মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি।।
ঝিনাইদহের মহেশপুর পৌরসভার জমিদারপাড়ায় অবৈধ ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে পৌর আইন না মেনে বহুতলা ভবন নির্মাণ করেছেন বাশবাড়ীয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা জিন্টু। রাতের আধাঁরে সরকারী পিচ রাস্তা কেঁটে ড্রেনের সাথে পানি নিষ্কাশনের পাইপ ফিটিং করেছেন তিনি। যেখানে সরকারী রাস্তার নিচ দিয়ে বোরিং করার ব্যপারেও কঠোর নিয়মকানুন রয়েছে কিন্তু সেখানে তিনি রাতের আধারে সরকারী রাস্তার মাঝ খান কেঁটে পাইপ ফিটিং করেছেন। নির্মাণ কাজ শুরু থেকেই অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে পৌরসভায় একাধিক অভিযোগ দিয়েও কোন লাভ হয়নি বলে জানান এলাকাবাসী।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড জমিদারপাড়ায় চার শতক জমির উপর চারতলা ভবনের ছাদ ও দু’তলা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। পৌর আইন অনুযায়ী সরকারী রাস্তা থেকে সর্বনিম্ন তিন ফুট জায়গা ছেড়ে ভবন নির্মানের কথা থাকলেও তা মানেনি তিনি। এমনকি দু’তলা থেকে চার তলা পর্যন্ত ছাদ রাস্তার উপর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। জমিদারপাড়া মোড়ের বৈদ্যতিক পিলার সাথে লাগিয়ে তিনি এ নির্মাণ কাজ করেছেন। তার ভবনের সাথে লেগে বিদ্যুতের তার গুলো বাধাগ্রস্থ অবস্থায় রয়েছে।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, নাজমুল হুদা জিন্টু নির্মাণ কাজ শুরু থেকেই একের পর এক অনিয়ম করছেন ভবন নির্মাণে। প্রথমে তিনি সরকারী রাস্তা কেঁটে পিলারের গর্ত খুড়েন। পরে পৌর মেয়রের কাছে অভিযোগ দিলেও মাত্র ৭-৮ ইঞ্চি ছেড়ে পিলার ঢালাই দেন। বিদ্যুতের খুটির পাশ থেকেও কোন জমি ছাড়েননি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতের কোন এক সময় সরকারী পিচ রাস্তা কেঁটে তার ভবনের পানি নিষ্কাশনের পাইপ পুতেছেন। এর আগে তার ভবনের পানি নিষ্কাশনের পাইপ গুলো রাস্তার উপর দিয়ে ইটের গাঁথুনি গিয়ে ঢেকে দিতে চাইলে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও এলাকাবাসী হস্তক্ষেপে তা করতে পারেননি।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী আতিয়ার রহমান জানান, এলাকার অনেক সুধীজন থাকলেও নাজমুল হুদা জিন্টু নিয়ম না মেনে ভবন নির্মাণ করলেও কেউ আমাকে কিছু জানাননি এবং রাস্তা কাঁটার ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা। তবে বিষয়টা দেখছি।
পৌর মেয়র আব্দুর রশিদ খান জানান, রাস্তা নিচ দিয়ে বোরিং করে ড্রেনে পাইপ ফিটিং-এর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। নাজমুল হুদা জিন্টু যদি রাস্তা কাঁটে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।