লোডশেডিং: হাসপাতালের অন্ধকারে চলছে রোগী দেখা ও সেলাই-ড্রেসিং

2
Spread the love

 

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি ।।
বিদ্যুৎতের লোডশেডিংয়ে হাসফাস করছেন মোংলার সরকারী হাসপাতালের রোগী ও চিকিৎসকেরা।হাসপাতালের ভর্তি বৃদ্ধ ও উচ্চ রক্ত চাপসহ নানা রোগে আক্রান্তরা সুস্থ হওয়ার জায়গায় আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। রোগীর স্বজনদের দেখা গেছে হাতপাখা, কাগজ ও কাপড় নাড়িয়ে বাতাস করতে। আর ইমারজেন্সি বিভাগে মোবাইল ও টর্চ লাইট ধরে করা হচ্ছে রোগীদের সেলাই ও ড্রেসিংয়ের কাজ করছেন। হাসপাতালের নিজস্ব বিদ্যুৎ (জেনারটর অকেজো) ব্যবস্থা না থাকায় রোগী দেখছেন অন্ধকারেই। এছাড়া হাসপাতালের ফ্রিজে থাকা টিকাসহ নানা ওষুধও নষ্টের উপক্রম হয়ে পড়েছে।
হাসপাতালে ভর্তি রোগী মোঃ আসলাম বলেন, বার বার বিদ্যুৎ যাচ্ছে, এতে সুস্থ হওয়ার জায়গায় আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছি। গরমে খুব খারাপ লাগছে।
রোগীদের স্বজন মোঃ জাকির, রহিমা বেগম ও শোভা মন্ডল বলেন, শুক্রবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত দুই বার বিদ্যুৎ চলে গেছে। এতে শিশু, বৃদ্ধ-বৃদ্ধাসহ নানা বয়সের রোগীর খুব কষ্ট হচ্ছে। সুস্থ হওয়ার চেয়ে গরমে আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তাদের রোগীরা। সেই সাথে তারাও ভোগান্তীতে পড়ছেন। রোগীদের স্বস্তির জন্য যা হাতের কাছে পাচ্ছেন তা নাড়িয়েই বাতাস করার চেষ্টা করছেন তারা।

শুক্রবার বিকেলে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী সোহাগ হাওলাদার বলেন, দুর্ঘটনায় আমার ঠোট কেটে যায়। হাসপাতালে এসে দেখি বিদ্যুৎ নেই, চিকিৎসকেরা মোবাইলের লাইট ধরে সেলাই দিয়েছে। ঠিকঠাক হয়েছে কিনা জানিনা। আর আমার পাশে এক রোগীকেও অন্ধকারে ড্রেসিং করা হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার ডাঃ আফসানা নাইমা হাসান বলেন, লোডশেডিংয়ের কারণে হাসপাতালে রোগী দেখা, সেলাই-ড্রেসিং করা ও ভর্তি থাকা রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া হাসপাতালের টিকাসহ অন্যান্য মেডিসিনও নষ্টের উপক্রম হয়ে পড়েছে। যদিও এটি জাতীয় সমস্যা, তারপরও হাসপাতাল অন্তত লোডশেডিংয়ের আওতামুক্ত রাখাটা জরুরী।

এদিকে লোডশেডিংয়ের পূর্বে পিডিবি কর্তৃপক্ষের ঘোষণা দেয়া কথা থাকলেও তা না দিয়েই যখন তখন দেয়া হচ্ছে লোডশেডিং। প্রতিদিন দিনে রাতে মিলিয়ে দেড় ঘন্টা লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পিডিবির মোংলা আবাসিক প্রকৌশলী মোঃ ফরহাদ হোসেন।