খান নাজমুল হুসাইন।।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার নবাতকাটি-ভোমরার জলবদ্ধতা নিরাসনে সরকারি খাল খননের দাবী এলাকাবাসীর।স্থানীয়রা জানান, সাতক্ষীরার সদর নবাতকাটি ভোমরা সহ কয়েকটি গ্রাম বৃষ্টির মৌসুমে দীর্ঘ ৪ মাস জলবদ্ধতায় নিচে ডুবে থেকে কৃষি জমি, মৎস্য ঘের, জনবসতি ঘর,চলাচলের রাস্তা প্রাকৃতিক দুর্যোগ বৃষ্টির পানি পড়তেই অনুপযোগী হয়ে পড়ে।বিগত সময় ভোমরা স্থলবন্দর সড়কের ধারদিয়ে লক্ষীদাড়ী নবাতকাটি হয়ে গাঙ্গীয়া নদীর অভিমুখ পযন্ত দীর্ঘ ৪কিলোমিটার সরকারি খাল এখন অবৈধ স্থাপনা সহ মাটি ভরাট করে দখল করে আছে প্রভাবশালী মহল। এতে করে কয়েক হাজার মানুষ জলবদ্ধতার নিচে বসবাস করে একদিকে প্রতিনিয়ত পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয় অন্যদিকে জলবদ্ধতার কারনে কোমলমতি স্কুল পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষা গ্রহণে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।একই সাথে ভোমরা স্থলবন্দরের কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হয়। এ জলবদ্ধতার নিষ্কাশনের দাবী করে নবাতকাটি জামে মসজিদের সভাপতি বদরুজুদা বলেন, সাতক্ষীরা ভোমরা সড়কের পাশদিয়ে খালটি মাটি ভরাট করে কিছু মানুষ লাভবান হচ্ছে কিন্তু আমরা প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। গত ৬ বছর যাবৎ বৃষ্টির পানিতে ডুবে আমরা বসবাস করছি। খালটি যেখন সক্রিয় ছিল তখন জলবদ্ধতা ছিলনা। এই জলবদ্ধতা নিষ্কাশনের প্রতিকার চেয়ে সরকারি খালের জমি অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদপুর্বক পুনরায় খাল খননের দাবী করে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম এর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। স্থানীয় মেম্বার আনছার আলী বলেন, সরকারি খালের জমি দেখভালের দায়িত্ব জেলা পরিষদের। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের চাইলে এলাকার জলবদ্ধতা নিস্কাশন সম্ভব। এ বিষয় ভোমরা ইউপি চেয়ারম্যান ইসরাফিল গাজীর সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি বলেন, খালটি দখলদার মুক্ত করে পুনরায় খনন করলে এলাকার জলবদ্ধতা স্থায়ীভাবে সমাধান হবে। এ বিষয় সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম এর সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার আলাপের চেষ্টাকালে আলাপ কলটি গ্রহণ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।