ঢাকা অফিস।।
ইবাদত-বন্দেগি ও বয়ান শুনেই গতকাল শনিবার বিশ^ ইজতেমার দ্বিতীয় দিন পার করলেন মুসল্লিরা। আজ রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বিশ^ ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আয়োজন। এ জন্য টঙ্গীর আশপাশের তিনটি সড়ক শনিবার রাত থেকে পরের দিন দুপুর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
গতকাল ফজরের নামাজের পর ভারতের মাওলানা ইয়াকুব জিলানীর বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দ্বিতীয় পক্ষের বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রম। জোহর নামাজের পর বয়ান করেন তুরস্কের মাওলানা ওমর; আসরের পর মাওলানা ইলিয়াস বিন সা’দ কান্ধলভী এবং মাগরিবের পর বয়ান করেন ভারতের মাওলানা আব্দুস সাত্তার। বয়ানে মহান আল্লাহর একত্ববাদ এবং নবী-রাসূল সাহাবাদের জীবন তুলে ধরা হয়। তুলে ধরা হয় তবলীগের গুরুত্বও।
আরও দুই মুসল্লির মৃত্যু>>
টঙ্গীর বিশ্বইজতেমা ময়দানে গত শুক্রবার রাতে আরও দুই মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন ঢাকার কদমতলীর পূর্ব জুরাইন এলাকার আব্দুল হান্নান (৪৫) এবং গুলিস্তান বঙ্গবাজার এলাকার ব্যবসায়ী মো. বোরহান (৪৮)। এ নিয়ে দ্বিতীয় দফার ইজতেমায় আসা পাঁচ মুসল্লির মৃত্যু হলো। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ব ইজতেমার সমন্বয়ক মোহাম্মদ আবু সায়েম।
আখেরি মোনাজাত সকাল ১০টার পর>>
আজ রবিবার ফজরের পর ভারতের মাওলানা ইউসুফ বিন সা’দ কান্ধলভী হেদায়াতি বয়ান করবেন। এর পর আখেরি মোনাজাতও পরিচালনা করবেন তিনি। রবিবার সকাল ১০টার পর আখেরি মোনাজাত শুরু হবে। শেষ হবে দুপুরের আগেই।
বন্ধ থাকবে যেসব সড়ক>>
আখেরি মোনাজাতের কারণে শনিবার (২১ জানুয়ারি) মধ্যরাত থেকে তিনটি সড়ক ও মহাসড়ক বন্ধ রাখবে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি)। জিএমপি কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম জানান, টঙ্গী থেকে ভোগড়া পর্যন্ত এবং কামারপাড়া ব্রিজ থেকে মুন্ন গেট পর্যন্ত সব সড়ক বন্ধ থাকবে। ভোগড়া থেকে তিনশ ফুট সড়ক পর্যন্ত ঢাকাগামী ও ময়মনসিংহগামী গাড়িগুলো চলাচল করবে। এ ছাড়া ইজতেমা উপলক্ষে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
যৌতুকবিহীন বিয়ে>>
গতকাল বিকালে মূল বয়ান মঞ্চের পাশে যৌতুকবিহীন বিয়ে হয়। মাওলানা ইউসুফ বিন সা’দ কান্ধলভী ১৫টি বিয়ে পড়ান। বিয়ে শেষে স্বজন ও মুসল্লিদের মধ্যে খেজুর বিতরণ করা হয়।
বিদেশি মুসল্লি সাত হাজারের বেশি>>
দ্বিতীয় পর্বে গতকাল পর্যন্ত সৌদি আরব, ভারত, পাকিস্তান, কাতার, জর্দান, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ ৬১টি দেশের প্রায় সাত হাজার ৭২৫ জন বিদেশি মুসল্লি ইজতেমায় যোগ দিয়েছেন। আজ এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন ইজতেমার গণমাধ্যমবিষয়ক সমন্বয়কারী মো. সায়েম।