স্টাফ রিপোর্টার ।।
খানজাহান আলী থানাধীন মধ্যপাড়াস্থ ইবতাদীয় মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণের মামলার আসামী স্বামী ও স্ত্রীকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা,
অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম করাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।
সোমবার (১ আগস্ট) খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল- ৩ এর বিচারক আব্দুস ছালাম খান এ রায় ঘোষণা করেছেন। রায় ঘোষণাকাল আসামিরা আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, নগরীর খানজাহান আলী থানা এলাকার অহিদের বাড়ির ভাড়াটিয়া মোমিন সরদার (৩০) ও তার স্ত্রী রেখা বেগম (২৬)।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রুবেল খান নথীর বরাত দিয়ে জানান, খানজাহান আলী থানাধীন মধ্যপাড়াস্থ ইবতাদীয় মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল সুর্বনা লুৎফা। সে খানজাহান আলী থানার গিলাতলা গাজীপাড়া এলাকার সাবেক আলী মেম্বরের বাড়ির ভাড়াটিয়া মিনা সুমনের মেয়ে। ২০১৭ সালের ২৪ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আসামিরা সুর্বনাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়ে না পেয়ে খানজাহান আলী থানায় দু’আসামিসহ মোসা. নুরজাহান নুরী বেগমের নাম উল্লেখ করে মিনা সুমন অপহরণ মামলা দায়ের করেন যার নং-১৩ । পরবর্তীতে আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় রেখার অবস্থান নিশ্চিত করে পুলিশ। ঘটনার ৬ দিন পর বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থানগড় থেকে পুলিশ রেখাকে আটক করে। পরে পুলিশ রেখার দেখানো স্থান থেকে সুর্বনাকে উদ্ধার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রেখা তাকে বেড়ানোর কথা বলে নিয়ে আসে বলে পুলিশের কছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। শিশু সুর্বনাকে তারা একটি রুমে আটকে রেখেছিল। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খানজাহান আলী থানার এসআই শেখ আব্দুর রহিম আদালতে রেখা ও তার স্বামীকে অভিযুক্ত করে একই বছরের ১৯ নভেম্বর চার্জশিট দাখিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন স্পেশাল পিপি ফরিদ আহমেদ।
