খসে পড়ছে বিদ্যালয় ভবনের পলেস্তারা, গাছতলায় পাঠদান

2
Spread the love

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি।।
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার নন্দিরগাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের ছাদের বিমের পলেস্তারা খসে পড়ছে। এছাড়া বিদ্যালয় ভবনের পিলার ভেঙে রড বেরিয়ে গেছে। আতঙ্কে বাধ্য হয়ে গাছতলায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান করছেন শিক্ষকরা।

জানা গেছে, ১৯৭২ সালে উপজেলার ৮নং ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের নন্দিরগাতী গ্রামে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৯৪-৯৫ অর্থবছরে এলজিইডি ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে চার কক্ষবিশিষ্ট একটি একতলা ভবন নির্মাণ করে। জরাজীর্ণ ভবনে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকরা ঝুঁকি নিয়ে চালাচ্ছেন পাঠদান কার্যক্রম।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের ভবনটির অধিকাংশ বিম ও পিলারে বড় আকারের ফাটল ধরেছে। ছাদের সুরকি-পলেস্তারা খসে রড বেরিয়ে গেছে। এরপরও ঝুঁকি নিয়ে ভবনটিতে পাঠদান চলছিল। সম্প্রতি বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মাথায় পলেস্তারা খসে পড়ে আহত হয়। তার পর থেকে বিদ্যালয়ের মাঠে একটি গাছতলায় শ্রেণি কার্যক্রম চালু করা হয়।

বিদ্যালয়টির পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী কাইয়ুম হোসেন বলে, আমরা যখন ক্লাস করি, তখন আতঙ্কে সময় পার করি। সারাক্ষণ ভাবি কখন ভবনটি ধসে মাথার ওপরে পড়ে। মাঝেমধ্যেই ভবনের ছাদ থেকে পলেস্তারা খুলে পড়ে। এর মধ্যে ক্লাস করতে খুব ভয় হয়। এখন এ গরমের মধ্যে আমরা খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করছি। এতে আমাদের খুব কষ্ট হচ্ছে।

অভিভাবক শরিফুল ইসলাম বলের, বেশ কয়েক বছর ধরে ভবনটির অবস্থা খুব ভয়াবহ। যে কোনো সময় পুরো ভবন ধসে পড়তে পারে। সন্তানদের ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে পাঠাচ্ছি।
বিদ্যালয়ের সভাপতি মেনোকা রাণী বিশ্বাস জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে রয়েছে। তাই নতুন ভবন নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত বাধ্য হয়ে খোলা আকাশের নিচে শিক্ষকরা ক্লাস নিতে বাধ্য হচ্ছেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মো. তাজউদ্দিন মোল্লা বলেন, বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর একতলা ভবন নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ের অবস্থা খুব খারাপ। যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমরা পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। অনেক সময় ফাঁকা মাঠে ক্লাস নিতে বাধ্য হচ্ছি। অনেকবার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে ভবন নির্মাণের জন্য লিখিত ও মৌখিকভাবে জানিয়েছি কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ইসরাইল হোসেন বলেন, বিদ্যালয়টির বিষয় আমার নজরে আছে। বর্তমানে বিদ্যালয়টি নতুন ভবন নির্মাণের তালিকায় আছে। টেন্ডার হলে ভবনটি নির্মাণের কাজ শুরু হবে।