি পালে’র বড় ভাই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অশোক কুমার পালে’র মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বিবৃতি প্রদান করেছে বটিয়াঘাটা উপজেলা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ। প্রদত্ত বিবৃতিদাতারা হলেন উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রতাপ ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ টিকাদার, সিনিয়র সহ-সভাপতি পরিতোষ কুমার রায়, সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাওন হাওলাদার, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট মোস্তফা বিলাল, দপ্তর সম্পাদক পরাগ রায়, কার্যনির্বাহী সদস্য সিনিয়র সাংবাদিক এস এম এ ভূট্টো, সাংবাদিক নিখিলেশ গাইন, সাংবাদিক নিতিশ বাছাড়, সাংবাদিক সুমন বিশ্বাস, সাংবাদিক বিশ্বজিৎ মন্ডল, সাংবাদিক এ্যাডভোকেট বিজন রায় চৌধুরী, সাংবাদিক রিপন রায় প্রমূখ।

কেশবপুরে চিত্রাংকন-কবিতা আবৃত্তিতে বিজয়ী ২১ শিক্ষার্থী পেল পুরস্কার
কেশবপুর প্রতিনিধি
কেশবপুরে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও শিশু দিবস উপলক্ষে চিত্রাংকন এবং কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ২১ জন শিক্ষার্থীর মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে চারুপীঠ আর্ট স্কুল ও উল্লাস এর উদ্যোগে আল আমিন মডেল একাডেমির হলরুমে ওই পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
চারুপীঠ আর্ট স্কুলের উপদেষ্টা অধ্যাপক মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর রবিউল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন চারুপীঠ আর্ট স্কুলের পরিচালক উৎপল দে। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেশবপুর সরকারি পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রভাষক রেজাউল ইসলাম, আল আমিন মডেল একাডেমির অধ্যক্ষ সুমন দাস, শিক্ষক সাহা বৈদ্য নাথ, স্বপ্না অধিকারী, শংকর প্রসাদ দাস ও চারুপীঠের সহকারী পরিচালক মৌসুমী মজুমদার। পরে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া বিভিন্ন গ্রুপের ২১ জন শিক্ষার্থীকে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ। এছাড়া সেরা শিক্ষার্থীকে হিসেবে সমৃদ্ধি মজুমদার মেধাকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।

চিংড়ি ঘেরে বাঁধ দেওয়ার সময় প্রতিপক্ষের দায়ের কোপে আহত তিন
পাইকগাছা প্রতিনিধি।।
পাইকগাছায় চিংড়ি ঘেরে বাঁধ দেওয়ার সময় প্রতিপক্ষের দায়ের কোপে তিনজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের গড়েরআবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদিন সকালেই থানায় মামলা হয়।
আহতেরা হলেন হামিদ মোড়ল (৫৫), ওবায়দুল্লহ মোড়ল (২৫), ছলেমান সানা (৩৮) আহত হয়। আহতদের পাইকগাছা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মামলার বরাত দিয়ে পাইকগাছা থানার উপপরিদর্শক আনজির হোসেন বলেন, উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের গড়ের আবাদ গ্রামের মোছাল মোড়লের একটি চিংড়ি ঘের রয়েছে। ঘেরের ভেতর রেজাউ করিমের জমি রয়েছে। মোছাল মোড়ল রেজাউল করিমের হারির টাকা না দিয়ে জোর করে চিংড়ি ঘের করে আসছে। মঙ্গলবার সকালে ওই জমিতে বাঁধ দিতে গেলে প্রতিপক্ষ মোছাল মোড়লের ছেলে জাহাঙ্গীর মোড়ল (৩৫), শাহা আলম (৪০), আকবর মোড়লের ছেলে আমিরুল মোড়ল (৩০), নজরুল মোড়লের ছেলে সোহেল মোড়লসহ ১৫ থেকে ২০ জন দা ও লাঠি নিয়ে হামলা চালান। এ সময় তিনজন আহত হন। আনজির হোসেন আরও বলেন, এ ঘটনায় আহত হামিদ মোড়লের ভাই আনিছুর রহমান বাদী হয়ে পাইকগাছা থানায় মামলা দায়ের করে। পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান জানান, মারামারি মামলায় জাহাঙ্গীর নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা করা হচ্ছে।

পাইকগাছায় আবারও ৬৬ পরিবার পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর
পাইকগাছা প্রতিনিধি
পাইকগাছায় আবারও ৬৬ পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর দেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে এসব ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম। তিনি আরও জানান,উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে ৬৯০টি পরিবারকে জমিসহ ঘর দেয়া হয়েছে। চতুর্থ পর্যায় আরও ৬৬টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে ঘর দেয়া হবে। আগামী ২২ মার্চ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের মাধ্যমে জমিসহ নব নির্মিত এসব ঘরের যাবতীয় দলিল সহ চাবি আনুষ্ঠানিকভাবে সুবিধাভোগী পরিবারের নিকট খুলনা- (কয়রা-পাইকগাছা আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু হস্তান্তর করবেন বলে তিনি জানান। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন অনুষ্ঠান সফল করার জন্য তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রেসব্রিফিং এ পাইকগাছা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার ইকবাল মন্টু, সহকারী কমিশনার(ভূমি) আরাফাত হোসেন,উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস, পাইকগাছা প্রেসক্লাবে সাধারন সম্পাদক এম মোসলেম উদ্দীন আহম্মেদ সহ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

 

রমজানের পবিত্রতা রক্ষা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করুন: আব্দুল আউয়াল
খবর বিজ্ঞপ্তি।।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর নায়েবে আমীর ও খুলনা মহানগর সভাপতি হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়াল বলেন, দেশব্যাপী বিরাজমান সংকটময় মুহূর্তে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের পয়গাম নিয়ে আমাদের সামনে এসেছে পবিত্র মাহে রমাদান।রমাদান মাস কুরআন নাজিলের মাস; বদর যুদ্ধ ও মক্কা বিজয়ের মাস। কুরআন মানবজাতির প্রতি আল্লাহ তায়ালার সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত। পবিত্র কুরআন অধ্যয়নের মাধ্যমে কুরআনকে সঠিকভাবে জানা এবং সেই অনুযায়ী নিজের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও রাষ্ট্রীয় জীবন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার মাধ্যমেই সত্যিকার অর্থে পবিত্র রমাদান মাসের হক আদায় করা হবে। কুরআন থেকে হিদায়াত লাভের জন্য যে মন-মানসিকতা ও চরিত্রের প্রয়োজন, সেই মন ও চরিত্র গঠনের উদ্দেশ্যেই আল্লাহ তায়ালা মাহে রমাদানের সিয়াম পালনকে আমাদের প্রতি ফরজ করেছেন। পূর্ণ মর্যাদার সাথে ও পরিপূর্ণ হক আদায় করে মাসব্যাপী সিয়াম পালনের মাধ্যমে সে লক্ষ্য অর্জনে সচেষ্ট হওয়ার জন্য আমি সকলের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।

মহান আল্লাহ তায়ালার বিধান না মানার কারণেই আজ বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন ধরনের দুর্যোগ আপতিত হয়েছে। আজ সমাজে বেহায়াপনা, অশ্লীলতা, সুদ, ঘুষ, দুর্নীতি, শোষণ, জুলুম, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, হত্যা এবং মানবতাবিরোধী কর্মকা-সহ নৈতিক অবক্ষয় ব্যাপকভাবে বেড়েই চলেছে। সরকার মদের লাইসেন্স দিয়ে একদিকে ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, অপরদিকে সমাজে অশ্লীলতা ছড়ানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

রমাদানের পবিত্রতা রক্ষা, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, অশ্লীলতা, বেহায়াপনা ও নগ্নতা বন্ধ করার দায়িত্ব প্রধানত সরকারের। আমরা সরকারকে এসব গর্হিত কাজ বন্ধ করার লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহ্বান জানাচ্ছি। উপরন্তু দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা এবং দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি সাধন করে মানুষের জানমাল, ইজ্জত-আব্রুর নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।

২১ মার্চ (মঙ্গলবার) বিকাল ৩ টায় নগরীর পাওয়ার হাউজ মোড়স্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর কর্তৃক আয়োজিত মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষার দাবীতে স্বাগত মিছিলে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাগত মিছিল পূর্বক সমাবেশ বক্তব্য রাখেন দলের নগর সহ সভাপতি মুফতি আমানউল্লাহ, শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন, শেখ হাসান ওবায়দুল করিম, মোঃ আবু গালিব, মাওলানা দ্বীন ইসলাম, মাওলানা সাইফুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল নোমান,মাওলানা আব্বাস আমীন, মোঃ হুমায়ুন কবির, আলহাজ্ব আবুল কাশেম, মোঃ নিজাম উদ্দিন মল্লিক, এ্যাডঃ কামাল হোসেন, মুফতী ইলিয়াস মাঞ্জুরী, আলহাজ্ব শফিউল ইসলাম, বীরমুক্তিযোদ্ধা জিএম কিবরিয়া,আলহাজ্ব সরোয়ার বন্ধ, আলহাজ্ব আব্দুস সালাম, হাফেজ আব্দুল লতিফ, মোল্লা রবিউল ইসলাম, মোঃ শাহিন হোসেন, এইচ এম আরিফুল ইসলাম, গাজী ফেরদাউস সুমন, মুফতী মইনুল ইসলাম, মাষ্টার মঈনুদ্দিন ভুইঁয়া, মাওলানা হাফিজুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ,আলহাজ্ব মারুফ হোসেন,হাফেজ খায়রুল ইসলাম, ক্বারী জামাল হেসেন, কাজী তোফায়েল হোসেন,যুবনেতা আ.হ.ম. মুফতী আবদুর রহমান মিয়াজী, আব্দুর রশিদ, ছাত্রনেতা মুহাম্মদ মইন উদ্দিন, মাহাদী হাসান মুন্না প্রমুখ ।

 

ডুমুরিয়ার খলশী ভাঙ্গাড়ী খাল খনন কাজের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত
খবর বিজ্ঞপ্তি
সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া ও উত্তরণ সংস্থা কর্তৃক বাস্তবায়িত ‘সফল ফর আইডাব্লিউআরএম’ প্রকল্পের আওতায় ডুমুরিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের খলশী মৌজার ভাঙ্গাড়ী খালের পুন:সংস্কারের উদ্দেশ্যে খনন কার্যের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) দুপুরে উক্ত উদ্বোধনী প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়। ডুমুরিয়ার উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব শরীফ আসিফ রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ফিতা কাটার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
উদ্বোধন পরবর্তী মতবিনিময় পর্বে সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া’র প্রোগ্রাম অফিসার ধীমান গাইন উপস্থিত সকলকে অবহিত করেন যে প্রকল্পটির মূল লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের স্থায়ীত্বশীল কৃষি উৎপাদনে জলাধারগুলোকে (মরা/মজা খাল) পূনর্জীবিত এবং যথাযথ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সুরক্ষা প্রদান করে পানির টেকসই ও দক্ষ ব্যবহার নিশ্চিত করা। ইউএনও মহোদয় তার বক্তব্যে প্রকল্পের সাফল্য কামনা করেন এবং উক্ত কার্যক্রমকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ^াস প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ডুমুরিয়া সদর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন, সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া’র প্রোগ্রাম অফিসার তৈয়বুর রহমান, উত্তরণের প্রোজেক্ট ম্যানেজার ইকবাল হোসেন, ওয়াটার ক্লাস্টার অফিসার শুক্লা মন্ডল, এলাকার কৃষক-কৃষাণী, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ প্রকল্পের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।

শরণখোলায় জমিসহ ঘর পাচ্ছেন আরো ৭৫ ভূমিহীন পরিবার
শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি ঃ
বাগেরহাটের শরণখোলায় চতুর্থ পর্যায়ে জমিসহ ঘর পাচ্ছেন আরো ৭৫ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। সোমবার (২২মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশের ন্যায় একযোগে শরণখোলায়ও আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘর হস্তান্তর করবেন। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত জমির দলিলসহ সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করে ঘর প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নুর ই আলম সিদ্দিকী জানান, “বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না” প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের সকল উপজেলার ন্যায় শরণখোলায়ও বাস্তুহারা, ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষকে জমিসহ ঘর দেয়া হবে। এরই ধারাবাহিকতায় শরণখোলায় ৭৮২ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে হতে চতুর্থ পর্যায়ে ৭৫ পরিবারকে জমিসহ ঘর প্রদান করা হবে। এর আগে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের প্রথম ধাপে ২২৬ পরিবারকে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। এছাড়া আরও ৪৮১ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পূর্নবাসন করতে হবে। ইউএনও জানান, প্রতিটি পরিবারের জন্য দুই শতক জমির উপর দুই কক্ষ বিশিষ্ট সেমিপাকা ঘর নির্মান ইতোমধ্যে সম্পূর্ণ করা হয়েছে। ঘরের সাথে বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানি সংরক্ষন ট্যাংক ও বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। এছাড়া জমির দলির সম্পন্ন করে নামজারি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরে জমির দলিল ও ঘরের চাবি বুঝিয়ে দেয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের প্রত্যায়নপত্রসহ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভূমিহীন তালিকা করা হয়েছে। এছাড়া সরকারের গোয়েন্দা সংন্থাও তালিকা যাচাই বাছাই করার পরে তালিকা চুড়ান্ত করা হয়েছে। ##

খুবিতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাসহ নানা আয়োজনে আন্তর্জাতিক বন দিবস উদযাপিত
খবর বিজ্ঞপ্তি
‘সুস্থ দেহে সুস্থ মন, যদি থাকে সমৃদ্ধ বন’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি এন্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের উদ্যোগে নানা আয়োজনে আন্তর্জাতিক বন দিবস উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে ২১ মার্চ (মঙ্গলবার) বেলা ১১টায় বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। পরে উপাচার্যের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য এক শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি হাদী চত্বর থেকে শুরু হয়ে শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ ভবন ঘুরে অদম্য বাংলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
শোভাযাত্রা শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, আমাদের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য পরিবেশের গুরুত্ব অনেক। এজন্য পরিবেশ রক্ষা করতে হলে বনকে রক্ষা করতে হবে। বনের সাথে জীববৈচিত্র্য ওতপ্রোতভাবে জড়িত। জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সরকার ২০২৩ সাল পর্যন্ত সংরক্ষিত ও প্রাকৃতিক বনাঞ্চলে গাছ কাটার নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এটা একটি সুদূরপ্রসারী সিদ্ধান্ত। তিনি বন রক্ষায় সকলকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা। সভাপতিত্ব করেন ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. রুমানা রানা। জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. আবুল কালাম আজাদ, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) খান গোলাম কুদ্দুস এবং খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো-সহ সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
দিবসটি উপলক্ষ্যে বেলা ১১টায় ফরেস্ট্রি এন্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের নতুন উদ্বোধনকৃত স্মার্ট ক্লাসরুমে থ্রি মিনিটস টক কম্পিটিশনের গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হয়। পরে বেলা ১২টায় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. আবুল কালাম আজাদ, খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো এবং যুক্তরাষ্ট্রের ফরেস্ট্র সার্ভিসের প্রজেক্ট লিড (কমপাস প্রোগ্রাম) ড. আবু মোস্তফা কামাল উদ্দিন। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. রুমানা রানা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিসিপ্লিনের শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. নাজমুস সাদাত। অনুষ্ঠান কো-অর্ডিনেট করেন সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে থ্রি মিনিটস টক কম্পিটিশনের গ্র্যান্ড ফিনালের বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এসময় সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল ১০.১৫ মিনিটে প্রধান অতিথি হিসেবে ফিতা কেটে ফরেস্ট্রি এন্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের নতুন তৈরিকৃত স্মার্ট ক্লাসরুম উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। এসময় এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বিশ্বমানের শিক্ষা-গবেষণার জন্য উন্নত পরিবেশ ও সুবিধা নিশ্চিত করা জরুরি। সে লক্ষ্যে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি ডিসিপ্লিনে ইতোমধ্যে স্মার্ট ক্লাসরুম ও ল্যাবরেটরি তৈরি করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব ডিসিপ্লিনে এ সুযোগ-সুবিধা চালু করা হবে। উপাচার্য সশরীরে ক্লাস নেওয়ার পাশাপাশি আধুনিক সুবিধা সম্বলিত এ ক্লাসরুমে দেশ-বিদেশের বরেণ্য শিক্ষাবিদ-গবেষকদের আমন্ত্রণ করে ভার্চুয়ালি ক্লাস নেওয়ার ব্যাপারে ডিসিপ্লিন প্রধানসহ শিক্ষকদের উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. আবুল কালাম আজাদ, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস। আরও বক্তব্য রাখেন সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের প্রাক্তন সিনিয়র শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. ওবায়দুল্লাহ হান্নান ও সিনিয়র শিক্ষক প্রফেসর ড. এ কে ফজলুল হক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. রুমানা রানা। সঞ্চালনা করেন সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. ইফতেখার শামস্। এসময় ডিসিপ্লিনের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জন সম্ভব : উপাচার্য
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) এর উদ্যোগে ‘কমপ্লায়েন্স উইথ এপিএ রিকয়ারমেন্টস্’ শীর্ষক এক প্রশিক্ষণ ২১ মার্চ (মঙ্গলবার) অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৯.১৫ মিনিটে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে এ প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।
এসময় তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে এককভাবে কারও পক্ষে কোনো কিছু করা সম্ভব নয়। সকলের সহযোগিতায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে এগিয়ে নিতে চাই। এটা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের মাধ্যমেই সম্ভব। এজন্য সকলের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। তিনি আরও বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মানোন্নয়নে যে প্রক্রিয়া নেওয়া হয়েছে, তার অংশ হিসেবে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজন করা হচ্ছে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নেওয়ার একটি অংশ হচ্ছে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ)। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা কোন অবস্থানে দেখতে চাই, এ ব্যাপারে আমাদের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য আছে। ইতোমধ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্লোগান, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। আমাদের পুরো টার্গেটকে বছর হিসেবে ভাগ করে আমরা কাজ করছি। আসলে আমরা কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো কিনা, কিংবা কতদূর এগিয়েছি তা বছর শেষে এপিএ’র মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হয়। ইতোমধ্যে আমরা এ বছরের টার্গেট পূরণ করে আরও বেশি এগিয়ে রয়েছি। এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে সকলের নিরলস প্রচেষ্টায়। তিনি বলেন, নিজেদের মধ্যে যদি ত্রুটি থেকে থাকে তা এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে খুঁজে বের করতে পারলে পরবর্তীতে এপিএর কাজে আমরা আরও বেশি দক্ষ হতে পারবো। একই সাথে এপিএ’র কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জনে এ প্রশিক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস। আইকিউএসির পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হায়দারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. মো. মতিউল ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আইকিউএসি’র উপ-রেজিস্ট্রার মোঃ নুরুল ইসলাম সিদ্দিকী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর টেকনিক্যাল সেশন অনুষ্ঠিত হয়। রিসোর্স পারসন হিসেবে টেকনিক্যাল সেশন পরিচালনা করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসির পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হায়দার, অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. মো. মতিউল ইসলাম এবং রেজিস্ট্রার দপ্তরের কাউন্সিল শাখার উপ-রেজিস্ট্রার ও এপিএ’র ফোকালপয়েন্ট এস এম আবু নাসের ফারুক। প্রশিক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন। পরে দুপুরে প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।

বাগেরহাটে শিক্ষিত যুবক শাওনের বেগুন চাষ এখন চাষিদের অনুপ্রেরনা
পি কে অলোক,বাগেরহাট।।
বাগেরহাট সদর উপজেলার রাখালগাছি ইউনিয়নের দরি-রসুলপুর গ্রামের শিক্ষিত বেকার যুবক মোঃ শাওন শেখ পলি মাচিং পদ্ধতিতে উচ্চফলনশীল বারি বেগুন-১২ চাষ করে তিনি এখন সকল চাষিদের অনুপ্রেরনা জুগিয়েছেন। একজন মেধাবী শিক্ষিত যুবক হয়েও নিরাপদ সবজী চাষে এধরনের অভাবনীয় সাফল্য দেখিয়ে তিনি এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি স্বাবলম্বি হয়েছেন। উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে তিনি যে মহতী উদ্যোগ গ্রহন করেছেন তা নিয়ে সকলের মাঝে রীতিমত সাড়া জাগিয়েও ফেলেছেন। শুধু তাই নয়, নিজ বাড়ীর আঙ্গিনায় যে টুকু জমি রয়েছে সেখানেও তিনি নানাপ্রকার সবজি চাষ করে নিজের ও পরিবারের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করছে। তিনি একজন সফল চাষি হিসাবে ব্যপক পরিচিতি অর্জন করেছেন।
জানা গেছে, দরি রসুলপুর গ্রামের শেখ আবুল হোসেন এর অর্নাস দ্বীতিয় বর্ষের মেধাবী ছাত্র মোঃ শাওন শেখ তার বাবার নিজ জমির মরে যাওয়া পানের বরজে তিনি সবজি চাষ করার পরিকল্পনা গ্রহন করেন। সে মোতাবেক রাখালগাছি ইউনিয়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা দীপ্ত কুমার ঘোষের পরামর্শক্রমে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে খুলনা কৃষি অঞ্চলের জলবায়ু পরির্বতন অভিযোজন প্রকল্পের সহায়তায় পলি মার্চিং সংগ্রহ করে মাত্র ১০কাটা জমিতে তিনি পলি মাচিং পদ্ধতিতে উচ্চফলনশীল বারি বেগুন-১২ চাষ করার পরিকল্পনা গ্রহন করেন। সে মোতাবেক নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে তিনি খুলনার দৌলতপুর হটিকালচার সেন্টার হতে বেগুনের চারা ক্রয় করে তা রোপন করেন। এই পলি মার্চিং পদ্ধতিতে বেগুনের চাষ করলে ক্ষেতে আগাছা জন্মে না, তাছাড়া সার কীটনাশক ও সেচ তুলনা মুলক ভাবে অনেক কম লাগে। তাতে করে ক্ষেতে অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন তেমন একটা হয়না বললে চলে, যে করনে তিনি পলি মার্চিং পদ্ধতিতে বেগুনের চাষ করেছেন। তিনি বলেন, ফেব্রয়ারী মাস হতে তিনি ক্ষেতের বেগুন কাটা শুরু করেছেন, এক একটা বেগুনের ওজন প্রায় এক থেকে দেড় কেজির মত। ১০কাটা জমিতে এপর্যন্ত তিনি প্রায় ৮০মন বেগুন কেটেছেন। উপযুক্ত পরিচর্যা করতে পারলে ৭০/৮০মন ফলানো সম্ভব। সপ্তাহে তিনি দুইবার করে বেগুন কেটেছেন, সেই হিসাবে মাসে ৮বার কাটা সম্ভব। এপযন্ত তিনি প্রায় ৮০মন বেগুন কেটে বাজারে ৪০টাকা দরে গড়ে বিক্রয় করেছেন। কৃষক শাওন শেখ এর মাতা আনোয়ারা বেগম বলেন, সে যখনী সময় পাই তখনী ক্ষেতে গিয়ে বেগুনের পরিচর্যা করে, শুধু তাই নয়, বেগুন ক্ষেতের চতুন পার্শ্বে ও বাড়ির আঙ্গিনায় সে আরো নানা ধরনের পুষ্টিকর সবজির চাষ করেছে।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা দীপ্ত কুমার ঘোষের সাথে আলাপ করা হলে তিনি বলেন, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের বিষয়টি মাথায় রেখে ক্ষেতে সেক্স ফেরোমন ফাঁদ, ইয়োলো ট্রাপ ও আলোক ফাঁদ ব্যবহার করা হয়েছে। এই তিন ফাঁদ ব্যবহার করলে রোগ বালাই কম হয়। তাছাড়া ওষুধ সার ও সেচ কম লাগায় উৎপাদন খরচ অনেকাংশে কমে যাওয়ায় কৃষক লাভবান বেশি হচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাদিয়া সুলতানা ও অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তন্ময় কুমার দত্তের সাথে আলাপ করা হলে তারা বলেন,পলি মাচিং পদ্ধতিতে উচ্চফলনশীল বারি বেগুন-১২ চাষ করলে কৃষকরা লাভবান হওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে। কারণ এই বেগুনের চাষ করলে উৎপাদন খরচ অনেকটা কম হয়। যাতে কৃষকরা বেশি লাভবান হয়, সেই বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা কৃষকদের নানাধরনের প্রশিক্ষন ও প্রনোদনা প্রদান করছি। তারা আরো বলেন, এই উচ্চফলনশীল বেগুন-১২ চাষ করলে হেক্টর প্রতি গড়ে প্রায় ৫৫/৬০মন বেগুন উৎপাদন করা সম্ভব হয়।

ঝিনাইদহে নলডাঙ্গা ইব্রাহিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
খাইরুল ইসলাম নিরব, ঝিনাইদহ-
জমজমাট আয়োজনে শেষ হয়েছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় আনোয়ারা খাঁন প্রি-ক্যাডেট স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৩। শুক্রবার (১৭ মার্চ) নলডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পের পাশে নিজস্ব ভবন চত্তর মাঠে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নলডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম খাঁন রিপন। বৃহঃ ও শুক্রবার ২ দিন ব্যপি এ অনুষ্ঠানের গতকাল ছিল সমাপনী দিন।
শুক্রবার সকালে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে পতাকা উত্তোলন ও বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উৎসব শুরু হয়। দলগত ডিসপ্লে বিভিন্ন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ইভেন্টের মধ্যে ছিল, চকলেট দৌড়, ব্যাঙ দৌড়, যেমন খুশি তেমন সাজো, স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা, প্রাক্তন ছাত্র/ছাত্রী, অতিথি ও অভিভাবকদের জন্য খেলাধুলা।
সাংস্কৃতিক পর্বে অনুষ্ঠিত হয় নাচ, গান, আবৃতি সহ বর্নাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের ও আমন্ত্রিত অতিথিদের আকর্ষণীয় উপহার সহ ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
প্রি-ক্যাডেট স্কুলের পরিচালক কামরুজ্জামান পিন্টু বলেন, নতুন প্রজন্মকে দেশ ও জাতীয় চেতনার সাথে সম্পৃক্ত করতে তাদেরকে পরিপূর্নভাবে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি চেতনায় গড়ে তুলতে হবে। আমাদের তরুনরা খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চায় উৎকর্ষতা অর্জনের মাধ্যমেই বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হবার মতো বিজয় অর্জন করবে।
অনুষ্ঠান শেষে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে খাবার বিতরন করা হয়।

মহেশপুরে অপহরণের ৮দিনেও উদ্ধার হয়নি স্কুল ছাত্রী
মহেশপুর(ঝিনাইদহ)প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুরে স্কুলছাত্রী অপহরণের ৮দিন অতিবাহিত হলেও তাকে উদ্ধার করতে পারেনি থানা পুলিশ। দ্বারে দ্বারে ঘুরছে পিতামাতা। গত ১৪ মার্চ উপজেলার ফতেপুর এলাকা থেকে মেয়েটি অপহরণের স্বীকার হয়।
এ বিষয়ে অপহৃত স্কুলছাত্রীর পিতা মহেশপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। যার নং-৩৭(৩)২৩। এদিকে অপহৃত মেয়েকে উদ্ধার করতে না পারায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছে পিতামাতা। মঙ্গলবার দুপুরে মেয়ের পিতা দিলীপ কুমার ও তার স্ত্রী মেয়েকে ফিরে পেতে মহেশপুর প্রেসক্লাবে এসে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
অপহৃত স্কুল ছাত্রীর পিতামাতা জানায়, মেয়েটি তাদের খুব আদরের সন্তান ছিল। সে ফতেপুর সামছুদ্দিন সরদার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী। পার্শ্ববর্তী বেড়েরমাঠ গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে হৃদয় সহ ৪/৫জন মিলে মেয়েটিকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। মেয়ের পিতামাতা মেয়েকে ফিরে পেতে বিভিন্ন জায়গায় হাটাহাটি করায় আসামীপক্ষের লোকজন তাদেরকে নানা ধরণের হুমকি দিচ্ছে। তারা দ্রুত সরকারের উপর মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ বিষয়ে মহেশপুর থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাইদুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান তারা জোর তৎপরতা চালাচ্ছে কিন্তু মেয়ের কোন সন্ধান করতে পারেনি। আসামীরা পলাতক রয়েছে।

মহেশপুরে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনা মুল্যের বীজ ও সার বিতরণ
মহেশপুর(ঝিনাইদহ)প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুরে খরিপ -১ মৌসুমে আউশ ধান ও পাট উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে বিনা মুল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের আয়োজনে মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা কৃষক প্রশিক্ষন কেন্দ্রে এলাকার প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার রাজবংশীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঝিনাইদহ ৩ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড.শফিকুল আজম খান চঞ্চল।
এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আজিজুল হক আজা,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনা খাতুন হেনা,উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাজ্জাদুল ইসলাম সাজ্জাদ,সাধারণ সম্পাদক মীর সুলতানুজ্জামান লিটন,উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষি বিদ হাসান আলী, ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম হায়দার লাল্টু,উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি আব্বাস উদ্দীন। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ১৮শ’ প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে খরিপ-১ মৌসুমের বিনা মুল্যের বীজ ও সার বিতরণ করেন প্রধান অতিথি।

খুলনায় চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও গণমাধ্যম শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
তথ্য বিবরণী।।
খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের আয়োজনে ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও গণমাধ্যম’ শীর্ষক সেমিনার মঙ্গলবার সকালে খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবীর বালু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) আতিকুল ইসলাম।

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে ইন্টারনেট অব থিংস ও ব্লক চেইন প্রযুক্তির ন্যায় বৈপ্লবিক প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে। প্রথম তিনটি শিল্পবিপ্লব দীর্ঘ সময় পর পর শুরু হয়েছিলো। কিন্তু চতুর্থ শিল্পবিপ্লব পরবর্তী বিশ^, প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে দ্রুত পরিবর্তনশীল। আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রযুক্তিজ্ঞানে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ ও স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্যই হলো জনগণের জন্য উন্নত নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা। তিনি আরও বলেন, কৃষি, শিক্ষা ও চিকিৎসাখাতে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। প্রযুক্তি বিষয়ক জ্ঞান আহরণ ও বিস্তারে গণমাধ্যমকর্মীরা বিশেষ অবদান রাখতে পারেন।

সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খুলনা বিশ^বিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক মামুন অর রশিদ।

খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার এ এস এম কবীরের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন খুলনা রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরো’র পরিচালক জিনাত আরা আহমেদ, প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম ও সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ফারুক আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য দেন খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোঃ মেহেদী হাসান। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন সহকারী তথ্য অফিসার মোঃ আতিকুর রহমান মুফতি।

সেমিনারে খুলনায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা অংশ গ্রহণ করেন।

দর্শনায় আইএফআইসি ব্যাংকের মাইল ফলক উদযাপন
দামুড়হুদায় (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি
দর্শনায় আইএফআইসি ব্যাংকের মাইল ফলক উদযাপন অনুষ্টিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪ টায় আইএফআইসি ব্যাংক, দর্শনা শাখার উদ্যোগে ১২৪৩ তম শাখা মাইল ফলক উদযাপন অনুষ্টিত হয়।শাখা ব্যাপস্থাপক সোহরাব হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা করেন সহ ব্যাবস্থাপক বিপ্রদ্বীপ পাল,নাজমুল হোসেন,ইমরান হাসান,মোস্তাফিজুর রহমান।এছাড়া উপস্থিত ছিলেন হাজী আঃ রাজ্জাক,হাজী আঃ রহমান,মিজানুর রহমান,সাংবাদিক আওয়াল হোসেন,মাহমুদ হাসান রনি প্রমুখ। ব্যাপস্থাপক সোহরাব হোসেন বলেন,আপনার প্রতিবেশী হয়ে ছড়িয়ে আছে সারা দেশে সীমাহীন সেবার দিগন্ত নিয়ে।এটাই আমাদেন গর্ব।আমরা চাই ওয়ান স্টপ সার্ভিস।এই সেবার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়বো আমরা। পরে সকল গ্রাহকও শুভানুধ্যায়ীদের উপস্থিতিতে কেক কেটে ও মিস্টিমুখ করানে হয়।

রামপালে যুব উৎসবের্ র্যালী আলোচনা সভা
রামপাল (বাগেরহাট) সংবাদদাতা
রামপালে সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিসারিজ প্রজেক্ট (এসসিএমএফপি), কম্পোনেন্ট -৩ এর দিনব্যাপী যুব উৎসব পালন করা হয়েছে। উৎসবে আলোচনা সভা ছাড়াও রয়েছে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট স্টল, প্রদর্শনী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ। মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় উপজেলা পরিষদের চত্বরে এ উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় ও সোসাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এসডিএফ) এর আয়োজনে উপজেলা অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিবুল আলম। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান হোসনেয়ারা মিলি, এসডিএফ এর আঞ্চলিক সমন্বয়কারী কাজল চন্দ্র দে, ওসি মোহাম্মদ সামসুদ্দীন, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অঞ্জন বিশ্বাস, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দীন, এলজিইডি কর্মকর্তা মো. গোলজার হোসেন, সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. শাহিনুর রহমান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান, প্রেসক্লাব রামপাল এর সভাপতি এম, এ সবুর রানা, সাধারণ সম্পাদক সুজন মজুমদার, প্রকল্প কর্মকর্তা সালজার হোসেন প্রমুখ। সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অঞ্জন বিশ্বাস জানান, দেশের ১৬ টি জেলার ৪৫ টি উপজেলায় আমরা মৎস্যজীবি ও মৎস্য চাষিদের সাবলম্বী হতে কাজ করছি। এলাকার যুবক-যুবতীদের বিভিন্ন প্রকার প্রশিক্ষণ প্রদান করে তাদের স্বাবলম্বী হতে সহায়তা প্রদান করছে এসসিএমএফপি। এ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ১০ টি মৎস্য গ্রামের ৪৪৭ জন যুবক ও যুব মহিলাকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে, যা চলমান আছে। বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করার পর সংস্থার পক্ষ থেকে তাদের প্রনোদনাসহ চাকরির ব্যাবস্থা করা হয়েছে। প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে স্বাবলম্বী হওয়ায় তাদের মধ্যে অনুভূতি ব্যক্ত করেন, নাজমা বেগম, জেহাদুল ইসলাম, রাবেয়া বেগম। প্রকল্প সমন্বয়কারী কাজল চন্দ্র দে বলেন, এটি একটি পাইলট প্রকল্প। উপকূলীয় মৎস্যজীবি মানুষ যাতে বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে স্বাবলম্বী হতে পারে সেই প্রয়াস নিয়েছে সরকার। তিনি আশার কথা শোনান, রামপালের প্রশিক্ষণার্থীরা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে সাবলম্বী হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিবুল আলম বলেন, আমরা প্রকল্প এগিয়ে নিতে সর্বাত্মক কাজ করছি। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে এবং উপকূলীয় এলাকার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়ক সকল প্রকার ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি হলে দেশ সমৃদ্ধ হবে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, বনের উপর চাপ কমাতে আমাদের বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। জেলে ও মৎস্যজীবিরা যাত বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে সে জন্য সরকার বেকার যুবক যুবতীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আরও বেশি আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এ জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সম্ভব্য সব কিছু করা হয়েছে।

প্রভাবশালীদের ব্যবসা-বাণিজ্য আর অবৈধ শিল্প দূষণে আক্রান্ত সুন্দরব
বাজুয়া ( দাকোপ) প্রতিনিধি
রাজনৈতিক ভাবে প্রভাবশালী মহলের অবৈধ ব্যবসা-বাণিজ্য আর শিল্প দূষণে আক্রান্ত সুন্দরবন। বিষ প্রয়োগে মৎস্য নিধন, নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন, পরিকল্পিত অগ্নিকান্ড ও বন্যপ্রাণী হত্যা এবং প্লাস্টিক দূষণ-শিল্প দূষণে বিপর্যস্ত সুন্দরবন। পশুর নদীতে কলকারখানার বর্জ্য ও জাহাজী বর্জ্য নিক্ষেপ, কয়লা এবং তেলবাহী জাহাজডুবির মাধ্যমেও সুন্দরবনের প্রাণবৈচিত্র হুমকিতে রয়েছে। বাংলাদেশের ফুসফুস বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন রক্ষায় সরকার ও আইনশৃংখলা বাহিনীকে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে হবে। ২১ মার্চ মঙ্গলবার সকালে আন্তর্জাতিক বন দিবস উপলক্ষে সুন্দরবনের ঢাংমারিতে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার এবং ঢাংমারি ডলফিন সংরক্ষণ দলের আয়োজনে বনজীবিদের অংশগ্রহণে মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন। “করবো বন সংরক্ষণ, সুস্থ থাকবো সারাক্ষণ” শ্লোগানে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর কেন্দ্রীয় নেতা পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মোঃ নূর আলম শেখ। এসময় বক্তব্য রাখেন বাপা নেতা ঢাংমারি ডলফিন সংরক্ষণ দলের টিম লিডার ইস্রাফিল বয়াতি, বাপা নেতা শেখ রাসেল, বাপা নেতা হাছিব সরদার, বনজীবি ষ্টিফেন হালদার, বনজীবি বেল্লাল বেপারী, বনজীবি সাথী আদিত্য, মধুসূদন মন্ডল, বনজীবি লিপি বেগম, বনজীবি কল্পনা সরদার, বনজীবি তরুন মন্ডল, বনজীবি লিপি বেগম, বনজীবি তপন মন্ডল প্রমূখ। মানবন্ধনে বক্তারা আরো বলেন পুরো সুন্দরবন এবং সুন্দরবন সংলগ্ন নদ-নদী প্লাস্টিকে সয়লাব হয়ে গেছে। গবেষণায় সুন্দরবনের মাছে ক্ষতিকর মাইক্রো প্লাস্টিকের কণা পাওয়া গেছে। গত ২০ বছরে ২৪ বার অগ্নিকান্ডে ৭১ একর বনভূমি পুড়ে ছাই হয়েছে। বন বিভাগের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে রাজনৈতিক ভাবে প্রভাবশালী মহল মুনাফালোভী ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রয়োজনে এসব পরিকল্পিত অগ্নিকান্ড ঘটায়। সুন্দরবন রক্ষায় জনসচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি বন রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তরগুলি যদি দায়িত্ব পালনে সততা-নিষ্ঠা-দায়িত্বশীলতার পরিচয় না দেয় এবং তারা যদি প্রকৃতিপ্রেমিক না হয় তাহলেই অচিরেই সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে যাবে। মানববন্ধনে বক্তারা সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকা থেকে বন বিনাশী প্রকল্প বাতিল করে পরিবেশবান্ধব টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

শিক্ষা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উন্নয়নের এক রোল মডেল: ডিসি খুলনা
রূপসা প্রতিনিধি
খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বলেছেন শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশ্বে বাংলাদেশের সাফল্য ঈর্ষণীয়। আফ্রিকাসহ অনগ্রসর দেশগুলো যখন শিক্ষায় ছেলেমেয়ের সমতা অর্জনে হিমশিম খাচ্ছে,তখন বাংলাদেশ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক দুই স্তরেই সেই সমতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়েও ছাত্রদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছাত্রীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে ক্রমাগত। শিক্ষায় দৃশ্যমান সাফল্য বাংলাদেশ সরকারের একটি বড় অর্জন। এই অনন্য অর্জন এখন দেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত হয়েছে। তিনি আরও বলেন শিক্ষা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উন্নয়নের এক রোল মডেল। এছাড়া নারী শিক্ষাকে এগিয়ে নেয়ার জন্য প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত চালু করা হয়েছে উপবৃত্তি ব্যবস্থা। তিনি আরও বলেন প্রতিবছর কোটি কোটি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হচ্ছে,যা পৃথিবীতে নজিরবিহীন। আগে শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তকের জন্য কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হতো আর এখন বছরের শুরুতে ১ জানুয়ারি ছাত্র-ছাত্রীরা নতুন বই হাতে পেয়ে যাচ্ছে। এখন শিক্ষা ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে বহুলাংশে এবং বাড়ছে উপস্থিতি। আর এটা একমাত্র সম্ভব হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য। তিনি ২১ মার্চ সকালে রূপসার কিশোর কল্যাণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সন্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা প্রশাসকের সহধর্মিণী অধ্যাপক ফারহানা বিনতে আজিজ।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন রূপসা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কোহিনুর জাহান,সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ সাজজাদ হোসেন,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা আফরোজ মনা,নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবিদ হাসান,মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আইরিন পারভিন, রূপসা থানা অফিসার্স ইনচার্জ (তদন্ত) মোঃ সিরাজুল ইসলাম।

বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপক খান আহমেদুল কবীর চাইনিজের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তৃতা করেন প্রধান শিক্ষক নকিব উদ্দীন আজাদ। প্রধান অতিথির উদ্দেশ্য মানপত্র পাঠ করেন সহকারী শিক্ষক খালেদ মাহমুদ।

জাতীয় ক্রীড়া ধারাভাষ্যকর প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম পলাশের পরিচালনায় বক্তৃতা করেন সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা,প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণ পদ রায়,সরোজ কুমার হালদার,অমল কুমার শিকদার,মধুমঙ্গল মল্লিক, দীপ্তিশ্বর বিশ্বাস,সহকারী অধ্যাপক মোঃ আনোয়ার হোসেন মিন্টু,বাশির আহম্মেদ লালু,সহকারী শিক্ষক খায়রুল জমাদ্দার,খান হুমায়ূন কবীর,আব্দুল কাদের জমাদ্দার,ইশারাত হোসেন,আফজাল হোসেন, গোবিন্দ প্রসাদ দাস,বিধান চন্দ্র রায়,লুবনা আক্তার,বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক,আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুর রশিদ শেখ,উৎপল দত্ত,হোসনেয়ার পারভিন হেনা,ফিরোজা বেগম, জুলফিকার আলী,আবুল হাসান ফারাজী প্রমূখ।

মাগুরার মহম্মদপুরে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, সদস্য ও সচিবগনের মৌলিক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন
মাগুরা প্রতিনিধি
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলাতে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, সদস্য ও সচিবগনের ইউনিয়ন পরিষদ সম্পর্কিত তিনদিন ব্যাপী মৌলিক প্রশিক্ষণ কোর্সের গত মঙ্গলবার উদ্বোধন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন মাগুরর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ। প্রশিক্ষণ কর্মশালার সভাপতিত্ব করেন মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামানন্দ পাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবু আবদুল্লাহেল কাফী। উক্ত প্রশিক্ষণ কোর্সে মহম্মাদপুর উপজেলার ৮ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও সচিবসহ মোট ১১২ জন অংশ গ্রহণ করেন।

মাগুরায় বিষয়ক অবহিতকরন সভা অনুষ্ঠিত
মাগুরা প্রতিনিধি
মাগুরার শালিখাতে পাইপ লাইনের মাধ্যমে কমিউনি ভিত্তিক পানি সরবরাহের স্মল স্কীম বাস্তবান বিষয়ক অবহিতকরন সভা ২০মার্চ সোমবার শালিখা উপজেলা মিলোনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসমিন মনিরা।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শালিখা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড.কামাল হোসেন।প্রধান অতিথি বলেন পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ শুধুমাত্র শহরের মানুষই পেতেন।বর্তমান সরকারের প্রকল্প গ্রাম হবে শহর ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এ প্রকল্প।এ প্রকল্প গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমানের উন্নয়ন ঘটাবে।

অনুষ্ঠানে প্রকল্প সম্পর্কে সকলকে অবহিত করেন ঢাকা থেকে আসা প্রকল্পের সামাজিক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ শামস উদ্দিন মোঃ রাফি।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর মাগুরার নির্বাহী প্রকৌশলী আবুবক্কর সিদ্দিক,উপজেলা ভাইরাস চেয়ারম্যান মোঃ রেজাউল ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন আক্তার সাবানা, চেয়ারম্যান বিমলেন্দু শিকদার, চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন মন্ডল, চেয়ারম্যান আরোজ আলী বিশ্বাস,প্রেসক্লাব শালিখার সহ সভাপতি জিআরএম তারিক, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মোঃ নওয়াব আলী, চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ঝন্টু,শালিখা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জহুরুল হক,বুনাগাতী ইউনিয়নের সদস্য বাবলু বিশ্বাশ,ইঞ্জিনিয়ার মামুন,মেকানিক আফরোজা,সচিব আমির আলী প্রমুখ।

সাংবাদিক অমিয় কান্তি পালের ভাইয়ের মৃত্যুতে শোক
খবর বিজ্ঞপ্তি
দৈনিক পূর্বাঞ্চল পত্রিকার বার্তা সম্পাদক অমিয় কান্তি পালের বড় ভাই অশোক কুমার পাল(৭৫) সোমবার পরলোক গমন করেছেন। তিনি মাগুরা সদর উপজেলার বেরোইল পালিতা কাজী আজহার উদ্দীন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই পুত্র ও এক কন্যা সহ অসংখ্য গুনগ্রাহি রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বিৃবতি দিয়েছে খুলনা মহানগর যুবলীগ। বিবৃতিদাতা নেতৃবৃন্দরা হলেন খুলনা মহানগর যুবলীগের সভাপতি সফিকুর রহমান পলাশ ও সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজন। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ স্বর্গীয় অশোক কুমার পালের আত্মার শান্তি কামনা করেন। পাশাপাশি শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি জানান গভীর সমবেদনা।

রামপালে কারামুক্ত বিএনপি নেতাদের গণসংবর্ধনা
রামপাল (বাগেরহাট) সংবাদদাতা
রামপাল ও মোংলা উপজেলার সদ্য কারামুক্ত বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের গণসংবর্ধনা দিল বিএনপি। মঙ্গলবার বিকাল ৫ টায় উপজেলার ফয়লাহাট কার্যালয়ে সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাটোয়ারী হালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক লায়ন ডক্টর শেখ ফরিদুল ইসলাম। সাবেক দপ্তর সম্পাদক কাজী জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যান্যে মধ্যে বক্তব্য দেন মোংলা উপজেলা বিএনপির মো. রুস্তম আলী, আবু হোসেন পনি, মো. ফরিদ উদ্দিন, রামপাল উপজেলা বিএনপির শেখ আব্দুল্লাহ আজমি, যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মাসুদুর রহমান পিয়াল, সদস্য সচিব আলমগীর কবির বাচ্চু, সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক কাজী অজিয়ার রহমান, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা শেখ হাসানুল বান্না, ছাত্র দলের আহবায়ক মোল্লা তরিকুল ইসলাম শোভন প্রমুখ। কারামুক্তদের মধ্যে বক্তব্য দেন শরিয়াতুল্লাহ কুদরতী, জাহিদ সরদার, মো. মেহেদী হাসান, আ. সবুর, মুহিদুল ইসলাম, রিপন শিকদার, মাহমুদ ফারাজী, ওয়াজেদ আলী, শেখ হাসান শেখ, বাচ্চু ঢালী, আজিজুর রহমান, মো. মোশাররফ হোসেন খান, আ. রশিদ প্রমুখ। গণসংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, এ সরকার জুলুম করে হয়ারানিমূলক মামলা হামলা করে গণতন্ত্র ধ্বংস করছে। শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশে বাঁধা দিয়ে দেশের পরিবেশ বিনষ্ট করছে। তিনি বলেন আমারা আমৃত্যু গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করে খালেদা জিয়া দেশকে মুক্ত করবো। দেশে দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত উর্ধ্ব গতি বন্ধের জন্য আমরা যখন শান্তিপূর্ণ সভা সমাবেশ শুরু করি, তখন আওয়ামী লীগ শান্তি বিনষ্টের অপচেষ্টা করে। সুখে দুঃখে জাতীয়তাবাদীদের পাশে থাকার দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এই নেতা। সংবর্ধনা সভায় বিপুল সংখ্যক নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

আজ দিঘলিয়া উপজেলার ১৮০টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর উপহার
দিঘলিয়া প্রতিনিধি:
“বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না” মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের সকল ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহপ্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ২২ মার্চ মননীয় প্রধানমন্ত্রী সকাল সাড়ে ১০টায় ভিডিও কন্ফারেন্স এর মাধ্যমে দিঘলিয়া উপজেলার তৃতীয় পর্যায়ের অবশিষ্ট ৬৫ টি এবং চতুর্থ পর্যায়ের ১১৫ টি সহ মোট ১৮০ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের হাতে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করবেন। দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খান মাসুম বিল্লাহ গতকাল সকাল ১০ টায় তাঁর সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে প্রেসব্রিফিং এ উপরিউক্ত তথ্য জানান।
প্রেসব্রিফিং এ তিনি আরও জনান, দিঘলিয়া উপজেলায় মোট ৩৯০ টি পরিবার ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার রয়েছে। যারমধ্যে সরকার থেকে বরাদ্দ পাওয়া ঘর ৩৮১ টি, স্হানীয় সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শিদী তার নিজ অর্থায়নে ৯ টি ঘর নির্মাণ কার্যক্রম চলমার রয়েছে। ইতোমধ্য কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে ৩১৫টি ঘরের। যার মধ্যে ১ম পর্যায়ে ৭০টি, ২য় পর্যায়ে ৩০টি, ৩য় পর্যায়ে ৩৫টি, আজ (২২ মার্চ) ৩য় পর্যায়ের ১০০ টি ঘরের মধ্যে বাকী ৬৫ টি ও ৪র্থ পর্যায়ে ১১৫ টি সহ ১৮০ টি ঘর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে সারাদেশের ন্যায় একযোগে হস্তান্তর করবেন। দিঘলিয়া উপজেলার বাকী থাকে ৬৬ টি ঘর আগামী জুন মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে। এই ৬৬টি ঘরের জন্য ইতিমধ্যে জায়গা ক্রয় করা হয়েছে এবং মাটি ভরাট সম্পন্ন হয়েছে। উল্লেখ্য খাস জমির সংস্থান না থাকায় দিঘলিয়া উপজেলায় ২.৪১৮ একর জমি ক্রয় করা হয়েছে।

প্রেসব্রিফিং এ তিনি আরো জানান, ‘ক’ শ্রেণির পরিবার যার জমি ও ঘর কিছুই নেই এমন ভূমিহীন-গৃহহীন, ছিন্নমূল ও অসহায় দরিদ্র পরিবার। এধরনের পরিবারের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরকারি নিষ্কন্টক খাস জমি, সরকারিভাবে ক্রয়কৃত জমি, সরকারের অনুকূলে কারও দানকৃত জমি অথবা রিজিউমকৃত জমিতে ভূমিহীন-গৃহহীনদের ২ শতক জমিসহ সেমিপাকা একক গৃহ প্রদানের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। ‘খ’ শ্রেণির পরিবার যার সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ জমির সংস্থান আছে কিন্তু ঘর নেই এমন পরিবার। এধরনের পরিবারের জন্য পরবর্তীতে সরকারের যে প্রকল্প আছে তা আরও বেগবান হবে।

মতবিনিময় ও প্রেসব্রিফিং এ উপস্হিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুর রহমান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: আরিফ হোসেন, সহকারী প্রোগ্রামার পুস্পেন্দু দাস, দিঘলিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মো: শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো: হাবিবুর রহমান তারেকে সহ দিঘলিয়া প্রেসক্লাবের সংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ
দিঘলিয়া প্রতিনিধি:
দিঘলিয়া প্রেসক্লাবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও নব যোগদানকৃত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খান মাসুম বিল্লাহ এর সাথে গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন দিঘলিয়া প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ। এসময় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এস এম হাবিবুর রহমান তারেক, নির্বাহী সদস্য এম ফরহাদ কাদির , সিনিয়র সহ-সভাপতি গাজী জামসেদুল ইসলাম সৌরভ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কে এম আসাদুজ্জামান, সহ সম্পাদক মো: মনিরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ ওয়াসিক উল্লাহ হুসাইনী রাজিব ,দপ্তর সম্পাদক মো: আশরাফ হোসেন, প্রচার সম্পাদক মোঃ সালাউদ্দিন মোল্লা, তথ্য ও প্রযুক্তি বিসয়ক সম্পাদক তৌহিদ রুপম, এস এম শামীম ২, মো: রুবেল প্রমূখ। এছাড়াও দিঘলিয়া উপজেলা পুজা উৎযাপন পরিষদ এর পক্ষ থেকে নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খান মাসুম বিল্লাহর সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন সভাপতি বাবু সৌমিত্র দত্ত, সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক মিঠুন কুমার দাস সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

মহম্মদপুরে কোনো বাঁধাই মানছে না অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা
মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি
মাগুরার মহম্মদপুরে এক মৌসুমে দেড় লাখ টাকা জরিমানা দিয়ে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার অবৈধ বালু উত্তোলন করছে বালু খাদকেরা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে বালু খাদকদের এ অর্থদণ্ড দেন।
উপজেলার শিরগ্রাম খেয়াঘাট, পাল্লা খেয়াঘাট, কাশিপুর, বাবুখালি, হরিনাডাঙ্গা, রায়পুর, দাতিয়াদহ, চরঝামা, হরেকৃষ্ণপুর, চরঝামা, চরপাচুড়িয়া, কালিশংকরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় মধুমতি নদী থেকে অপরিকল্পিত ভাবে বছরে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার অবৈধ বালু উত্তোলন করে জেলার বিভিন্ন স্থানে অবৈধ তিন চাকার ট্রলি যোগে বিক্রি করছে একটি প্রভাবশালী মহল।
মধুমতির বুক থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন শিরোনামে গত ২০২১ সালের ১৫ই মার্চে দৈনিক যুগান্তরে ছবিসহ একটি সরেজমিন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তার পর থেকে উপজেলার বিভিন্ন জায়গার গত ২৬ অক্টোবর ২০২২ , ১৪ নভেম্বর ২০২২ এবং ২৬ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে অবৈধ বালু খাদকদের ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে দেড় লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয় এবং বিভিন্ন অভিযান চালিয়ে বালু উত্তোলনের মালামাল ভাঙচুর করেন। বিভিন্ন স্পটে এ সকল ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছেন মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামানন্দ পাল ও সহকারি কমিমনার (ভ’মি) বাসুদেব কুমার মালো। কিন্তু তার পরও কোন ভাবেই উপজেলার মধুমতি নদী থেকে চর কেটে বালু বিক্রি ও বালু উত্তোলন কোন ভাবেই থামছে না। বালু খাদকেরা মানছে কোনো বাধা। অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে উপজেলা বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকবার মানববন্ধনও হয়েছে।
পাল্লা নদীপাড়ের ভুক্তভোগীরা জানান, প্রতিদিনই চলছে বালুকাটা। নদীর পাড় থেকে শ্রমিক দিয়ে সরাসরি বালু কেটে শত শত ট্রলি উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে বিক্রি করছে। এ ভাবে চলতে থাকে ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত। প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই নদীর বালু কাটছে স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজন যুবক। ওই এলাকার সাধরণ মানুষকে জিম্মি করে তারা এ ব্যবসা পরিচালনা করছেন দীর্ঘদিন ধরে। কেউ বাধা দিলে তাকে মারধর, হুমকিসহ নানান রকম বিপদের শিকার হতে হয়। সাংবাদিকরা সংবাদ সংগ্রহের জন্য গেলে তাদের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টাসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
সরেজমিন উপজেলার শিরগ্রাম খেয়াঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, অবৈধ ট্রলিতে বালু কাটছে শ্রমিকরা। প্রতিটি গাড়িতে ১০০ বর্গফুট বালু নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিক্রি করে। গাড়ি প্রতি কমপক্ষে ৬০০ টাকা খাজনা নেই স্থানীয় ওইসব বালু খাদকেরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী জানান, মহম্মদপুর উপজেলায় অবৈধ বালু উত্তোলনের যে কয়েকটি স্পট আছে, তাতে বছরে কমপক্ষে পাঁচকোটি টাকার বালু উত্তোলন বিক্রি করা হয়।

নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থরা জানান, মধুমতি নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলনের কারনে ফসলি জমি, নদী পাড়ের বসতঘর ও বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি স্থাপনা নদী ভেঙে বিলিন হয়ে যাচ্ছে এবং ভাঙন রোধ করতে ব্যবহৃত কোটি কোটি টাকার ব্লক ও জিও ব্যাগ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া প্রতিদিন শতশতবার ভারি ইঞ্জিনচালিত যান চলাচলের কারণে রাস্তার ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দ্রুতগতি গাড়ি চলাচলের কারণে ধুলাবালু নাকে গিয়ে স্কুল কলেজপড়ুয়া ছেলেমেয়েদের নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রামানন্দ পাল বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে এ বছর বেশ কয়েকটি অভিযান দেওয়া হয়েছে। আগামীতেও অভিযান অব্যাহত থাকবে।

 

জীবননগরে স্বর্ণের বার উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে দুইটি স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে পৌর এলাকার ইসলামপুর গ্রামের একটি পরিত্যক্ত ইট ভাটার সামনের রাস্তা থেকে স্বর্ণের বার দুটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় দুই পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে। আটকরা হলেন- উপজেলার নতুনপাড়া গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে মো. জিয়ারুল ইসলাম (৩০) ও একই গ্রামের মৃত সুরাপ মন্ডলের ছেলে মো. কামাল হোসেন (৪২) । এ সময় স্বর্ণ পাচারকারীদের একটি ১২৫ সি সির ডায়ান মোটরসাইকেলও জব্দ করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, মেদিনীপুর সীমান্ত দিয়ে স্বর্ণ পাচার করা হবে এমন সংবাদের ভিত্তিতে জীবননগর থানা পুলিশের একটি দল পৌর এলাকার চ্যাংখালী সড়কের ইসলামপুর মোড়ে অবস্থান নেয়। এ সময় মোটরসাইকেলসহ দুজনকে যেতে দেখে তাদের সন্দেহ হয়। পরে তারা মোটরসাইকেলটি আটক করে। এসময় জিয়ারুলের দেহ তল্লাশি করে কোমর থেকে দুটি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের দুজনকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়।

জীবননগর থানার ওসি আব্দুল খালেক জানান, উদ্ধার করা দুটি স্বর্ণের বারের ওজন ৫৮০ গ্রাম। বাজার মূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক দুজন জানিয়েছে, তারা ভারতে পাচার করার জন্য বার দুটি সীমান্তের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। তারা স্বর্ণগুলো ভারতে নসু বলে একজনের কাছে পাঠাতো।
ওসি আরও জানান, আটক দুজনের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। আর উদ্ধার করা স্বর্ণের বার দুটি চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা রাখা হবে।

খুলনা ওয়াসার এমডির অনিয়ম অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট
স্টাফ রিপোর্টার
খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে উঠা অনিয়ম-দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইমাদুল হক বসির রিটটি দায়ের করেন। রিটে খুলনা ওয়াসার এমডির বিরুদ্ধে উঠা অনিয়ম দুর্নীতির অনুসন্ধান করতে দুদকের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তার নিয়োগ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে।

রিটে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সচিব, উপ-সচিব স্থানীয় সরকার (পানি সরবরাহ), পিএসসির চেয়ারম্যান, খুলনা ওয়াসা কর্তৃপক্ষ, খুলনা ওয়াসার চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশন ও খুলনা ওয়াসার এমডিকে বিবাদী করা হয়েছে।

রিট আবেদনে বলা হয়েছে, খুলনা ওয়াসার এমডির অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রতিবেদন প্রকাশ হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে বিস্তর অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তারপরও তিনি বহাল তবিয়তে রয়েছে। নিজের পদে থাকতে তিনি প্রবিধান সংশোধন করে নিচ্ছেন, তারপরও তার বিষয়ে কোনও তদন্ত হচ্ছে না। রিট আবেদনটির ওপর আগামী সপ্তাহে শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী।

 

 

সাতক্ষীরায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে চালকের মৃত্যু
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে সবুজ হোসেন (৩০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ি ইউনিয়নের বিশ্বাসবাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সাতক্ষীরা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সবুজের মৃত্যু হয়। এ সময় দুজন আহত হয়েছেন।

নিহত সবুজ হোসেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার জোরদিয়া গ্রামের আজিজুল ইসলামের ছেলে। তিনি পেশায় ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি। আহত দুজন হলেন একই গ্রামের তৌফিক হাসান (১৬) ও সাইফুল ইসলাম (২৩)।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সবুজ হোসেন রাতে ব্যাংকদহ বাজারের দোকান থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে জোরদিয়া বিশ্বাসবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে তিনি মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারান। এ সময় মোটরসাইকেলটি সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তৌফিক ও সাইফুলকে ধাক্কা দেয়। এতে সবুজ সড়কের ওপর ছিটকে পড়লে পথচারীসহ তিনজনই গুরুতর আহত হন।

স্থানীয় লোকজন আহত তিনজনকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে সবুজ হোসেনকে অপর একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করার পর রাত ১২টার দিকে সেখানকার চিকিৎসক সবুজকে মৃত ঘোষণা করেন।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জিহাদ ফখরুল আলম বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সবুজ হোসেন নামের এক যুবক সাতক্ষীরা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন। নিহত যুবকের পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় আহত অন্য দুজন সাতক্ষীরা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আরাভের প্রলোভনে একমাত্র মেয়েকে হারিয়ে পাগলপ্রায় শ্বশুর
মেহেরপুর প্রতিনিধি
এবার দুবাইয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভের বিচার চাইলেন তার শ্বশুর আবুল কালাম। মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার গাঁড়াডোব পুকুরপাড়ার বাসিন্দা আবুল কালাম দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভের শ্বশুর। বললেন- আমরা তাকে আপন নামেই চিনতাম। জানতাম ঢাকায় আপন জুয়েলার্স এর মালিক সে। এলাকায় যখন আসতো দামী গাড়িতে চড়ে। তার চলাফেরা পোশাক ছিল খুবই বিলাসবহুল। হাতে, গলায় সব সময় ভারী স্বর্ণের শিকল চেইন ব্যবহার করতো। কিছুদিনের মাথায় শশুরবাড়ি বেড়াতে এসে আপন মামা শ্বশুরের ডিসকোভারী মোটরসাইকেল চুরী করে করে নিয়ে যায়। এর আগে বুঝার উপায় ছিলনা আরাব এতবড় সন্ত্রাসী ও খারাপ প্রকৃতির ছেলে। আরাব আমার মেয়েকে ফুসলিয়ে প্রলোভন দিয়ে বিয়ে করে শুধু মেয়েরই ক্ষতি করেনি, একমাত্র মেয়ে কেয়াকে নিয়ে আমাদেরও স্বপ্ন স্বাদ সব মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে। আমি এই আরাভের বিচার চাই।
আবুল কালাম জানান, এসএসসি পাশ করার পর মেয়ে ঢাকায় মেডিকেলে পড়তে যায়। সেখানে আরাভের সাথে মেয়ের পরিচয় হয়। দুজনই সুন্দর তাই সম্পর্ক তৈরী হলে আমার অমতেই মেয়ে বিয়ে করে। বিয়ের পর কয়েকরাব তারা মেহেরপুর বেড়াতে এসেছে। শহরে শামসুজ্জোহা পার্কের সামনে পশ্চিমের গলিপথে একটা বাড়িতে আরাভ মেয়েকে নিয়ে ৩/৪ মাস ভাড়া বাড়িতে ছিল বলেও জানান তিনি। তখন শহরে স্ত্রীকে একটা পার্লার করে দেবে বলেছিল।
আবুল কালাম জানান, তারপর মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় চলে যাওয়ার কিছুদিন পর পুলিশ হত্যা মামলা ঘটনা ঘটলে আরাব এবং আমার মেয়ে আসামী হয়। তখন আরাব পলাতক হয়ে যায়। মেয়ে ওই মামলায় গ্রেপ্তার হলে দেড়বছর জেলে তাকার পর জামিনে মুক্তি পায়। মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফিরলে আমরা কেয়াকে আরাভের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার পরামর্শ দিয়ে মেয়েকে বাড়িতে রাখি। তখন আরাভ হুমকী দিয়ে বলে মেয়েকে তার কাছে যেতে না দিলে তাদের খুন করবে। তখন মেয়ে আবার আরাভের কাছে চলে যায়।
পরে কেয়া আরাভকে ছেড়ে মালয়েশিয়া চলে গিয়ে সেখানে দ্বিতীয় বিয়ে করে সংসার করছে বলেও জানান আবুল কালাম। এই ঘটনার মধ্যদিয়ে আরাভ শুধু আমার মেয়ের জীবনকেই শেষ করেনি মেয়েকে তাদের জীবন থেকেও কেড়ে নিয়েছে বলেই কাঁদতে থাকেন আবুল কালাম। আরাভ এতবড় প্রতারক সেটা আগে জানা ছিল না।

রাষ্ট্রীয় মালিকানায় পাটকল চালু ও ঈদের আগে বকেয়া পরিশোধের দাবি
স্টাফ রিপোর্টার
লিজ বা ব্যক্তি মালিকানায় নয়, বন্ধ থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত সব পাটকল অবিলম্বে রাষ্ট্রীয় মালিকানায় চালু এবং ঈদের আগে শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা পরিশোধসহ ৬ দফা দাবি জানিয়েছে পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদ। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বেলা ১১টায় খুলনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনের ওই দাবিতে আগামী ৭ এপ্রিল রাজঘাট, ১৪ এপ্রিল ইস্টার্ন গেট ও ১৫ এপ্রিল খালিশপুর শিল্পাঞ্চলে সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। দাবি আদায় না হলে ঈদের পর বিভাগীয় সমাবেশের ঘোষণা দেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০২০ সালের ২ জুলাই সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত ২৬টি পাটকল বন্ধ করে দেয়। মিল বন্ধের দুই মাসের মধ্যে সব পাওনা পরিশোধের অঙ্গীকার করলেও এখনও অনেক শ্রমিক তাদের বকেয়া টাকা পায়নি। খুলনার খালিশপুর ও দৌলতপুর জুট মিল, সিরাজগঞ্জের জাতীয় জুট মিল এবং চট্টগ্রামের কেএফডি ও আর আর জুট মিলের শ্রমিকরা এখনও বকেয়া কোনো টাকাই পায়নি। এছাড়া বিভিন্ন মিলের শ্রমিক যাদের মামলা আছে তাদের দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করে বকেয়া টাকা পরিশোধ করা হচ্ছে না।
ফলে শ্রমিকরা নিদারুণ যন্ত্রণা ও উৎকণ্ঠার মধ্যে দিনাতিপাত করছেন। বর্তমানে জীবনযাপন ব্যয় অত্যধিক বৃদ্ধি পাওয়ায় কর্মহীন এবং বকেয়া পাওনা থেকে বঞ্চিত শ্রমিকরা তাদের পরিবার পরিচালনা করতে হিমশিম খাচ্ছে। রোজা এবং ঈদুল ফিতর সমাগত। এ অবস্থায় ঈদের আগে সকল শ্রমিকের বকেয়া পাওনা পরিশোধ করা জরুরি।
সংবাদ সম্মেলনে ৬ দফা দাবি জানানো হয়। দাবির মধ্যে রয়েছে যে সব শ্রমিক এখনও তাদের বকেয়া টাকা পায়নি তাদের পাওনা আগামী ঈদুল ফিতরের আগে পরিশোধ করতে হবে। যে সব শ্রমিক সঞ্চয়পত্রের কাগজ পাননি তাদের অবিলম্বে তা হস্তান্তর করতে হবে।
রাষ্ট্রায়ত্ত সব পাটকল অবিলম্বে রাষ্ট্রীয় মালিকানায় চালু করতে হবে। লোকসানের জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করে। জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে এবং লুটপাট কারীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করাসহ শাস্তি দিতে হবে। ব্যক্তি মালিকানাধীন পাটকল শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী করতে হবে এবং তাদের নিয়োগপত্র ও পরিচয়পত্র দিতে হবে। এসব প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের মজুরি নিত্যপণ্যের বাজারদর বিবেচনায় নিয়ে নির্ধারণ করতে হবে।
ম্যান্ডেটরি প্যাকেজিং এ্যাক্ট বাস্তবায়ন করতে হবে। সময়ের চাহিদা বিবেচনা করে পাট থেকে বহুমুখী পণ্য উৎপাদনের জন্য গবেষণা খাতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দিতে হবে।

বিজেএমসির মাথাভারি প্রশাসন থেকে অতিরিক্ত জনবল ছাঁটাই করতে হবে। পাট মন্ত্রণালয়ের অযাচিত খবরদারি বন্ধ করে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল পরিচালনা সংস্থাটিকে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হবে। চেয়ারম্যানসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে পাটকল পরিচালনা সংশ্লিষ্ট দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন দক্ষ ও সৎ ব্যক্তিদের পদায়ন করতে হবে।
পাটকল রক্ষা আন্দোলনের নেতাদের নামে দায়ের করা মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক জনার্দন দত্ত নান্টু, আ ফ ম মহসীন, মোজাম্মেল হক, মুনীর চৌধুরী সোহেল, মিজানুর রহমান বাবু উপস্থিত ছিলেন।

 

কুয়েটের এলই বিভাগের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এর লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং (এলই) বিভাগের ২০১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা ও ২০২১ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এলই এসোসিয়েশনের আয়োজনে অনুষ্ঠানটি ২১ মার্চ মঙ্গলবার বিকালে স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মিহির রঞ্জন হালদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সোবহান মিয়া, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোঃ সাহিদুল ইসলাম এবং অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এলই এসোসিয়েশনের সভাপতি ও এলই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মোঃ আবুল হাসেম। অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল ও উপহার দিয়ে বরণ করে নেন এবং বিদায়ী প্রকৌশলীদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে বিশ^বিদ্যালয়ের এলই বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

কেশবপুরে কাল বৈশাখী ঝড়ে ভূট্টার ব্যাপক ক্ষতি
আলমগীর হোসেন,কেশবপুর
শুক্রবার গভীর রাতে কাল বৈশাখী ঝড়ের প্রভাবে উঠতি ভূট্টার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অধিকাংশ খেতের ভূট্টা গাছ ঝড়ে হেলে পড়েছে। এতে কৃষকরা ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন।
উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাবে গত কয়েক বছর ধরে মশুড়ী, গম ও খেসারীর ফলন বিপর্যয় ঘটছে। যে কারণে কৃষকরা এসব ফসল আবাদ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে ঝুঁকে পড়ে ভূট্টা আবাদের দিকে। বৈশ্বিক প্রভাবে বর্তমান ভূট্টার বাজার মূল্য অনেক বেশী। এছাড়া, ভূট্টা খামারের গরু ও পোল্ট্রির প্রধান খাদ্য। এসব বিবেচনা করে কৃষকরা ভূট্টার আবাদ করে। চলতি বছর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কিছু কিছু কৃষক ব্যক্তি উদ্যোগে ও উপজেলা কৃষি বিভাগের প্লট প্রদর্শনীর মাধ্যমে ভূট্টার আবাদ হয়। এরমধ্যে উপজেলার মজিদপুর, হাসানপুর, সাগরদাঁড়ি ও ত্রিমোহিনী ইউনিয়নে ভূট্টার আবাদ হয়েছে বেশী। কৃষকদের নীবিড় পরিচর্যায় প্রতিটি গাছে সবেমাত্র ভূট্টার মোচা বের হচ্ছে। অনেক কৃষক ভূট্টা চুরি রোধে খেতের পাশে টঙঘর বেধে রাত জেগে পাহারা ব্যবস্থা করেছে। আর কিছুদিন পরেই কৃষকদের কাঙ্খিত ফসল ঘরে উঠবে। কৃষক যখন এমন স্বপ্নে বিভোর তখনই গত ১৭ মার্চ গভীর রাতের কাল বৈশাখী ঝড়ের প্রভাবে ভূট্টা গাছ খেতে হেলে পড়ে। অনেক খেতে পানি জমে আছে। এতে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কায় কৃষকের মাথায় হাত উঠেছে।
উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের কৃষক নিজামউদ্দীন সরদার বলেন, গেল বছরের সেপ্টেম্বরে নিজ উদ্যোগে তিনি এক বিঘা জমিতে ভূট্টার আবাদ করেন। এপর্যন্ত তার প্রায় ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে। সকল পরিচর্যা শেষে যখন ফসল ঘরে উঠবে ঠিক এমন সময় ঝড়ে তার খেতের অর্ধেক ভূট্টা গাছ হেলে পড়েছে। হেলে পড়া ভূট্টা গাছে দানা পুষ্ট হয় না। এতে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার বলেন, ভূট্টা একটি লাভজনক ফসল। চলতি বছর এ উপজেলায় ৯৫ হেক্টর জমিতে ভূট্টার আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় কৃষকরা ভালো ফলনের আশা করছিলেন। গতকালের ঝড়-বৃষ্টিতে কিছু কিছু খেতের ভূট্টা গাছ হেলে পড়েছে। এতে শতকরা ৫ ভাগ ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে অনেক দিনপর স্বস্তির বৃষ্টি হওয়ায় অন্যান্য ফসলের জন্যে আশির্বাদ হয়ে দেখা দিয়েছে।

ডুমুরিয়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা
ডুমুরিয়া প্রতিনিধি
ডুমুরিয়ায় স্বামীর উপর অভিমান করে অর্পিতা মল্লিক(১৯) নামে এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে রংপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ লাশের সুরোতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
জানা যায়, গতবছর ১৫ মে উপজেলার গুটুদিয়ার মল্লিকের সাথে প্রেমের সম্পর্কে একই উপজেলার রংপুর গ্রামের পিন্টু হালদারের একমাত্র মেয়ে অর্পিতার বিয়ে হয়। স্বামীর সংসারে নবদম্পতির ভালোভাবে সংসার জীবন চলছিলো। ঘটনার দিন মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে অর্পিতা তার বাবার বাড়ি নামযজ্ঞে যাওয়ার জন্য বায়না ধরে। অনিমেষ মল্লিক জানায়, তাকে বলেছি আগামীকাল বুধবার যজ্ঞের দিন তোমাকে নিয়ে যাবো। কিš‘ অর্পিতা রাগ করে চলে যায়।
আড়ংঘাটা থানা পুলিশের এসআই অনাদি বিশ্বাস জানান, অর্পিতা তার বাবার বাড়ি যেয়ে বাবার ঘরের আড়ায় গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। দুপুর ২ টার দিকে তার ঝুলান্ত লাশ নামায় ¯’ানীয়রা। সুরোতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যা”েছ সে আত্মহত্যা করেছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে প্রকৃত রহস্য জানা যাবে। এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।