ঢাকা অফিস।।
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতা বিষয়ে নিয়মিত সাধারণ মানুষকে তথ্য জানাতে বিপিসি এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানী মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) মন্ত্রীপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সচিবালয়ে মন্ত্রীপরিষদের বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ বৈঠকে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
এদিকে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, জ্বালানি তেলের উপর ভ্যাট-ট্যাক্স কমানোর একটি প্রস্তাব বিপিসি তৈরি করছে, যা খুব শিগগিরই এনবিআরকে পাঠানো হবে।
প্রায় ৫০ শতাংশ দাম এমন এক সময় বাড়িয়েছে সরকার যখন বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমছে। এর প্রভাবে বাসভাড়া থেকে শুরু করে সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে গেছে।
এদিকে জ্বালানি তেলের উপর থাকা ৩০ শতাংশ ভ্যাট-ট্যাক্স না কমিয়ে উচ্চমূল্যের বোঝা জনগণের উপর চাপিয়ে দেয়ার সমালোচনা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই সরকারের যুক্তি দেশের মানুষকে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
অন্যদিকে, বৈঠকের পর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরে গেলেও এ নিয়ে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে জানা গেছে, জ্বালানি তেলের উপর বিদ্যমান ভ্যাট ও ট্যাক্স কমানোর একটি প্রস্তাব তৈরি করতে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনকে (বিপিসি) নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, যা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআরকে পাঠানো হবে।
বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানান, আশেপাশের দেশের চেয়ে জ্বালানি তেলের দাম এখনো কম। তাই সামঞ্জস্য রেখে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে।
তবে বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমেছে স্বীকার করে তিনি বলেন, ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় তেলের দাম কমানো সম্ভব হয়নি।