দুই শিশু সন্তানকে হত্যার দায়ে বাবার যাবজ্জীবন

6
Spread the love

 

 

মোঃ রেজাউর রহমান তনু,কুষ্টিয়া প্রতিনিধি।।

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় চুল কাটতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে লালনশাহ সেতু থেকে মেয়ে মুন্নী খাতুন (১০) এবং ছেলে মুনসুর (৫) নামে দুই শিশু সন্তানকে পদ্মা নদীতে ফেলে দিয়ে হত্যার দায়ে বাবা আব্দুল মালেক (৪২)কে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত । একই সাথে তাকে ২৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টার দিকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ২ এর বিচারক মো. রেজাউল করিম আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষনা করেন।

রায় প্রদান শেষে আসামীকে কঠোর পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। সাজাপ্রাপ্ত আব্দুল মালেক ভেড়ামারা উপজেলার বাহির চর ১২ দাগ এলাকার আঃ সামাদের ছেলে ।

কুষ্টিয়া জজ আদালতের পিপি এ্যাডঃ অনুপ কুমার নন্দী এসব তথ্য নিশ্চিত করেন ।

মামলা সংক্ষিপ্ত বিবরন এবং এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১৭ আগষ্ট সকালের দিকে মেয়ে মুন্নী খাতুন (১০) এবং ছেলে মুনসুর (৫) নামের দুই শিশু সন্তানকে ভেড়ামারা ফেরীঘাট এলাকায় সেলুনে চুল কাটানোর কথা বলে বাড়ী থেকে নিয়ে যায় তাদের বাবা আব্দুল মালেক। এরপর ঈশ্বরদী গামী একটি স্যালো ইঞ্জিন চালিত নছিমন গাড়ীতে উঠে লালন শাহ সেতুর মাঝখানে দুই সন্তানসহ নেমে পড়েন মালেক।

এরপর প্রথমে মেয়ে শিশু মুন্নী খাতুন, এবং পরে ছেলে মুনসুর সেতু থেকে নিচে পদ্মা নদীতে ফেলে দিয়ে হত্যা করে। পরে ফায়ার সার্ভিস এবং ডুবুরী দল দুই শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করে।

এই ঘটনার পরেদিন শিশুদের মা ও মালেকের স্ত্রী মমতাজ খাতুন বাদী হয়ে তার স্বামী মালেকের বিরুদ্ধে ভেড়ামারা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারীতে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ভেড়ামারা থানার পুলিশ পরিদর্শক রিয়াজুল ইসলাম মালেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে আদালতে মামলার চুড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।দীর্ঘ শুনানী শেষে স্বাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিত্বে বিজ্ঞ আদালত বৃহস্পতিবার এই রায় ঘোষনা করেন।