‘রহিম ও আলম’র রক্তের দাগ শুকানোর আগেই সরকারকে বিদায় করতে হবে’

5
Spread the love

খুলনা মহানগর কৃষকদলের পরিচিতি সভায় বক্তারা

খবর বিজ্ঞপ্তি।।
খুলনা মহানগর কৃষকদলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ভোলার স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিম ও ছাত্রদল নেতা নুরে আলমের রক্তের দাগ শুকানোর আগেই বর্তমান হাসিনা সরকারকে বিদায় করতে হবে। আর কারও নির্দেশের অপেক্ষার দরকার নাই। যেখানে বাধা সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। যেখানে আঘাত সেখানে পাল্টা আঘাত করতে হবে। ওপরের নির্দেশের আশায় বসে থাকলে চলবে না। খুলনা মহানগর কৃষকদলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামতে হবে। তারা বলেন, কৃষি আমাদের অর্থনীতির চালিকাশক্তি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য বর্তমান সরকারের আমলে কৃষি ও কৃষকের ভাগ্য উন্নয়নে তেমন কোনো উদ্যোগ ও তৎপরতা নেই। সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলে জনগণের নিকট এদের কোনো জবাবদিহিতা নেই। তারা সবসময় নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত থাকে বলেই জনকল্যাণে কোন কাজ করে না। যার ফলে তাদের শাসন আমলে বাংলাদেশের কৃষক ও কৃষি খাত সবসময় বঞ্চিত ও অবহেলিত, উপেক্ষিত। বুধবার (৩ আগস্ট) খুলনা মহানগর বিএনপি কার্যালয়ে নবগঠিত মহানগর কৃষকদলের আহবায়ক কমিটির পরিচিতি সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। বক্তারা আরো বলেন, খুনি ধোঁকাবাজ, মামলাবাজ, অত্যাচারী সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না দেশের জানগন। সকলকে প্রস্তুত থাকতে হবে শীঘ্রই হাসিনা সরকারকে হটাতে একদফার কর্মসুচি ঘোষনা হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে খুনি হাসিনা সরকারকে বিদায় করে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা করে আমরা ঘরে ফিরবো।
মহানগর কৃষক দলের আহবায়ক আখতারুজ্জামান তালুকদার সজীবের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব শেখ আদনান ইসলাম দীপের পরিচালনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, সম্মানিত অতিথি ছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৩ আসনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুল। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবু হোসেন বাবু। পরিচিতি সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহানগর কৃষক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মো. শেখ মনিরুজ্জামান। সভায় বক্তারা আরো বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে আর কোন নির্বাচন নয় নয়, আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন নিশ্চিত করতে হবে। এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি নেতা মোল্লা ফরিদ আহমেদ, মিজানুর রহমান মিলটন, আলী আক্কাস, জাসাস নেতা ইঞ্জি. নুরুল ইসলাম বাচ্চু, শ্রমিদলের আহবায়ক মুজিবুর রহমান, সদস্য সচিব শফিকুর রহমান শফি, জেলা কৃষক দলের সভাপতি মোল্লা কবির হোসেন, সাধারন সম্পাদক আবু সাঈদ, জেলা যুবদলের এবাদুল হক রুবায়েত, মহানগর যুবদলের আব্দুল আজিজ সুমন, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোন্তাসির আল মামুন, খায়রুজ্জামান সজিব, সাবেক ছাত্রনেতা রিয়াজ সাহেদ, আব্দুল্লাহ কিমিয়া সাদাত, মহানগর কৃষকদলের মেহেদী হাসান, মাহফুজ খান, সানাউল্লাহ সানি, আবুল কালাম খান, মো, সোহেল প্রমূখ।