স্টাফ রিপোর্টার।।
খুলনা জেলা যুবলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান জামাল প্রায় পাঁচ বছর ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং এক বছরেরও বেশি সময় ধরে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক পদে। জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. আকতারুজ্জামান বাবু পাঁচ বছর ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং প্রায় এক বছর ধরে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যপদে।
মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন তিন বছর ধরে রয়েছেন মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাসেল প্রায় এক বছর ধরে রয়েছেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক। দ্বৈত পদে থাকা এই চার নেতা তাঁদের নতুন পদে পুরোপুরি সক্রিয় হলেও আগের পদে কোনো তৎপরতা নেই। ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে জেলা যুবলীগ ও মহানগর ছাত্রলীগের সব সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৩ সালের ২৫ মে জেলা যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে কামরুজ্জামান জামাল সভাপতি ও আক্তারুজ্জামান বাবু সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৪ সালের ১৭ জানুয়ারি ৭১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদিত হয়। এরপর আর কোনো সম্মেলন হয়নি। দেড় যুগ ধরে চলছে সেই কমিটি।
২০১৬ সালে কামরুজ্জামান জামাল ও আকতারুজ্জামান বাবু জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পান। এর পর থেকেই তাঁরা জেলা যুবলীগে নিষ্ফ্ক্রিয় হতে থাকেন। ২০২১ সালের ৩ জানুয়ারি কামরুজ্জামান জামাল যুগ্ম সম্পাদক ও আকতারুজ্জামান বাবু কার্যনির্বাহী সদস্যপদ পান। ৯টি উপজেলায় যুবলীগের কমিটিও মেয়াদোত্তীর্ণ। এ নিয়ে নতুন নেতৃত্বপ্রত্যাশী এবং কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক কামরুজ্জামান জামাল বলেন, মাঝে মধ্যে যুবলীগের কর্মকাণ্ডে তিনি সময় দেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় যুবলীগে আর আগের মতো সময় দিতে পারেন না।
জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সংসদ সদস্য আকতারুজ্জামান বাবু বলেন, প্রায় ছয় বছর তিনি যুবলীগে নিষ্ফ্ক্রিয়, আওয়ামী লীগে সক্রিয়। যুবলীগের সম্মেলন করার জন্য অনেকবার কেন্দ্রীয় কমিটিকে অনুরোধ করলেও তারা আহ্বায়ক কমিটি বা সম্মেলন করেনি। সামনে নির্বাচন, তাই দ্রুত সম্মেলন করা না হলে সাংগঠনিক শূন্যতা তৈরি হবে বলে তিনি মনে করেন।
২০১৫ সালের ৮ জুন মহানগর ছাত্রলীগের সর্বশেষ সম্মেলনে শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন সভাপতি ও আসাদুজ্জামান রাসেল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর সুজন মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মনোনীত হন। তখন থেকে যুবলীগের রাজনীতিতেই সক্রিয় তিনি। ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে তাঁকে তেমন একটা দেখা যায় না।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাসেল ২০২১ সালের ৬ নভেম্বর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হন। সম্মেলনের আগে থেকেই স্বেচ্ছাসেবক লীগের রাজনীতিতে তৎপর
তিনি। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের অবর্তমানে সংগঠনটির দৃশ্যমান তেমন কোনো কর্মকাণ্ড নেই।
এ ব্যাপারে আসাদুজ্জামান রাসেল বলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মসূচির কারণে তিনি এখন আর ছাত্রলীগে সময় দিতে পারেন না। তবে শিগগিরই ছাত্রলীগের সম্মেলন হবে বলে তাঁরা আশা করছেন।
মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন দেশের বাইরে রয়েছেন। তাঁর সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।-সমকাল