নূরে আলম, রহিম ও শাওন জীবন দিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতাকর্মীদের উদ্বুদ্ধ করেছে: মনা

6
Spread the love

খবর বিজ্ঞপ্তি।।
চলমান সরকার হটানোর আন্দোলনই শেষ লড়াই উল্লেখ করে নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এড. শফিকুল আলম মনা বলেছেন, নূরে আলম, রহিম ও শাওন জীবন দিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতাকর্মীদের উদ্বুদ্ধ করেছেন। তাদের আত্মত্যাগ গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে আরো বেগবান করবে, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করবে। তিনি সকল দ্বিধাবিভক্তি ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানিয়ে আরো বলেন, গণআন্দোলনের স্রোতে স্বৈরাচার হাসিনা সরকার ভেসে যাবে, সেদিন আর বেশি দুরে নয়। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে এবং দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে সকলকে রাজপথে নামার আহবান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (০৮ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ে মহানগর বিএনপির নির্বাহী কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক তারিকুল ইসলাম জহীর, স ম আব্দুর রহমান, সৈয়দা রেহেনা ঈসা, এড. নুরুল হাসান রুবা, কাজী মাহমুদ আলী, শের আলম সান্টু, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, মাহবুব হাসান পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদী, চৌধুরি হাসানুর রশিদ মিরাজ, ফখরুল আলম, শেখ জাহিদুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, হাফিজুর রহমান মনি, আশফাকুর রহমান কাকন, তানভীরুল আযম, শাহিনুল ইসলাম পাখি, রুবায়েত হোসেন বাবু, মুর্শিদ কামাল, আরিফ ইমতিয়াজ খান তুহিন, এড. মাসুম রশিদ, কে এম হুমায়ুন কবির, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, সাজ্জাদ হোসেন তোতন, সাজ্জাদ আহসান পরাগ, কাজী মিজানুর রহমান, একরামুল কবীর মিল্টন, জহর মীর, নাজির উদ্দিন নান্নু, হাবীবুর রহমান বিশ্বাস, আহসান উল্লাহ বুলবুল, এড. মোহাম্মাদ আলী বাবু, শরিফুল আনাম, শেখ জামাল উদ্দিন, গাজী আফসার উদ্দিন, আনসার আলী, নাসির খান, আব্দুস সালাম, আলমগীর হোসেন, আব্দুর রহমান ডিনো, ফারুক হোসেন হিল্টন, তারিকুল ইসলাম তারেক, মিজানুর রহমান মিলটন, আলী আক্কাস, শেখ ফারুক হোসেন, মুজিবর রহমান প্রমূখ।

সভায় সর্বসম্মতিক্রমে খুলনা মহানগর বিএনপি তৃণমুল পর্যায়ে দলকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে মহানগরীর ৩১টি ওয়ার্ড ও তিনটি ইউনিয়নে ১১টি সাংগঠনিক টিম গঠন করা হয়। (আড়ংঘাটা, ৪ ও ৩ নং ওয়ার্ড) : স ম আব্দুর রহমানকে আহবায়ক, রুবায়েত হোসেন বাবু, সাজ্জাদ হোসেন তোতন, শরিফুল আনাম। (৯, ১০ ও ১১ নং ওয়ার্ড): কাজী মাহমুদ আলীকে আহবায়ক, শেখ জাহিদুল ইসলাম, আরিফ ইমতিয়াজ খান তুহিন, হাসান উল্লাহ বুলবুল, এড. মোহাম্মাদ আলী বাবু, কাজী শাহ নেওয়াজ নিরু, ফারুক হোসেন হিলটন সদস্য। (১৬, ১৭ ও ১৮ নং ওয়ার্ড): শের আলম সান্টুকে আহবায়ক, হাফিজুর রহমান মনি, সাজ্জাদ আহসান পরাগ, শেখ ফারুক হোসেন, তারিকুল ইসলাম, আলী আক্কাস সদস্য। (১, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড): আবুল কালাম জিয়াকে আহবায়ক, মুর্শিদ কামাল, শেখ ইমাম হোসেন, আনসার আলী সদস্য।-৫ (১৯ ও ২০ নং ওয়ার্ড): বদরুল আনাম খানকে আহবায়ক, আশফাকুর রহমান কাকন, মো. মুজিবুর রহমান সদস্য। (৭, ৮ ও ১২ নং ওয়ার্ড): মাহবুব হাসান পিয়ারুকে আহবায়ক ও বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, মো. জাহিদুল হোসেন সদস্য। (২৮, ২৯, ৩০ ও ৩১ নং ওয়ার্ড): চৌধুরি শফিকুল ইসলাম হোসেনকে আহবায়ক, ওয়াহিদুর রহমান দিপু, বেগ তানভীরুল আযম, এড. মাসুম রশীদ, আফসার উদ্দীন মাস্টার, খন্দকার হাসিনুল ইসলাম নিক, মাসুদ খান বাদল সদস্য। (১৩, ১৪ ও ১৫ নং ওয়ার্ড): একরামুল হক হেলালকে আহবায়ক, শাহিনুল ইসলাম পাখি, জহর মীর, হাবিবুর রহমান বিশ্বাস, আব্দুর রহমান ডিনো সদস্য। (যোগীপোল ও আটরা গিলাতলা ইউনিয়ন এবং কেসিসির ২নং ওয়ার্ড): মাসুদ পারভেজ বাবুকে আহবায়ক, কাজী মিজানুর রহমান, আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, আব্দুস সালাম, আলমগীর হোসেন সদস্য। (২১, ২৪, ২৫ ও ২৬ নং ওয়ার্ড): শেখ সাদীকে আহবায়ক, আব্দুর রাজ্জাক, নাজির উদ্দিন আহমেদ নান্নু, একরামুল কবির মিল্টন, শেখ জামাল উদ্দিন, এড. তৌহিদুর রহমান চৌধুরি তুষার, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, শফিকুল ইসলাম শফি সদস্য। (২২, ২৩ ও ২৭ নং ওয়ার্ড) হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজকে আহবায়ক, কে এম হুমায়ুন কবির, নাসির উদ্দিন খান, আজিজা খানম এলিজা সদস্য।

সভা থেকে চলমান বিএনপির গনতান্ত্রিক আন্দোলনের শাসকদলের ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও পুলিশের হামলার ঘটনায় এবং ১৭নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মীসভায় হামলা, খালিশপুর থানা বিএনপির অফিসসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড অফিস, নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সভা থেকে ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক রিয়াজ সাহেদ ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রফিকুল ইসলামকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করার ঘটনায় গভীর নিন্দা, দোষিদের গ্রেফতার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানানো হয়। সভা থেকে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মহানগরীর বাকি ১৩টি ওয়ার্ড কমিটি গঠন ও যে সকল ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা হয়েছে তাহা পুর্নাঙ্গ ৩১ সদস্যের করার সিদ্ধান্ত জন্য আহবায়কদের র্নির্দেশ প্রদান করা হয়। সভা থেকে আগামীতে বিএনপির সকল কর্মসুচিতে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করে পুলিশ প্রশাসনকে প্রতিপক্ষের ভুমিকা না নেয়ার আহবান জানানো হয়।