খবর বিজ্ঞপ্তি।।
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, ‘৭৫ এর হত্যাকান্ডের মূল নায়ক জিয়াউর রহমান। তিনি নেপথ্যে থেকে এ হত্যার সকল পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছেন। এ হত্যাকান্ড জনগণের মধ্যে গ্রহণযোগ্য করতে শেখ কামাল, বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর সরকার ও পরিবারকে নিয়ে নানা ধরনের অপপ্রচার চালানো হয়েছিলো। ৭৪ এ কল্পিত বাসন্তীকে জাল পরানো ও শেখ কামালকে নিয়ে নানা ধরণের অপপ্রচার চালানো হয়েছিলো। অথচ একটি দেশের রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানসহ তার পরিবারকে হত্যার করার পরে কোথাও একটি টাকা পাওয়া যায়নি। হত্যাকারীরা বঙ্গবন্ধুর পরিবারের উপরে কালিমা লেপনের বহু চেষ্টা করেছে। কিন্তু ওই অপপ্রচারের কোন প্রমাণ বা তথ্য তারা জাতিকে দেখাতে পারেনি। পরাজিত শত্রুরা আজও একইভাবে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি দলের সকল নেতাকর্মীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিএনপি-জামায়াতসহ পরাজিত শত্রুদেরকে চিহ্নিত করতে হবে। ওরা যাতে অপপ্রচার করে দেশ ও জাতির ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য সকলকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
এসময়ে তিনি শেখ কামাল সম্পর্কে বলেন, তিনি ছিলেন বহুমাত্রিক গুনাবলী ও মেধার অধিকারী। তিনি ছিলেন একজন পরোপকারি মেধাবী যুবক। মাত্র ২৬ বছরের জীবনে বাঙালির সংস্কৃতি ও ক্রীড়াক্ষেত্রের এক বিরল প্রতিভাবান সংগঠক ও উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে এক অসামান্য উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। দেশ ও সমাজভাবনায় তিনি ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি রাজনীতিতেও ছিলেন সমান সক্রিয়।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমানের জেষ্ঠ্য পুত্র, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময়ে বক্তৃতা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, সহ-সভাপতি মল্লিক আবিদ হোসেন কবীর, বেগ লিয়াকত আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ কামাল, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক প্যানেল মেয়র আলী আকবর টিপু, সদর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তসলিম আহমেদ আশা, মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রনজিত কুমার ঘোষ, মহানগর কৃষকলীগের আহ্বায়ক এ্যাড. এ কে এম শাহজাহান কচি, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক মো. শফিকুর রহমান পলাশ, মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল।
মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগের পরিচালনায় এসময়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা কাজী এনায়েত হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, এ্যাড. রজব আলী সরদার, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, শেখ মো. ফারুক আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আলমগীর কবির, এ্যাড. খন্দকার মজিবর রহমান, কাউন্সিলর শামছুজ্জামান মিয়া স্বপন, এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, শেখ ফারুক হাসান হিটলু, বীরেন্দ্র নাথ ঘোষ, হাফেজ মো. শামীম, মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, কাউন্সিলর মো. গাউসুল আজম, এস এম আকিল উদ্দিন, এম এ নাসিম, অধ্যা. এ বি এম আদেল মুকুল, মীর বরকত আলী, এ্যাড. রাবেয়া ওয়ালী করবী, আইরিন চৌধুরী নীপা, মো. মোক্তার হোসেন, আলী আকবর খান, তোতা মিয়া ব্যাপারী, চ. ম. মজিবর রহমান, আব্দুল হাই পলাশ, শেখ আবিদ উল্লাহ, বাবুল সরদার বাদল, মোঃ জাহিদ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সি আইয়ুব আলী, এ্যাড. শামীম মোশাররফ, শেখ হাসান ইফতেখার চালু, মো. জাকির হোসেন, মো. ফয়েজুল ইসলাম টিটো, মো. সেলিম মুন্সি, মো. আজম খান, মীর মো. লিটন, সমীর কৃষ্ণ হীরা, বাদশা হাওলাদার, কবির পাঠান, মোঃ জিলহজ্ব হাওলাদার, আফরোজা সুলতানা বিথী, ডা. সোহানা সেলিম, আঞ্জুমানোয়ারা, সবনম সাবা, সাবিহা ইসলাম আঙ্গুরা, রেখা খানম, নাসরিন ইসলাম তন্দ্রা, নাসরিন সুলতানা, নাজনিন নাহার বিউটি, মো. শহীদুল হাসান, মোঃ আশরাফ আলী হাওলাদার শিপন, মাসুদ হাসান সোহান, জহির আব্বাস, মাহমুদুল ইসলাম সুজন, মাহমুদুর রহমান রাজেস, ওমর কামাল সহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা সভা শেষে শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ মো. আব্দুর রহীম খান, হাফেজ আবু সাহেদ ও মওলানা রফিকুল ইসলাম।