ঢাকা অফিস।।
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় পুলিশের সাথে বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দুটি পৃথক মামলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মামলা দুটিতে বিএনপির নেতাকর্মীসহ ১ হাজার ৩৬৫ জনকে আসামি করা হয়। দুটি মামলায় ইতিমধ্যে ২৬ জনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, একটি মামলায় মুন্সীগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাইনউদ্দিন বাদী হয়। সরকারি অস্ত্র, গুলি লুট, মোটরসাইকেল পোড়ানোর অভিযোগে ৩১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৭০০ থেকে ৮০০ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কামরুজ্জামান রতনকে। এ মামলায় ২৪ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
অন্য মামলায় মুক্তারপুরে শ্রমিক লীগের অফিস ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ, মারধর করে গুরুতর জখম করার অভিযোগ করা হয়। সে মামলা বাদি হন মুক্তারপুর বাগবাড়ি এলাকার বাসিন্দা শ্রমিক লীগ নেতা আব্দুল মালেক।
ওই মামলায় সদর উপজেলা বিএনপির আহব্বায়ক মহিউদ্দিন আহম্মেদকে প্রধান আসামি করা হয়। এ মামলায় ৫২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় দুজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে মুন্সীগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) সুমন দেব সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে জানান, বুধবারের ঘটনায় দুটি পৃথক মামলা হয়েছে। মামলা দুটিতে ইতিমধ্যে ২৬ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। তিনি আরো বলেন, তবে এসব মামলায় নিরপরাধ কাউকে জড়ানো হবে না। প্রকৃত অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা হবে।
এর আগে বুধবার মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মুক্তারপুরে বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে সদর বিএনপি। সেখানে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশ, সাংবাদিক ও বিএনপির নেতাকর্মীসহ অর্ধ শতাধিক লোক আহত হয়।