খবর বিজ্ঞপ্তি।।
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, কামরুল ইসলাম কুটু একজন দক্ষ রাজনীতিক ও ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন। তার সাংগঠনিক দক্ষতার কারনে ২৯ নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সুসংগঠিত হয়েছে।তিনি চলে গেছেন কিন্তু তার রাজনৈতিক দুরদর্শিতার সুফলে ২৯নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ আরোও শ্রীবৃদ্ধি হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বিএনপি-জামায়াত ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দেশে আওয়ামী লীগ ও স্বাধীনতার স্বপক্ষের মানুষদের হত্যার মহোৎসব সৃষ্টি করেছিলো। মমতাজ উদ্দিন, গোপাল মহুরী, এ্যাড. মঞ্জুরুল ইমামের মত সদজ্জন ব্যক্তিদের নির্বিচারে হত্যা করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় কামরুল ইসলাম কুটুকে হত্যা করা হয়েছিলো। বিএনপি-জামায়াত কখনও জনযুদ্ধ, কখনও সর্বহারা, কখনও হরকাতুল জিহাদ নাম ধারণ করে দেশে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস করেছে। এদেশের মানুষকে জিম্মি করে হত্যা নির্যাতন করেছে। এদেশের মানুষ তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ২০০৮ সালে ভোট যুদ্ধে বিজয়ী করে এদেশের মানুষের বাক স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করেছে। আজ বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা খুঁজে পেয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বাদ মাগরিব খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত কামরুল ইসলাম কুটুর ১৯তম শাহাদাৎ বার্ষিকীর স্মরণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময়ে বক্তব্য করেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, এ্যাড. রজব আলী সরদার, এ্যাড. খন্দকার মজিবর রহমান, কামরুল ইসলাম বাবলু, কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, তসলিম আহমেদ আশা, মো. সফিকুর রহমান পলাশ। মহানগর আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগের পরিচালনায় স্মরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতা মল্লিক আবিদ হোসেন কবীর, বীরমুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, অধ্যা. আলমগীর কবির, প্যানেল মেয়র আলী আকবর টিপু, ফেরদৌস আলম চান ফারাজী, এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, মাকসুদ আলম খাজা, শেখ মো. ফারুক হাসান হিটলু, হাফেজ মো. শামীম, মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, শেখ নুর মোহাম্মদ, আজগর আলী মিন্টু, মাহাবুবুল আলম বাবলু মোল্লা, এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান খান খোকন, এস এম আকিল উদ্দিন, মো. মোতালেব মিয়া, এ্যাড. একেএম শাহজাহান কচি, এম এ নাসিম, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, মীর বরকত আলী, এ্যাড. রাবেয়া ওয়ালী করবী, আইরিন চৌধুরী নিপা, মোক্তার হোসেন, আকবর আলী, বাবুল সরদার বাদল, এ্যাড. শেখ ফারুক হোসেন, মো. মোতালেব মিয়া, এ্যাড. শামীম মোশাররফ, মীর মো. লিটন, মো. শিহাব উদ্দিন, ওহিদুল ইসলাম পলাশ, মুন্সি নাহিদুজ্জামান, শাকিল আহমেদ, কাউন্সিলর নূরীনা রহমান বিউটি, নুরজাহান রুমি, কনিকা সাহা, রুমা খাতুন, রেজওয়ানা প্রধান, ফেরদৌস আলম রিতা, আফরোজা জেসমিন বিথী, শবনম সাবা, রেখা খানম, সবনম মোস্তারী বকুল, পল্লব কুমার, মামনুন, ইলিয়াছ হোসেন লাবু, মেহজামিন খান, রোকেয়া রহমান, এ্যাড. শাম্মী আক্তার সহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল ৯টায় ২৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উদ্যোগে কয়লাঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে শোক র্যালী নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। সেখানে কামরুল ইসলাম কুটুর বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এছাড়া বাদ আসর ট্যাংক রোড জামে মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দলীয় কার্যালয় ও ২৯নং ওয়ার্ডে কোরান খানি অনুষ্ঠিত হয়।