সাতক্ষীরা শ্যামনগরে চলছে ইট পাজায় কাঠ পোড়ানোর মহোৎসব!

1
Spread the love

খান নাজমুল হুসাইন ।।
সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলার ভুরুলিয়া ইউনিয়নের গৌরিপুর এলাকায় ইট পাজায় অবাধে কাঠ পোড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। নিয়মবহির্ভূত ভাবে প্রশাসনের একেবারেই নাকের ডগায় চলছে এসব কাঠ পোড়ানোর মহোৎসব। সরেজমিনে গত ২৮ শে ফেব্রুয়ারি শ্যামনগর উপজেলার ১নং ভুরুলিয়া ইউনিয়নের গৌরীপুর গ্রামে অবস্থিত সিরাজুল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ৩ শত গজ দক্ষিণে তৌহিদের বাড়ির পশ্চিম পার্শ্বে যেয়ে দেখা যায় কৃষি আবাদি জমি নষ্ট করে জনবসতি এলাকায় ইট পাজার জ্বালানিতে ব্যবহার হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের কাঠ। অভিযুক্ত সিরাজুল মল্লিক আইনের তোয়াক্কা না করে অবাধে প্রতিনিয়ত চালিয়ে় যাচ্ছে ইট পোড়ানোর কার্যক্রম।
স্থানীয়রা জানান, সিরাজুল মল্লিক প্রায়শই অবাধে ইট পাজা স্থাপন করে জ্বালানিতে কাঠ ব্যবহার করেন। ইট পাজা থেকে নির্গত কালো ধোঁয়ায় বিপর্যস্ত জনজীবন। তারা আরও জানান, ইট পোড়ানো শেষে সিরাজুল মল্লিক এসব ইট বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করেন। তারা আরও বলেন, মুলত সিরাজুল মল্লিক একজন ইট পাজা ব্যবসায়ী। জানা গেছে গৌরিপুর গ্রামের মৃত এফাজতুল্লাহ মল্লিকের ছেলে সিরাজুল মল্লিক। দীর্ঘদিন ধরে জনবসতি এলাকায় হাতে ইট কেটে ইট পোড়ানো পাজা স্থাপন করে জনবসতি এলাকায় ইট পোড়ানোর কারনে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সিরাজুল মল্লিক জনবহুল এলাকায় কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানোর ফলে কালো ধোঁয়ায় শিশু, কিশোর, যুবক থেকে শুরু করে বৃদ্ধ মানুষের শ্বাসকষ্ট জনিত রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। স্থানীয় ও সুশীল সমাজের মতে জনবসতি এলাকায় নিয়মবহির্ভূত ভাবে অবাধে ইট পাজায় কাঠ পোড়ানোর হোতা সিরাজুল মল্লিক কে থামানো না গেলে কালো ধোঁয়ায় পরিবেশ বিপন্ন হওয়ার পাশাপাশি এলাকার মানুষের উপর দারুণ ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে। এ বিষয় ইট পাজা পোড়ানোকারী সিরাজুল মল্লিক এর সাথে সরাসরি আলাপকালে তিনি বলেন, আমি আমার নিজের ঘর তৈরি করার জন্য ইট পোড়াচ্ছি। বিভিন্ন জায়গায় ইট বিক্রি করার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কিছু খরচ তোলার জন্য বিক্রি করছি। এ বিষয় শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আখতার হোসেন এর সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি বলেন, আমি ইট পোড়ানোর বিষয়টি আপনার কাছ থেকে জানলাম আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।