পুলিশকে গুলি করার অধিকার কে দিয়েছে: জাফরুল্লাহ চৌধুরী

4

ঢাকা অফিস।।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, আজকে পুলিশ অকারণে পেটাচ্ছে। তাদেরকে গুলি করার অধিকার কে দিয়েছে? মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জে, রংপুরে যা হচ্ছে এটা কি বাংলাদেশের ছবি? আর বেশিদিন সময় নেই। গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা মাঠে নামুন। সরকার পালিয়ে যাওয়ার ভয়ে আছে।

শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মরহুম কাজী জাফর আহমদের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ভাসানী অনুসারী পরিষদ। সংগঠনের আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু সভাপতিত্ব করেন।

নারায়ণগঞ্জ, নেত্রকোনাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর যেভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে তার কঠোর সমালোচনা করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

তিনি সরকার প্রধানের উদ্দেশে বলেন, দেশ এভাবে চলতে পারেনা। ভুল পদক্ষেপ ছেড়ে জনগণের সঙ্গে কথা বলেন। দেশে পরিবর্তন দরকার। কিন্তু বিদ্রোহ দরকার নেই।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আজকে কাজী জাফর নেই কিন্তু অনেক মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন। আমরা রাস্তায় নামলে ১৫ মাসের মধ্যে দেশে পরিবর্তন আসতে বাধ্য। আমরা লড়াইয়ে আছি, থাকবো ইনশাল্লাহ্।

জেএসডির আ স ম রব বলেন, কাজী জাফর আহমদ আরেকটা আসবে না। তাকে আজ সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। সমাজ পরিবর্তনের পূর্ব শর্ত হলো গণতন্ত্র। মানুষ কোনও মতাদর্শ বুঝে না। তারা চায় তাদের অধিকার। আজকে নারায়ণগঞ্জসহ সারাদেশে যা হচ্ছে তাতে সরকার দেশকে রক্তের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, কাজী জাফর আহমদ ছিলেন বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ। আজ যেভাবে দেশ চলছে তা চলতে পারে না। আমরা ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই করছি। ইনশাল্লাহ আমরা বাংলাদেশকে বদলে দিতে পারবো।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, দেশের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক কাঠামো নিয়ে নতুনভাবে ভাবতে হবে। আমরা এখন এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছি।

হাবিবুর রহমান রিজুর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গণ অধিকার পরিষদের ভিপি নুরুল হক নূর, জাতীয় পার্টির (জাফর) ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব কাজী নজরুল ইসলাম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আক্তার হোসেন, ডা. সেলিম, বাবুল বিশ্বাসসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।