শৈলকুপা (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি।।
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় কারাগার থেকে বের হওয়ার এক সপ্তাহের মাথায় জানিক শেখ নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। শনিবার রাতে উপজেলার পুরোনো বাখরবা গ্রামে এ ঘটনার পর রোববার ভোরে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
নিহত জানিক পুরোনো বাখরবা গ্রামের ইবাদত শেখের ছেলে। তিনি সারুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জুলফিকার কায়সার টিপুর সমর্থক ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুন ও পরাজিত প্রার্থী টিপুর বিরোধ চলছিল। এরই জেরে ৫ জানুয়ারি ইউপি নির্বাচনের আগে সহিংসতায় নৌকার প্রার্থী মামুনের ৫ সমর্থক নিহত হন। আসামি করা হয় পরাজিত প্রার্থী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আনারস প্রতীকের টিপু ও তার সমর্থকদের। ওই মামলার কারাগার থেকে ২৪ জুলাই বের হন টিপু ও তার সমর্থক জানিক শেখ।
এর এক সপ্তাহের মাথায় গত শনিবার রাত ১০টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে জানিককে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে রাখে। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে তাকে শৈলকুপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
নিহতের স্ত্রী স্বপ্না খাতুনের দাবি, ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুনের সমর্থকরা তার স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ ব্যাপারে রোববার চেয়ারম্যান মামুনকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তার নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। এমনকি তার গ্রামের বাড়িতে গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
পরাজিত প্রার্থী জুলফিকার কায়সার টিপু জানান, নিহত জানিক তার সমর্থক ছিলেন। তিনিসহ জানিক গত ২৪ জুলাই কারাগার থেকে বের হয়েছেন। এ ঘটনায় রোববার বিকেল পর্যন্ত মামলা দায়ের হয়নি বলে জানিয়েছেন শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম।