খুলনায় নার্সিং হোমে হত্যা: হাইকোর্টে আসামির সাজা কমে যাবজ্জীবন

1
Spread the love

স্টাফ রিপোর্টার।।
খুলনায় মৈত্রী নার্সিং হোমের মালিক ডা. গৌরাঙ্গ চন্দ্র দাস হত্যা মামলার আসামি ওয়ার্ডবয় রাসেল ঢালীর মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।

মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স এবং আসামির আপিল শুনানি শেষে বুধবার (৭সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এএনএম বসির উল্লাহ ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।

এদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী।

রায়ের বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি জানান, আসামি রাসেল ঢালী অনেকদিন ধরে কনডেম সেলে আছেন। এটি বিবেচনায় নিয়ে তার দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন দিয়েছেন উচ্চ আদালত। এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করবে।

এ মামলায় ২০১৭ সালের ৩১ জানুয়ারি খুলনার অতিরিক্ত দায়রা জজ দিলরুবা সুলতানা রাসেল ঢালীকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত রাসেল নগরীর মৈত্রী নার্সিং হোমের ওয়ার্ডবয় হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামি জেল আপিল করেন।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, নগরীর মৈত্রী নার্সিং হোমের ওয়ার্ডবয় রাসেল ঢালীর সঙ্গে একই ক্লিনিকে কর্মরত এক নার্সের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি টের পেয়ে ক্লিনিকের মালিক ডা. গৌরাঙ্গ চন্দ্র দাস তাকে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে নিষেধ করেন। এতে রাসেল তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়।

এরই জের ধরে ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর বিকেল ৩টার দিকে ক্লিনিকের ভেতর গৌরাঙ্গ দাসকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যান রাসেল।

এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই নিহতের স্ত্রী মিতা রানী ভৌমিক রাসেল ঢালীকে একমাত্র আসামি করে খানজাহান আলী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।