স্টাফ রিপোর্টার।।
যশোরের অয়ভনগর উপজেলায় মানব পাচার মামলায় চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার রাতে উপজেলার বুনোরাম নগর গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন ওই গ্রামের মৃত ইন্তাজ আলীর ছেলে মোঃ ইনামুল হক (৫৫ ) ও মোঃ শহর আলীর মেয়ে নাজমা বেগম (৪৫)। পাচার হওয়া যুবক বিদেশে জিম্মী দশা থেকে মুক্ত হয়ে দেশে ফিরে আদালতে মামলা করে।
পাচার হওয়া ওই যুবকের নাম ইমরান হোসেন (২৭)তিনি উপজেলা শংকরপাশা গ্রামের মোঃ আলীর ছেলে। তিনি বাদি হয়ে গত ৬/৩/২০২৩ তারিখে ৪ জনকে আসামি করে যশোরে মানব পাচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলা করেন। আসামীরা পরস্পর আত্মীয় স্বজন।
মামলা সূত্রে জানাযায়, বাদী ও আসামীদের বাড়ী পাশাপাশি গ্রামে। তারা বাদী ইনামুলকে ইতালি পাঠানোর জন্য ১৪ লাখ টাকার চুক্তি করে। গত ইং-২৮/০৬/২০২২ তারিখ ননজুডিশিয়াল স্টাম্পে ওই চুক্তি সম্পন্ন হয়। চুক্তির পরে আসামীরা ছয় লক্ষ টাকা গ্রহণ করে। পরে গত ইং-০২/০৭/২০২২ তারিখ বিকাল ৫.০০ আসামীরা বদিকে নিয়ে পাচারের উদ্দেশে ঢাকায় নিয়ে যায়। পরের দিন ০৩.৭.২২ তারিখ ইটালির উদ্দেশ্যে বিমানে উঠে এবং দুবাই বিমান বন্দরে অবতরণ করে। বাদীকে ২১ দিন দুবাই রাখার পর সড়ক পথে ওমান দেশে নিয়ে যায়। সেখানে ৪ দিন রাখার পর স্পীড বোটে ইরান দেশে নিয়ে যায় সেখানে দেড় মাস রাখার পর তুরস্ক বর্ডারে নিয়ে ১১ দিন জিম্মি রেখে শারীরিক ও মানুসিক নির্যাতন করে টাকার দাবী করে। বাদীর সাথে আরও দুই জন ছিল। সবারই একই অবস্থা। আসামীরা বাদীর নিকট হইতে আরও চৌদ্দ লাখ টাকা এবং অন্য ২ জনের নিকট হইতে পনের লাখ টাকা মোট উনিশ লাখ টাকা আদায় করে। বাদীর বাড়ী হইতে ০১৭১২-৬৮০০৯৮, ০১৮৩৮-১৯৫২৫২ ও ০১৮৩৩-৫৫০০২২ বিকাশ নম্বরে টাকা দেন। টাকা দেওয়ার পর গত ০৭/১০/২০২২ তারিখ বাদীকে ছেড়ে দিলে বাদী অসুস্থ অবস্থায় বাংলাদেশে ফিরে আসে। আদালত অভয়নগর থানা কে মামলাটি গ্রহন করে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের আদেশ দেন। থানা পুলিশি তদন্তে ঘটনার সত্যতা পেয়ে ঐ আাসামিদের গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। অভয়নগর থানার অফিসার ইনর্চাজ এ কে এম শামীম হাসান বলেন, আদালতের আদেশ মোতাবেক ঘটনার তদন্ত করে সত্যতা পেয়ে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যহত আছে।