ঢাকা অফিস।।
নারায়ণগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যে ‘যুবদল কর্মী’ শাওন প্রধান নিহতের ঘটনায় তার ভাই হত্যা মামলা করেছেন বলে পুলিশ জানালেও পরিবারের অন্য সদস্যরা বলছেন, এ বিষয়ে ‘কিছুই জানেন না’ তারা।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শাওন নিহত হওয়ার পর রাতে তার বড় ভাই মিলন হোসেন বিএনপির অজ্ঞাতপরিচয় ৫ হাজার জনকে আসামি করে ওই মামলা করেন বলে পুলিশের ভাষ্য।
শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার গোপালনগরে শাওনদের বাড়ি গিয়ে মিলনকে পাওয়া যায়নি, ফোনেও পাওয়া যায়নি তাকে। তাদের ছোট ভাই ফরহাদ প্রধান বলেন, ‘আমি মামলার বিষয়ে কিছুই জানি না। গুলি খাইছে শুইনা হাসপাতালে গেছি৷ হাসপাতাল থেইকা লাশ দিছে রাত্রের সাড়ে ১২টা বাজে৷ দেড়টা বাজে জানাজা হইছে৷ রাত্রে ২টা বাজে মাটি দিয়া বাসায় আইছি৷ কই থেইক্কা মামলা করলাম, কই গেলাম এগুলা তো আমি নিজেই কইতে পারতেছি না। থানায় আমি যাই নাই৷ হাসপাতালে কয়েকজন আসছিল, হেরা কয়েকজনের সাক্ষ্য নাকি নিয়া গেছে৷’
শাওনের মা ফরিদা বেগম বলেন, ‘মামলার কোনো কিছু আমি জানি না। মিলনে মামলা করছে কি-না আমি কইতে পারি না।’
এ বিষয়ে রাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমীর খসরু বলেন, ‘মামলাটি বৃহস্পতিবার রাতে রেকর্ড করা হয়েছে।’
পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ছোড়া ইট ও গুলির আঘাতে গুরুতর জখম হয়ে তার ভাই মারা গেছেন বলে বাদী উল্লেখ করেছেন।
জোর করে মামলা করানোর অভিযোগ ‘সঠিক নয়’ দাবি করে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, নিহতের ভাই মিলন প্রধান নিজে বাদী হয়ে স্বেচ্ছায় মামলাটি করেছেন।
বৃহস্পতিবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শহরের ডিআইটি রোডে দলটির নেতাকর্মীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। সে সময় নিহত হন ২০ বছর বয়সী শাওন।