উইনার্স ক্লাবের জয় : এসবিআলী ও ডুমুরিয়া তরুন সংঘের ম্যাচ ড্র
ক্রীড়া প্রতিবেদক
জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন খুলনা আয়োজিত এবং বসুন্ধরা গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু সিনিয়র ডিভিশন ফুটবল লীগে জয় পেয়েছে উইনার্স ক্লাব। এসবিআলী ফুটবল একাডেমি ও ডুমুরিয়া তরুন সংঘের মধ্যেকার ম্যাচটি ১-১ গোলে অমিমাংসীত ভাবে শেষ হয়েছে।
শনিবার (৩১ জুলাই) দুপুর আড়াইটায় খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় উইনার্স ক্লাব বনাম টাউন ক্লাব। উভয় দলের এটা ছিল তৃতীয় খেলা। এদিন আগের দু’টি ম্যাচে জয় নিয়ে মাঠে নামে উইনার্স ক্লাব। আর একটি জয় ও একটি ড্র নিয়ে মাঠে নামে টাউন। শক্তির দিকে থেকে ফেবারিট ছিল উইনার্স ক্লাব। তবে ভাগ্য সহয়তা না পাওয়ায় পরাজয় বরণ করতে হয়েছে টাউন ক্লাবকে। শুরুতেই উভয় দল গোছানো ফুটবল শুরু করে। আক্রমন-পাল্টা আক্রমনের মধ্যে দিয়ে চলতে থাকে খেলা। তখনও বল পজিশনে উইনার্স এগিয়ে। হঠাৎ আক্রমন বাড়িয়ে দেয় উইনার্স। খেলার ২৬ মিনিটের সময় বামপ্রান্ত থেকে কর্ণার কিকের বল ছোট ডি বক্সের উপর আসলে দলের ৯নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় খালিদ গোলরক্ষককে পরাস্ত করে (১-০)। পিছিয়ে থেকে গোল পরিশোধের আশায় আক্রমন শুরু করে টাউন। কিন্তু ফরওয়ার্ডের ব্যর্থতায় অনেকগুলো সহজ গোল মিস করাতে পিছিয়ে থেকে বিরতীতে যেতে হয়েছে টাউনকে। বিরতী থেকে ফিরে উভয় দলই আক্রমন-পাল্টা আক্রমন করতে থাকে। তবে আক্রমনে এগিয়ে থাকে টাউন ক্লাব। এসময় তারা বেশ কয়েকটি সহজ গোল মিস করে। ফলে পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় টাউন ক্লাবকে। এ খেলাটি পরিচালনা করেন রেফারী মোক্তার হোসেন মিঠু, আলী আকবর, জসিম উদ্দিন ও নাজমুল ইসলাম। ম্যাচ কমিশনার ছিলেন এহসানুল হক।
বিকেল সোয়া ৪টায় দিনের দ্বিতীয় খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এসবিআলী ফুটবল একাডেমি ও ডুমুরিয়া তরুন সংঘ। শুরুতেই উভয় দল আক্রমন-পাল্টা আক্রমনের মধ্যে দিয়ে খেলতে থাকে ২০ মিনিট ধরে। তবে এসবিআলী ফুটবল একাডেমি প্রথম ম্যাচে দর্শকদের যে খেলা উপহার দিয়ে ছিল তা চোখে পড়েনি। তারা এলোমোলো ফুটবল শুরু করে ফলে ডুমুরিয়া তরুন সংঘ তাদের আক্রমন বাড়িয়ে দেয়। একের পর এক আক্রমন করতে থাকে তারা। খেলার ২৭ মিনিটের সময় পরিকল্পিত এক আক্রমন থেকে এসবি আলীর কিপার বার ছেড়ে বেরিয়ে আসলে ডুমুরিয়ার ২০নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় তন্ময় ফাঁকা বারে বল পাঠিয়ে দেয় (১-০)। তখনও তাদের বল পজিশন সমানে সমান। গোল হজম করে পরিশোধের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে এসবিআলী। একর পর এক আক্রমন করতে থাকে তারা। তবে ডুমুরিয়ার রক্ষণভাগ ভাঙ্গতে ব্যর্থ হয়। পিছিয়ে থেকে বিরতীতে যেতে হয়েছে এসবিআলী। বিরতী থেকে ফিরে উভয় দলই আক্রমন-পাল্টা আক্রমন করতে থাকে। এসময় উভয় দল বেশ কয়েকটি গোল মিস করে। শেষ দিকে এসবিআলী দেখেশুনে পরিছন্ন খেলা শুরু করে।
নির্ধারীত সময় শেষ হলে ৩মিনিট অতিরিক্ত সময় দেয়া হয়। গোল পরিশোধের মরিয়া হয়ে ওঠে এসবিআলী। খেলার শেষ মিনিটে বড় ডি বক্সের বেশ বাইরে ফাউল থেকে ফ্রি কিক পায় এসবিআলী। ফ্রি কিক নিতে আসে দলের অধিনায়ক ২নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় শিমুল। তিনি দেখেশুনে সর্টটি আস্তে করে গোলকিপার সোহেলের মাথার উপর থেকে জালে পাঠিয়ে দেন। ফলে ১-১ গোলের সমতা নিয়ে উভয় দলকে সন্তুষ্ট থাকতে হয়। এ খেলাটি পরিচালনা করেন রেফারী আব্দুর রহমান ঢালী, আকিবর রহমান, তৌহিদুল ইসলাম ও তকদির হোসেন। ম্যাচ কমিশনার ছিলেন এ মনসুর আজাদ। খেলা দু’টির ধারাভাষ্য ছিলেন এডভোকেট এম এম সাজ্জাদ আলী ও এডভোকেট প্রজেশ রায়।
মাঠে উপস্থিত ছিলেন জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট আলহাজ্ব মো. সাইফুল ইসলাম, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এস এম মোয়াজ্জেম রশিদী দোজা, এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ইউসুফ আলী, কোষাধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম খান কালু, কার্যনির্বাহী সদস্য এ মনসুর আজাদ, সদস্য ও লীগ কমিটির সম্পাদক সুজন আহমেদ ও সদস্য ও লীগ কমিটির সহ-সম্পাদক মনিরুজ্জামান মহসীন। ১ আগস্ট সোমবার জেলা স্টেডিয়ামে একটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। বিকেল ৪টায় দিনের একমাত্র ম্যাচে মুখোমুখি হবে সাবেক খেলোয়াড় সংঘ বনাম দিঘলিয়া ওয়াই এম এ।
কেএমপির অভিযানে মাদকসহ গ্রেপ্তার ১
স্টাফ রিপোর্টার
নগরীর ৪নং ফুড ঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২০০ গ্রাম গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে খুলনা থানা পুলিশ। ৩০ জুলাই রাত সোয়া ৯টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার মাদক ব্যবসায়ী হলেন নগরীর ৪নং রেলওয়ে ঘাট কলোনীর মো. লিটন মৃধা (৩০)। সে বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ থানার দক্ষিণ সুতালড়ি গ্রামের মো বাচ্চু মৃধার ছেলে।
কেএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সিটিএসবি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, ৩০ জুলাই রাত সোয়া ৯টার দিকে নগরীর ৪নং ফুড ঘাট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে খুলনা থানা পুলিশের একটি বিশেষ টিম। এসময় ফুড ঘাটস্থ পূর্বপ্রান্ত প্রবেশ গেটের সামনে পাঁকা রাস্তার উপর হতে ২০০ গ্রাম গাঁজাসহ লিটন মৃধাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে খুলনা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
ফকিরহাটের বেতাগায় ওয়ার্ড আ’লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন
ফকিরহাট প্রতিনিধি।
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার বেতাগা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ২নং মাসকাটা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ও কমিটি গঠন অনুষ্ঠান রবিবার (৩১জুলাই) বিকাল সাড়ে ৪টায় ধনপোতা-মাসকাটা ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আশরাফ আলী শেখ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সভাপতি স্বপন দাশ, উদ্ভোধক ছিলেন ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইউনুস আলী শেখ। বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি দুলাল চন্দ্র দাশ, আলহাজ সিদ্দিুকর রহমান, উপজেলা আ’লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ (সাহেব মল্লিক), যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক ফকির কাউছার আলী ও সাংগঠনিক সম্পাদক তপন দেবনাথ ভজন। প্রধান বক্তৃা ছিলেন ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারন সম্পাদক আনন্দ কুমার দাশ।
ইউনিয়ন জাতীয় শ্রমিকলীগের সাধারন সম্পাদক শেখ মাহাবুর রহমান এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তৃতা করেন, ইউনিয়ন আ’লীগের যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক মোঃ নাজমুল হুদা, মহিলা আ’লীগের সভাপতি নিলুফার ইয়াসমীন, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি গোপাল কুমার পাল, ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল হাসান রিপন, সাবেক ইউপি সদস্য জামাল উদ্ধিন ফকির, বর্তমান ইউপি সদস্য শেখ ইনছার উদ্দিন ও আ’লীগ নেতা আব্দুর সবুর শেখ প্রমুখ। সভা শেষে মোঃ আশরাফ আলী শেখকে সভাপতি ও মোঃ ইনছার উদ্দিন-শেখকে সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।
সরকার যদি বেশিদিন ক্ষমতায় থাকে দেশটাকে হায় হায় দেশ বানিয়ে ছাড়বে: ড. রিপন
স্টাফ রিপোর্টার
বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, শ্রীলঙ্কার সরকার রাতের আঁধারে পালিয়েছে। আমাদের দেশের সরকারি দল কিভাবে পালাবেন? আমরা চাই এই সরকার শান্তিপূর্ণভাবে বিদায় হোক। তারা বলে এখন তো তত্তাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নেই; আদালত বাতিল করে দিয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল হয়নি। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি খায়রুল হক একটি ভুয়া রায় দিয়েছেন। উনি একটি ভুয়া রায় দিয়েছেন। তার মাধ্যমেই এই সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে বাতিল করেছে। কারণ এই সরকার জনগণের ভোটে পাশ করার অবস্থা নেই বলে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার তিনদিন আগে বললেন, যদি প্রধান বিরোধী দল নির্বাচনে অংশ না নেয় তাহলে দেশে একটি অপশক্তি আসবে। বর্তমান সরকারের চেয়ে বড় অপশক্তি কি দেশে আছে? এই অপশক্তি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছে বলেই এখনো চালের দাম বাড়ছে। তেলের দাম বেড়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের সীমাহীন মুল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদ্যুৎ বিহীন দেশে পরিণত করেছে। এখন বিদ্যুৎ বিলের এক কোণায় লেখা থাকে, ‘শেখ হাসিানর উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’। এই ঘরে ঘরে বিদ্যুতের নমুনা? কোথায় স্বয়সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ? ওনারা বলেন, হারিকেন নাকি মিউজিয়ামে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তাহলে মিউজিয়াম থেকে আবার হারিকেন কিভাবে ফেরত আসলো? আসলে জনগনের লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা পাচার করে দিয়েছে বিদেশে। এ সরকার এখন হায় হায় সরকারের পরিণত হয়েছে। এই সরকার যদি বেশিদিন ক্ষমতায় থাকে এই দেশটাকে হায় হায় দেশ বানিয়ে ছাড়বে। সুতরাং এই হায় হায়, খাই খাই সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামাতে হবে। জনগনের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নেতৃত্বে দুর্বার আন্দোলনের মধ্যদিয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পতন নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, এই বছরেই গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন হবে। এখন সরকার কিভাবে বিদায় নেবে তার জন্য সংলাপ চাই বিএনপি। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সরকারের নিষেধাজ্ঞা ভেঙে জনগণের কাতারে আসলে তক্তে তাউস বঙ্গোপসাগরে ভেসে যাবে।
রবিবার (৩১ জুলাই) বিকেলে নগরীর কে.ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। দেশব্যাপী সীমাহীন লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে চরম অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে খুলনা জেলা বিএনপি’র উদ্যোগে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান বক্তার বক্তৃতা করেন নগর বিএনপির সম্মানিত সদস্য সাবেক ছাত্রনেতা আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুল। বক্তব্যের শুরুতেই ভোলায় পুলিশের গুলিতে নিহত যুবদল কর্মী আব্দুর রহিমের মাগফেরাত কামনা করে নিহতের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করে তিনি বলেন, এই খুনের প্রতিশোধ না নিয়ে আমরা ঘরে ফিরে যাবো না। যেই সরকার জনগনের উপর গুলিবর্ষণ করা শুরু করে, গুম-খুন-হত্যা, নির্যাতন নিত্য-নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে যায়। তখনই সেই সরকারে রপতন ঘন্টা বেজে যায়। আওয়ামীলীগেরও পতনের সময় হয়ে গেছে। এখন শুধু দরকার একটি মাত্র ধাক্কা। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাশিতে ফুক দেবেন, আন্দোলনের ডাক দিবেন। আমরাও তার নির্দেশের অপেক্ষা করছি, কখন তিনি আন্দোলনের ডাক দিবেন। তখনই আমরা রাজপথে নেমে ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকারের পতন নিশ্চিত করবো ইনশাআল¬াহ্। তারআগে সম্মানের সাথে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে জনগনের ক্ষমতা; জনগনের হাতে ফিরিয়ে দিতে হবে। আর যদি তা না করে, ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে হবে। শ্রীলঙ্কার দিকে তাকিয়ে দেখুন, পালাবার পথ কিন্তু খুঁজে পাবেন না বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
খুলনা জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আমীর এজাজ খানের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশ সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পি। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবীদ শামিমুর রহমান, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য খান রবিউল ইসলাম রবি, খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এ্যাড. শফিকুল আলী মনা ও সদস্য সচিব মোঃ শফিকুল আলম তুহিন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য মোঃ মজিবুর রহমান, নগর ও জেলা বিএনপি’র যুগ্ম-আহবায়ক আলহাজ্ব তরিকুল ইসলাম জহীর, শেখ আবু হোসেন বাবু, স ম আব্দুর রহমান, খান জুলফিকার আলী জুলু, সাইফুর রহমান মিন্টু, সৈয়দা রেহেনা ঈসা, এ্যাড. মোমরেজুল ইসলাম, মোল্যা খায়রুল ইসলাম, মোশাররফ হোসেন মফিজ, শেখ তৈয়্যবুর রহমান, এসএম শামীম কবীর, কেএম আশরাফুল আলম নান্নু, একরামুল হক হেলাল, মাসুদ পারভেজ বাবু, খায়রুল ইসলাম খান জনি, এ্যাড. তছলিমা খাতুন ছন্দা, এ্যাড. কানিজ ফাতেমা আমিন, নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, এবাদুল হক রুবায়েদ, উজ্জল কুমার সাহা, আতাউর রহমান রনু, ইসতিয়াক আহম্মেদ ইশতি, আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, মোল্যা কবির হোসেন, সজীব তালুকদার, অসিত কুমার সাহা, আব্দুল মান্নান খান, মোজাফফর হোসেন ও নূরুল আমীন বাবুল প্রমুখ। শুরুতেই কোরআন তেলোয়াত করেন হাফেজ জাহিদুর রহমান।
প্রখর খরতাপ উপেক্ষা করে দুপুরের পর থেকে একেরপর এক মিছিল আসতে থাকে সমাবেশস্থলে। কিছু সময়ের মধ্যে সমগ্র এলাকা কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। মুর্হুমুর্হু ¯ে¬াগানে ¯ে¬াগানে বিদ্যুতের দাবি জানান বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। মিছিলকারীদের অনেকের হাতেই হ্যারিকেন দেখা যায়।
পানি সংকট নিরসনে উপকূলীয় উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠনের দাবি
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনায় সেমিনারে বক্তারা পানি সংকট নিরসনে উপকূলীয় উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠন, প্রকৃতি নির্ভর পানি ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার সুপারিশ করেছেন। তারা বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন খুলনাসহ উপকূল এলাকার পরিবেশ-প্রতিবেশকে বিপন্ন করে তুলছে। নদী ভাঙন, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, জলাবদ্ধতা, তাপমাত্রা বৃদ্ধি সামাজিক ও অর্থনীতির ওপর আঘাত হানছে। সুপেয় পানির সংকট দিন দিন তীব্র হচ্ছে। পরিকল্পনাহীন অনেক পানি প্রকল্প নেওয়া হলেও তা সাধারণ মানুষের কাজে আসছে না। ফলে সংকট নিরসন না হলে অর্থনাশ ঘটছে।
রবিবার (৩১ জুলাই) বিকালে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত : খুলনা অঞ্চলের পানি সংকট ও ভবিষ্যৎ পথরেখা -শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। বেসরকারি সংস্থা অ্যাওসেডের পৃষ্ঠপোষকতায় কোস্টাল ভয়েচ অব বাংলাদেশ, পানি অধিকার কমিটি, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন এবং উপকূলীয় পানি সম্মেলন কমিটি যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।
নগরীর বিএমএ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন উপকূলীয় পানি সম্মেলন কমিটির খুলনা জেলা শাখার সভাপতি ও প্যানেল মেয়র মো. আলী আকবর। মুল বক্তব্য উপস্থাপন করেন খুলনা প্রযুক্তি ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)’র ইউআরপি ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. মোস্তফা সরোয়ার। বিভিন্ন পর্যায়ে বক্তব্য দেন খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারি রিসোর্সেস বিভাগের প্রধান ড. মো. মেহেদী হাসান, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক, সিনিয়র সাংবাদিক নিখিল ভদ্র, কোস্টাল ভয়েসের সভাপতি মোস্তফা জামাল পপলু, পানি অধিকার কমিটির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির ববি, সিনিয়র সাংবাদিক মো. সাহেব আলী, অ্যাওসেড সমন্বয়ক মাহবুবুর রহমান মোহন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, গাজী টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক রাজু আহমেদ প্রমুখ। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন কোস্টাল ভয়েসের সাধারণ সম্পাদক কৌশিক দে।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. হেদায়েৎ হোসেন মোল্লা, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের মো. নুর আলম শেখ, অর্থনীতি সমিতির অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম, স্কান’র সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মুকুল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের ক্রীড়া সম্পাদক সাকিলা রুমা প্রমুখ।
সেমিনারে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, কুয়েট, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্দাণ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের অর্ধশতাধিক প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্যের শোক ও সমবেদনা
খবর বিজ্ঞপ্তি
পাইকগাছা পৌরসভা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক ও সাংবাদিক মাজহারুল ইসলাম মিথুনের পিতা পাইকগাছা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড নিবাসী, পাইকগাছা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি গাজী আব্দুস সালাম (৭৮) কিডনি জনিত জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার (৩১ জুলাই) সকাল ৯টায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা এবং বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিবৃতি দিয়েছেন খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু।
অনুরূপ এক শোক বিবৃতিতে খুলনা জেলা যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সরদার জাকির হোসেনের মায়ের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন তিনি।
রূপসায় সিভিডিপির সদস্যদের তিনদিনব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠিত
রূপসা প্রতিনিধি
রূপসায় সিভিডিপি সমিতির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক এবং সদস্যদের নিয়ে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন কর্মসূচি (সিভিডিপ) ৩য় পর্যায়ের মাসিক যৌথ সভা ও তিনদিনব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার ৩১ জুলাই’২২ সকাল ১০ টায় বিআরডিবি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার ও কর্মসূচীর সহকারী পরিচালক তারেক ইকবাল আজিজ। সভায় সভাপতিত্ব করেন কর্মসূচীর দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসাবরক্ষক মো. রবিউল ইসলাম ফকির।প্রশিক্ষণেরর সমাপনীতে প্রশিক্ষক ছিলেন উপজেলা সমবায় অফিসার প্রশান্ত ব্যানার্জী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি এ্যাডভোকেট সুশীল কুমার পাল, উপজেলা সহকারী পল্লী উন্নয়ন অফিসার কাজী সাইদুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হিসাবরক্ষক মো. জাহাঙ্গীর কবির, তরুন চক্রবর্তী বিষ্ণু, পরিদর্শক গোপাল চন্দ্র কুশারী, আবুল হাসান শেখ, গীতা রানী মহলী, মাধূরী সরকার, দেবাশিষ সরকার, আশিষ বিশ্বাস, শেখ জাহিদুল ইসলাম রবি, মেহেদী হাসান, বলরাম সেন, রিতা বেগম প্রমূখ। প্রশিক্ষণে মোট ৬০ জন সদস্যকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
লেখাপড়া শিখে তাদেরকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে: সিটি মেয়র
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ছাত্র সমাজের উদ্দেশ্যে বলেছেন, লেখাপড়া শিখে তাদেরকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে এবং লব্ধ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে দেশ সেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে। বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের শিক্ষার্থীদেরও প্রতিযোগিতামুলক বিশ্বে স্বীয় যোগ্যতা অর্জনের মাধ্যমে স্থান করে নিতে হবে।
সিটি মেয়র রবিবার বেলা ১১ টায় নর্দান ইউনিভার্সিটি-খুলনার অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘‘মাদক ও ডিজিটাল আসক্তিমুক্ত সমাজ গঠনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সুশীল সমাজের ভূমিকা’’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। শেখ নুরুল ইসলাম-হোসনেয়ারা হাফেজিয়া মাদরাসার সহযোগিতায় নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি-খুলনা এ সেমিনারের আয়োজন করে।
নর্দান ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড’ এটিএম জহিরুদ্দীন-এর সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টি অব সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডীন প্রফেসর ড. আনোয়ারুল হক জোয়ার্দার, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর-খুলনার উপপরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান, সোনালী ব্যাংক লিঃ-খুলনার ডিজিএম মোঃ শাহাদাত হোসেন লিন্টু ও জনতা ব্যাংক লিঃ খুলনার ডিজিএম আনম আব্দুল হাই সিদ্দিকী। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার ড. মোঃ শাহ আলম।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিটি মেয়র আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথ্য-প্রযুক্তির উন্নয়ন সাধনের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছেন। দেশবাসী আজ তার সুফল ভোগ করছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় বিকৃত রুচিসম্পন্ন লোকেরা ডিজিটাল প্রযুক্তির অপব্যবহার শুরু করেছে। সুন্দর সমাজ গড়ে তুলতে বিকৃত মানসিকতা সর্বতভাবে পরিহার করার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, জাতির পিতা-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাদকাসক্তি নির্মূলের জন্য দেশে মদ ও জুয়া নিষিদ্ধ করেছিলেন। স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের হাতে বঙ্গবন্ধু নিহত হবার পর তৎকালীন সরকার আবার মাদকদ্রব্যের লাইসেন্স দিতে শুরু করে। তিনি বলেন বিগত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ইশতেহারে আমি মাদকমুক্ত খুলনা গড়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছিলাম। খুলনা মাদক মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। সিটি মেয়র দলমত নির্বিশেষে সম্মিলিতভাবে মাদকমুক্ত খুলনা গড়ে তুলতে এবং ডিজিটাল আসক্তিমুক্ত সমাজ গঠনে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
সেমিনারে শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আনোয়ারুল হক ও নর্দান ইউনিভার্সিটির প্রভাষক মোঃ রমজান হোসেন। সঞ্চলনা করেন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এ্যাড. শেখ অলিউল ইসলাম। শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ নগরীর গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও শিক্ষার্থীবৃন্দ সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।
অগ্রগতি সংস্থার আশ^াস প্রকল্প কতৃক আন্তর্জাতিক মানবপাচার প্রতিরোধ দিবস-২০২২ উদযাপন
ফুলবাড়ীগেট প্রতিনিধি
উইনরক ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় ও সুইজারল্যান্ডের অর্থায়নে অগ্রগতি সংস্থা কর্তৃক বাস্তবায়িত আশ্বাস প্রকল্পের মাধ্যমে “প্রযুক্তির ব্যবহার ও অপব্যবহার” এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে গত ৩০ জুলাই আন্তর্জাতিক মানবপাচার প্রতিরোধ দিবস-২০২২ ইং উদযাপিত হয়। এই দিবস উপলক্ষে খুলনা মহিলা টিটিসি ও শশীভূষণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মানব পাচার প্রতিরোধে মানবপাচার কি, মানবপাচারের ধাপ, উপাদান ও কারনসমূহ কি এবং মানবপাচার প্রতিরোধ দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। খুলনা মহিলা টিটিসির আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা টিটিসির অধ্যক্ষ কাজী বারকাতুল্লাহ এবং সভাপতিত্ব করেন খুলনা মহিলা টিটিসির অধ্যক্ষ মো: রিয়াজ শরীফ। শশীভূষণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া মানবপাচার সম্পর্কে জনগনকে সচেতন করার জন্য ফুলতলা ও দিঘলিয়া উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে দিন ব্যাপী মাইকিং করা হয়। অগ্রগতি সংস্থার স্টাফদের পাশাপাশি সিটিপ সদস্যরাও প্রতিটি কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন ও সহযোগিতা করে।
লোকালয়ের বাড়ীঘরে উৎপাত করা বানর ধরে বনে ফেরত পাঠিয়েছে বনবিভাগ
মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
সুন্দরবন থেকে লোকালয়ে এসে মানুষের বাড়ীঘরে উৎপাত করতে থাকা বানরটিকে উদ্ধার বনে ফেরত পাঠিয়েছে বনবিভাগ। পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের জিউধারা ষ্টেশন কর্মকর্তা মোঃ শাহজাহান জানান, রবিবার সকাল ১০ টার দিকে সুন্দরবন সংলগ্ন মোংলার দক্ষিণ বাজিকরখন্ড এলাকায় ঢুকে পড়ে এ বানরটি। পরে বানরটি ওই এলাকার দক্ষিণ বাজিকরখন্ড সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ আশপাশের বাড়ীতে ঢুকে উৎপাত শুরু করে। এরপর স্থানীয় বাসিন্দাদের দেয়া খবরে আমরা সেখান থেকে বানরটি উদ্ধার করি। পরে বেলা ১১টার দিকে বানরটিকে জিউধারা ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন বনে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এটি ৭/৮ বছর বসয়ের একটি বড় বানর ছিলো।
তিনি বলেন, গত দুই মাসে (জুন-জুলাই) মোংলা ও মোড়েলগন্জ উপজেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে ৬টি অজগর, ২টি কেউটে সাপ, ৪টি বানর, ১টি কচ্ছপ ও ১টি তক্ষক উদ্ধার করা হয়। এ প্রাণীগুলো নানা সময়ে লোকালয়ে চলে যায়। পরে সেগুলোকে উদ্ধার করে আবারো বনে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
চোরের বউয়ের বড় গলা
এস.এম মজনু, পাটকেলঘাটা
পাটকেলঘাটায় একটি মোবাইল ফোন চুরি হওয়ায় থানায় জিডি করে মোবাইল মালিক। ৫ মাস পর পুলিশের সহযোগীতায় উদ্ধার। পরে চোর সবুজের চুরির ঘটনা ফেসবুকে পোস্ট করলে স্বামীর চুরের কাহিনী ফেসবুকে দেখে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে চোরের বউ। পরে চোর সবুজের বউ পোস্ট দাতাকে হুমকি দিয়ে বলে তোকে দেখে নেব। এ নিয়ে এলাকায় আলোচনার জোয়ার উঠেছে চোরের বউয়ের আবার বড় গলা।
জিডির বিবরণে জানাগেছে পারকুমিরা গ্রামের আব্দুর রশিদ পাটোয়ারীর ছেলে সবুজ (৪২) পাটকেলঘাটা বলফিল্ড এলাকার সততা পোল্টি ভান্ডার থেকে শেখ জামসেদ আলীর ছেলে শেখ ইমাম হোসেনের একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল চুরি হয়ে যায় যার মূল্য ২৫ হাজার টাকা। এ ঘটনায় পাটকেলঘাটা থানায় একটি জিডি করে যার নং-৩৭৯। থানা পুলিশের সহযোগীতায় ফোন সহ চোরকে আটক করে। পরে চোরকে পাটকেলঘাটা সদর ইউপি মেম্বারের নিকট হস্তান্তর করে পুলিশ। মেম্বার মানবতায় চোর সবুজকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়। ফোন মালিককে চোরের বউ হুমকি দেয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পাটকেলঘাটা থানায় একটি জিডির প্রস্তুতি চলছিল।
নড়াইলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কৃষককে পিটিয়ে হত্যা
নড়াইল প্রতিনিধিঃ
নড়াইলে দিনমজুরের হামলায় সৈয়দ মুক্তার হোসেন (৪৮) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের নোয়াগ্রামে হামলার ঘটনাটি ঘটে। রোববার সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান মুক্তার হোসেন। নিহত মুক্তার হোসেন নোয়াগ্রামের মৃত
সৈয়দ জাফর আলীর ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয়দের থেকে জানা গেছে, মুক্তার হোসেন তার জমিতে কাজ করানোর জন্য প্রতিবেশী দিনমজুর (শ্রমিক) মিজানুরকে ঠিক করেছিলেন। কিন্তু শনিবার মুক্তার হেসেনের জমিতে কাজ না করে অন্যত্র কাজে যান মিজানুর। আর তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে মিজানুরকে বকাবকি করেন মুক্তার হোসেন। ওইদিন (শনিবার) সন্ধ্যায় মুক্তার হোসেন বাড়ি ফেরার পথে দিনমজুর মিজানুরসহ তার সহযোগীরা মিলে মুক্তার হোসেনকে ঘিরে
বেধড়ক মারধর করতে থাকে। ঠেকাতে আসলে মুক্তার হোসেনের ছেলে ইসমাইলকে (২১) মেরে
আহত করে মিজানুর বাহিনী। গুরুতর আহত অবস্তায় মুক্তার হোসেনকে উদ্ধার করে স্থানীয়
দিঘলিয়া বাজারে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে অবস্তার অবনতি হলে রোববার সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। এ ব্যাপারে লোহাগড়া থানার ওসি শেখ আবু হেনা মিলন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অপরাধীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্তিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
র্যাবের অভিযানে বাগেরহাটে চোরাই মালামালসহ যুবক আটক
স্টাফ রিপোটার,বাগেরহাট
ঢাকায় কুরিয়ার সার্ভিসের অফিসে চুরি করা মালামালসহ বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলা থেকে রাজু শেখ (২৫) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে খুলনা র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব-৬)। শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মোল্লাহাট উপজেলা সদর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। রাজু শেখ মোল্লাহাট এলাকার বাসিন্দা। সে ঢাকা কাওরান বাজারস্থ মেট্রো এক্সপ্রেস কুরিয়ার সার্ভিসের কর্মচারী ছিলো। গত ২৪ জুলাই ওই কুরিয়ার অফিসে চুরি হয়।
খুলনা র্যাব-৬ এর মিডিয়া সেল থেকে রবিবার সকালে দেয়া এক মেইল বার্তায় জানানো হয়, মেট্রো এক্সপ্রেস কুরিয়ারে চুরি ঘটনায় ঢাকা তেঁজগাও থানায় একটি মামলা করেন ওই কুরিয়ার সার্ভিসে সুপার ভাইজার। চুরিতে সন্দেহ করা হয় বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার বাসিন্দা ওই কুয়িার সার্ভিসের কর্মচারী রাজু শেখকে।
সে অনুযায়ী অভিযোগ পেয়ে র্যাব-৬ এর সদস্যরা ছায়া তদন্ত করে রাজুর অবস্থান নিশ্চিত করে শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় তার নিকট থেকে চুরি করে আনা এক হাজার ১৮৭ কেজি বিভিন্ন হার্ডওয়ারের মালামাল, স্যানেটারি আইটেম ৪৪ কেজি ও ৩৮ কেজি খাবার সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। রাতেই গ্রেফতারকৃত এজাহার নামীয় আসামি রাজুকে উদ্ধারকরা চোরাই মালামালসহ ডিএমপি ঢাকার তেজগাঁও থানায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী আজ খুলনা আসছেন
তথ্য বিবরনী
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ তিন দিনের সফরে আজ ১ আগস্ট খুলনা আসছেন। সফরসূচি অনুযায়ী প্রতিমন্ত্রী ১ আগস্ট বেলা আড়াইটায় খুলনার সাউথ সেন্ট্রাল রোডে ১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ভবন নির্মাণ প্রকল্প পরিদর্শন, বিকাল সাড়ে তিনটায় সোনাডাঙ্গাস্থ গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র পরিদর্শন এবং বিকাল চারটায় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের সাথে সাক্ষাৎ করবেন। তিনি সন্ধ্যা ছয়টায় খুলনা বিভাগীয় শিল্পকলা একাডেমি পরিদর্শন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগদান, সন্ধ্যা সাতটায় শিল্পকলা একাডেমিতে জেলার স্থানীয় সাংস্কৃতিককর্মী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে মতবিমিয় সভায় এবং রাত নয়টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ আয়োজিত মাসব্যাপী ‘শ্রাবণের শোকগাঁথা’ শীর্ষক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যোগদান করবেন। প্রতিমন্ত্রী ২ আগস্ট সকাল ১০টায় খুলনা জেলার কপিলমুনি বধ্যভূমি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা গুরুদাসী মাসীর বাড়ি পরিদর্শন, দুপুর সাড়ে ১২টায় কয়রা মসজিদকুড় পীর খানজাহান আলী (র:) মসজিদ, আমাদীঘি, কাবাড়ীপাড়া কালিমন্দির পরিদর্শন এবং বিকাল সাড়ে তিনটায় পাইকগাছার রাড়ুলি বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের ১৬১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে পিসি রায়ের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, স্মৃতি বিজড়িত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন এবং আলোচনা সভায় যোগদান করবেন। তিনি ৩ জুলাই সকালে ঢাকার উদ্দেশ্যে খুলনা ত্যাগ করবেন।
এনইউবিটি খুলনায় মাদক ও ডিজিটাল আসক্তির উপর সেমিনার অনুষ্ঠিত
খবর বিজ্ঞপ্তি
নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি খুলনায় “মাদক ও ডিজিটাল আসক্তিমুক্ত সমাজ গঠনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সুশীল সমাজের ভূমিকা”- শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
তালুকদার আব্দুল খালেক তার বক্তব্যে বলেন, “২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী মাদকমুক্ত দেশ গড়ার ঘোষণা করেছিলেন। নির্বাচনী ইশতেহারে আমি মাদকমুক্ত খুলনা নগরী গড়ার ঘোষণা করেছিলাম। কিন্তু নানা চেষ্টা করেও সেটা পারিনি। কারণ একার পক্ষে এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়।” মাদকমুক্ত সমাজ গড়ার জন্য নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন উদ্যোগকে তিনি স্বাগত জানান। ডিজিটাল আসক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, “আজকের ডিজিটাল আসক্তির কারণে সমাজে নানা অপরাধ বেড়ে যাচ্ছে। অনেক পরিবার ভেঙ্গে যাচ্ছে।” যথাযথ জ্ঞান না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের হাতে মোবাইল ফোন না দেয়ার জন্য তিনি অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ও নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি খুলনার উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. এটিএম জহিরউদ্দিন বলেন, “মাদক আইনত নিষিদ্ধ হলেও ডিজিটাল প্রযুক্তি নিষিদ্ধ নয় বরং এটি দেশকে উন্নতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ডিজিটাল প্রযুক্তির অপব্যবহার শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।” তিনি শিক্ষার্থীদেরকে বড় বড় মনীষীদের জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে সেগুলো বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকেই নিজেদের জীবনে আরোপ করার পরামর্শ দেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. শাহ আলম। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আনোয়ারুল হক। এ্যাডভোকেট শেখ অলিউল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি খুলনার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. আনওয়ারুল হক জোয়ারদার, আইন বিভাগের প্রভাষক মো. রমজান আলী, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. মিজানুর রহমান প্রমুখ।
সেমিনার শেষে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কিটেকচার বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত প্রজেক্ট প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেন এবং শিক্ষার্থীদের তৈরীকৃত বিভিন্ন ডিজাইন ঘুরে ঘুরে দেখেন।
উল্লেখ্য, নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি খুলনা এবং শেখ নুরুল ইসলাম-হোসনেআরা হাফিজিয়া মাদ্রাসার যৌথ আয়োজনে এ সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
আশ্বাস প্রকল্পের মানব পাচার প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম
ফুলবাড়ীগেট প্রতিনিধি
উইনরক ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় ও সুইজারল্যান্ডের অর্থায়নে অগ্রগতি সংস্থা কর্তৃক বাস্তবায়িত আশ্বাস প্রকল্পের মানব পাচার প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম ” পাপেট ” খুলনা জেলার ফুলতলা উপজেলার আটরা-গিলাতলা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের শিরোমনি কেডিএ আবাসিক মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। পাপেট শোর মাধ্যমে এলাকার সাধারন মানুষকে আশ্বাস প্রকল্পের কার্যক্রম, মানবপাচার ও নিরাপদ অভিবাসন সম্পর্কে তথ্য বা ধারনা প্রদান করা হয়। পাপেট প্রদর্শনীর পরে অনুষ্ঠানে উপস্থিত দর্শকরা অঙ্গীকার করে যে, তাদের এলাকায় মানবপাচারের শিকার হয়ে কোন নারী বা পুরুষ ফিরে আসলে আশ্বাস প্রকল্পে তাদের যুক্তকরনে সহযোগিতা করার পাশাপাশি তাদের পরিচিত কেহ বিদেশ যেতে চাইলে বিদেশ গমনে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের নিরাপদ অভিবাসনের সকল ধাপ মেনে তারপর বিদেশ যাবার জন্য পরামর্শ প্রদান করবে। অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন স্থানিয় ইউপি সদস্য এস.এম রাসেল । অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আটরা গিলাতলা ইউনিয়নের ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্যা শাহনাজ পারভীন। এছাড়া অগ্রগতি সংস্থার আশ্বাস প্রকল্পের খুলনা জেলার প্রকল্প কর্মকর্তা মঈন আহমেদ, সোস্যাল মোবিলাইজার মাসুম বিল্লাহ, সিটিপ সদস্য রত্না, আকবর, আঁখি, বিল্লাল, লোপা, লিজা, মেরি, যুথী উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অগ্রগতি সংস্থার আশ্বাস প্রকল্পের মনিটরিং ও ডকুমেন্টেশন অফিসার মো: জিয়াউল ইসলাম ।
ভয়াবহ লোডসেডিংয়ে নাকাল রামপালের ৪০ হাজার গ্রাহক
রামপাল (বাগরহাট) সংবাদদাতা
রামপালে পল্লী বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডসেডিংয়ের কবলে পড়ে সাধারন মানুষের নাকাল অবস্থা হয়েছে। সরকারের ১ থেকে সর্বোচ্চ ২ ঘণ্টা লোডসেডিংয়ের ঘোষনা থাকলেও রামপালে তা মানা হচ্ছে না। দিন রাত মানুষ মাত্র ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা বিদ্যুতের দেখা পাচ্ছেন।
জানা গেছে রামপাল উপজেলা জুড়ে এখন মাত্রাতিরিক্ত লোডসেডিং চলছে। আর এ কারণে কল কারখানার উৎপাদন হ্রাস, ব্যবসা- বানিজ্যে ধ্বস, হিমায়িত মৎস্য প্রক্রিয়াজাত ব্যহত, আর্থিক প্রতিষ্ঠানে লেনদেন, হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে স্বাস্ব্য সেবা ব্যহত, লেখাপড়ায় বিঘ্ন, রাতে চুরির প্রবণতা বৃদ্ধি, মসজিদে নামাজ পড়ায় বিঘ্ন ঘটার পাশাপাশি নানাবিধ সমস্যার মধ্যে এ উপজলার মানুষ বিদ্যুতের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
বিদ্যুতের লোড সেডিং নিয়ে বিভিন্ন স্তরের মানুষের সাথে কথা বললে তারা ক্ষোভ ঝড়ে বলেন সরকারের ঘোষণা ছিল ১ থেকে ২ ঘণ্টা লোডসেডিং করা হবে। সিডিউল অনুযায়ী লোডসেডিং করার কথা থাকলেও এখন এসবের কোন কিছুর বালাই নেই। যখন ইচ্ছা তখন লোডসেডিং করা হচ্ছে। একবার বিদ্যুৎ চলে গেল তা দেড়- দুই ঘণ্টার আগে আসছে না। দিন রাত দফায় দফায় লোডসেডিং করা হচ্ছে। বৃষ্টিহীন শ্রাবণের কাঠ ফাটা রোদ ও গরমে মানুষ বিদ্যুতের অভাবে হাফিয়ে উঠছেন। বিশেষ করে গরমে শিশুদের নিয়ে মা বাবা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। ব্যবসায়ীরা বলছে বিদ্যুতের অভাবে ব্যবসা বানিজ্যে ভাটা পড়েছে। রাত আটটার পর দোকান পাট বন্ধ করতে হচ্ছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনলাইন সেবা ব্যহত হচ্ছে।
উপজেলার ফয়লাহাট, গৌরম্ভা, গিলাতলা, বাবুরবাড়ি জিরো পয়েন্ট, ভাগা বাজার, রনশেন, পেড়িখালী, ভোজপাতিয়া, মল্লিকেরবেড়, হুড়কা, গিলাতলা, বাঁশতলী, বাইনতলা, উজলকুড়, রাজনগর, ঝনঝনিয়া চেয়ারম্যান মোড় সহ বিভিন্ন মাছের আড়তে বরফের অভাবে ঠিকমতো মাছ প্রক্রিয়াজাত করা যাচ্ছে না। বিশেষ করে রপ্তানীমুখি চিংড়ি প্রক্রিয়াজাত কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন বিদ্যুতের অভাবে বরফের উৎপাদন ব্যহত হওয়ায় আমাদের ক্ষতি হচ্ছে। বিভিন্ন ডায়াগনষ্টিক ও প্রাইভেট হাসপাতালে রোগীদের সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। ছাত্র ছাত্রীদের লেখাপড়ায় ধ্বস নেমেছে। একজন এলোপ্যাথিক ঔষধের দোকান্দার বলেন আমরা কিছু ঔষধ ফ্রিজে রাখি। ঘন ঘন বিদ্যুৎ আসা যাওয়ায় ঔষধের গুনাগুন নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তোলেন।
বেশ কয়েকজন মুসল্লি স্থানীয় একটি মসজিদ থেকে মাগরিবের নামাজ শেষ করে বের হয়ে বিদ্যুৎ নিয়ে নানা সমালোচনা করে বলেন যখন আজান দেয়া শুরু হয় ঠিক তখনি বিদ্যুৎ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আবার কখনও নামাজে দাড়ালেই বিদ্যুৎ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এর ফলে গরমে নামাজ পড়তে গিয়ে মুসল্লিরা ঘেমে একাকার হচ্ছেন। নামাজের আগে কিংবা নামাজে দাড়ালেই বিদ্যুৎ নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি বিদ্যুৎ বিভাগের খাম খেয়ালিপনা আর অজ্ঞতা ছাড়া আর কিছু নয় বলে মন্তব্য সাধারন মানুষের। এলাকা ভিত্তিক লোডসেডিং করার সিডিউল দেয়ার কথা থাকলেও তা দেয়া হয়নি। এরফলে যখন তখন লোডসেডিং করা হচ্ছে। একজন গ্রাহক বলেন এতো বেশি লোডসেডিং করা হচ্ছে তবুও বিদ্যুৎ বিল কম হচ্ছে না।
রামপাল উপজেলা পল্লী বিদ্যুতের এজিএম মো. কামরুজ্জামানের সাথে এ নিয়ে ফোনে কথা হলে তিনি বলেন রামপালে ৪০ হাজার গ্রাহকের বিপরীতে বিদ্যুতের চাহিদা ৬ থেকে ৬.৮ মেগাওয়াট। অপ পিক আওয়ারে চাহিদা থাকে ২.৫, ৩.০ বা ৩.৫ মেগাওয়াট। আর পিক আওয়ারে ৪.০ থেকে ৪.২ মেগাওয়াট। আমরা সিডিউল মেনে বিদ্যুৎ সরবরাহের চেষ্টা করছি। সঞ্চালন লাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহের ঘাটতি থাকায় অতিরিক্ত লোডসেডিং করতে হচ্ছে। সন্ধ্যায় বিদ্যুতের চাহিদা বেশি থাকে। সবাই ওই সময় ঘরে ঘরে আলো জ্বালায় এতে চাহিদা বেড়ে যায়। এ কারণে লোড দিতে হয়। মাগরিবের নামাজের সময় বিদ্যুতের লোডসেডিং যাতে না হয় সে বিষয়ে তিনি নজর রাখবেন বলে কথা দিলও কথা রাখতে পারেননি। তবে মাত্রাতিরিক্ত লোডসেডিং নিয়ে তিনি কোন মন্তব্য করেননি।
নওয়াপাড়া পৌর ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে
স্টাফ রিপোর্টার, অভয়নগর-
যশোরের অভয়নগর নওয়াপাড়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির কমিটি গঠনের ভোট গ্রহনহয়েছে। আজ রোববার (৩১জুলাই) নওয়াপাড়া ইনস্টিটিউট অডিটরিয়ামে সকাল ১১টাই ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে বিরতিহীন ভাবে বিকাল সাড়েচারটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে।
নির্বাচন কমিশন মিজানুর রহমান খানের সূত্রে জানা যায়, এই ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৫৫০জন এর মধ্যে কাস্টিং ভোট ৪৩১।
ভোট গণনা শেষে নির্বাচন কমিশন বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন, সভাপতি পদে মুজিবর রহমান ২৬৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী রবিউল ইসলাম পেয়েছেন ১৬২ভোট, আলতাফ হোসেন সাধারণ সম্পাদক পদে ২২৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী এম সামাদ খান পেয়েছেন ১৯০ভোট, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সম্্রাট হোসেন ২৮২ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী মনিরুজ্জামান মনির ১৪৩ভোট।
উল্লেখ্য এবারের ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির নেতা নির্বাচনে দু’টি প্যানেলে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাগেরহাটে গোশ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাট
বাগেরহাট সদর উপজেলার বারুইপাড়া বাজারের গোশ ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ হাওলাদার (৪৭) নামের বিরুদ্ধে এক গৃহবধুকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ৩০ জুলাই রাতে ওই গৃহবধুর স্বামী আব্দুল্লাহ হাওলাদারের বিরুদ্ধে বাগেরহাট মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ওই গৃহবধুর স্বামী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আব্দুল্লাহ হাওলাদার আমার স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। শুক্রবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে আমার স্ত্রী বারুইপাড়া বাজারে রওনা দেয়। যাওয়ার পথে পালবাড়ির গলিতে পৌছালে অপরিচিত এক ব্যক্তি ও আব্দুল্লাহ হাওলাদার দুইজন মিলে আমার স্ত্রীর মুখ চেপে ধরে। এবং বিভিন্নভাবে তাদের যৌন কামনা মেটানোর চেষ্টা করে। মুখ থেকে হাত সরিয়ে আমার স্ত্রী ডাক চিৎকার দিলে মিরাজ মল্লিক, শামীম শেখ, আসিক হাওলাদারসহ কয়েকজন ঘটনাস্থলে পৌছায়। তাদের টের পেয়ে আব্দুল্লাহ ফকির দ্রুত পালিয়ে যায়। আমি এই ঘটনা সুষ্ঠ বিচার চাই।
বারউপাড়া ইউনিয়ন ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লিটন শেখ বলেন, আব্দুল্লাহ হাওলাদার এর আগেও এলাকায় এই ধরণের ঘটনা ঘটিয়েছে। অসহায় নারীদের সাথে এই ধরণের কাজ করাই আব্দুল্লাহ হাওলদারের অভ্যাস।
বারউপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং (বারুইপাড়া) ওয়ার্ডের সদস্য সোহরাব হোসেন বলেন, এই মেয়ের মাও একবার আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে আমার কাছে অভিযোগ দিয়েছিল। তখন তাকে সাশিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার হওয়া প্রয়োজন।
অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ হাওলাদার বলেন, ইউপি সদস্য সোহরাব হোসেনের সাথে আমার সাথে নির্বাচন সংক্রান্ত কিছু পূর্ব বিরোধ রয়েছে। সেই বিরোধের জেরে তারা আমার বিরুদ্ধে এই অপপ্রপচার চালাচ্ছে। আমি কাউকে কোন প্রকার যৌন হয়রানি করিনি।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে। সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
বাগেরহাটে তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিপক্ষের হামলায় ৮ জন আহতের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাট
বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার মাধবকাঠি এলাকায় তুচ্ছ ঘটনায় শিবির ক্যাডার আঃ কাদের হাওলাদার ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জাকির হাওলাদারের লোকজনের হামলায় অন্তত ৮জন আহত হয়েছেন। রবিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ধোপাখালি ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইদুল মাঝি এই অভিযোগ করেছেন। এসময়, কচুয়া উপজেলার ধোপাখালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাহান শেখ, সাইফুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা ইয়ার আলী, মাসুদ হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে মোঃ সাইদুল মাঝি বলেন, ২৮ জুলাই রাতে কচুয়া উপজেলা সদরে ফুটবল খেলা দেখে ফেরার পথে পূর্ব শত্রুতার জেরে মাধবকাঠি এলাকার জাকির হাজরা, শিবির ক্যাডার আঃ কাদের হাওলাদার, এস্কেন্দার হাওলাদারসহ কয়েকজনের সাথে আমাদের কথা কাটাকাটি হয়। এসময় কিছু বুঝে ওঠার আগে ২০ থেকে ২২ জনের একটি দল আমাদের উপর হামলা করে। এতে আমি, মাসুদ হাওলাদার, নজরুল সরদার, আবুল হাশেম, নুর ইসলাম, মোঃ মোজাফফর, লিটন শিকদার, শহিদ শিকদার। এদের মধ্যে নজরুল সরদার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং আবুল হাশেম বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন । কিন্তু এই হামলার ঘটনাটি ভিন্ন খাতে নিতে জাকির হাওলাদার মাদকদ্রব্য বিক্রয় সংক্রান্ত একটা প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে।
এছাড়া ধোপাখালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মকবুল হোসেনেরে ছেলে শাহিন ঘটনার সময় দেপাড়া বাজারে মোটরসাইকেল মেরামতের কাজ করছিলেন। কিন্তু জাকির হোসেন শাহিনকে জড়িয়েও নানা কথা বার্তা বলছেন। তাতে আমাদের সকলের মানসম্মান ক্ষুন্ন হচ্ছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
ধোপাখালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন বলেন, একটা তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে মাধবকাঠি এলাকায় জাকির ও সাইদুল মাঝির লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মূলত স্থানীয় কিছু জামাত ও শিবিরের লোকজন নিয়ে জাকির এলাকা অশান্ত করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। শিবির ক্যাডার আব্দুল কাদের ও জাকিরের বিচার দাবি করছি আমরা।
সাইদুল মাঝির অভিযোগ অস্বীকার করে জাকির হাজরা বলেন, সাইদুল মাঝি, শাহিন ও মাসুদ হাওলাদারের নেতৃত্বে আমাদের উপর হামলা হয়েছে। তাদের হামলায় আমাদের অন্তত ৮জন আহত হয়েছে। আমরা হামলাকারীদের বিচার চাই।
ইউসেপ খুলনায় কারিগরি প্রশিক্ষণের সমাপনী ও সার্টিফিকেট বিতরণ
খবর বিজ্ঞপ্তি
ইউসেপ বাংলাদেশ খুলনা অঞ্চলের আয়োজনে ও সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এসডিএফ) এর সহযোগিতায় রবিবার বেলা ১২ ঘটিকায় ইউসেপ মহসিন খুলনা টিভিইটি ইনস্টিটিউটে কারিগরি প্রশিক্ষণের সমাপনী ও সার্টিফিকেট বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলার অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জনাব মো: সাদিকুর রহমান খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব কাজল চন্দ্র দে, আঞ্চলিক সমন্বয়কারী, এসডিএফ- এসসিএমএফপি, খুলনা।
মৎস্য অধিদপ্তরের আওতাধীন ’সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারীজ প্রকল্প (এসসিএমএফপি)’ কম্পোনেন্ট-৩ এর আওতায় উপকূলীয় এলাকার কর্মহীন যুবক-যুবতীদের ৭৫দিন-ব্যাপী কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং (আরএসি) ও ইলেকট্রিক্যাল ইনস্টলেশন ও মেইনটেন্যান্স (ইআইএম) ট্রেডে ৩৬০ ঘন্টা প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করে দুটি ব্যাচের ৫০জন প্রশিক্ষণার্থী বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আওতায় অ্যাসেসমেন্ট এ সক্ষমতা অর্জন করে। প্রশিক্ষণাথীবৃন্দ আজকেই ইউসেপ বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মে যোগ দিচ্ছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জনাব মো: সাদিকুর রহমান খান বলেন, কারিগরি প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। শুধু সার্টিফিকেট অর্জনের জন্য নয় বরং দক্ষতা সম্পন্ন মানুষ হওয়ার জন্য কারিগরী প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। তিনি কারিগরি প্রশিক্ষণের পাশাপাশি নীতি-নৈতিকতার বিষয়েও প্রশিক্ষণার্থীদের মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ প্রদান করেন। এছাড়া অনুষ্ঠান শুরুর পূর্বে জনাব খান ইউসেপ মহসিন খুলনা টিভিইটি ইনস্টিউট এর বিভিন্ন ট্রেড পরিদর্শন করে শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং উন্নয়নে পরামর্শ প্রদান করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জনাব মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, রিজিওনাল ম্যানেজার, ইউসেপ খুলনা রিজিওন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জনাব দুলাল চন্দ্র গোলদার, হেড অব টিভিইটি ইনস্টিটিউট, জনাব মো: মতিউর রহমান, রিজিওনাল অফিসার, এসডিএফ- এসসিএমএফপি, খুলনা অঞ্চল এবং জনাব আফজাল হোসেন, অফিসার, ডিসেন্ট এমপ্লয়মেন্ট, ইউসেপ খুলনা অঞ্চল।
উল্লেখ্য যে, ১৯৭২ সাল থেকে ইউসেপ-বাংলাদেশ শহরের সুবিধাবঞ্চিত শ্রমজীবী শিশু কিশোরদের কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদান এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গ্রাজুয়েটদের কর্মসংস্থানে সহযোগিতা প্রদান করে আসছে।
খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভায় উদ্বেগ প্রকাশ জাতীয় শোক দিবসের দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা মহানগরী সিমেট্রি রোডসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় কথিত সাংবাদিক সংগঠনের আড়ালে রমরমা জুয়ার আসর, মাদকসহ অনৈতিক কর্মকান্ডের ঘটনা ঘটছে। যা রিতিমত সরকারের ভাভমূর্তি দারুনভাবে ক্ষুন্ন করছে। সরকারের নিষেধাজ্ঞার পরও এধরনের ঘটনায় খুলনার সাংবাদিক সমাজসহ সাধারণ মানুষ উদ্বিগ্ন। এ ব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি খুলনার সাংবাদিক সমাজের। অন্যথায় খুলনার সাংবাদিক সমাজ রাজপথে নামতে বাধ্য হবে। আজ ৩১ জুলাই বেলা ১১ টায়
খুলনা সাংবাদিক ইউনিযন (কেইউজে) নির্বাহী পরিষদের সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। সংগঠনের সভাপতি ফারুক আহমেদের সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিয়াজের সঞ্চালনায় নিজেস্ব কার্যালযে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ১৫ আগস্ট জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষনা করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে ১৪ আগস্ট বিকেলে জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ওপর শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতা। ১৫ আগস্ট সকাল সোয়া ১০ টায় জাতিরপিতার ভাষ্কর্যে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ এবং বেলা সাড়ে ১১ টায় আলোচনা সভা ও দুস্থ্যদের মাধ্যে খাবার বিতরণ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়নের সহ-সভাপতি আলমগীর হান্নান,কোষাধ্যক্ষ দিলিপ বর্মণ,দপ্তর সম্পাদক শেখ আব্দুল হামিদ,প্রচার ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এস,এম মনিরুজ্জামান,নির্বাহী সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম কাজল ও মিলন হোসেন।
সভায় জাতীয় শোক দিবস পালনে ইউনিয়নের নির্বাহী সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম কাজলকে আহবায়ক ও দিলিপ বর্মণ,শেখ আব্দুল হামিদ ও এসামে মনিরুজ্জামানকে সদস্য করে একটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া ইউনিয়নকে আরো গতিশীল করতে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সুস্থজীবন গঠনে নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা জরুরি : উপাচার্য
খবর বিজ্ঞপ্তি
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের আয়োজনে ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় ‘নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ আইন, বিধি ও প্রবিধিমালার প্রয়োগ’ শীর্ষক এক সেমিনার ৩১ জুলাই (রবিবার) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। তিনি বলেন, নিরাপদ খাদ্যের বিষয়টি উৎপাদন, পরিবহন, বিপনন, প্রক্রিয়াজাতকরণ থেকে শুরু করে খাবার টেবিল পর্যন্ত বিস্তৃত। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও ব্যবস্থা অবলম্বন করা দরকার। তবে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন জনসচেতনতা, পাশাপাশি আইন, বিধিবিধান প্রয়োগ, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা এবং সর্বোপরি রাজনৈতিক ও সামাজিক কমিটমেন্ট। তিনি নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কে পরিবার থেকে শিক্ষালাভ করা, অভ্যাস করা ও সচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাস্তরের পাঠ্যবইতে এ বিষয়ে পাঠ্যসূচি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে উপাচার্য বলেন, তিনি অনেক আগেই নিরাপদ খাদ্যের গুরুত্ব উপলব্ধি করে সংসদে আইন পাস করে একটি কর্তৃপক্ষ করে দিয়েছেন। নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থা কার্যকর করা গেলে সুস্থ জাতি গঠন করা সম্ভব। তিনি বলেন, নিরাপদ খাদ্য সুস্থ দেহ, সুস্থ জাতি- এই বিষয়গুলো সামনে রেখে আসুন আমরা সবাই সচেতন হই।
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের খাদ্যভোগ ও ভোক্তা অধিকার সদস্য (যুগ্ম সচিব) মোঃ রেজাউল করিম। সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস। স্বাগত বক্তব্য রাখেন খুলনার নিরাপদ খাদ্য অফিসার সুরাইয়া সাইদুন নাহার।
পরে এ বিষয়ে মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। মূল নিবন্ধে নিরাপদ খাদ্যের গুরুত্ব, বর্তমান অবস্থা ও দায়িত্ব পালনকারী সংস্থাসহ নানাবিধ প্রতিকূলতা তুলে ধরা হয়। বলা হয়, নিরাপদ খাদ্য বা খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনার সাথে সরকারের ১৮টি সংস্থা রয়েছে। সমন্বয়ের মাধ্যমে লক্ষ্য অর্জনে কাজ করা জরুরি। প্রতিদিন দেশে জনসংখ্যার হিসেবে মাথাপিছু খাবারের ১৫০ টাকা হিসেবে ২৪০০ টাকা দরকার হয়। দেশে ১৫ লাখ হোটেল-রেস্তোরাঁ রয়েছে। আমাদের সার্বিক স্বাস্থ্যের অবস্থা যে ভালো নেই তা স্বাস্থ্যখাতে ব্যয়বৃদ্ধি ও হাজার হাজার ক্লিনিক-হাসপাতাল ও ওষুধের দোকার বৃদ্ধির দিকে তাকালেই বোঝা যায়। নিবন্ধে চিকিৎসাখাতের এই ব্যয়বৃদ্ধির বিপরীতে জনস্বাস্থ্য এবং বিশেষ করে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে পারলে রোগীর সংখ্যা হ্রাস পাবে বলে উল্লেখ করা হয়।
সেমিনারে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
খুবিতে যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কেন্দ্রের অফিস উদ্বোধন
খবর বিজ্ঞপ্তি
৩১ জুলাই (রবিবার) বিকাল সাড়ে ৩টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ ভবনের চতুর্থ তলায় যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কেন্দ্রের অফিস উদ্বোধন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন ফিতা কেটে এ অফিস উদ্বোধন করেন। অফিস উদ্বোধনের পর তিনি কেন্দ্রের অফিস ঘুরে দেখেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন। সেখানে তিনি এ উপলক্ষ্যে একটি কেকও কাটেন।
এসময় কেন্দ্রের সভাপতি প্রফেসর মোছাঃ তাছলিমা খাতুন, সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুন্নুজাহান আরা, সদস্য প্রফেসর ড. মো. আব্দুল জব্বার, প্রফেসর ড. এস এম মাহবুবুর রহমান, প্রফেসর মো. শরীফ হাসান লিমন, এ্যাড. অলোকানন্দা দাশ, এ্যাড. সেলিনা আক্তার পিয়া উপস্থিত ছিলেন।
খুবি’র সিএসই ডিসিপ্লিনের উদ্যোগে সেমিনার অনুষ্ঠিত
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) ডিসিপ্লিনের আয়োজনে ৩১ জুলাই (রবিবার) সকাল ১০টায় ”জবংবধৎপয, ওহহড়াধঃরড়হ ধহফ ঊহঃৎবঢ়ৎবহবঁৎংযরঢ় ঃড়ধিৎফং ইঁরষফরহম ঝড়হধৎ ইধহমষধ” শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
ড. সত্যেন্দ্রনাথ বসু একাডেমিক ভবনের আইকিউএসির মাল্টিপারপাস রুমে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ) এর সিএসই বিভাগের প্রফেসর ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন। এছাড়াও তিনি ডিজিটাল হেলথ্ বিষয়ে আলোচনা করেন।
তিনি বলেন, আমরা এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সময় অতিক্রম করছি। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের উদ্যোক্তা হতে হবে, উদ্ভাবনা করতে হবে। আর এজন্য প্রয়োজন বেশি বেশি গবেষণা করা। গবেষণার মাধ্যমে প্রাপ্ত ফল মানুষের কাজে লাগাতে হবে। তিনি বলেন, প্রযুক্তি নির্ভর এই বিশ্বে আমাদের এখন অর্থনৈতিক মুক্তি প্রয়োজন। এজন্য প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া কোলাবরেশন জরুরি হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ সরকারও ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া কোলাবরেশনে গুরুত্ব দিয়েছে।
সিএসই ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. আবু শামীম মোহাম্মদ আরিফের সভাপতিত্বে সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন একই ডিসিপ্লিনের শিক্ষক প্রফেসর ড. রামেশ্বর দেবনাথ। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন প্রফেসর ড. মো. আনিসুর রহমান। অনুষ্ঠানে সিএসই ও ইসিই ডিসিপ্লিনের শিক্ষক এবং সিএসই ডিসিপ্লিনের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনাবৃষ্টিতে ফসলী মাঠ ফেটে চৌচির
ডুমুরিয়ায় গুটুদিয়ার কয়েকটি বিলে পানি ঢুকাতে কাটা হচ্ছে খালের অবৈধ বাঁধ
এস রফিক, ডুমুরিয়া
ডুমুরিয়ায় ভরা ভর্ষা মৌসুমে অনাবৃষ্টি আর প্রচন্ড খরায় ফেটে চৌচির হয়ে গেছে হাজার হাজার হেক্টর আবাদি জমি। ফসল ফলাতে পানির জন্য হাহাকার করছে কৃষক। বিলের মধ্যে সরকারি খালগুলোও অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে দখল করে বসেছে প্রভাবশালীরা। ফলে পানি নিস্কাশন তো দুরের কথা খাল পাড় দিয়েও হাটতে দেয়া হয়না কাউকে। এমন পরি¯ি’তি সৃষ্টি হয়েছে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া ইউনিয়নের লাইনবিলপাবলা এলাকার বিলগুলোতে। এসব কারণে ¯’ানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শেখ তুহিনুল ইসলাম ব্যক্তি উদ্যোগ নিয়ে খালগুলো দখলমুক্ত কার্যক্রম শুরু করেছেন। প্রায় মাস ব্যাপী শুরু হয়েছে এই উ”েছদ অভিযান।
জানা যায়, বর্ষা মৌসুমে এবার তেমন বৃষ্টির দেখা যায়নি। যেখানে খাল-বিলে পানিতে থৈথৈ করার কথা, সেখানে খরায় ফেটে চৌচির হয়ে যা”েছ শতশত হেক্টর আবাদি জমি। রোদে পুড়ে মরে যা”েছ বিভিন্ন জাতের সবজি। একফোটা পানির জন্য হাহাকার করছে কৃষক। বিলের মধ্যকার সরকারি খালগুলোতে বাঁধ দেওয়ার ফলে নদীর পানি প্রবেশ বন্ধ হয়ে আছে কয়েক যুগ ধরে। খুলনা শহর কেন্দ্রীক কতিপয় প্রভাবশালীদের দখলে অকেজো হয়ে পড়া খালগুলোর অবৈধ বাঁধ অবশেষে ¯’ানীয় ইউপিথর উদ্যোগে অপসারণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মাসব্যাপী উ”েছদ অভিযানে এ পর্যন্ত কালিতলা খাল, সাইমপুরি খাল, মতিয়ার খাল, তেঁতুলতলা খাল, বড়শিরা খাল, বিলপাবলা খাল, ভেল্কামারী খাল, পঞ্চু খাল, খাজুরতলা দোয়ানি খালসহ প্রায় অর্ধশত সরকারি খালের অবৈধ বাঁধ-পাটা অপসারণ করা হয়েছে। প্রতিদিন ২৫/৩০ জন শ্রমিক একাজে নিয়োজিত আছে। খাল সচল হওয়ার পর থেকে বিলের মধ্যে এখন পানি আসতে শুরু করেছে। লাইন বিলপাবলা বিলের কৃষক মো. আছাদ বলেন, খালগুলো কয়েকযুগ ধরে বন্ধ ছিলো। প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করতো। কৃষি কাজে আমরা সময় মতো পানি পেতাম না। ওই বিলের এক ঘের ব্যবসায়ীর স্ত্রী শান্তিলতা জানান, খাল দখলমুক্ত হওয়ায় তাদের অনেক ভালো হয়েছে। এ বিষয়ে চেয়ারম্যান শেখ তুহিনুল ইসলাম তুহিন বলেন, প্রায় দেশ স্বাধীনের পর থেকেই বিলপাবলা মৌজার অধিকাংশ খালগুলো সরকারের বে-দখলে। তিনি বলেন, এ বছর অনাবৃষ্টিতে ফসল হ”েছ না। কয়েকথশ হেক্টর জমি অনাবাদি হয়ে পড়ে আছে। তাই কৃষকের কথা চিন্তা করে নিজ উদ্যোগে একাজ শুরু করেছি। এ পর্যন্ত আমার প্রায় ৩ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ডুমুরিয়া সহকারি কমিশনার (ভুমি) মামুনুর রশীদ বলেন, সরকারি খালের অবৈধ দখল উ”েছদ অভিযান একটি চলমান প্রক্রিয়া। এটা অব্যাহত থাকবে। আর যে সমস্ত খাল বন্দোবস্ত দেয়া আছে জনস্বার্থে সে সব খালের বন্দোবস্ত বাতিলের কার্যক্রম চলছে।
খুলনা মহানগর ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মাস ব্যাপী কর্মসুচি
খবর বিজ্ঞপ্তি
১৫ আগস্ট ২০২২ জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৭ তম শাহাদৎ বার্ষিকী যথাযথ মর্যদায় পালন উপলক্ষে, খুলনা মহানগর ও জেলা মুক্তিযুদ্ধা সংসদ-এর এক যৌথ বর্ধিত সভা গতকাল সকাল ১০ টায় ৭১ খান জাহান আলী রোডস্থ খুলনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্স ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা ইউনিট কমান্ডের সাবেক কমান্ডার আলহাজ¦ সরদার মাহবুুবার রহমান। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে খুলনা মহানগর ইউনিট কমান্ডের সাবেক কমান্ডার অধ্যাপক মোঃ আলমগীর কবির বলেন, বাঙ্গালী জাতির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট পরাজিত পকিস্থানীদের মদদপুস্টরা বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করার পর থেকে অদ্যাবধি বঙ্গবন্ধুর সকল অর্জনকে অস্বীকার করে আসা সহ দেশের সাম্প্রদায়ীক সষ্প্রীতি বিনষ্টের অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। এসকল অপতৎপরতা সৃষ্টি কারিদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে তিনি প্রয়োজনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে নিয়ে আরো একবার মাঠে নেমে যুদ্ধ করার হুসিয়ারি দেন। সভায় মহানগর ও জেলা ইউনিট কমান্ডসহ সকল থানা ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদে ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন, দোয়া মাহফিল ও তাবারক বিতরনের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। এছাড়া ১লা আগস্ট থেকে ৩১শে আগস্ট পর্যন্ত মাস ব্যাপী মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ও মহানগর ইউনিট কমান্ড সহ সকল থানা ও উপজেলা পর্যায়ে শোক দিবসের বিভিন্ন কর্মসুচি পালনের সিদ্ধান্তের কপি সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে প্রেরণ করে উহা যথাযথ মর্যাদার সাথে পালনের নির্দেশ দেয়া হয়।উক্ত বর্ধিত সভায় খুলনা মহানগরীর ইউনিট কমান্ডের ডেপুটি, সহকারী কমান্ডারগণ সহ মহানগরীর ৫টি থানার আহবায়ক সদস্য সচিব এবং খুলনা জেলা ইউনিট কমান্ডের ডেপুটি, সহকারী কমান্ডারগণ সহ জেলার ৯টি উপজেলার কমান্ডার ও ডেপুটি কমান্ডারগন উপস্থিত ছিলেন। বীর ম্ুিক্তযোদ্ধাদের মধ্যে আলোচনা করেন নুর ইসলাম বন্ধ, খান মোহাম্মদ আলী, শেখ মুনিরুল ইসলাম, আতিয়ার রহমান মোড়ল, মুন্সী আইয়ুব আলী, এ.কে. মকবুল হোসেন মিন্টু, নুরুল ইসলাম মনু (মনু কমিশনার), আলহাজ¦ শেখ শহিদুল ইসলাম, মোঃ ইদ্রিস আলী, ইঞ্জিঃ শেখ আব্দুল জব্বার, মোকলেছুর রহমান বাবুল, শেখ আলমগীর হোসেন, মোঃ বজলু রশিদ আজাদ, হারুনুর রশিদ বন্দ, মোঃ বজলুর রশিদ, এস.এম. হাফিজুর রহমান, ইঞ্জিঃ পরিমল কুমার দাস, আহমেদ আলী, মোঃ আবুল হোসেন, নুরুল ইসলাম মানিক, মোঃ মোস্তাক আবেদীন, এ্যাঃ মোহাম্মদ কেরামত আলী, শেখ মোশারেফ হোসেন, নারায়ন চন্দ্র বিশ^াস, নির্মল কুমার রায়, মোহিত চন্দ্র রায়, স.ম.রেজোয়ান আলী, গাজী নাজিম উদ্দিন, শেখ জয়নাল আবেদীন, মোঃ কামরুজ্জামান, শেখ জাফর আহমেদ, কাজী মোঃ ইয়াহিয়া, কাজী জাফর উদ্দিন, শেখ আমিরুল ইসলাম, নিরঞ্জন কুমার রায়, শেখ ওবায়দুল্লাহ রনো, চৌধুরী আবুল খায়ের, আব্দুর রাজ্জাক মলঙ্গী, সিদ্দিকুর রহমান, শেখ হফিজুল্লাহ, মিয়া আলী হয়দার, মোঃ শহিদুল ইসলাম, কাজী মতিয়ার রহমান, শেখ ওহিদুর রহমান ও মোল্লা মুজিবুর রহমান প্রমুখ।
দাকোপে লোকসান ঠেকাতে আকারে ছোট পরোটা পরিমাণে কম সবজি দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা
মোঃ শামীম হোসেন- বাজুয়া
খুলনার দাকোপে লোকসান ঠেকাতে আকারে ছোট পরোটা, পরিমাণে কম সবজি দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। দাকোপের বাজুয়া বাজারে ৪০ বছরের হোটেল ব্যবসা খোকন ময়রার। কখনো ব্যবসা নিয়ে এমন সংকটে পড়তে হয়নি। প্রতিনিয়ত তেল, ময়দা, পেঁয়াজ ও সবজির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তিনি। লোকসান ঠেকাতে পরোটার আকার ছোট করেছেন, সবজির প্লেটে পরিমাণে কম দিচ্ছেন। তারপরও টিকতে পারছেন না। দিনরাত মিলে ১৮ ঘণ্টা বেচাকেনা চলে খোকন ময়রার হোটেলে। পরোটা, শিঙাড়া, পুরি, সমুচাই বেশি বিক্রি হয়। খুটাখালির বাজারের হোটেল ব্যবসায়ী কামাল বলেন, ‘খাদ্য প্রস্তুতের প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে। ক্রেতাদের কাছ থেকে তো বেশি দাম রাখতে পারছি না। সাইজ ছোট করে দিয়েও লোকসান ঠেকাতে পারছি না। এখন চিন্তায় পড়ে গেছি, ৪০ বছরের ব্যবসাটিই বন্ধ করে দিতে হয় কিনা। ভোজ্যতেল, জ্বালানি গ্যাস, ময়দা, পেঁয়াজ ও বিভিন্ন ধরনের সবজির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খোকন ময়রার মতো হোটেল-রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে দাকোপের বিভিন্ন লঞ্চ ও ফেরিঘাটের হোটেল-রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীরা খাদ্যের দাম বাড়াতে পারছেন না। তাঁরা পরোটার আকার ছোট করেছেন, প্লেটে খাদ্যের পরিমাণ কম দিচ্ছেন। এতে ক্রেতারা বিরক্ত হচ্ছেন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, হোটেল-রেস্তোরাঁয় খাদ্য প্রস্তুত করতে ভোজ্যতেল, ময়দা, আলু, কাঁচা পেপে, কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ, রসুন, আদাসহ নানা ধরনের পণ্য ব্যবহার করা হয়। আর রান্না করার কাজে ব্যবহার করা হয় জ্বালানি গ্যাস। গত দুই মাসে প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে। খোলা সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে প্রতি লিটারে ৩৮ টাকা, ময়দার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা। জ্বালানি গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে কেজিপ্রতি ২৫ হতে ৩৫ টাকা। প্রতি কেজি আলুতে বৃদ্ধি পেয়েছে ৮ টাকা হতে ১০ টাকা। কাঁচা পেঁপেতে ১৫-২০ টাকা, কাঁচা মরিচে ৯০-১৪০ টাকা, আদায় ২০-৩০ টাকা, রসুনে ৩০-৩৫ টাকা, পেঁয়াজে বৃদ্ধি করা হয়েছে ১৫ টাকা। পোদ্দারগঞ্জ ফেরিঘাটের হোটেল ব্যবসায়ী বাবু বলেন, ঘাট এলাকাগুলোয় ভ্রাম্যমাণ ক্রেতা বেশি থাকে। তাঁরা হোটেলে খাওয়ার সময় একটু সাশ্রয় খোঁজেন। সেখানে হোটেল ব্যবসায়ীদেরও প্রতিযোগিতা থাকে কম মূল্যে ভালো খাবার পরিবেশন করার। এখন যা অবস্থা হয়েছে, প্রতিদিনই কোনো না কোনো পণ্যের দাম বাড়ানো হচ্ছে। কিন্তু হঠাৎ তাঁরা খাদ্যপণ্যের দাম বাড়াতে পারছেন না। দাম বাড়ালে ক্রেতা পাওয়া যায় না। এভাবে কি ব্যবসা চালানো যায়?হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে প্রতিদিন ১৫ লিটার সয়াবিন তেল, ২৫ কেজি ময়দা, ও অন্তত ৫০ কেজির বিভিন্ন সবজি ব্যবহার করা হয়। রান্নার কাজ করতে ১৫ কেজি জ্বালানি গ্যাস ব্যবহার করা হয়। পণ্যগুলোর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন প্রতিদিন তাঁদের অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ টাকা। প্রতিষ্ঠানটির মালিক বলেন, ‘নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় আমরা দিশেহারা। এখন ব্যবসাটি টিকিয়ে রাখতে লড়াই করছি। জানি না কতদিন লোকসান গুনতে গুনতে এ লড়াই চালিয়ে যাব। দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিন্টু বিশ্বাস বলেন, ভোজ্যতেলসহ বিভিন্ন নিত্যপণের যে দাম সরকার নির্ধারণ করে দিয়েছে, তা মনিটরিং করা হচ্ছে। সেখানে কোনো ব্যত্যয় হয় কি না, তা দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বাজারের খাদ্য প্রস্তুত প্রতিষ্ঠানগুলো কিছুটা বিপাকে পরেছেন। নানা সীমাবদ্ধতার কারণে তারা নিত্যপণ্যের দামের সঙ্গে তাল মিলিয়ে খাদ্যসামগ্রীর দাম নির্ধারণ করতে পারছেন না। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দাকোপ উপজেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বলেন, হোটেল ও রেস্তোরাঁয় ব্যবহৃত কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি পাওয়া ওই ব্যবসায়ীরা বিপাকে পরেছেন। অনেক ব্যবসায়ী খাদ্যপণ্যের দাম বাড়িয়েছেন, পণ্যের সাইজ ছোট করেছেন। ব্যবসায়ীরা যে পদক্ষেপই নেন না কেন, তাতে যেন ভোক্তাদের কল্যাণ হয়। ভোক্তাদের হয়রানি ও ঠকানো যাবে না।
রাস্তা নেই নদীর মাঝে কালভার্ট
শামীম খান জনী,মহেশপুর।।
রাস্তা তৈরি না করেই চলমান নদীর মধ্যে কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। এই কালভার্ট নির্মাণে সরকারি কোষাগার থেকে ব্যয় করা হয়েছে ৭০হাজার টাকা। অথচ এই কালভার্টটি জনগণের কোনো কাজেই আসছে না। অপরিকল্পিত এমন উন্নয়ন হয়েছে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার আজমপুর ইউপির রামচন্দ্রপুর শ্বশান ঘাটের কপোতাক্ষ নদীতে। জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে এডিপির আওতায় রামচন্দ্রপুর শ্বশান ঘাটের রাস্তায় বক্র কালভার্ট নির্মাণে ৭০ হাজার টাকা ব্যয় করা হয়।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, রাস্তা ছাড়াই নদীর মধ্যে অপরিকল্পিতভাবে কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়েছে। রামচন্দ্রপুর শ্বশান ঘাটে যাওয়ার কোন রাস্তা নেই। মাঠের ফসল জলবদ্ধতা থেকে রক্ষা পেতে রামচন্দ্রপুর শ্বশান ঘাটের রাস্তায় পানি নিস্কাশনে বক্র কালভাটের প্রয়োজন হলেও যেখানে রাস্তা নেই সেখানে নদীর মধ্যে এমন অপরিকল্পিতভাবে কালভার্টটি নির্মাণ নিয়ে নানা প্রশ্ন সাধারণ মানুষের মনে।
স্থানীয়রা জানায়, কয়েক মাস আগে নদীটি খনন করা হয়েছে। এর আগে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা নদীর পাড়ের রাস্তা দিয়ে হেঁটে শ্বশান ঘাটে যেতো। কিন্তু নদী খননের ফলে সেই রাস্তাটি আর নেই। রাস্তা ছাড়া নদীতে কালভার্টটি নির্মানে সরকারের টাকা অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়। অপরিকল্পিত এমন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের নামে সরকারি কোষাগারের ৭০ হাজার টাকা পানিতে ভাসিয়ে দিয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
আজমপুর ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন জানান, রামচন্দ্রপুর শ্বশান ঘাটের রাস্তায় একটি বক্র কালভার্ট নির্মান করা হয়েছে শুনেছি। যদি সেটি অপরিকল্পিতভাবে ভাবে হয়ে থাকে তাহলে ইঞ্জিনিয়ার ও স্থান নির্বাচন কারীর ভুলের কারনে হয়েছে বলে তিনি জানান।
জরিনা রানী বালা নামের একজন নারী জানান, বর্তমানে শ্বশান ঘাটে যাওয়ার কোন রাস্তা নেই। রাস্তা তৈরি না করে কালভার্ট তৈরি শুধু অনর্থক হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে কালভার্টটি পানিতে ডুবে থাকবে কোন কাজে আসবে না।
মসলেম উদ্দিন জানান, কালভার্টটি আরো সড়িয়ে উচুঁ করে করার দরকার ছিলো। তাহলে হয়তো আমাদের উপকারে আসতো,এমন জায়গায় করেছে যা আমাদের মাঠের কৃষকদের কোন উপকারেই আসবে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার রাজবংশী জানান,সরেজমিন পরিদর্শন করে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মহানগর আওয়ামী লীগের দোয়া মাহফিল আজ
খবর বিজ্ঞপ্তি
দোয়া মাহফিলের মধ্য দিয়ে ৪০ দিনের কর্মসূচী শুরু করবে মহানগর আওয়ামী লীগ। আজ সোমবার বাদ মাগরিব দলীয় কার্যালয়ে এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে মহানগর আওয়ামী লীগ, থানা, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন এবং সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচিত দলীয় কাউন্সিলরদের যথা সময়ে উপস্থিত থাকার জন্য বিশেষ আহবান জানিয়েছেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক এবং খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা।
শেখ সোহেলের সুস্থতায় কামনায় সোনাডাঙ্গা থানা আ’লীগের দোয়া অনুষ্ঠিত
খবর বিজ্ঞপ্তি
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভ্রাতুষ্পুত্র, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রিয় কার্যনির্বাহী সংসদের প্রেসিডিয়াম মেম্বর ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোডের পরিচালক শেখ সোহেল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন। তাঁর সুস্থ্যতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় গতকাল রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা। সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ভুলু বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক তসলিম আহমেদ আশার পরিচালনায় এসময়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা মল্লিক আবিদ হোসেন কবীর, আবুল কালাম আজাদ কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আলমগীর কবির, এ্যাড. মজিবর রহমান, মোঃ মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, শেখ ফারুক হাসান হিটলু, নুর মোহাম্মদ শেখ, কাউন্সিলর আনিছুর রহমান বিশ^াষ, এস এম আকিল উদ্দিন, শফিকুর রহমান পলাশ, আমির হোসেন, জান্নাতুল ফেরদৌস পিকুর, রফিকুল ইসলাম পিটু, এস এম রাজিউল হাসান রাজু, শরীফ এনামুল কবীর, কাউন্সিলর আমেনা হালিম বেবী, এ্যাড. এনামুল হক, আলী আকবর, মোঃ রুহুল আমিন খান, মেহজাবিন খান, এডভোকেট শামীম আহমেদ পলাশ, তোতা মিয়া ব্যাপার, শিপন চৌধুরী, এ্যাড. সোহেল চৌধুরী, এডভোকেট হাসানুজ্জামান মিল্টন, নাসরিন সুলতানা, মোস্তাক আহমেদ টুটুল, সোহেল চৌধুরী, মামুন চৌধুরী, এডভোকেট রাকিব, শেখ আবিদ উল্লাহ, শেখ নূর ইসলাম, জাহিদ হোসেন, চ ম মুজিবুর রহমান, হাসান ইফতেখার চালু, ইউসুফ আলী খান, মোঃ জাকির হোসেন, মোতালেব মিয়া, হালিম সরদার, শেখ মো. রুহুল আমিন, বাদশা হাওলাদার, নুরজাহান রুমি, নূরীনা রহমান বিউটি, রোজী ইসলাম, মো. শহীদুল হাসান, মনোয়ারা বেগম, আঙ্গুরী বেগম, রিমা আক্তার, আশরাফ আলী হাওলাদার শিপন, মাহমুদুর রহমান রাজেশসহ থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত
খবর বিজ্ঞপ্তি
শোকাবহ আগস্ট মাস পালনের লক্ষে সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রবিবার সন্ধ্যা ৮টায় দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা। সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ভুলু বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক তসলিম আহমেদ আশার পরিচালনায় এসময়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা মল্লিক আবিদ হোসেন কবীর, আবুল কালাম আজাদ কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আলমগীর কবির, এ্যাড. মজিবর রহমান, মোঃ মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, শেখ ফারুক হাসান হিটলু, নুর মোহাম্মদ শেখ, কাউন্সিলর আনিছুর রহমান বিশ^াষ, এস এম আকিল উদ্দিন, শফিকুর রহমান পলাশ, আমির হোসেন, জান্নাতুল ফেরদৌস পিকুর, রফিকুল ইসলাম পিটু, এস এম রাজিউল হাসান রাজু, শরীফ এনামুল কবীর, কাউন্সিলর আমেনা হালিম বেবী, এ্যাড. এনামুল হক, আলী আকবর, মোঃ রুহুল আমিন খান, মেহজাবিন খান, এডভোকেট শামীম আহমেদ পলাশ, তোতা মিয়া ব্যাপার, শিপন চৌধুরী, এ্যাড. সোহেল চৌধুরী, এডভোকেট হাসানুজ্জামান মিল্টন, নাসরিন সুলতানা, মোস্তাক আহমেদ টুটুল, সোহেল চৌধুরী, মামুন চৌধুরী, এডভোকেট রাকিব, শেখ আবিদ উল্লাহ, শেখ নূর ইসলাম, জাহিদ হোসেন, চ ম মুজিবুর রহমান, হাসান ইফতেখার চালু, ইউসুফ আলী খান, মোঃ জাকির হোসেন, মোতালেব মিয়া, হালিম সরদার, শেখ মো. রুহুল আমিন, বাদশা হাওলাদার, নুরজাহান রুমি, নূরীনা রহমান বিউটি, রোজী ইসলাম, মো. শহীদুল হাসান, মনোয়ারা বেগম, আঙ্গুরী বেগম, রিমা আক্তার, আশরাফ আলী হাওলাদার শিপন, মাহমুদুর রহমান রাজেশসহ থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।