বিশ্বকাপের জন্য এশিয়া-আফ্রিকার ‘শ্রমিক হটাচ্ছে’ কাতার

3
Spread the love

স্পোর্টস ডেস্ক।।

‘ছাই ফেলতে ভাঙা কুলা।’ কাজ মিটে গেলে ওই ভাঙা কুলা আবার ছুড়ে ফেলা হয়। বিশ্বকাপের আগে কাতার যেমন রাজধানী দোহা থেকে শ্রমিক হটাতে শুরু করেছে। অথচ এই শ্রমিকরাই কাতারে বসতে যাওয়া ফুটবলের বিশ্ব মঞ্চ প্রস্তুত করেছেন। প্রস্তুত করেছে স্টেডিয়াম, হোটেল, রাস্তা-ঘাট।

কাতারে বিশ্বকাপকে ‘দোহা বিশ্বকাপ’ বললেও ভুল হবে না। কারণ বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতকৃত সবগুলো স্টেডিয়াম রাজধানী দোহায়। যা দোহার ৫৫ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত। বিশ্বকাপ দেখতে কাতারে অন্তত দুই মিলিয়ন দর্শক আসবে। এতো মানুষ এক শহরে ধরবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

যদিও ফিফার প্রেসিডেন্ট জিওন্নি ইনফান্তিনো বলেছেন, এক শহরে হলেও সফল বিশ্বকাপ হবে। বিশ্ব দেখবে কাতারের বিশ্বকাপ। রাজধানী থেকে ওই জনসমাগম কমাতে শ্রম আইনে পরিবর্তন এনে দেশটির সরকার দোহা থেকে এশিয়া এবং আফ্রিকার শ্রমিকদের অন্য শহরে সরে যেতে বাধ্য করছে।

সংবাদ মাধ্যম রয়টার্স জানিয়েছে, বিশ্বকাপ দেখতে আসা দর্শক যাতে আবাসন সমস্যায় না ভোগে সেজন্য অভিবাসী শ্রমিকরা যেসব বিল্ডিং, বড় বড় অ্যাপার্টমেন্টে থাকেন সেগুলো খালি করা হচ্ছে। এক বাসিন্দার বরাতে সংবাদ মাধ্যমটি বলেছে, রাত আটটার দিকে ১২শ’ লোকের বাস এমন এক অ্যাপার্টমেন্ট দুই ঘণ্টার মধ্যে খালি করতে বলা হয়। এরকম ১২-১৫টি বিল্ডিং খালি করার কথা বলা হয়েছে।

রয়টার্সকে এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাসা ছাড়তে না পারায় কর্তৃপক্ষ গেট আটকে দেয়। তারা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও নিতে পারেননি। এমনকি তাদের যাওয়ার কোন জায়গাও ঠিক হয়নি। অন্য একজন পিকআপ ভ্যানে বাসার প্রয়োজনীয় জিনিস তোলার সময় জানিয়েছেন, রাজধানী থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে একটা বাসা পেয়েছেন। সেখানে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।

বিষয়টি নিয়ে কাতার সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অ্যাপার্টমেন্টগুলো ছাড়ার জন্য তাদের আগে থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এরপর তাদের জন্য নিরাপদ বাসস্থানের ব্যবস্থা করেই দোহা থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে অভিবাসী অধিকার সংস্থার একজন ডিরেক্টর বলেছেন, এটাকে সময়ের প্রয়োজনে অন্যত্র সংস্থান করা বলা যেতে পারে। তবে নামমাত্র নোটিশে এমন কার্যক্রম অমানবিক।