পরিবহণের বক্সে মিলল গোল্ডেন ল্যাঙ্গুর

2
Spread the love

মাগুরা প্রতিনিধি।।

পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার সময় সোমবার মাগুরায় একটি যাত্রীবাহী পরিবহণে তল্লাশি চালিয়ে বিপন্ন প্রজাতির গোল্ডেন ল্যাঙ্গুর উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার বিকালে পরিবহণের বক্সে লুকিয়ে রাখা ল্যাঙ্গুরটি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কলিমুল্লাহর নেতৃত্বে সদর থানা পুলিশ মাগুরা শহরের পারনান্দুয়ালী এলাকায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা এসপি গোল্ডেন লাইনের যাত্রীবাহী পরিবহণে তল্লাশি চালায়। পরিবহণের বক্সে একটি নাইলনের ব্যাগে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় ল্যাঙ্গুরটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় পাচারে সহযোগিতার দায়ে পরিবহণের সুপারভাইজার সুব্রত কুমারকে আটক করা হয়।

ঢাকার সাভার এলাকা থেকে এক যাত্রী মুখবাঁধা ব্যাগে প্রাণিটি পরিবহণে তুলে দেন। সাতক্ষীরার কদমতলা এলাকায় পৌঁছার পর রানা নামে অপর এক ব্যক্তি এটির দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে বিপন্ন প্রজাতির প্রাণিটি পাচারে তিনি সহযোগিতা করছিলেন বলে পুলিশের হাতে আটক পরিবহণ সুপারভাইজার স্বীকার করেছেন।

মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কলিমুল্লাহ বলেন, সাম্প্রতিক কালে সারা বিশ্বেই বিলুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে অভিযান চলছে। এমন অবস্থায় এই দেশে খুবই কম দেখা যায় এমন একটি কালো মুখের সোনালি পশমের ছোট আকারের হনুমান কিংবা বানরটি পাচারের উদ্দেশ্যে সাতক্ষীরা এলাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে সেটি উদ্ধার করা হয়েছে। পাচারে সহযোগিতার জন্যে পরিবহণের সুপারভাইজারকে আটকের পাশাপাশি প্রাণিটি স্থানীয় বনবিভাগের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

মাগুরা বন কর্মকর্তা তপেন্দ্রনাথ সাহা বলেন, পুলিশের উদ্ধারকৃত প্রাণিটি সম্পর্কে বিস্তারিত বলা এখনই সম্ভব নয়। তবে এটি বিপন্ন প্রজাতির। এটি সংরক্ষণে খুলনা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগকে সংবাদ দেওয়া হয়েছে।

মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের সমাজ বিজ্ঞানের শিক্ষক শতদল বিশ্বাস বলেন, এটি বিপন্ন প্রজাতির গোল্ডেন ল্যাঙ্গুর। পুরাতন বিশ্বের বানর হিসেবে এটি পরিচিত। বিশেষ করে উত্তর ভারতের বিভিন্ন বনাঞ্চলে, অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, মেঘালয় এলাকায় এদের ইতিহাস রয়েছে। ক্রমাগত বন ধ্বংসের কারণে এই প্রজাতির ল্যাঙ্গুর এখন কম দেখা যায়। দিনে দিনে এগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশেও এর ইতিহাস রয়েছে। এটি সংরক্ষণে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।