এককোটি ভোটারযোগ্য নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করেছে ইসি

1

ঢাকা অফিস||
এবার ভোটার তালিকা হালনাগাদে প্রায় ১ কোটি নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরমধ্যে ২০২৩ সালে ৩০ লাখের মতো ভোটার তালিকাভুক্ত হবে। বাকিরা পরের দুই বছরে আঠারো বছর পূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটার হিসেবে যুক্ত হবে। নির্বাচন কমিশন গত ২০ মে থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত দেশজুড়ে চার ধাপে ভোটারযোগ্য ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ করেছে। এসময় বর্তমান ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিতে মৃতদের তথ্য সংগ্রহও করা হয়েছে; এবার মৃত ভোটারের সংখ্যা প্রায় ২০ লাখের মতো।

মধ্য ডিসেম্বরে হালনাগাদের নতুন ভোটারদের ছবি তোলা, ১০ আঙ্গুলের ছাপ, আইরিশসহ বায়োমেট্রিক নিবন্ধন শেষ হবে। নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, মাঠ পর্যায়ে একীভূত তথ্য অনলাইনে সব সময় আপডেট করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১ কোটির মতো ভোটারযোগ্য নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। ছবিসহ সবাইকে নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে। এরপর খসড়া তালিকা ও চূড়ান্ত হওয়ার পর প্রকৃত ভোটার নিশ্চিত হবে। তিনি জানান, প্রতিবছর ২ দশমিক ৫ শতাংশ হারে নতুন ভোটার যুক্ত হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও তিন বছর মিলিয়ে এবার তথ্য সংগ্রহ ‘টার্গেট’ ছাড়িয়েছে। প্রায় ৮ শতাংশের উপরে হতে পারে।

১৫-১৭ বছরের অনেকের তথ্য নেওয়া হলেও ২ মার্চ চূড়ান্ত তালিকায় যারা যুক্ত হবে তারাই আগামী দ্বাদশ সংসদ ভোট দিতে পারবেন। সবশেষ ২০২২ সালের ২ মার্চ দেশের মোট ভোটারের সংখ্যা ছিল ১১ কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ১০ জন। ভোটার হওয়ার প্রক্রিয়া চলমান থাকায় বর্তমানে ভোটার সংখ্যা আরও কয়েক লাখ বেশি হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা ধারণা করছেন—নতুনদের যুক্ত করে ও মৃতদের বাদ দিয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় ভোটার দাঁড়াবে প্রায় ১১ কোটি ৬০ লাখের মতো।
ইসি সূত্র জানা গেছে, এবার তথ্য সংগ্রহ হয়েছে এক কোটি দুই লাখ ১৪ হাজার ৩০৪ জন নাগরিকের (৮.৮৯%)। এরমধ্যে পুরুষ ৫২ লাখ ৮২ হাজারের মতো এবং নারী ৪৯ লাখ ৩০ হাজারের বেশি। আর হিজড়া দুই সহস্রাধিক নাগরিক।
মৃত ভোটারের তথ্য সংগ্রহ হয়েছে ২০ লাখ ১৭ হাজার ৪৯৬ জন। যার মধ্যে পুরুষ ১১ লাখ ৮২ হাজার ২৩ জন এবং নারী ৮ লাখ ৩৫ হাজার ৪৭৩ জন।